সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ফেসবুকে লেখা

 আমি ফেসবুকে না লিখলে দেশ ও জাতির কোনো ক্ষতি তো হবেই না বরং অনেকে আনন্দিত হবেন । কেউ কেউ যে আমাকে পছন্দ করেন না তাও জানি । ২০১৪ সালে একবার ফেসবুকে থাকবো না বলে স্ট্যাটাস দিলে কয়েকজন আলহামদুলিল্লাহ্‌ বলে কমেন্ট করেছিলো । আবার অনেকে ভালোওবাসেন তাও জানি । আমার লেখায় নিজেকে হাইলাইট বেশি করা হয় বলে অনেকেই মনে করতে পারেন । অনেকেই ভাবতে পারেন, আমি নিজেকে বেশি জাহির করছি । লেখার পর আমি নিজে কয়েকবার লেখাটা পড়ি । আমার কিছুই করার নেই । আমার জীবনে হয়তো পাগলামি একটু বেশি । আছে এমন অনেক মানুষ । আমরা জানি না । তারা ফেসবুকেও লিখেন না ।
এক সময় বিশিষ্ট সাংবাদিক মি. আবেদ খান এর সঙ্গে আমার সখ্য ছিলো । জাপান থেকে ফিরে আমি ইত্তেফাক অফিসে গিয়েছিলাম তাঁর লেখা নিয়মিত উপসম্পাদকীয় “ নিবেদন-ইতি” যা তিনি ‘অভাজন’ ছদ্মনামে লিখতেন; সেই এক বছরের তাঁর কলামগুলো যোগাড় করতে । সেদিন আবেদ ভাইকে অল্প কিছু কথা বলায় তিনি বলেছিলেন, বাহ, তোমার জীবনতো বেশ বৈচিত্র্যময় । তখনো ইউরোপ- আমেরিকায় যাইনি । তাহলে এখন ওই “বৈচিত্র্যময়” কি হয়েছে ?
ছাত্র জীবনে আমি পছন্দের লেখা সংগ্রহে রাখতাম । পেপার কাটিং এর প্রচুর অভ্যাস ছিলো । সৎভাবে বলছি, আমি জীবনে এতো দেশ ঘুরবো আর এতোসব বিচিত্র নাটক আমার জীবনে ঘটবে এবং এগুলো কোনো এক সময় ফেসবুকে লিখবো তা কখনোই ভাবিনি । ফেসবুক এলোই তো সেদিন । লেখালেখি করবো এই ইচ্ছা ছাত্রজীবন থেকেই ছিলো । আমার অনেক লেখায় পাগলামির পরিচয় থাকে ।
মাঝে মাঝে ভাবি, আমি কি ইচ্ছে করে পাগলামি করি না পাগলামি আমার উপর এসে পড়ে ? আমার বড় আপার বড় মেয়ে পলি । মানে আমার বড় ভাগ্নি । আমার এক বছরের বড় । ভালো নাম আঞ্জুমান আরা । বাসা রেইসকোর্স । ছোটবেলা পলি আমাকে নাম ধরে তুই করে ডাকতো । পলি বড় বলে আমি উলটো পলিকে খালা ডাকতাম । আস্তে আস্তে বড় হতে লাগলাম,পলিও এখন আর তুই তোকারি করে না । তুমি সম্বোধন করে আমাকে । কলেজে উঠার পর পলি পুরুদস্তুর আমাকে মামা বলে ডাকতে লাগলো । আমিও পলিকে নাম ধরে তুমি সম্বোধন করে ডাকতে লাগলাম । এখনো তাই আছে । এটা কেউ আমাদের শিখিয়ে দেন নি । নিজে নিজেই সম্বোধনের কি পরিবর্তন ! তো পলির একমাত্র ছেলে বাপ্পি এখন অস্ট্রেলিয়া । বিয়ে করেছে । ছোট বেলা থেকে সে আজো আমাকে মামা ডাকে । কোনোদিনই বাপ্পি আমাকে ভাইয়া, নানা, দাদা ডাকেনি । শুধু তাই নয় । আমার মাকে বাপ্পি আমৃত্য নানী ডেকেছে ।
একটু আগে ফেবুতে বসে দেখি শাকিল রানা আমার এক লেখায় কমেন্ট করেছে এভাবে...

“Md Sakil Rana আপনার চমৎকার স্মৃতিগুলো আমাদেরকে বলে আনন্দ ও উৎসাহিত করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে আঙ্কেল।”
সে এবার ইন্টারমেডিয়েট সেকেন্ড ইয়ারে পড়ে । শাকিলের বাবা মা আমাকে জানেন । শাকিলের বাবার সঙ্গে আমার সকাল, দুপু্‌র, বিকাল, সন্ধ্যা, রাত দেখা হয় । শাকিলের বাবা আলী আমাকে আঙ্কেল ডাকে এবং শাকিল তা দেখেছে ও শুনেছে । সম্পর্কেও আমি শাকিলের বাবার আঙ্কেল ।
এতো বছর পরও শৈশব কৈশোরের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কেবল আমার জীবনেই কেন ?

 July 26, 2016 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

ফেবুতে মেয়েদের পোস্ট

ফেবুতে মেয়েদের পোস্ট সকালে ঘুম ভেঙে দেখি আট টা বাজে । শরীরটাও বেশি ভালো লাগছে না । আবার ঘুমাল াম । ১১টায় উঠলাম । ২ মগ চা খেলাম ( বাজারের হিসেবে ৮ কাপ হবে)। সবাই জানেন আমি স্মোক করি । চেইন স্মোকার । কম্পিউটার খোঁচাখুঁচি করে নিজে নিজেই ঠিক করলাম । প্রায় দুই ঘন্টা । আমি থাকি চার তলায় । দুপুর ১টা বাজে । খেতেও ইচ্ছে করছে না কিছু । তখনো মুখ ধুই নি । কম্পিউটারে খোঁচাখোঁচি করতে গিয়ে দেখি এক মেয়ে তার পা’য়ের একটা ছবি আপলোড করেছে । দেখলাম এই পা মানে ঠ্যাং এর ছবিতে লাইক পড়েছে ৯৪৭ টা । কমেন্ট অসংখ্য । ‘কতো সুন্দর এই পা । না জানি তুমি কতো সুন্দর । পা তো নয় যেন একটা গোলাপ ফুল’ । এ জাতীয় অনেক কমেন্ট । আমি পোষ্ট টা দেখে কিছুটা অবাক হলাম । একটা ঠ্যাং এর এতো কদর ! প্রায়ই লক্ষ্য করি, মেয়েরা যখনি কিছু আপলোড করে সেটা তাদের পায়ের ছবিই হোক,হাতের ছবিই হোক আর নাকের ছবিই হোক বা এক চোখের ছবিই হোক সে সব ছবিতে অগনিত লাইক আর কমেন্ট । মেয়ে বন্ধুদের ছোট করার জন্য বলছি না, ফেবুতে প্রায়ই দেখি মেয়েরা কোনো ছবি বা দু এক লাইন হাবিজাবি লিখলে লাইক আর কমেন্টের বন্যা বয়ে যায় । অনেক মেয়েরা শখ করে পিঠা, ...