সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ফেসবুকঃ কতোরূপ ! সতর্কতামূলক পোষ্ট।



ফেসবুকঃ কতোরূপ ! সতর্কতামূলক পোষ্ট।

“আরে আমি প্রথম থেকেই সন্দেহ করছিলাম । না জানি আপনি কোন সমস্যায় পড়েন । আপনি তো শুধু সোজা বুঝেন । সরল, আবেগপ্রবণ মানুষ । সহজেই যে কোন মানুষকে বিশ্বাস করেন । আমার কাছে আপনার ওই বন্ধুত্বটা স্বাভাবিক মনে হয়নি । ভদ্রলোক আর ভদ্রমহিলার আপনার প্রতি যে আচরণ ফেসবুকে আপনার লেখায় জেনেছি তা আমার কাছে মোটেও মহৎ মনে হয়নি । যদিও আপনি তাদের মহৎ, মহান বলে লিখেছিলেন । এসব নিয়ে কেন অযথা ভাবছেন ? মনে মনে দোয়া করেন, আল্লাহ আপনাকে বাঁচাইছে । তাদের সঙ্গে থাকলে আপনি বিপদে পড়তে পারতেন ।
একজন তরুণী স্ত্রী শুধু ফেসবুকের পরিচয়ে আপনার বাসায় গিয়েছেন একা আপনাকে পুডিং দিতে আর তার স্বামী নিচে গাড়িতে বসেছিলেন ! কোনো লাভ ছাড়া স্বামীরা এমন উদার হয় না । আপনার আজকের কথা শুনে একটা পাগলেও বুঝবে যে, আপনার সঙ্গে এমন সম্পর্ক তৈরিতে ভদ্রমহিলার স্বামীর স্বার্থ জড়িত ছিলো । সে জন্য তিনি স্ত্রীকে ইউজ করেছেন । ভদ্রলোক যখন বুঝেছে, আপনাকে দিয়ে সেই স্বার্থ উদ্ধার হবে না তখনি সম্পর্কটা ভেঙে দিয়েছে ।
ফেসবুকের স্ট্যাটাস আর ছবি দেখে কে কেমন তা চেনা যায় না ।
বাস্তবে এবং ফেসবুকে অনেক স্বামী তাদের তরুণী স্ত্রীকে ফ্রন্ট লাইনে রেখে নিজের স্বার্থ আদায় করে নেয় কৌশলে । তরুণী স্ত্রী তাদের মুলধন । ফেসবুকে শুধু বন্ধুত্ব, প্রেম, ভালোবাসাই হয় না । অনেকে অনেক রকমের ব্যবসাও করে । আপনি এই পরিস্থিতি সম্পর্কে এখনো জানেন না । ওই ভদ্রমহিলা যখন আপনার লিস্টে ছিলো তখন তার অনেক কমেন্ট ও স্ট্যাটাস আমি দেখেছিলাম । তার টাইমলাইনে তিনি খুব আকর্ষনীয় ও স্মার্ট এবং বাহ্যত আভিজাত্যে মোড়ানো ছবি দেন । যা দেখে অনেকেই আকৃষ্ট হোন । আমাদের দেশের কথিত অভিজাতরা তাই করে । নইলে অভিজাত হওয়া যায় না । এসব করেই তারা 'অভিজাত' হয়। ভদ্রমহিলার ওইসব ছবিতে অসংখ্য ছেলের লাভ রিয়েক্ট থাকে । উনার প্রায় সব বন্ধুই ছেলে। উনি তো কোনো সেলিব্রেটিও নন । সবাই কি উনার আত্বীয় ? উনি একজন বিবাহিতা মহিলা । আমি কয়েকদিন দেখেছিলাম, ওখানে তার হাসব্যান্ডের লাইকও থাকে । আমি অবাক হয়ে ভেবেছিলাম, তার স্বামী কি চায় তার তরুণী স্ত্রীকে অনেকেই ভালোবাসুক ? এটা কেমন উদারতা আর মহত্ব ? স্ত্রীর বন্ধুত্বের পরিচয়ে, পরে তিনি তার স্বার্থ আদায় করে নেন । কই আপনার সঙ্গে তো এতো কিছু হয়েছে তার স্ত্রী কি ফেসবুক একাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে ? এখন আপনাকে তাদের প্রয়োজন নেই । প্রয়োজনের তাগিদে যে সম্পর্ক গড়ে উঠে সেখানে সম্পর্কের চেয়ে প্রয়োজনটাই প্রধান থাকে । প্রয়োজন যখন থাকে না তখন সম্পর্কও থাকে না ।
আমি যদি এখন বলি, আপনাকে একটা মেকি ভালোবাসা দিয়ে মায়ার বন্ধনে জড়িয়ে নিয়ে তারা কিছু বললে যেন ফেলতে না পারেন সেজন্যই এই রিলেশন গড়েছিলো । আপনাকে দিয়ে তাদের কাজ করিয়ে নিতে চেয়েছিলো । আপনি ফেবুতে তাদের নিয়ে, তাদের ছবি দিয়ে স্ট্যাটাস লিখেছিলেন । তারা যে আরো অনেকের সঙ্গেই এমন বন্ধুত্ব করে না তার প্রমাণ কি ? সবাইতো আর আপনার মতো ফেবুতে লিখে জানায় না । এসব গোপনই রাখে। আপনি এখনো কিচ্ছু বুঝেন না । আমার ধারণা, ওই ভদ্রমহিলা আরো অনেকের সঙ্গেই এমন বন্ধুত্ব পাতায় । এবং এতে তার স্বামীরও সম্মতি রয়েছে ।”
কথাগুলো এক নিঃশ্বাসে বলে গেলেন শিরিন আপা । গতকাল রাত ১১টায় আমাকে ফেসবুকে দেখে তিনি কল করেছিলেন ওয়াশিংটন ডিসি থেকে । আমার রুমে তখন রানা ছিলো । ফেবুতে আমার লিস্টে আছে মাসুদ রানা নামে ।
আমরা তো কয়েকবছর পর সিনিয়র সিটিজেন হয়ে যাবো । ফেবুতে তো প্রেম করতে আসি না । এখানে অনেকের সঙ্গে পরিচয় হয় । আন্তরিকতা, ভালোবাসা, শুভ কামনা থাকবে । এর বেশি আর কি ? আমার মনে কোন অপরাধবোধ নেই । আমাকে যে ভালোবাসে আমি তাকে ভালোবাসি । আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই । ফেবুতে আমার প্রোফাইল আর টাইমলাইন ঘুরে এলেই বোঝা যাবে আমি কেমন । তাই নতুন করে নিজেকে আর প্রকাশ না করাই ভালো ।
তো ঘনিষ্ঠতার কয়েক মাস পর একদিন ভদ্রলোক ফোন করে আমাকে বললেন, করিম ভাই, পুলিশে কনস্টেবল পদে লোক নিয়োগ হবে । আপনার পরিচিত কেউ থাকলে যোগাযোগ করে জানিয়েন । ১০ লাখ টাকা লাগবে । ৭ লাখ টাকা এখন দিতে হবে আর ৩ লাখ টাকা নিয়োগের পর । আমি জ্বি আচ্ছা বলে ফোন রেখে দিই । কিছুক্ষণ ভাবি । অনেকদিন আগে আমি ভদ্রলোকের স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তোমার বর কি করে ? আমাকে বলা হয়েছে বিজনেস । আমি জানতে চেয়েছিলাম, কি বিজনেস ? মেয়েটি আমতা আমতা করতে লাগলো। আমি বললাম, এক্সপোর্ট- ইমপোর্ট, ইন্ডেন্টিং, ডিপার্টমেন্ট স্টোর, গার্মেন্টস কতো বিজনেসই তো আছে । আমি ‘মেয়েটি’ লিখেছি । কারণ She is only 27 .
যাক, চলছে ফেবুতে পারস্পারিক ফান । গোপনে কিছু নয় । বন্ধুরা জানেন, আমি একটা স্কুলে পার্টটাইম ইংরেজি পড়াতাম । গত বছর ১০ এপৃল রিজাইন করেছি । তাও ফেসবুকে লিখে জানিয়েছি । সে দিন সকালে ভদ্রলোক আবার আমাকে ফোন করে বললেন, করিম ভাই, কুমিল্লা কর কমিশনে লোক লাগবে । আপনি চাকরি করলে বলেন । আমি অবাক হয়ে বললাম, এই বয়সে আমাকে সরকারি চাকরি দেবেন ! তিনি বললেন, আমি বললে হবে ।
আজ এই নোট লিখতে বসে ভাবছি, তখন যদি আমি চাকরি করবো বলতাম, তবে কি তিনি আমার কাছে ৮/১০ লাখ টাকা চাইতেন ? যদি তিনি এমন ভেবে থাকেন তবে আমার সম্পর্কে তিনি খুব দুঃখজনক নিচু ধারণা পোষণ করেছেন । আমি ভেঙে যাবো তবু মচকাবো না ।
এর প্রায় মাসখানেক পর তিনি রাত ১১ টায় ফোন করে বললেন, করিম ভাই, আমার মিসেস আপনার জন্য হাঁসের মাংস রান্না করে দিয়েছেন । আমরা মায়ামিতে আছি । চলে আসুন । আমার বাসা থেকে মায়ামি রেস্তোরা ১০ মিনিটের হাঁটা পথ । আমি গেলাম । তাদের সঙ্গে খেলাম । উনার সঙ্গে ৫/৬ জন বন্ধু । এক মাইক্রোতে । ঢাকা থেকে তার জেলায় যেতে হলে কুমিল্লার উপর দিয়ে যেতে হয় । উনি উনার হোম ডিসট্রিক্ট যাবেন । সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন । আমি অবাক হয়ে দেখলাম, তার এক বন্ধু দিনাজপুরের, আরেক বন্ধু খুলনার, আরেক বন্ধু বগুরার, আরেক বন্ধু কিশোরগঞ্জের । এখন আমি আরেকজন কুমিল্লার ! তার স্ত্রীর দেয়া হাঁসের মাংসসহ আমাকে বাসায় ড্রপ করলেন তাদের মাইক্রোতে । চলছিলো দিন ভালোই ।
ওই রাতেই তিনি গাড়ি থেকে ফোন করে বললেন, করিম ভাই, আমাদের কিছু রসমালাই লাগবে । কাল যেতে নিয়ে যাবো ঢাকায় । আমি জানতে চাইলাম, কতো কেজি লাগবে ? তিনি বললেন, ৫ কেজি । পরদিন আমি আর্লি ঘুম থেকে জেগেই গেলাম শহরের মনোহরপুরে অবস্থিত “মাতৃ ভান্ডারে”। ১০টা, ১১টার পর ওই দোকানে আর রসমালাই পাওয়া যায় না । কুমিল্লা জেলায় এই একটি মাত্র মিষ্টান্ন দোকানের রসমালাই-ই অরিজিনাল । আর সব ডুপ্লিকেট । তাদের কোনো শাখা নেই । আমি ৫ প্যাকেটে ৫ কেজি রসমালাই কিনে এলাম জিলা স্কুল রোডে । এখানে সব লাইব্রেরি । আমার স্কুল, কলেজ জীবনের বেশিরভাগ সময় কেটেছিলো এই জিলা স্কুল রোডে । তার স্ত্রীর জন্য কয়েকটা বিদেশি লেখকের অনুবাদ করা বই কিনলাম । রসমালাইগুলো এনে ফ্রিজে রেখে দিলাম । যাওয়ার পথে দিয়ে দেবো বলে । উনি যাবার সময় কল করলেন । আমার বাসা বিশ্বরোডের পাশেই । বই আর রসমালাই সবগুলো দিলাম । উনারা চলে গেলেন । কিছুক্ষণ পর উনি ফোন করে বললেন, করিম ভাই, তাড়াহুড়ার মাঝে আপনাকে রসমালাই এর টাকা দিতে ভুলে গিয়েছিলাম । আমি ফান করে বললাম, আগে খেয়ে দেখুন ভালো কিনা । বিফলে মাগনা ।
এইতো সেদিন, কোরবানি ঈদের পরদিন সকাল ৭টায় তারা আমার বাসার নিচে এসে আমাকে কল করে । ঈদের খাবারসহ কিছু গিফট দেয় । কিন্তু বাসায় আসেনি ।
প্রায় মাসখানেক পর তিনি আবার ফোন করে আমাকে বলেন, করিম ভাই, বিজিবিতে লোক নিয়োগ হবে সৈনিক পদে । ৭ লাখ টাকা করে লাগবে । এখন ৫ লাখ টাকা দিতে হবে । নিয়োগের পর বাকি ২ লাখ । আমি ভীষণ দুঃখ পেয়ে ভদ্রলোককে আন্তরিকভাবে বলেছিলাম, ভাই, আমি তোমাদের অনেক ভালোবাসি । অনেক । তোমরা আমার অনেক ছোট । আমাকে অন্য কোনো কাজ দাও । আমি করে দেবো । এই কাজগুলো আমি পারবো না । সবাই সবকিছু পারে না ।
উনার মিসেসকে একদিন বলেছিলাম, তোমরা স্বামী-স্ত্রী-আর দু' সন্তানকে আমি অনেক ভালোবাসি । তোমার ছেলে আমার কাছে জেমিমার মতোই। যদিও উপলক্ষ্য তুমি । বিশ্বাস করো আমাকে । ধরো, এখন যদি এমন কোনো মিরাকল হয় যে, আমার সামনে অপশন দেয়া হলো- হয় আমি বাঁচবো নয় তোমার স্বামী বাঁচবে । আমি কোনটা বেছে নেবো ? আমি চাইবো, আমি মরে গিয়ে তোমার স্বামী বেঁচে থাক । তুমি অনেক ছোট । এই বয়সে তোমাকে বৈধব্য মানায় না ।
তুমি যদি এখন বলো, তোমার প্রিয় কোনো আত্মীয়ের জন্য একটা কিডনি লাগবে জরুরী । যদি আমার ব্লাড গ্রুপ ম্যাচ করে তবে আমি হাসি মুখে এটা তোমাকে/তোমাদেকে দেবো । তোমার/তোমাদের প্রিয় কারোর জন্য যদি চোখের কর্নিয়া লাগে আমি আমার একটা চোখ দেবো হাসি মুখে । বিলিভ মি । পৃথিবীতে অনেক কিছু আছে প্রমাণ করা যায় না । আমিও হয়তো প্রমাণ করতে পারবো না তোমাদের কতোটা ভালোবাসি ।
কিন্তু তোমার বর যে কাজগুলোর কথা আমাকে বলে এই কাজগুলো আমি করতে পারবো না । আমার পক্ষে কারো কাছে গিয়ে বলা সম্ভব নয় যে, কাউকে চাকরি দেবো । এতো টাকা লাগবে ঘুষ । আমি মরে গেলেও তা পারবো না ।
আজ আমরা বিচ্ছিন্ন দ্বীপের অধিবাসি । কে কেমন আছি কেউ জানি না । তবে এই পৃথিবীর যেখানেই থাকো, ভালো থেকো। এই কামনায় বিদায় বন্ধু ।

 June 14 at 10:02 PM

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

অশ্লীল নাম

বাংলাদেশের কিছু প্রতিষ্ঠান ও স্থানের বিচিত্র বা বিকৃত অর্থের নাম যা পরিবর্তন করা উচিতঃ ১. বোদা মহিলা মহাবিদ্যালয়, বোদা, পঞ্চগড় ২. চুমাচুমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি ৩. সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খুলনা ৪. মানুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নীলফামারি ৫. সোনাকাটা ইউনিয়ন, তালতলী, বরগুনা ৬.বড়বাল ইউনিয়ন, মিঠাপুকুর, রংপুর ৭.সোনাখাড়া ইউনিয়ন, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ৮. ধনকামড়া গ্রাম, ভোদামারা, দিনাজপুর ৯.গোয়াকাটা, দোহার, ঢাকা ১০. গোয়াতলা, ময়মনসিংহ ১১.লেংটার হাট, মতলব, চাঁদপুর