মুজিবের একমাত্র মেধা
মুজিবের একমাত্র মেধা ছিল মূর্খ লোকদের উত্তেজিত করে তোলার ক্ষেত্রে। তিনি
ছিলেন কথামালার যাদুকর ও মিথ্যের যাদুকর --- ওরিয়ানা ফ্যালাসি।
নিচের অংশটুকু হুবহু তার টেপ থেকে
নেয়া:
“ম্যাসাকার ? হোয়াট ম্যাসাকার ?”
“ঢাকা স্টেডিয়ামে মুক্তিবাহিনীর দ্বারা সংঘটিত
ঘটনাটি।”
“ঢাকা স্টেডিয়ামে কোন ম্যাসাকার হয়নি। তুমি
মিথ্যে বলছো।”
“মি. প্রাইম মিনিস্টার, আমি মিথ্যাবাদী নই।
সেখানে আরো সাংবাদিক ও পনেরো হাজার
লোকের সাথে আমি হত্যাকাণ্ড প্রত্যক্ষ করেছি।
আপনি চাইলে আমি আপনাকে তার ছবিও
দেখাবো। আমার পত্রিকায় সে ছবি প্রকাশিত
হয়েছে।”
“মিথ্যেবাদী, ওরা মুক্তিবাহিনী নয়।”
“মি. প্রাইম মিনিস্টার, দয়া করে ‘মিথ্যেবাদী’ শব্দটি আর উচ্চারণ করবেন না। তারা
মুক্তিবাহিনী। তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছিল আবদুল কাদের সিদ্দিকী এবং তারা ইউনিফর্ম পরা
ছিল।”
“তাহলে হয়তো ওরা রাজাকার ছিল যারা প্রতিরোধের বিরোধিতা করেছিল এবং কাদের
সিদ্দিকী তাদের নির্মূল করতে বাধ্য হয়েছিল।” “মি. প্রাইম মিনিস্টার, কেউ প্রমান করেনি যে, লোকগুলো রাজাকার ছিল এবং কেউই
প্রতিরোধের বিরোধিতা করেনি। তারা ভীতসন্ত্রস্ত ছিল। হাত পা বাঁধা থাকায় তারা নড়াচড়াও
করতে পারছিল না।”
“মিথ্যেবাদী।”
“শেষবারের মত বলছি, আমাকে “মিথ্যেবাদী” বলার অনুমতি
আপনাকে দেবো না।”
“আচ্ছা সে অবস্থায় তুমি কি করতে?”
“আমি নিশ্চিত হতাম যে, ওরা রাজাকার এবং অপরাধী। ফায়ারিং
স্কোয়াডে দিতাম এবং এভাবেই এই ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ড এড়াতাম।”
“ওরা সেটা করেনি, হয়তো আমার লোকদের কাছে তখন বুলেট ছিলনা।”
“হ্যাঁ তাদের কাছে বুলেট ছিল। প্রচুর বুলেট ছিল। এখনো তাদের কাছে প্রচুর বুলেট রয়েছে।
তা দিয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গুলী ছোঁড়ে। ওরা গাছে, মেঘে, আকাশে, মানুষের প্রতি
গুলী ছোঁড়ে শুধু আনন্দ করার জন্য।”
এরপর কি ঘটলো: গোটা সাক্ষাৎকারের সময়টায় যে দুইটা স্থুলকায় দেহের মন্ত্রী ঘুমুচ্ছিলেন, তারা হুড়মুড়িয়ে জেগে উঠলেন। আমি বুঝতে পারলাম না মুজিব কি বলে হুংকার করছেন। কারণ কথাগুলো ছিল বাংলায়। সোমবার রাত: গোটা ঢাকা নগরী জেনে গেছে যে মুজিব ও আমার মধ্যে কি ঘটেছে।
শমশের ওয়াদুদ নামে একজন লোক ছাড়া আমার পক্ষে আর কেউ নেই। লোকটি মুজিবের
বড় বোনের ছেলে। এই যুবক নিউইয়র্ক থেকে এসেছে তার মামার কাছে। তার মতে মুজিব
