ে ইরাকের রাজধানী বাগদাদ ।
আমেরিকার নিউ ইয়র্কভিত্তিক সেবাদানকারী সংস্থা মার্সারের করা “এইটিনথ
কোয়ালিটি অফ লাইফ র্যাংকিং”তালিকায় এ তথ্য উঠে এসেছে । অস্টৃয়া, ভিয়েনা
নিয়ে আমি আগেও ছোট ছোট নোট লিখেছিলাম ।
ছয় বছর ভিয়েনা ছিলাম । এই প্রিয় শহরটিতে আমার যৌবনের প্রধান সময় কেটেছিলো । আজো চোখের সামনে জলজল ভাসে । ওই সময়েই ভিয়েনা অনেক পরিচ্ছন্ন ছিলো । ভিয়েনা অনেক আগেই প্রথম হওয়ার কথা ছিলো । যে শহরে আমি অনেক বছর ছিলাম সেই শহরটি বসবাসযোগ্য নগরী হিসেবে বিশ্বে প্রথম স্থান অধিকার করেছে । নিউজটা পড়ে অনেক স্মৃতি মনে হলো অস্টৃয়ান জীবনের । পুরনো একটি পোস্ট সম্পাদনা করে ।
অষ্টৃয়াকে বলা হয় বাফার জোন । অস্টৃয়ার অবস্থান মধ্য ইউরোপে । বাংলাদেশের সামান্য ছোট অষ্টৃয়া দেশটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপূর্ব লীলাভূমি । সাতটি ষ্টেট নিয়ে অষ্টৃয়া ফেডারেল সরকার পরিচালিত একটি দেশ । বর্তমান জনসংখ্যা বিরাশি লাখ । আমি যখন ছিলাম তখন ছিলো ৭৫ লাখ । অষ্টৃয়ার ভাষা জার্মান । মুদ্রার নাম সিলিং । শিল্প সংস্কৃতিতে অষ্টৃয়া বিখ্যাত দেশ ।
বিশ্ব বিখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ মোজার্ট (Mozart) অষ্টৃয়ার নাগরিক । জার্মান ডিক্টেটর অ্যাডলফ হিটলার (Adolf Hitler)এর জন্ম অষ্টৃয়ার ব্রনো (Brno) শহরে । সতেরশো শতাব্দিতে ভিয়েনার শনব্রুন এলাকায় নেপোলিয়ান এর হেডকোয়ার্টার ছিলো । ভিয়েনার অন্যতম আকর্ষণীয় ও দর্শণীয় জায়গা এই শনব্রুন ।
রাজধানী ভিয়েনা ড্যানিয়ুব (Danube) নদীর তীরে অবস্থিত খুব পরিচ্ছন্ন শহর । সামারে কত হাজার বার ড্যানিয়ুর নদীতে গোসল করেছিলাম, বোটিং করেছিলাম তা বললে অনেক কথা । ড্যানিয়ুব নদীকে জার্মান ভাষায় বলে দোনাও (Donau) ।
ডিসেম্বর মাসে তীব্র শীত, তুষারপাত হলেও ইউরোপ আমেরিকা খুব জমাজমাট থাকে । কৃসমাস ডে, নিউ ইয়ার উৎযাপন নিয়ে সারা পশ্চিমা বিশ্ব উৎসবে মেতে উঠে । ড্যানিয়ুব নদীর তীরে প্রতি বছর ডিসেম্বরে কৃসমাস ডে কে সামনে রেখে একটি কনসার্ট হতো । এখন হয় কিনা জানি না । লাইভ কনসার্ট । খোলা জায়গায় ষ্টেজ করে বিখ্যাত শিল্পীরা গান গাইতেন । কোন টিকেটের প্রয়োজন ছিল না । অনেক অস্থায়ী দোকান বসতো নদীর তীরে । আমাদের দেশের মেলার মতো । এই উৎসবের নাম জার্মান ভাষায় দোনাও ফেষ্ট (Donau Fest) । (Danube Fest) .
ডিসেম্বরের তীব্র শীত উপেক্ষা করে কয়েক হাজার মানুষ তাতে অংশ গ্রহন করতো । ১৯৯৩ সালে দোনাও ফেষ্ট-এ গান গাইতে এসেছিলেন এলটন জন, বব মার্লি । তীব্র শীতে খোলা জায়গায় সামনা সামনি তাদের গানের সঙ্গে অনেক দর্শকসহ আমিও নেচেছিলাম । প্রায় সব ইংরেজি গানের সঙ্গেই নাচানাচি করা যায় । নাচানাচি আর কি ! লাফালাফি করা ।
যথেষ্ট গরম পোষাক পড়লে ঠান্ডার মাধ্যেও বেশ ভালোলাগে । নিঃশ্বাসে টাটকা বাতাস ।
কয়েকদিন পর সকাল সাতটায় আমাদের আরেক বন্ধু বাবু ফোন করে জানিয়েছিল যে, অতিরিক্ত ঠান্ডায় ড্যানিয়ুব নদীর অনেকটা পানি বরফ হয়ে গিয়েছিল। অনেকেই সেই বরফ হওয়া পানির উপর দিয়ে হেঁটে হেঁটে নদী পার হচ্ছিল । আমিও বরফ হয়ে যাওয়া পানির উপর দিয়ে হেঁটে ড্যানিয়ুব নদী পার হয়ে ছিলাম । ইউরোপের আরো অনেক বিচিত্র ঘটনা অন্যদিন বলবো ।
নেপোলিয়নের হেড কোয়ার্টার শনব্রুন এর বাগানে শুয়ে আকাশ দেখছিলাম ।
নিউজে পড়লাম জীবন যাপনের মানের দিক দিয়ে বিশ্বের নিকৃষ্ট শহরের তালিকায় ঢাকা । বসবাসযোগ্য শহরের এই তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছে অস্টৃয়ার রাজধানী ভিয়েনা । সবার নিচে আছ
