সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

জনি ওয়াকার-ব্ল্যাক লেবেল

  জনি ওয়াকার-ব্ল্যাক লেবেল







সব বিষয়ে কথা বলতে চাই না । বলা উচিতও নয় । কিন্তু আমার সামনে এমন সাবজেক্ট এসে যায়, না বলেও পারি না । বলতে আবার ভয়ও হয় । কারণ কথা বলতে তো মুখে দিয়ে কতো কথাই এসে পড়তে পারে । ভালো কথা, মন্দ কথা, খারাপ কথা, আকথা,কুকথা, অনেক রকমের কথা আছে । কথার কোন শেষ নেই । যে কথা বলে শেষ করা যাবে না । তবু একটু বলি ।
এটা আমার পড়ার টেবিল । বাসায় থাকলে এখানেই বেশি সময় কাটে । আমার কাছে কিছু লোক আসেন মাঝে মাঝে । ওরা আমাকে তীব্রভাবে অপছন্দ করে। কিন্তু আমার কাছে এসে গল্প করে । আমি খুব বেশি সময় দিই না তাদের । শুনেছি,আমার কাছে তাদের আসার একমাত্র কারণ আমার সঙ্গে গল্প করে তারা কিছু শিখতে চায় । একদিন একজন সরাসরি আমাকে বলেছে , বেশি লেখাপড়া করিনি ঠিক কিন্তু এতো বেআক্কেল আমি না যে, কাজ ফেলে আপনার সঙ্গে আড্ডা দেবো । আপনার সঙ্গে কথা বললে অনেক কিছু জানতে পারি ।
তো আমার টেবিলে জনি ওয়াকার-ব্ল্যাক লেবেল( Johnnie Walker-Black Label ) এর ১ লিটারের একটা হুইস্কির বোতল আছে । আমি এখন ডৃং করিনা । তবে ব্ল্যাক লেবেলের প্রতি আমার বেশ দুর্বলতা আছে ।
তাই ওই বোতলটাতে পানি রেখে খাই । অন্য বোতল দিয়ে পানি খেলে বেশি পানি পড়ে মুখে । কিন্তু ব্ল্যাক লেবেলের বোতল থেকে পানি আস্তে আস্তে পড়ে । খেতে বেশ আরামদায়ক ।
নিউ ইয়র্কে নিয়ন সাইনে ব্ল্যাক লেবেলের বিজ্ঞাপন দেখছিলাম এমন...
" You are Republican or Democrat.... No Matter.
Your Drinks is Waiting here.
Johnnie Walker-Black Label.( সঙ্গে বোতলটাও দেয়া আছে)।
তো আমার টেবিলে এই বোতল দেখে একজন বললো, এই বোতলে পানি না খেলে চলে না ? আমি বললাম না,চলে না । আমি পানি ফুটিয়ে খাই । আর এই বোতল থেকে খাওয়ার সময় পানি পরে শার্ট ভেজার সম্ভবনা নেই । তিনি বললেন,নাউজুবিল্লাহ !
বোতলটা দেখতে খুবই সুন্দর । একটা সুন্দর বোতলে পানি খেলাম এতে দোষের কি আছে ? 'প্রাণ' 'ফ্রেশ' 'মাম' পানির বোতলের চেয়ে এটা লক্ষকোটি গুণ ভালো এবং উন্নত এবং হাইজিনিক । তিনি মুখ কালো করে চলে গেলেন । সবার জন্য টেবিলের কয়েকটা ছবিটা দিলাম । ২০ মিনিট আগে তুলেছি ।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

ফেবুতে মেয়েদের পোস্ট

ফেবুতে মেয়েদের পোস্ট সকালে ঘুম ভেঙে দেখি আট টা বাজে । শরীরটাও বেশি ভালো লাগছে না । আবার ঘুমাল াম । ১১টায় উঠলাম । ২ মগ চা খেলাম ( বাজারের হিসেবে ৮ কাপ হবে)। সবাই জানেন আমি স্মোক করি । চেইন স্মোকার । কম্পিউটার খোঁচাখুঁচি করে নিজে নিজেই ঠিক করলাম । প্রায় দুই ঘন্টা । আমি থাকি চার তলায় । দুপুর ১টা বাজে । খেতেও ইচ্ছে করছে না কিছু । তখনো মুখ ধুই নি । কম্পিউটারে খোঁচাখোঁচি করতে গিয়ে দেখি এক মেয়ে তার পা’য়ের একটা ছবি আপলোড করেছে । দেখলাম এই পা মানে ঠ্যাং এর ছবিতে লাইক পড়েছে ৯৪৭ টা । কমেন্ট অসংখ্য । ‘কতো সুন্দর এই পা । না জানি তুমি কতো সুন্দর । পা তো নয় যেন একটা গোলাপ ফুল’ । এ জাতীয় অনেক কমেন্ট । আমি পোষ্ট টা দেখে কিছুটা অবাক হলাম । একটা ঠ্যাং এর এতো কদর ! প্রায়ই লক্ষ্য করি, মেয়েরা যখনি কিছু আপলোড করে সেটা তাদের পায়ের ছবিই হোক,হাতের ছবিই হোক আর নাকের ছবিই হোক বা এক চোখের ছবিই হোক সে সব ছবিতে অগনিত লাইক আর কমেন্ট । মেয়ে বন্ধুদের ছোট করার জন্য বলছি না, ফেবুতে প্রায়ই দেখি মেয়েরা কোনো ছবি বা দু এক লাইন হাবিজাবি লিখলে লাইক আর কমেন্টের বন্যা বয়ে যায় । অনেক মেয়েরা শখ করে পিঠা, ...