সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বাংলাদেশের প্রথম ক্রসফায়ার

বাংলাদেশের প্রথম
ক্রসফায়ার

আজ থেকে ৪০ বছর আগে বাংলাদেশের প্রথম এবং আলোচিত ক্রসফায়ার তথা বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডটি সংঘঠিত হয়েছিল। অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় এই হত্যাকান্ডটি ঘটায় শেখ মুজিব বাহিনী।
যাকে হত্যা করা হয় তিনি ছিলেন মুজিবের আতঙ্ক এবং বাংলার রাজনীতিতে একজন কিংবদন্তীী বিপ্লবী। কেউ কেউ বলতেন তিনি বাংলার চে গুয়েভারা। কমরেড সিরাজ শিকদার তাঁর নাম।
তাঁকে হত্যা করার পর শেখ মুজিব সংসদে দাঁড়িয়ে খুব দম্ভ করে বলেছিলেন,- 'কোথায় আজ সিরাজ শিকদার?'
নতুন প্রজন্ম কি জানে বাংলাদেশের এই ইতিহাস?
পড়ুন-
২রা জানুয়ারি ১৯৭৫ সনের এই দিনে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম ক্রসফায়ারের শিকার হন সিরাজ শিকদার। প্রথমা প্রকাশন থেকে প্রকাশিত মহিউদ্দিন আহমদের "জাসদের উত্থান পতন ঃ অস্থির সময়ের রাজনীতি" গ্রন্থের ১৫৪ নং পৃষ্ঠায় সেই ক্রসফায়ারের বর্ননা দেয়া হয়েছে এভাবে-
"পচাত্তরের ১লা জানুয়ারী সিরাজ শিকদারকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ কর্মকর্তা মারুফুল হক তাকে গ্রেফতার করেন। তাকে হাতকড়া পরিয়ে চোখ বেঁধে বিমানে করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। তেজগাঁও বিমানবন্দরে তাকে নামানো হলে পুলিশের ইন্সপেক্টর কায়কোবাদ তার বুকে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেন।
মালিবাগে স্পেশাল ব্রাঞ্চের অফিসে কিছুক্ষন রাখার পর অতিরিক্ত নিরাপত্তার কারনে তাকে শেরে বাংলা নগরে রক্ষীবাহিনীর ক্যাম্পে স্থানান্তর করা হয়। ঢাকার পুলিশ সুপার মাহবুবউদ্দিন আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদের দায়িত্ব দেয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পদ্ধতি নিয়ে মাহবুবের তেমন 'সুখ্যাতি' ছিলো না।
ওই রাতেই তাকে হত্যা করা হয়। লেখা হয় ক্রসফায়ারের চিত্রনাট্য। একটা প্রেসনোটে বলা হয় , 'পুলিশ তাকে নিয়ে অস্ত্রের সন্ধানে সাভারে গিয়েছিলো। গাড়ি থেকে লাফিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের গুলিতে সিরাজ শিকদার নিহত হন।'
দিনটি ছিলো পচাত্তরের ২রা জানুয়ারি।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

অশ্লীল নাম

বাংলাদেশের কিছু প্রতিষ্ঠান ও স্থানের বিচিত্র বা বিকৃত অর্থের নাম যা পরিবর্তন করা উচিতঃ ১. বোদা মহিলা মহাবিদ্যালয়, বোদা, পঞ্চগড় ২. চুমাচুমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি ৩. সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খুলনা ৪. মানুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নীলফামারি ৫. সোনাকাটা ইউনিয়ন, তালতলী, বরগুনা ৬.বড়বাল ইউনিয়ন, মিঠাপুকুর, রংপুর ৭.সোনাখাড়া ইউনিয়ন, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ৮. ধনকামড়া গ্রাম, ভোদামারা, দিনাজপুর ৯.গোয়াকাটা, দোহার, ঢাকা ১০. গোয়াতলা, ময়মনসিংহ ১১.লেংটার হাট, মতলব, চাঁদপুর