শুধু একটি রাত চাই
রুমানিয়ায় বেড়াতে গিয়েছিলাম ১৯৯২ সালে । অস্টৃয়া থেকে হাঙ্গেরি হয়ে রুমানিয়া । হাঙ্গেরি এবং রুমানিয়া দু’দেশে যেতেই আমাদের ভিসা লাগে । রুমানিয়ান বান্ধবী ক্লাউদিয়া আমার সঙ্গে ম্যাকডোনাল্ডস এ কাজ করতো । ওরা ইংরেজি জানেনা বললেই চলে । শুধু রুমানিয়ান নয় । হাঙ্গেরি, চেক রিপাবলিক, স্লোভাকিয়া, পোল্যান্ড, বুলগেরিয়া, যুগোস্লাভিয়াসহ পূর্ব ইউরোপের তথা ইস্টার্ন ব্লক বা সাবেক সমাজতান্রিক দেশগুলোর লোকেরা একেবারেই ইংরেজি জানে না । ছাত্র জীবনে সমাজতান্ত্রিক আদর্শ ভালো লাগতো বলে লেনিন রচনাবলী, মাও সে তুং রচনাবলী , কার্ল মার্ক্সের ‘দি ক্যাপিটাল’সহ রাহুল সাংকৃত্যায়নের অনেক বই পড়েছিলাম । এখনো আগ্রহ আছে । তাই সুযোগ পেয়ে সমাজতান্ত্রিক দেশগুলো দেখার সুযোগ হাত ছাড়া করতে চাইনি । ক্লাউদিয়া আমাকে নিয়ে ভিয়েনাস্থ রুমানিয়ান দূতাবাসে গেলে সহজেই ভিসা পেয়ে যাই । আগেই আমার ধারণা ছিলো সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোর অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ । এর আগে আমি চেকোস্লোভাকিয়া, সাবেক যুগোস্লাভিয়া ও হাঙ্গেরি ঘুরে এসেছি । যে টাকা বেতন পেতাম ঘুরাঘুরি করেই তা খরচ করে ফেলতাম । অনেকে আমাকে ‘বাদাইম্মা’ বলতো । অনেক বন্ধুরা ইয়ার্কি করে বলতো ‘নতুন ইবনে বতুতা’ । কেউ কেউ বলতো 'ভ্রমনিস্ট' মানে টুরিস্ট ।
নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক কিছুই পাওয়া যেতো না ওই সব দেশে । প্রচুর খাদ্যাভাব । লাখ লাখ লোক বেকার । ১/২ ডলারের বিনিময়ে তরুণীরা সারা রাত সঙ্গ দেয় । তবু ভিসা দিতে তাদের এতো কড়াকড়ি ! রুমানিয়া নিয়ে এই গল্পটি আগেও বলেছিলাম । আজ হঠাৎ বুখারেস্টে তোলা একটা ছবি পেলাম । তাই ওই গল্পটি আবার ।
আমার হাঙ্গেরির ভিসা আগেই নেয়া ছিলো । তাই নতুন করে ট্রানসিট(Transit) ভিসা নিতে হয়নি । ভিয়েনা থেকে আমি আর ক্লাউদিয়া বিকেল ৫ টায় ইউরো এক্সপ্রেস ট্রেনে যাত্রা করে হাঙ্গেরির রাজধানী বুডাপেস্টে ১ ঘন্টা যাত্রা বিরতির পর রুমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টে পৌঁছেছিলাম পরদিন সকালে । বুখারেস্টের প্রায় সর্বত্রই হাহাকার দেখেছিলাম । প্রেসিডেন্ট নিকোলাই চাউসেস্কো ও তার পত্নী ভোগ বিলাসেই মত্ত ছিলেন । সমাজতন্ত্রের নামে অনেক নেতাই ক্ষুদে হিটলার হয়ে উঠেছিলেন । চাউসেস্কু ও তার পত্নীর করুণ মৃত্যই প্রমাণ করে মানুষ ক্ষেপে উঠলে কেউ বাঁচতে পারেন না । যতো ক্ষমতাবানই সে হউক । ইলিয়াস্কু তখন প্রেসিডেন্ট । বুখারেস্টের সব দোকানের সামনেই লম্বা লাইন । দুধ আছে তো কলা নেই,কলা আছে তো তো দুধ নেই, ডিম আছে তো মুরগী নেই, মুরগী আছে তো ডিম নেই । টিস্যু পেপারও পাওয়া যায় না । ‘নাই’এর তালিকাই দীর্ঘ । নিজে চোখে না দেখলে বিশ্বাসই হবে না যে ইউরোপের একটা দেশের মানুষ অভাবে প্রায় না খেয়ে আছে ।
ক্লাউদিয়া কয়েকদিন আমাকে বুখারেস্ট শহর দেখলো । রুমানিয়ায় দোকানপাটে সে সময় অনেক কিছুই পাওয়া যেতো না আর লম্বা লাইন থাকতো ক্রেতাদের । তা নিয়ে একটা রসিকতার গল্প চালু ছিলো । রসিকতার স্রষ্টার কোনো নাম থাকে না, মুখে মুখে ছড়িয়ে যায় । অনেক সময় বক্তৃতার চেয়েও একটি রসিকতার আঘাত বেশি মোক্ষম ।
গল্পটা এমন ...
‘এক ডাক্তারের কাছে এক যুবতী মহিলা গিয়েছিলেন চিকিৎসা করাতে । মহিলাটির খুব শক্ত অসুখ হয়েছিলো, অন্য ডাক্তাররা বলেছিলো, বাঁচার কোনো আশাই নেই । এই ডাক্তারটি প্রায় আজরাইলের সঙ্গে লড়াই করে মহিলাটিকে শুধু বাঁচালেন তাই-ই-নয়, সম্পূর্ণ সুস্থ করে তুললেন । প্রায় একটি মিরাকল বলা যেতে পারে । কৃতজ্ঞতায় অভিভূত হয়ে মহিলাটি ডাক্তারকে বললেন,আপনি আমার জন্য যা করলেন,তা তো শুধু টাকাপয়সা দিয়ে শোধ করা যায় না । আমি আপনাকে অন্য একটা কিছু দিতে চাই । আপনি কী নেবেন বলুন । ডাক্তার এ কথা উড়িয়ে দিলেন, তিনি কিছুই চান না , কিন্তু মহিলাটি ঝুলোঝুলি করতে লাগলেন , কিছু একটা না দিলে তিনি তৃপ্তি পাবেন না । অনেকক্ষণ পর ডাক্তারটি বললেন । বেশ । ঠিক আছে,যদি কিছুই দিতেই চান,তা হলে আপনার জীবনের একটি রাত শুধু আমাকে দিন !
এ কথা শুনে চুপসে গেলেন মহিলাটি । ডাক্তারটিকে তাঁর খুবই ভদ্র ও সভ্য মনে হয়েছিলো,কিন্তু এ যে কুপ্রস্তাব ! এমন তিনি আশা করেন নি ।
কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরে গেলেন মহিলাটি । স্বামীকে বললেন সব কথা ।ডাক্তারটিকে কৃতজ্ঞতা স্বরূপ কিছু একটা দিতে চেয়েছিলেন তিনি, কিন্তু ডাক্তার যা চাইলেন,তা দেওয়া যায় না ! এমনই নিরাশ হয়ে পড়েছেন মহিলা যে তাঁর প্রায় ভেঙ্গে পড়বার মতো অবস্থা। স্বামী দেখলেন যে বউ যদি এতো কান্নাকাটি করে,তাহলে সে বোধহয় আবার অসুখে পড়বে ! তখন স্বামী বললেন,ডাক্তার যা চেয়েছেন, তা দিতেই বা আপত্তির কী আছে ? ডাক্তার প্রায় তোমাকে নতুন জীবন দিয়েছেন । তাঁর সাহায্য ছাড়া তুমি বাঁচতেই না । সুতরাং এই নতুন জীবন থেকে মাত্র একটা রাত তাঁকে দিতেই পারো । আমি কিছু মনে করবো না !
স্বামীই জোর করে আবার পাঠালেন স্ত্রীকে । মহিলাটি ডাক্তারের কাছে এসে নতমুখে বললেন,আমি রাজি । আজ রাতে আমি নিজেকে আপনার কাছে নিবেদন করলাম ।
ডাক্তার সঙ্গে সঙ্গে বললেন,রাজি? চলুন তা হলে বেরিয়ে পড়া যাক । ডাক্তার নিজের গাড়িতে মহিলাটিকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন । তখন বেশ রাত,রাস্তাঘাট ফাঁকা । কিছুদূর যাবার পর ডাক্তার এক জায়গায় গাড়ি থামালেন । তারপর গাড়ি থেকে একটা ছোট্ট টুল বের করে ফুটপাতে পেতে দিয়ে মহিলাটিকে বললেন, আপনি এই টুলের উপর সারারাত বসে থাকুন।
মহিলাটি ভ্যাবাচেকা খেয়ে বললেন,তার মানে ? আমি এখানে সারারাত বসে থাকবো মাইনাস ৯ ডিগ্রি শীতে?
