সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পরামর্শ

পরামর্শ

কাল ২৬ মার্চে আমার একটা স্মৃতি আছে । যা ফেবু আমাকে মনে করিয়ে দেয় । এক বছর আগের ওই স্মৃতির পোষ্টটার সঙ্গে ফেবুতে বন্ধুত্বের একটা ঝামেলার কথা লিখেছিলাম । বাস্তব অভিজ্ঞতা । কাল পোষ্ট দেবো বলে একজন বিশ্বস্ত বন্ধুকে লেখাটি ইনবক্সে পাঠাই । এবং তার মতামত চাই । অনেক বড় লেখা । অনেক স্মৃতি । অবাক করার মতো তথ্য । তিনি অন্য জেলার হয়েও আমাকে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন । ইনবক্সে আমরা দুই বন্ধুর কথা...........( একটু সম্পাদনা করে ।)
তিনিঃ ভাই, যেসব লোকের কাছ থেকে পুলিশ অফিসারেরা বিভিন্নভাবে টাকা পায়, তারা সুবিধেজনক লোক নয় । ন্যায়ের পক্ষে থাকা লোক আজকাল খুবই কম (এতই কম যে, প্রায় নাই বললেই চলে) বলে এধরণের লোকেরই জয়জয়কার এদেশের সর্বত্র । তাছাড়া আপনার কাছে ……. অপরাধের কোন প্রমাণ নেই । তাই এফবিতে এই কথাগুলো লিখলে আপনার বিরুদ্ধে …….. মানহানির মামলাসহ অনেক কিছুই করতে পারে ৫৭ ধারার সুযোগ নিয়ে। সেজন্যে আমার পরামর্শ হল: দয়া করে দুজনকে মন থেকে মুছে ফেলুন চিরতরে। আমার পরামর্শে আস্থা রাখতে না পারলে রহমত ভাই এবং আরও যারা আপনার শুভাকাঙ্খী আছেন, তাঁদের সাথে পরামর্শ করুন। তাই আমার ধারণা, আবেগের রাশ টেনে ধরাটাই উচিত হবে আপনার।
*আজকাল বাংলাদেশে পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, সাধারণ কোন পুরুষকে মেরে ফেললেও আইন-আদালত নড়চড়ে বসে না, কিন্তু নারীদের ব্যাপারে সামান্য কিছু হলেও পুরো দেশটাই লাফ দিয়ে ওঠে। এখানে মেয়েটির প্রসঙ্গ থাকাতেও দেখবেন সমস্য হতে পারে । তাই আমি আপনাকে পরামর্শ দেব ওদের দুজনকে মন থেকে এবং সে সাথে এফবি থেকেও মুছে ফেলতে।
আমার ফ্রেন্ড লিস্টে আছে সজিব ইসলাম। তার টাকা মেরে দিয়েছে এক এএসপি। সে পুলিশ অফিসার একজনের চোখ নষ্ট করে দিয়েছে। হাই কোর্ট তাকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু সে অফিসার কেবল চাকুরিতে টিকে আছে, এমন নয়। সম্প্রতি অ্যাডিশনাল এসপি পদে প্রমোশন হয়েছে তার।
নিজেকে ডাইভার্ট করুন। অন্য কোনদিকে মনোনিবেশ করলে এ বিষয়টা আস্তে আস্তে দূরে সরতে সরতে একসময় পুরোপুরি নাই হয়ে যাবে।
আমিঃ আমি কেন বিষয়টা মাথা থেকে নামাতে পারছি না।
তিনিঃ সরকারের ঘনিষ্ঠ যারা, পুলিশ অফিসারদের ঘনিষ্ঠ যারা, এদেশে সাধারণতঃ তাদের বিচার হয় না।
আমিঃ আমার তো একজীবন। কোনো পিছুটান নেই। আমি কেন যেন ব্যাপারটা মেনে নিতে পারছি না। এখানে কি আমার কোন সমস্যা আছে বলে আপনি মনে করেন?
তিনিঃ আরও একটা সমাধান আছে। সেটা আমার মতে সর্বোত্তম। সেবিষয়ে আরেকদিন (হয়ত আগামীকালই) কথা হবে Messenger-এ।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

ফেবুতে মেয়েদের পোস্ট

ফেবুতে মেয়েদের পোস্ট সকালে ঘুম ভেঙে দেখি আট টা বাজে । শরীরটাও বেশি ভালো লাগছে না । আবার ঘুমাল াম । ১১টায় উঠলাম । ২ মগ চা খেলাম ( বাজারের হিসেবে ৮ কাপ হবে)। সবাই জানেন আমি স্মোক করি । চেইন স্মোকার । কম্পিউটার খোঁচাখুঁচি করে নিজে নিজেই ঠিক করলাম । প্রায় দুই ঘন্টা । আমি থাকি চার তলায় । দুপুর ১টা বাজে । খেতেও ইচ্ছে করছে না কিছু । তখনো মুখ ধুই নি । কম্পিউটারে খোঁচাখোঁচি করতে গিয়ে দেখি এক মেয়ে তার পা’য়ের একটা ছবি আপলোড করেছে । দেখলাম এই পা মানে ঠ্যাং এর ছবিতে লাইক পড়েছে ৯৪৭ টা । কমেন্ট অসংখ্য । ‘কতো সুন্দর এই পা । না জানি তুমি কতো সুন্দর । পা তো নয় যেন একটা গোলাপ ফুল’ । এ জাতীয় অনেক কমেন্ট । আমি পোষ্ট টা দেখে কিছুটা অবাক হলাম । একটা ঠ্যাং এর এতো কদর ! প্রায়ই লক্ষ্য করি, মেয়েরা যখনি কিছু আপলোড করে সেটা তাদের পায়ের ছবিই হোক,হাতের ছবিই হোক আর নাকের ছবিই হোক বা এক চোখের ছবিই হোক সে সব ছবিতে অগনিত লাইক আর কমেন্ট । মেয়ে বন্ধুদের ছোট করার জন্য বলছি না, ফেবুতে প্রায়ই দেখি মেয়েরা কোনো ছবি বা দু এক লাইন হাবিজাবি লিখলে লাইক আর কমেন্টের বন্যা বয়ে যায় । অনেক মেয়েরা শখ করে পিঠা, ...