ছয় বছর ভিয়েনা ছিলাম । এই প্রিয় শহরটিতে আমার যৌবনের প্রধান সময় কেটেছিলো । আজো চোখের সামনে জলজল ভাসে । ওই সময়েই ভিয়েনা অনেক পরিচ্ছন্ন ছিলো । ভিয়েনা অনেক আগেই প্রথম হওয়ার কথা ছিলো । যে শহরে আমি অনেক বছর ছিলাম সেই শহরটি বসবাসযোগ্য নগরী হিসেবে বিশ্বে প্রথম স্থান অধিকার করেছে । নিউজটা পড়ে অনেক স্মৃতি মনে হলো অস্টৃয়ান জীবনের । পুরনো একটি পোস্ট সম্পাদনা করে ।
অষ্টৃয়াকে বলা হয় বাফার জোন । অস্টৃয়ার অবস্থান মধ্য ইউরোপে । বাংলাদেশের সামান্য ছোট অষ্টৃয়া দেশটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপূর্ব লীলাভূমি । সাতটি ষ্টেট নিয়ে অষ্টৃয়া ফেডারেল সরকার পরিচালিত একটি দেশ । বর্তমান জনসংখ্যা বিরাশি লাখ । আমি যখন ছিলাম তখন ছিলো ৭৫ লাখ । অষ্টৃয়ার ভাষা জার্মান । মুদ্রার নাম সিলিং । শিল্প সংস্কৃতিতে অষ্টৃয়া বিখ্যাত দেশ ।
বিশ্ব বিখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ মোজার্ট (Mozart) অষ্টৃয়ার নাগরিক । জার্মান ডিক্টেটর অ্যাডলফ হিটলার (Adolf Hitler)এর জন্ম অষ্টৃয়ার ব্রনো (Brno) শহরে । সতেরশো শতাব্দিতে ভিয়েনার শনব্রুন এলাকায় নেপোলিয়ান এর হেডকোয়ার্টার ছিলো । ভিয়েনার অন্যতম আকর্ষণীয় ও দর্শণীয় জায়গা এই শনব্রুন ।
রাজধানী ভিয়েনা ড্যানিয়ুব (Danube) নদীর তীরে অবস্থিত খুব পরিচ্ছন্ন শহর । সামারে কত হাজার বার ড্যানিয়ুর নদীতে গোসল করেছিলাম, বোটিং করেছিলাম তা বললে অনেক কথা । ড্যানিয়ুব নদীকে জার্মান ভাষায় বলে দোনাও (Donau) ।
ডিসেম্বর মাসে তীব্র শীত, তুষারপাত হলেও ইউরোপ আমেরিকা খুব জমাজমাট থাকে । কৃসমাস ডে, নিউ ইয়ার উৎযাপন নিয়ে সারা পশ্চিমা বিশ্ব উৎসবে মেতে উঠে । ড্যানিয়ুব নদীর তীরে প্রতি বছর ডিসেম্বরে কৃসমাস ডে কে সামনে রেখে একটি কনসার্ট হতো । এখন হয় কিনা জানি না । লাইভ কনসার্ট । খোলা জায়গায় ষ্টেজ করে বিখ্যাত শিল্পীরা গান গাইতেন । কোন টিকেটের প্রয়োজন ছিল না । অনেক অস্থায়ী দোকান বসতো নদীর তীরে । আমাদের দেশের মেলার মতো । এই উৎসবের নাম জার্মান ভাষায় দোনাও ফেষ্ট (Donau Fest) । (Danube Fest) .
ডিসেম্বরের তীব্র শীত উপেক্ষা করে কয়েক হাজার মানুষ তাতে অংশ গ্রহন করতো । ১৯৯৩ সালে দোনাও ফেষ্ট-এ গান গাইতে এসেছিলেন এলটন জন, বব মার্লি । তীব্র শীতে খোলা জায়গায় সামনা সামনি তাদের গানের সঙ্গে অনেক দর্শকসহ আমিও নেচেছিলাম । প্রায় সব ইংরেজি গানের সঙ্গেই নাচানাচি করা যায় । নাচানাচি আর কি ! লাফালাফি করা ।
যথেষ্ট গরম পোষাক পড়লে ঠান্ডার মাধ্যেও বেশ ভালোলাগে । নিঃশ্বাসে টাটকা বাতাস ।
কয়েকদিন পর সকাল সাতটায় আমাদের আরেক বন্ধু বাবু ফোন করে জানিয়েছিল যে, অতিরিক্ত ঠান্ডায় ড্যানিয়ুব নদীর অনেকটা পানি বরফ হয়ে গিয়েছিল। অনেকেই সেই বরফ হওয়া পানির উপর দিয়ে হেঁটে হেঁটে নদী পার হচ্ছিল । আমিও বরফ হয়ে যাওয়া পানির উপর দিয়ে হেঁটে ড্যানিয়ুব নদী পার হয়ে ছিলাম । ইউরোপের আরো অনেক বিচিত্র ঘটনা অন্যদিন বলবো ।
নেপোলিয়নের হেড কোয়ার্টার শনব্রুন এর বাগানে শুয়ে আকাশ দেখছিলাম ।
নিউজে পড়লাম জীবন যাপনের মানের দিক দিয়ে বিশ্বের নিকৃষ্ট শহরের তালিকায় ঢাকা । বসবাসযোগ্য শহরের এই তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছে অস্টৃয়ার রাজধানী ভিয়েনা । সবার নিচে আছ
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন