সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

সুজানা

 সুজানা






প্রথম ছবির ছোট্ট বর্ণনা :-
এইতো সেদিন পাঁচ বছর আগে । টুরিস্ট বাসে পুরু সিঙ্গাপুর ঘুরে এসে নামলাম । এই জায়গাটির নাম সানটেক সিটি । সিঙ্গাপুর খুব ছোট দেশ । লম্বায় ২২ মাইল আর প্রস্থে ১৪ মাইল । লোক সংখ্যা মাত্র ৫২ লাখ । যে ঝর্ণাটা দেখা যাচ্ছে তা রাতের বেলায় কেমন হয় তা যারা দেখেননি তাদের লিখে বুঝানো কিছুতেই সম্ভব নয়। ‘কৃশ’ হিন্দি মুভিটি প্রায় সবটাই এখানে শুটিং হয়েছিলো ।
এখানে ছবি তুলবো । কিন্তু আমি একা । দু’টো মেয়ে দেখলাম ঝর্ণার পাশে দাঁড়িয়ে । ওদের দেখেই বুঝেছি ওরা বিদেশি । দুইজন বিদেশি তৃতীয় কোন দেশে খুব সহজেই আপন হয়ে যেতে পারে । ওদেশে দুজনই আগন্তুক । এগিয়ে গিয়ে নিজের পরিচয় দিয়ে সৌজন্য বিনিময় করে জানলাম মেয়ে দু’টো ভেনিজুয়েলার । কারাকাস (ভেনিজুয়েলার রাজধানী) ইউনিভার্সিটিতে ফটোগ্রাফিতে পড়াশোনা করছে । আমার সঙ্গে অল্প কথায় এই মেয়েটি ঘনিষ্ঠ হয়ে গেলো । আমেরিকায় ছিলাম বলে দক্ষিন আমেরিকার দেশগূলো সম্পর্কে আমার ধারণা আছে । ব্রাজিল, বলিভিয়া, আরজেন্টিনা, পেরু, কোস্টারিকা, হন্ডুরাস ,কলামবিয়া , গায়ানা ,উরুগুয়ে, সুরিনাম, ইকুয়েডর ,নিকারাগুয়া, এল সালবাদর, প্যারাগুয়ে ,ইকুয়েডর, বেলিজ, গুয়াতেমালা, চিলি ।
দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে ধনী দেশ ভেনিজুয়েলা । তেল সম্মৃদ্ধ দেশ। রাজধানী কারাকাস । সমাজতান্ত্রিক ভাবধারায় সরকার পরিচালিত হয় । জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট হিউগু শাভেজ ৩ বছর আগে মাত্র ৫৭ বছর বয়সে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে কিউবার রাজধানী হাভানায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গিয়েছেন ।
ভেনিজুয়েলার মেয়েগুলো খুব মিশুক । সুন্দর । আমেরিকা থাকতেই ভেনিজুয়েলারর মেয়েদের আমি চিনতাম,জানতাম । তাদের গায়ের রঙ সাদা ছাই কালারের মতো । ভেনিজুয়েলার ভাষা স্প্যানিস । একমাত্র ব্রাজিল ছাড়া দক্ষিণ আমেরিকার সব দেশের ভাষা স্প্যানিস । ব্রাজিল পর্তুগালের কলোনি ছিলো । তাই ব্রাজিলের ভাষা পর্তুগীজ। বাকি সব দেশ ছিলো স্প্যানের কলোনি । আমরা যেমন ছিলাম বৃটিশের কলোনী ।
আমিও ছবি তুলতে পছন্দ করি খুব । তার সঙ্গে আরেকজন মেয়ে বন্ধু ছিলো । দুজনের মধ্যে এই মেয়েটি বেশি সুন্দর । আমার ইচ্ছা হলো তার সাথে গল্প করবো । তারপর অনেক কথা । ছবি তোলা । ছবিগুলো তুলেছিলো তার বান্ধবী ক্রিস্টিনা । আর এই মেয়েটির নাম সুজানা । তার সাথে আমি সিঙ্গাপুরে তিন দিন সময় কাটিয়েছিলাম । শেষ দিন সে আমাকে কয়েকটা ছবি দিয়েছিল সিঙ্গাপুরের তার নিজ হাতে তোলা । সুজানার একটা ছবি আজ দিলাম । এই ছবিটি আগে একবার পোস্টিং দেয়াতে কয়েকজন মনক্ষুণ্ণ হয়েছেন । এবার দেখি মনক্ষুণ্ণের পরিমান বাড়ে না কমে ?
* দ্বিতীয় ছবি-Liberal Party leader Justin Trudeau shares a moment with his wife Sophie Gregoire as he gives his victory speech after Canada's federal election in Montreal, Quebec, Canada .October 19, 2015. -- Reuters photo (Justin Trudeau এখন কানাডার প্রধানমন্ত্রী । নির্বাচনে বিজয়ের পর হাজার হাজার মানুষের সামনে স্ত্রীর সঙ্গে নাকে নাক লাগিয়ে ছবি তোলায় কতজন মনক্ষুণ্ণ হোন তাও দেখি । October 19, 2015. -- Reuters photo।)

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

ফেবুতে মেয়েদের পোস্ট

ফেবুতে মেয়েদের পোস্ট সকালে ঘুম ভেঙে দেখি আট টা বাজে । শরীরটাও বেশি ভালো লাগছে না । আবার ঘুমাল াম । ১১টায় উঠলাম । ২ মগ চা খেলাম ( বাজারের হিসেবে ৮ কাপ হবে)। সবাই জানেন আমি স্মোক করি । চেইন স্মোকার । কম্পিউটার খোঁচাখুঁচি করে নিজে নিজেই ঠিক করলাম । প্রায় দুই ঘন্টা । আমি থাকি চার তলায় । দুপুর ১টা বাজে । খেতেও ইচ্ছে করছে না কিছু । তখনো মুখ ধুই নি । কম্পিউটারে খোঁচাখোঁচি করতে গিয়ে দেখি এক মেয়ে তার পা’য়ের একটা ছবি আপলোড করেছে । দেখলাম এই পা মানে ঠ্যাং এর ছবিতে লাইক পড়েছে ৯৪৭ টা । কমেন্ট অসংখ্য । ‘কতো সুন্দর এই পা । না জানি তুমি কতো সুন্দর । পা তো নয় যেন একটা গোলাপ ফুল’ । এ জাতীয় অনেক কমেন্ট । আমি পোষ্ট টা দেখে কিছুটা অবাক হলাম । একটা ঠ্যাং এর এতো কদর ! প্রায়ই লক্ষ্য করি, মেয়েরা যখনি কিছু আপলোড করে সেটা তাদের পায়ের ছবিই হোক,হাতের ছবিই হোক আর নাকের ছবিই হোক বা এক চোখের ছবিই হোক সে সব ছবিতে অগনিত লাইক আর কমেন্ট । মেয়ে বন্ধুদের ছোট করার জন্য বলছি না, ফেবুতে প্রায়ই দেখি মেয়েরা কোনো ছবি বা দু এক লাইন হাবিজাবি লিখলে লাইক আর কমেন্টের বন্যা বয়ে যায় । অনেক মেয়েরা শখ করে পিঠা, ...