ডাক্তার বললেন, হ্যাঁ, ওই যে সামনে দোকানটি দেখছেন,কাল সকালে দোকানের দরজা খোললেই সামনে বিরাট লাইন পরে যাবে ! তাই আপনি আমার জন্য এখানে জায়গা রাখুন’।
এক রাতে ছবিটা ক্লাউদিয়ার বাসায় তুলেছিলো সে ।
রুমানিয়ায় বেড়াতে গিয়েছিলাম ১৯৯২ সালে । অস্টৃয়া থেকে হাঙ্গেরি হয়ে রুমানিয়া । হাঙ্গেরি এবং রুমানিয়া দু’দেশে যেতেই আমাদের ভিসা লাগে । রুমানিয়ান বান্ধবী ক্লাউদিয়া আমার সঙ্গে ম্যাকডোনাল্ডস এ কাজ করতো । ওরা ইংরেজি জানেনা বললেই চলে । শুধু রুমানিয়ান নয় । হাঙ্গেরি, চেক রিপাবলিক, স্লোভাকিয়া, পোল্যান্ড, বুলগেরিয়া, যুগোস্লাভিয়াসহ পূর্ব ইউরোপের তথা ইস্টার্ন ব্লক বা সাবেক সমাজতান্রিক দেশগুলোর লোকেরা একেবারেই ইংরেজি জানে না । ছাত্র জীবনে সমাজতান্ত্রিক আদর্শ ভালো লাগতো বলে লেনিন রচনাবলী, মাও সে তুং রচনাবলী , কার্ল মার্ক্সের ‘দি ক্যাপিটাল’সহ রাহুল সাংকৃত্যায়নের অনেক বই পড়েছিলাম । এখনো আগ্রহ আছে । তাই সুযোগ পেয়ে সমাজতান্ত্রিক দেশগুলো দেখার সুযোগ হাত ছাড়া করতে চাইনি । ক্লাউদিয়া আমাকে নিয়ে ভিয়েনাস্থ রুমানিয়ান দূতাবাসে গেলে সহজেই ভিসা পেয়ে যাই । আগেই আমার ধারণা ছিলো সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোর অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ । এর আগে আমি চেকোস্লোভাকিয়া, সাবেক যুগোস্লাভিয়া ও হাঙ্গেরি ঘুরে এসেছি । যে টাকা বেতন পেতাম ঘুরাঘুরি করেই তা খরচ করে ফেলতাম । অনেকে আমাকে ‘বাদাইম্মা’ বলতো । অনেক বন্ধুরা ইয়ার্কি করে বলতো ‘নতুন ইবনে বতুতা’ । কেউ কেউ বলতো 'ভ্রমনিস্ট' মানে টুরিস্ট ।
নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক কিছুই পাওয়া যেতো না ওই সব দেশে । প্রচুর খাদ্যাভাব । লাখ লাখ লোক বেকার । ১/২ ডলারের বিনিময়ে তরুণীরা সারা রাত সঙ্গ দেয় । তবু ভিসা দিতে তাদের এতো কড়াকড়ি ! রুমানিয়া নিয়ে এই গল্পটি আগেও বলেছিলাম । আজ হঠাৎ বুখারেস্টে তোলা একটা ছবি পেলাম । তাই ওই গল্পটি আবার ।
আমার হাঙ্গেরির ভিসা আগেই নেয়া ছিলো । তাই নতুন করে ট্রানসিট(Transit) ভিসা নিতে হয়নি । ভিয়েনা থেকে আমি আর ক্লাউদিয়া বিকেল ৫ টায় ইউরো এক্সপ্রেস ট্রেনে যাত্রা করে হাঙ্গেরির রাজধানী বুডাপেস্টে ১ ঘন্টা যাত্রা বিরতির পর রুমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টে পৌঁছেছিলাম পরদিন সকালে । বুখারেস্টের প্রায় সর্বত্রই হাহাকার দেখেছিলাম । প্রেসিডেন্ট নিকোলাই চাউসেস্কো ও তার পত্নী ভোগ বিলাসেই মত্ত ছিলেন । সমাজতন্ত্রের নামে অনেক নেতাই ক্ষুদে হিটলার হয়ে উঠেছিলেন । চাউসেস্কু ও তার পত্নীর করুণ মৃত্যই প্রমাণ করে মানুষ ক্ষেপে উঠলে কেউ বাঁচতে পারেন না । যতো ক্ষমতাবানই সে হউক । ইলিয়াস্কু তখন প্রেসিডেন্ট । বুখারেস্টের সব দোকানের সামনেই লম্বা লাইন । দুধ আছে তো কলা নেই,কলা আছে তো তো দুধ নেই, ডিম আছে তো মুরগী নেই, মুরগী আছে তো ডিম নেই । টিস্যু পেপারও পাওয়া যায় না । ‘নাই’এর তালিকাই দীর্ঘ । নিজে চোখে না দেখলে বিশ্বাসই হবে না যে ইউরোপের একটা দেশের মানুষ অভাবে প্রায় না খেয়ে আছে ।
ক্লাউদিয়া কয়েকদিন আমাকে বুখারেস্ট শহর দেখলো । রুমানিয়ায় দোকানপাটে সে সময় অনেক কিছুই পাওয়া যেতো না আর লম্বা লাইন থাকতো ক্রেতাদের । তা নিয়ে একটা রসিকতার গল্প চালু ছিলো । রসিকতার স্রষ্টার কোনো নাম থাকে না, মুখে মুখে ছড়িয়ে যায় । অনেক সময় বক্তৃতার চেয়েও একটি রসিকতার আঘাত বেশি মোক্ষম ।
গল্পটা এমন ...
‘এক ডাক্তারের কাছে এক যুবতী মহিলা গিয়েছিলেন চিকিৎসা করাতে । মহিলাটির খুব শক্ত অসুখ হয়েছিলো, অন্য ডাক্তাররা বলেছিলো, বাঁচার কোনো আশাই নেই । এই ডাক্তারটি প্রায় আজরাইলের সঙ্গে লড়াই করে মহিলাটিকে শুধু বাঁচালেন তাই-ই-নয়, সম্পূর্ণ সুস্থ করে তুললেন । প্রায় একটি মিরাকল বলা যেতে পারে । কৃতজ্ঞতায় অভিভূত হয়ে মহিলাটি ডাক্তারকে বললেন,আপনি আমার জন্য যা করলেন,তা তো শুধু টাকাপয়সা দিয়ে শোধ করা যায় না । আমি আপনাকে অন্য একটা কিছু দিতে চাই । আপনি কী নেবেন বলুন । ডাক্তার এ কথা উড়িয়ে দিলেন, তিনি কিছুই চান না , কিন্তু মহিলাটি ঝুলোঝুলি করতে লাগলেন , কিছু একটা না দিলে তিনি তৃপ্তি পাবেন না । অনেকক্ষণ পর ডাক্তারটি বললেন । বেশ । ঠিক আছে,যদি কিছুই দিতেই চান,তা হলে আপনার জীবনের একটি রাত শুধু আমাকে দিন !
এ কথা শুনে চুপসে গেলেন মহিলাটি । ডাক্তারটিকে তাঁর খুবই ভদ্র ও সভ্য মনে হয়েছিলো,কিন্তু এ যে কুপ্রস্তাব ! এমন তিনি আশা করেন নি ।
কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরে গেলেন মহিলাটি । স্বামীকে বললেন সব কথা ।ডাক্তারটিকে কৃতজ্ঞতা স্বরূপ কিছু একটা দিতে চেয়েছিলেন তিনি, কিন্তু ডাক্তার যা চাইলেন,তা দেওয়া যায় না ! এমনই নিরাশ হয়ে পড়েছেন মহিলা যে তাঁর প্রায় ভেঙ্গে পড়বার মতো অবস্থা। স্বামী দেখলেন যে বউ যদি এতো কান্নাকাটি করে,তাহলে সে বোধহয় আবার অসুখে পড়বে ! তখন স্বামী বললেন,ডাক্তার যা চেয়েছেন, তা দিতেই বা আপত্তির কী আছে ? ডাক্তার প্রায় তোমাকে নতুন জীবন দিয়েছেন । তাঁর সাহায্য ছাড়া তুমি বাঁচতেই না । সুতরাং এই নতুন জীবন থেকে মাত্র একটা রাত তাঁকে দিতেই পারো । আমি কিছু মনে করবো না !
স্বামীই জোর করে আবার পাঠালেন স্ত্রীকে । মহিলাটি ডাক্তারের কাছে এসে নতমুখে বললেন,আমি রাজি । আজ রাতে আমি নিজেকে আপনার কাছে নিবেদন করলাম ।
ডাক্তার সঙ্গে সঙ্গে বললেন,রাজি? চলুন তা হলে বেরিয়ে পড়া যাক । ডাক্তার নিজের গাড়িতে মহিলাটিকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন । তখন বেশ রাত,রাস্তাঘাট ফাঁকা । কিছুদূর যাবার পর ডাক্তার এক জায়গায় গাড়ি থামালেন । তারপর গাড়ি থেকে একটা ছোট্ট টুল বের করে ফুটপাতে পেতে দিয়ে মহিলাটিকে বললেন, আপনি এই টুলের উপর সারারাত বসে থাকুন।
মহিলাটি ভ্যাবাচেকা খেয়ে বললেন,তার মানে ? আমি এখানে সারারাত বসে থাকবো মাইনাস ৯ ডিগ্রি শীতে?
ডাক্তার বললেন, হ্যাঁ, ওই যে সামনে দোকানটি দেখছেন,কাল সকালে দোকানের দরজা খোললেই সামনে বিরাট লাইন পরে যাবে ! তাই আপনি আমার জন্য এখানে জায়গা রাখুন’।
এক রাতে ছবিটা ক্লাউদিয়ার বাসায় তুলেছিলো সে ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন