সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

একাধিক মোবাইল নাম্বার বা সিম কার্ড

একাধিক মোবাইল নাম্বার বা সিম কার্ড
এই লেখা একান্তই আমার ব্যক্তিগত চিন্তা ও অভিজ্ঞতা ।
একজন মানুষের একটিই ফোন নাম্বার থাকবে । এবং এটাই স্বাভাবিক । সে জন্যই আই ফোন এবং এলজি ফোনে একটা সিম কার্ডই ইউজ করা যায় । একাধিক নয় । একজন মানুষ কেন একাধিক নাম্বার ব্যবহার করবেন ?
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একজন মানুষ বড় জোর দুইটি নাম্বার ইউজ করতে পারেন । বেশিরভাগ ফোনে দুই সিম কার্ড ইউজ করার অপশন আছে বলে । এবং এই দুই নাম্বারের যে কোনটিতেই ফোন করলে ওই ব্যক্তিকে পাওয়া যাবে যখন তখন ।
আমার অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, যারা দুইয়ের অধিক নাম্বার ব্যবহার করেন তারা তুলনামূলক অসৎ হয় । একেকজনকে একেক নাম্বার দেয় । ওইসব নাম্বারে ফোন করলে তা বন্ধ পাওয়া যায় । যারা বিভিন্ন জায়গায় আর্থিক লেনদেনে ঝামেলা করেন তারাই দুইয়ের অধিক নাম্বার ব্যবহার করেন । অথবা অন্য কোনো অসৎ উদ্দেশ্য যাদের থাকে ।
মেয়েদের ক্ষেত্রেও একই অভিজ্ঞতা আমার আছে । মেয়েরা ছেলেদের সঙ্গে যে নাম্বারে কথা বলেন তারা কোনো কারনে সম্পর্ক রাখতে না চাইলে সেই নাম্বারটা বন্ধ করে দেন ।
অবশ্য দায়িত্বশীল, সৎ, ভালো মেয়েরা তা করেন না ।
এটা ঠিক যে, আপনি চাইলে একাধিক সিম কার্ড কিনে রাখতে পারেন । যেহেতু এদেশে ইন্টারনেটের কোনো মা, বাপ নেই তাই একেক সময় একেক নাম্বারে সস্তা অফার থাকে । সে জন্য ওই সিম কার্ড শুধু ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে ইউজ করা যায় । কিন্তু নাম্বার দুইয়ের অধিক কিছুতেই একজন ব্যক্তির থাকতে পারে না । থাকা উচিৎ নয় ।
অনেকেই বলবেন, এটা যার যার ইচ্ছা । সব ইচ্ছা কি ঠিক ?
আমি প্রথম দুই সিম কার্ডের প্রয়োজন অনুভব করি যখন ২০১১ সালের শেষ দিকে আমার নোকিয়া E52 সেটটি ছিনতাই হয় । তাও যেমন তেমন জায়গায় নয় । ঢাকা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধান গেইটের সামনে । মনে আছে সেদিন ভারতীয় প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জি ঢাকা সফরে এসেছিলেন । কাল সময় পেলে এই ছিনতাই নিয়ে লিখবো ।
স্বাভাবিকভাবেই মোবাইল সেট ছিনতাই হওয়ায় সব নাম্বারও ছিনতাই হয় । প্রত্যেকের কাছেই অনেক গুরুত্বপূর্ন নাম্বার থাকে । তখন আমি ভাবি, আগে তো আমরা ফোন নাম্বার টেলিফোন ইনডেক্সে এলফাবেটিক্যালি লিখে রাখতাম । যেহেতু ১০০ টাকায় সিম কার্ড পাওয়া যায় তাই একটা সিম কার্ড কিনে নাম্বারগুলো ওই সিমে কপি করে বাসায় রেখে দিলেই হয় । মোবাইল ফোন হারিয়ে গেলে বা ছিনতাই হলে নাম্বার সব পাওয়া যাবে । একটা ভালো টেলিফোন ইনডেক্সের দামও তো দুই তিন শ’ টাকা ।
আমি অনেক পুরুষ এবং নারীকে পেয়েছি যারা দুইয়ের অধিক নাম্বার ইউজ করেন । এবং তাদের বেশিরভাগই প্রতারক শ্রেণির ।ব্যতিক্রম থাকতে পারে । তবে ব্যতিক্রম উদাহরন নয় ।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

ফেবুতে মেয়েদের পোস্ট

ফেবুতে মেয়েদের পোস্ট সকালে ঘুম ভেঙে দেখি আট টা বাজে । শরীরটাও বেশি ভালো লাগছে না । আবার ঘুমাল াম । ১১টায় উঠলাম । ২ মগ চা খেলাম ( বাজারের হিসেবে ৮ কাপ হবে)। সবাই জানেন আমি স্মোক করি । চেইন স্মোকার । কম্পিউটার খোঁচাখুঁচি করে নিজে নিজেই ঠিক করলাম । প্রায় দুই ঘন্টা । আমি থাকি চার তলায় । দুপুর ১টা বাজে । খেতেও ইচ্ছে করছে না কিছু । তখনো মুখ ধুই নি । কম্পিউটারে খোঁচাখোঁচি করতে গিয়ে দেখি এক মেয়ে তার পা’য়ের একটা ছবি আপলোড করেছে । দেখলাম এই পা মানে ঠ্যাং এর ছবিতে লাইক পড়েছে ৯৪৭ টা । কমেন্ট অসংখ্য । ‘কতো সুন্দর এই পা । না জানি তুমি কতো সুন্দর । পা তো নয় যেন একটা গোলাপ ফুল’ । এ জাতীয় অনেক কমেন্ট । আমি পোষ্ট টা দেখে কিছুটা অবাক হলাম । একটা ঠ্যাং এর এতো কদর ! প্রায়ই লক্ষ্য করি, মেয়েরা যখনি কিছু আপলোড করে সেটা তাদের পায়ের ছবিই হোক,হাতের ছবিই হোক আর নাকের ছবিই হোক বা এক চোখের ছবিই হোক সে সব ছবিতে অগনিত লাইক আর কমেন্ট । মেয়ে বন্ধুদের ছোট করার জন্য বলছি না, ফেবুতে প্রায়ই দেখি মেয়েরা কোনো ছবি বা দু এক লাইন হাবিজাবি লিখলে লাইক আর কমেন্টের বন্যা বয়ে যায় । অনেক মেয়েরা শখ করে পিঠা, ...