সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

কী ওয়েস্ট দ্বীপ

 কী ওয়েস্ট দ্বীপ
ফ্লোরিডার একেবারে দক্ষিণে আরো স্পষ্ট করে বললে শেষ মাথায়, এমনও বলা যায় আমেরিকার একেবারে শেষ সীমানায় মাইল দূরে । মাত্র তের বর্গ কিলোমিটারের এই দ্বীপটি ছয় কি. মি. লম্বা আর দেড় কি. মি. প্রস্থ । আমাদের সিটি থেকে কী ওয়েস্ট দ্বীপ ৫২২ কি. মি । Key West is an island in the Straits of Florida on the North American continent, at the southernmost tip of the Florida Keys. The island is about 90 miles from Cuba.
একবার দিদার, বাবু, আমি, খায়রুল, লিটু ভাই ও বহ্নি ভাবী এবং তাদের একমাত্র কন্যা অরিন, সবাই মিলে কী ওয়েস্ট দ্বীপে বেড়াতে গিয়েছিলাম । আমরা থাকতাম ফোর্ট মায়ার্সে । ওখান থেকে কী ওয়েস্ট ৫২২ কি. মি । আমাদের সবার গাড়ি থাকলেও সেগুলো না নিয়ে একটা বড় ৮ সীটার মাইক্রো ভাড়া নিয়ে গিয়েছিলাম । হই হুল্লুর করে এক গাড়িতে যাওয়ার আনন্দই আলাদা । সকালে যাত্রা করে হাইওয়ে I-75 South ধরে আমরা প্রথম যাবো মায়ামি । ওখানে খায়রুলের বড় ভাইয়ের বাসায় খাওয়া দাওয়া হই হুল্লুর করে এরপর কী ওয়েস্টে যাত্রা । খায়রুলের ভাই জামান ও ভাবী দারুণ মানুষ । উনারা থাকতেন ২২ তলায় । ওই ফ্ল্যাট থেকে কি চমৎকার সাগর দেখা যেতো ।
রাস্তার যেখানেই সুন্দর জায়গা দেখতাম, আমরা গাড়ি পার্ক করে নেমে পড়তাম । কতো যে কি করেছিলাম ! এখন মনে হয় আনন্দের আর সীমা নেই । সীমা ছাড়িয়েই আনন্দ করেছিলাম জীবনে ।
কী ওয়েস্ট যাওয়ার প্রস্তাব করেছিলো দিদার । আমি সঙ্গে সঙ্গেই রাজী হয়েছিলাম । আমেরিকার বিখ্যাত নোবেল লরিয়েট আর্নেস্ট হেমিংওয়ের বাড়ি কী ওয়েস্টে । আমি একটু লেখালেখি করি তাই এতো বড় বিখ্যাত লেখকের বাসা কাম মিউজিয়াম দেখার সুযোগ পেয়েও না দেখার মতো আহাম্মক আমি না । হেমিংওয়ের মাত্র পাঁচটা উপন্যাস আমি পড়েছিলাম ।
১। The Old man and the Sea.
2. The Sun also Rises.
3. A Moveable Feast.
4. To Have and Have Not.
5. Death in the Afternoon.
আরনেস্ট হেমিংওয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন । সুইসাইড নোটে তিনি লিখেছিলেন, এ জীবন তাঁর আর ভালো লাগে না । সবাইকে এক সময় সসীম থেকে অসীমে যেতে হবে । অসীমে কি আছে তা তিনি দেখতে চান আগেই । তাই তিনি সসীম থেকে অসীমে যাত্রা করলেন । He was born on July 21, 1899 . He was renowned for novels like The Sun Also Rises, A Farewell to Arms, For Whom the Bell Tolls, and The Old Man and the Sea, which won the 1953 Pulitzer. In 1954, Hemingway won the Nobel Prize. He committed suicide on July 2, 1961, in Ketchum, Idaho.
হেমিংওয়ের বাড়িতে তার প্রিয় বিড়ালগুলো এখনো আছে । আমি প্রশ্ন করেছিলাম, বিড়াল কি এতো বছর বাঁচে । আমাকে বলা হয়েছিলো, হেমিংওয়ে যে বিড়ালগুলো পালতো এগুলো তাদের বংশধর ।
কী ওয়েস্টে গিয়ে আমার ভীষণ ভালো লেগেছিলো । দুঃখের বিষয় হেমিংওয়ের বাড়ির সামনে ও ভেতরে তোলা ছবিগুলো হারিয়ে গেছে । কিছু ছবি আছে । সেগুলোই দিলাম ।
সেদিন রাতে আমি, দিদার আর খায়রুল ডৃংক করেছিলাম । রাতের খাবার নিয়ে আমি রেগে গিয়ে দিদারকে যাচ্ছে তাই বলেছিলাম । খায়রুল আমার পায়ে জড়িয়ে ধরে সে কি অনুরোধ ! আমি এই রাত ১১ টায় ফোর্ট মায়ার্স ফিরে আসবো । দিদারকে নোয়াখাইল্লা টোয়াখাইল্লা বলে শেষ । এক পর্যায়ে খায়রুল আমাকে বললো , মন্টু ভাই, লেবু খান । আমার মেজাজ আরো খারাপ হলো । এবার ধরলাম খায়রুল কে । হ্যাঁ, তোমরা সিলেটিরা এমনই । লিটু ভাই, ভাবী, অরিন ঘুমায় । তিনি বিবাহিত । আর বাবু দিদারের আপন ছোট খালাতো ভাই । দু’জনের বাড়িই নোয়াখালি । তাই ডৃংক করার সময় আমরা বাবুকে রাখিনি । লিটু ভাইয়ের বাড়ি ময়মনসিংহ ।
আছে আরো অনেক স্মৃতি । আমাদের ছবি ছাড়া বাকি ছবিগুলো হেমিংওয়ের বাড়ির ।
The Ernest Hemingway House, officially known as the Ernest Hemingway Home & Museum, was the residence of author Ernest Hemingway in Key West, Florida, United States.
Address: 907 Whitehead St, Key West, FL 33040, United States
Opened: 1851
Hours:
Open today • 9AM–5PM
Architectural style: Spanish Colonial architecture
Phone: +1 305-294-1136







কী ওয়েস্ট দ্বীপ । আমেরিকার এই দ্বীপটি কিউবা থেকে মাত্র নব্বই

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

ফেবুতে মেয়েদের পোস্ট

ফেবুতে মেয়েদের পোস্ট সকালে ঘুম ভেঙে দেখি আট টা বাজে । শরীরটাও বেশি ভালো লাগছে না । আবার ঘুমাল াম । ১১টায় উঠলাম । ২ মগ চা খেলাম ( বাজারের হিসেবে ৮ কাপ হবে)। সবাই জানেন আমি স্মোক করি । চেইন স্মোকার । কম্পিউটার খোঁচাখুঁচি করে নিজে নিজেই ঠিক করলাম । প্রায় দুই ঘন্টা । আমি থাকি চার তলায় । দুপুর ১টা বাজে । খেতেও ইচ্ছে করছে না কিছু । তখনো মুখ ধুই নি । কম্পিউটারে খোঁচাখোঁচি করতে গিয়ে দেখি এক মেয়ে তার পা’য়ের একটা ছবি আপলোড করেছে । দেখলাম এই পা মানে ঠ্যাং এর ছবিতে লাইক পড়েছে ৯৪৭ টা । কমেন্ট অসংখ্য । ‘কতো সুন্দর এই পা । না জানি তুমি কতো সুন্দর । পা তো নয় যেন একটা গোলাপ ফুল’ । এ জাতীয় অনেক কমেন্ট । আমি পোষ্ট টা দেখে কিছুটা অবাক হলাম । একটা ঠ্যাং এর এতো কদর ! প্রায়ই লক্ষ্য করি, মেয়েরা যখনি কিছু আপলোড করে সেটা তাদের পায়ের ছবিই হোক,হাতের ছবিই হোক আর নাকের ছবিই হোক বা এক চোখের ছবিই হোক সে সব ছবিতে অগনিত লাইক আর কমেন্ট । মেয়ে বন্ধুদের ছোট করার জন্য বলছি না, ফেবুতে প্রায়ই দেখি মেয়েরা কোনো ছবি বা দু এক লাইন হাবিজাবি লিখলে লাইক আর কমেন্টের বন্যা বয়ে যায় । অনেক মেয়েরা শখ করে পিঠা, ...