ফেসবুকে মেয়েদের ছবি
আগে অনেককে অনেক বিষয়ে উপদেশ দিতাম। নিজের অভিজ্ঞতায় যা দেখেছি,বুঝেছি সে সব বিষয়ে কিছু বলতাম অবশ্য কেউ জানতে চাইলে। কিন্তু অনেক আগেই এসব মাগনা উপদেশ দেয়া বাদ দিয়েছি। মানুষ সব সময়ই তার পছন্দ মতো কথা শোনতে চায়। তার পছন্দ না হলে সেই কথা যতোই সত্য হোক তা তার কাছে ভালো লাগে না। ফেসবুকে এবং বাস্তব জীবনে আমার অনেক মেয়ে বন্ধু ছিলো এবং আছে। কেউ কেউ অযাচিত ভুল বুঝে দূরে সরে গেছে। ঢাকা শহর পৃথিবীতে দ্বিতীয় শহর যেখানে বেশি মানুষ
ফেসবুক ইউজ করে। বাংলাদেশে ফেসবুক একাউন্ট ১৫/২০ কোটি কমপক্ষে। কেউ কেউ বলেন আরো বেশি। অনেকের একাধিক ফেসবুক একাউন্ট আছে বলে শোনেছি।
তো অনেকদিন আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মেয়েদের ফেসবুক ব্যবহার করার কিছু দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সে কথা থাক। আমি আমার কিছু মেয়ে বন্ধুকে নিজের একা ও আকর্ষণীয় ছবি ফেসবুকে দিতে নিষেধ করেছিলাম। অনেক মেয়ে আছেন যারা বিভিন্ন পোজে নিজের ছবি ফেসবুকে আপলোড করেন প্রায়ই। আমার এক বিবাহিতা মেয়ে বন্ধু প্রায়ই নিজের একা ছবি ফেবুতে দেন। এই নিয়ে তাকে আমি কিছু উপদেশ দিয়েছিলাম। তিনি আমাকে জানিয়েছিলেন,আমাদের তো কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। অর্থাৎ তার স্বামীর এতে কোনো আপত্তি নেই। আমি বুঝিয়ে বলেছিলাম,তোমার দু'সন্তান আছে। তুমি নিজের একটা একা ছবি প্রোফাইল পিকচার হিসেবে দিতে পারো নিজের একাউন্টের গ্রহনযোগ্যতা নিশ্চিত করতে। যেহেতু এদেশে ফেইক একাউন্ট বেশি। আর কভার ফটো দিতে পারো স্বামী সন্তানসহ।
কোনো বিশেষ প্রোগ্রাম বা পারিবারিক অনুস্টানের গ্রুপ ছবি দিতে পারো। কিন্তু কয়েক দিন পর পর নিজের একা ছবি যে দাও তাতে এক সময় ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারো। একদিন দেখলাম,তার এক পুরুষ বন্ধু তার ছবি দিয়ে একটা পোষ্ট দিয়েছে। আমি সেটা তার এবং তার স্বামীর নজরে এনেছিলাম ফেবুতে লিখেই। কিন্তু এতে তাদের কিছুই যায় আসেনি! অবশ্য কোনো স্বামী যদি চান তার স্ত্রীকে নিয়ে অনেকে নাচানাচি করুক তাতে আমার কি? এটাতো আমরা জানি,অনেক স্বামী তার স্ত্রীর গ্ল্যামার ও সৌন্দর্য কাজে লাগিয়ে ব্যবসায়িক স্বার্থ হাসিল করে নেন। ঢাকা শহরে কথিত অভিজাতরাই এই আকাম বেশি করেন। তো ওই বিবাহিতা মেয়ে বন্ধু একদিন আমাকে বলেছিলেন, তার ছবি দেখে নাকি কোন একজন তাকে নাটকে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আরো একজন নাকি তার হাতে বানানো চা খেতে চেয়েছিলেন! ছবি দেখেই এই অবস্থা!
অনেক মেয়ের ছবি দেখে অনেক পুরুষের যৌনাকাংখ্যা জাগা মোটেও অস্বাভাবিক কিছু নয়। আপনার নিরাপত্তা আপনাকেই দিতে হবে আগে। ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকেও বিষয়টি আপত্তিজনক।
যাই হোক, বেশ কিছুদিন আগে আমার এক বন্ধু মধুসূদন মিহির চক্রবর্তী জানালেন যে, উনার পরিচিত এক বিবাহিতা ভদ্রমহিলা ফেবুতে তার নিজের একা ছবি বেশি দিতেন। হঠাৎ একদিন ওই মহিলা দেখলেন যে,তার ছবি দিয়ে অন্য একজন একাউন্ট খোলে নানান আপত্তিজনক কথা লিখেছেন।
তিনি একজন বিবাহিতা মহিলা কিন্তু স্বামী তাকে তৃপ্ত করতে পারেন না। তিনি ভীষণ অসুখী। এমন কোনো বন্ধু কি আছেন যে তাকে খুশি করতে পারেন ইত্যাদি। ফেসবুকে এসব দেখে মহিলার স্বামী তাকে ডিভোর্স দিয়েছিলেন। আমি আমার ওই বন্ধুটিকে অনেক বুঝিয়েছিলাম এই বলে যে,এসব ছবি অনেকেই মিসইউজ করতে পারে। তোমার সব ছবি একত্র করে ভিডিও ক্লিপ বানাতে পারে। তার সঙ্গে মেয়ের কন্ঠে কিছু কথা জুড়ে দিয়ে ইউটিউবে ছেড়ে দিতে পারে। ইউটিউবে চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার যতো বাড়বে ওই চ্যানেলের ইনকামও ততো বেশি হবে। কিন্তু আমার ওই বন্ধুটি আমার এসব কথা থোড়াই কেয়ার করতেন।
আমি পরে ভাবলাম,নিজের খেয়ে বনের মেষ তাড়ানো আমার কাজ নয়।
অল্প কয়েকদিন আগেও আমি এই নিয়ে লিখেছিলাম। আমি প্রায় সব কিছুই ফেসবুকে শেয়ার করি। আমাদের সেপারেশনের পর জেমিমার কান্নার একটা ভিডিও ক্লিপ ২০১২ সালে আমি আপলোড করেছিলাম আমার টাইমলাইনে।
আমার টাইমলাইন থেকে ওই ক্লিপ নিয়ে "হাসো এবং হাসাও" নামে ইউটিউবের একটা চ্যানেল জেমিমার ওই ভিডিও ক্লিপ আপলোড করে। যাতে ৮ হাজারের বেশি লাইক এবং শত শত কমেন্ট আছে। আর ওই ভিডিও ক্লিপ দেখা হয়েছে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫৯৪ বার। এতে ওই চ্যানেলের ইনকাম হয়েছে ৭০০ ইউএস ডলার বা ৪২ হাজার টাকা।
আজ বন্ধু Sarker Azad নিউ ইয়র্ক থেকে আমার ইনবক্সে অন্য আরেকটি চ্যানেলে জেমিমার ওই ভিডিও ক্লিপ দেখে আমাকে ইনবক্সে ম্যাসেজ দিয়ে জানতে চান তারা আমার অনুমতি নিয়েছে কিনা?
মেয়ে বন্ধুদের বলছি,ভেবে দেখুন,সস্তা লাইক/ কমেন্টের আশায় যে বার বার নিজের একা ছবি দেন,একদিন আপনি মরে যাবেন কিন্তু আপনার এই ছবিগুলো যার তার কাছে থেকে যেতে পারে। অনেকে বাজে মন্তব্য করতে পারে। " দেখছোস নি মালটা দোস্ত"? '' ঠাসা একটা মাল" " জিনিষ একটারে ভাই", এসব নোংরা মন্তব্য এদেশে স্বাভাবিক। এটা কি আপনার জন্য খুব সম্মানের হবে বলে মনে করেন???
আগে অনেককে অনেক বিষয়ে উপদেশ দিতাম। নিজের অভিজ্ঞতায় যা দেখেছি,বুঝেছি সে সব বিষয়ে কিছু বলতাম অবশ্য কেউ জানতে চাইলে। কিন্তু অনেক আগেই এসব মাগনা উপদেশ দেয়া বাদ দিয়েছি। মানুষ সব সময়ই তার পছন্দ মতো কথা শোনতে চায়। তার পছন্দ না হলে সেই কথা যতোই সত্য হোক তা তার কাছে ভালো লাগে না। ফেসবুকে এবং বাস্তব জীবনে আমার অনেক মেয়ে বন্ধু ছিলো এবং আছে। কেউ কেউ অযাচিত ভুল বুঝে দূরে সরে গেছে। ঢাকা শহর পৃথিবীতে দ্বিতীয় শহর যেখানে বেশি মানুষ
ফেসবুক ইউজ করে। বাংলাদেশে ফেসবুক একাউন্ট ১৫/২০ কোটি কমপক্ষে। কেউ কেউ বলেন আরো বেশি। অনেকের একাধিক ফেসবুক একাউন্ট আছে বলে শোনেছি।
তো অনেকদিন আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মেয়েদের ফেসবুক ব্যবহার করার কিছু দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সে কথা থাক। আমি আমার কিছু মেয়ে বন্ধুকে নিজের একা ও আকর্ষণীয় ছবি ফেসবুকে দিতে নিষেধ করেছিলাম। অনেক মেয়ে আছেন যারা বিভিন্ন পোজে নিজের ছবি ফেসবুকে আপলোড করেন প্রায়ই। আমার এক বিবাহিতা মেয়ে বন্ধু প্রায়ই নিজের একা ছবি ফেবুতে দেন। এই নিয়ে তাকে আমি কিছু উপদেশ দিয়েছিলাম। তিনি আমাকে জানিয়েছিলেন,আমাদের তো কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। অর্থাৎ তার স্বামীর এতে কোনো আপত্তি নেই। আমি বুঝিয়ে বলেছিলাম,তোমার দু'সন্তান আছে। তুমি নিজের একটা একা ছবি প্রোফাইল পিকচার হিসেবে দিতে পারো নিজের একাউন্টের গ্রহনযোগ্যতা নিশ্চিত করতে। যেহেতু এদেশে ফেইক একাউন্ট বেশি। আর কভার ফটো দিতে পারো স্বামী সন্তানসহ।
কোনো বিশেষ প্রোগ্রাম বা পারিবারিক অনুস্টানের গ্রুপ ছবি দিতে পারো। কিন্তু কয়েক দিন পর পর নিজের একা ছবি যে দাও তাতে এক সময় ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারো। একদিন দেখলাম,তার এক পুরুষ বন্ধু তার ছবি দিয়ে একটা পোষ্ট দিয়েছে। আমি সেটা তার এবং তার স্বামীর নজরে এনেছিলাম ফেবুতে লিখেই। কিন্তু এতে তাদের কিছুই যায় আসেনি! অবশ্য কোনো স্বামী যদি চান তার স্ত্রীকে নিয়ে অনেকে নাচানাচি করুক তাতে আমার কি? এটাতো আমরা জানি,অনেক স্বামী তার স্ত্রীর গ্ল্যামার ও সৌন্দর্য কাজে লাগিয়ে ব্যবসায়িক স্বার্থ হাসিল করে নেন। ঢাকা শহরে কথিত অভিজাতরাই এই আকাম বেশি করেন। তো ওই বিবাহিতা মেয়ে বন্ধু একদিন আমাকে বলেছিলেন, তার ছবি দেখে নাকি কোন একজন তাকে নাটকে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আরো একজন নাকি তার হাতে বানানো চা খেতে চেয়েছিলেন! ছবি দেখেই এই অবস্থা!
অনেক মেয়ের ছবি দেখে অনেক পুরুষের যৌনাকাংখ্যা জাগা মোটেও অস্বাভাবিক কিছু নয়। আপনার নিরাপত্তা আপনাকেই দিতে হবে আগে। ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকেও বিষয়টি আপত্তিজনক।
যাই হোক, বেশ কিছুদিন আগে আমার এক বন্ধু মধুসূদন মিহির চক্রবর্তী জানালেন যে, উনার পরিচিত এক বিবাহিতা ভদ্রমহিলা ফেবুতে তার নিজের একা ছবি বেশি দিতেন। হঠাৎ একদিন ওই মহিলা দেখলেন যে,তার ছবি দিয়ে অন্য একজন একাউন্ট খোলে নানান আপত্তিজনক কথা লিখেছেন।
তিনি একজন বিবাহিতা মহিলা কিন্তু স্বামী তাকে তৃপ্ত করতে পারেন না। তিনি ভীষণ অসুখী। এমন কোনো বন্ধু কি আছেন যে তাকে খুশি করতে পারেন ইত্যাদি। ফেসবুকে এসব দেখে মহিলার স্বামী তাকে ডিভোর্স দিয়েছিলেন। আমি আমার ওই বন্ধুটিকে অনেক বুঝিয়েছিলাম এই বলে যে,এসব ছবি অনেকেই মিসইউজ করতে পারে। তোমার সব ছবি একত্র করে ভিডিও ক্লিপ বানাতে পারে। তার সঙ্গে মেয়ের কন্ঠে কিছু কথা জুড়ে দিয়ে ইউটিউবে ছেড়ে দিতে পারে। ইউটিউবে চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার যতো বাড়বে ওই চ্যানেলের ইনকামও ততো বেশি হবে। কিন্তু আমার ওই বন্ধুটি আমার এসব কথা থোড়াই কেয়ার করতেন।
আমি পরে ভাবলাম,নিজের খেয়ে বনের মেষ তাড়ানো আমার কাজ নয়।
অল্প কয়েকদিন আগেও আমি এই নিয়ে লিখেছিলাম। আমি প্রায় সব কিছুই ফেসবুকে শেয়ার করি। আমাদের সেপারেশনের পর জেমিমার কান্নার একটা ভিডিও ক্লিপ ২০১২ সালে আমি আপলোড করেছিলাম আমার টাইমলাইনে।
আমার টাইমলাইন থেকে ওই ক্লিপ নিয়ে "হাসো এবং হাসাও" নামে ইউটিউবের একটা চ্যানেল জেমিমার ওই ভিডিও ক্লিপ আপলোড করে। যাতে ৮ হাজারের বেশি লাইক এবং শত শত কমেন্ট আছে। আর ওই ভিডিও ক্লিপ দেখা হয়েছে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫৯৪ বার। এতে ওই চ্যানেলের ইনকাম হয়েছে ৭০০ ইউএস ডলার বা ৪২ হাজার টাকা।
আজ বন্ধু Sarker Azad নিউ ইয়র্ক থেকে আমার ইনবক্সে অন্য আরেকটি চ্যানেলে জেমিমার ওই ভিডিও ক্লিপ দেখে আমাকে ইনবক্সে ম্যাসেজ দিয়ে জানতে চান তারা আমার অনুমতি নিয়েছে কিনা?
মেয়ে বন্ধুদের বলছি,ভেবে দেখুন,সস্তা লাইক/ কমেন্টের আশায় যে বার বার নিজের একা ছবি দেন,একদিন আপনি মরে যাবেন কিন্তু আপনার এই ছবিগুলো যার তার কাছে থেকে যেতে পারে। অনেকে বাজে মন্তব্য করতে পারে। " দেখছোস নি মালটা দোস্ত"? '' ঠাসা একটা মাল" " জিনিষ একটারে ভাই", এসব নোংরা মন্তব্য এদেশে স্বাভাবিক। এটা কি আপনার জন্য খুব সম্মানের হবে বলে মনে করেন???
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন