সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পাত্রী চাই

পাত্রী চাই

আমাদের ছাত্রজীবনে হাতে গোনা কয়েকটা দৈনিক পত্রিকা ছিলো। টিভি বলতে বিটিভি।
প্রধান কয়েকটি পত্রিকা ছিলো,
১। ইত্তেফাক
২। দৈনিক বাংলা
৩। সংবাদ
৪। দৈনিক খবর
৫। ইনকিলাব ( তা এরশাদের সময় প্রকাশিত হয়।)
৬। The New Nation
৭। The Bangladesh Times
৮। The Bangladesh Observer
সাপ্তাহিক এর মধ্যে ছিলো,
১। রোববার ( ইত্তেফাক গ্রুপের)
২। বিচিত্রা ( Bangladesh Times ও দৈনিক বাংলা গ্রুপের যা সরকারি ছিলো। এখন বন্ধ)।
৩। যায়যায়দিন
৪। আজকের সূর্যোদয়
৫। চিত্রবাংলা
৬। বিচিন্তা (যায়যায়দিন এরশাদ ১৯৯৫ সালে নিষিদ্ধ করলে মিনার মাহমুদ বের করেন।)
৭। দেশবন্ধু ( সম্পাদক ছিলেন বর্তমান ৭১ টিভির মালিক মোজাম্মেল বাবু)
৮। Dhaka Courier ( সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ খান যিনি UNB- United News of Bangladesh সংবাদ সংস্থারও মালিক ছিলেন। এনায়েত উল্লাহ খান এরশাদের পালিত কন্যা জেবিনের হাসব্যান্ড।)
আর ছিলো কিছু দলীয় পত্রিকা। যেমন : বাংলার বাণী ( আওয়ামী লীগ) ভ্যানগার্ড ( জাসদ/বাসদ), সংগ্রাম ( জামায়েত ইসলামীর,ন্যাপ এর পত্রিকার নামটি ভুলে গেছি।
সিনে পত্রিকার মধ্যে ছিলো "পুর্বানী" আর "চিত্রালী"। দুটোই ছিলো সাপ্তাহিক।
দৈনিক সব পত্রিকায়ই ক্লাসিফায়েড বিভাগে 'পাত্র চাই' 'পাত্রী চাই' বিজ্ঞাপন থাকতো।
"পাত্র চাই" বিজ্ঞাপনে সব সময় ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার চায় বলে পাত্রীর বাবা মা উল্লেখ করতেন ।
যুবক জীবনে অনেক "পাত্র চাই" বিজ্ঞাপন পড়েছিলাম। কোথাও দেখিনি-

"শিক্ষিত, সৎ, মার্জিত রুচির চরিত্রবান পাত্র চাই" কেউ লিখেছেন !!!
আমরা কলেজে পড়ুয়া ছাত্ররা রাগ করে বলতাম, আমরা সবাই ব্যাচেলর থাকবো। ডাক্তার আর ইঞ্জিয়ায়াররাই দেশের সব মেয়ে বিয়ে করুক।
আমেরিকায়ও দেখেছি,
ওপি ওয়ান আর ডিবি লটারি পাওয়া অনেক অশিক্ষিত পরিবারের মেয়ের জন্য ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার পাত্র চেয়ে "ঠিকানা" " প্রবাসী " পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়া হতো। সে সব মেয়েদের একমাত্র যোগ্যতা ছিলো তাদের আমেরিকার গৃন কার্ড আছে!!!

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

ফেবুতে মেয়েদের পোস্ট

ফেবুতে মেয়েদের পোস্ট সকালে ঘুম ভেঙে দেখি আট টা বাজে । শরীরটাও বেশি ভালো লাগছে না । আবার ঘুমাল াম । ১১টায় উঠলাম । ২ মগ চা খেলাম ( বাজারের হিসেবে ৮ কাপ হবে)। সবাই জানেন আমি স্মোক করি । চেইন স্মোকার । কম্পিউটার খোঁচাখুঁচি করে নিজে নিজেই ঠিক করলাম । প্রায় দুই ঘন্টা । আমি থাকি চার তলায় । দুপুর ১টা বাজে । খেতেও ইচ্ছে করছে না কিছু । তখনো মুখ ধুই নি । কম্পিউটারে খোঁচাখোঁচি করতে গিয়ে দেখি এক মেয়ে তার পা’য়ের একটা ছবি আপলোড করেছে । দেখলাম এই পা মানে ঠ্যাং এর ছবিতে লাইক পড়েছে ৯৪৭ টা । কমেন্ট অসংখ্য । ‘কতো সুন্দর এই পা । না জানি তুমি কতো সুন্দর । পা তো নয় যেন একটা গোলাপ ফুল’ । এ জাতীয় অনেক কমেন্ট । আমি পোষ্ট টা দেখে কিছুটা অবাক হলাম । একটা ঠ্যাং এর এতো কদর ! প্রায়ই লক্ষ্য করি, মেয়েরা যখনি কিছু আপলোড করে সেটা তাদের পায়ের ছবিই হোক,হাতের ছবিই হোক আর নাকের ছবিই হোক বা এক চোখের ছবিই হোক সে সব ছবিতে অগনিত লাইক আর কমেন্ট । মেয়ে বন্ধুদের ছোট করার জন্য বলছি না, ফেবুতে প্রায়ই দেখি মেয়েরা কোনো ছবি বা দু এক লাইন হাবিজাবি লিখলে লাইক আর কমেন্টের বন্যা বয়ে যায় । অনেক মেয়েরা শখ করে পিঠা, ...