ক্ষমতালোভী এবং নিজের সম্পর্কে অতি
উচ্চ ধারণা সম্পন্ন অহংকারী ব্যাক্তি। তার
মামা খুব মেধা সম্পন্ন নয়। বাইশ বছর
বয়েসে মুজিব হাইস্কুলের পড়াশুনা শেষ
করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতির
সচিব হিসেবে তিনি রাজনীতিতে প্রথম
প্রবেশ করেন।
এছাড়া আর কিছু করেননি তিনি। কেউ
কল্পনাও করতে পারেনি যে মুজিব
একদিন প্রধানমন্ত্রী হবেন। ওয়াদুদের
মতে, আত্মীয়স্বজনের সাথে দুর্ব্যবহারের
কারণ এটা নয়। আসলে একমাত্র
ওয়াদুদের মাকেই মুজিব ভয় করেন। এই দুঃখজনক আচরণের জন্য তিনি পারিবারিকভাবে
প্রতিবাদ জানাবেন। সে আরো জানালো যে আমার সাথে যে র্দুব্যবহার করা হয়েছে তা সে
তার মাকে বলবেন, যাতে তিনি এ ব্যাপারে মুজিবের সাথে কথা বলেন। সে আমাকে আরও
বললো যে, সরকারী দফতরে গিয়ে এ ব্যাপারে আমার প্রতিবাদ করা উচিত এবং
প্রেসিডেন্টের সাথে কথা বলা উচিত। কারণ প্রেসিডেন্ট খাঁটি ভদ্রলোক।
মুজিব সম্পর্কে সংগৃহীত তথ্যাবলী তার জন্যে বিপর্যয়কর। ১৯৭১ এর মার্চে পাকিস্তানীদের
দ্বারা সংঘটিত হত্যাকান্ডের কিছুদিন পূর্বে ইয়াহিয়া খান ও ভূট্টো ঢাকায় এসেছিলেন। ইয়াহিয়া খান তড়িঘড়ি ফিরে যান। কিন্তু ভূট্টো থেকে যান ঢাকায়। তাকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে
রাখা হয়। তার রুম নম্বর ছিল ৯১১-৯১৩।
ইন্টারকন্টিনেন্টালের সর্বোচ্চ তলায় তখন ভূট্টোর ভূমিকা ছিল নিরোর মতো। নগরী যখন
জ্বলছিল এবং এলোপাথাড়ি গুলীবর্ষণ চলছিল, ভূট্টো তখন শরাব পান করছিলেন আর
হাসছিলেন। পরদিন সকাল ৭টায় তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন। আমি দেখেছি, যারা একসময়
পাকিস্তানীদের ভয়ে ভীত ছিল, তারা এখন মুজিবকেই ভয় করে। গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা সম্পর্কে
প্রচুর কথাবার্তা চলে এদেশে। কিন্তু সবসময়ই তা বলা হয় ফিসফিসিয়ে, আতংকের সঙ্গে।
লোকজন বলাবলি করে যে, এই সংঘাতে মুজিব খুব সামান্যই খুইয়েছেন। তিনি ধনী ব্যাক্তি।
অত্যন্ত ধনবান। তার প্রত্যাবর্তনের পরদিন তিনি সাংবাদিকদেরকে হেলিকপ্টার দিয়েছিলেন।
কেউ কি জানে কেন? যাতে তারা নিজেরা গিয়ে মুজিবের সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি অবলোকন করে
আসতে পারে। এখনো তিনি সমাজতন্ত্রের কথা বলেন, জাতীয়তাবাদের কথা বলেন। তিনি
কি তার জমিজমা, বাড়ি, বিলাসবহুল ভিলা, মার্সিডিজ গাড়ি জাতীয়করণ করবেন?
ভূট্টোর সাথে মুজিবের প্রথম সাক্ষাৎ হয় ১৯৬৫ সালে, যখন তিনি ভারতের সঙ্গে পূর্ব পাকিস্তানের সীমান্তকে অরক্ষিত রাখার কারণে পশ্চিম পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করেন। একজন নেতা হিসেবে তার মূল্য ছিল খুবই কম। তার একমাত্র মেধা ছিল মূর্খ লোকদের উত্তেজিত করে তোলার ক্ষেত্রে। তিনি
ছিলেন কথামালার যাদুকর ও মিথ্যের যাদুকর – কিছুদিন আগে এক জনসভায় বক্তৃতাকালে তিনি বলেছিলেন, করাচীর রা¯তাগুলো সোনা দিয়ে মোড়া। তা দিয়ে হাঁটলে চোখ ধাঁধিয়ে যায়। অর্থনীতির কিছুই বুঝতেন না তিনি। কৃষি ছিল তার কাছে রহস্যের মতো। রাজনীতি ছিল প্রস্তুতিবিহীন। কেউ কি জানে ১৯৭০ এর নির্বাচনে তিনি কেন বিজয়ী হয়েছিলেন? কারণ সব মাওবাদীরা তাকে ভোট দিয়েছিল। সাইক্লোনে মাওবাদীদের অফিস বিধ্বস্ত হয়েছিল এবং তাদের নেতা ভাসানী আওয়ামী
লীগের পক্ষে ভোট দেয়ার সিদ্বান্ত নিয়েছিলেন। জনগণকে যদি এখন পুনরায় ভোট দিতে বলা হয়, তাহলে মুজিবের অবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্নতর হবে, যদি তিনি বন্দুকের সাহায্যে তার ইচ্ছাকে চাপিয়ে দিতে না চান। সেজন্যেই তিনি মুক্তিবাহিনীকে অস্ত্র সমর্পণের নির্দেশ দিচ্ছেননা এবং আমাদের স্মরণ রাখতে হবে যে, রক্তপিপাসু কসাই, যে ঢাকা স্টেডিয়ামে হত্যাযজ্ঞ করেছিল, সেই আবদুল কাদের
সিদ্দিকী তারই ব্যক্তিগত উপদেষ্টা। ভারতীয়রা তাকে গ্রেফতার করেছিল; কিন্তু মুজিব তাকে
মুক্ত করে দিয়েছিলেন।
·
মুজিবের একমাত্র মেধা ছিল মূর্খ লোকদের উত্তেজিত করে তোলার ক্ষেত্রে। তিনি
ছিলেন কথামালার যাদুকর ও মিথ্যের যাদুকর --- ওরিয়ানা ফ্যালাসি।
নিচের অংশটুকু হুবহু তার টেপ থেকে
নেয়া:
“ম্যাসাকার ? হোয়াট ম্যাসাকার ?”
“ঢাকা স্টেডিয়ামে মুক্তিবাহিনীর দ্বারা সংঘটিত
ঘটনাটি।”
“ঢাকা স্টেডিয়ামে কোন ম্যাসাকার হয়নি। তুমি
মিথ্যে বলছো।”
“মি. প্রাইম মিনিস্টার, আমি মিথ্যাবাদী নই।
সেখানে আরো সাংবাদিক ও পনেরো হাজার
লোকের সাথে আমি হত্যাকাণ্ড প্রত্যক্ষ করেছি।
আপনি চাইলে আমি আপনাকে তার ছবিও
দেখাবো। আমার পত্রিকায় সে ছবি প্রকাশিত
হয়েছে।”
“মিথ্যেবাদী, ওরা মুক্তিবাহিনী নয়।”
“মি. প্রাইম মিনিস্টার, দয়া করে ‘মিথ্যেবাদী’ শব্দটি আর উচ্চারণ করবেন না। তারা
মুক্তিবাহিনী। তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছিল আবদুল কাদের সিদ্দিকী এবং তারা ইউনিফর্ম পরা
ছিল।”
“তাহলে হয়তো ওরা রাজাকার ছিল যারা প্রতিরোধের বিরোধিতা করেছিল এবং কাদের
সিদ্দিকী তাদের নির্মূল করতে বাধ্য হয়েছিল।” “মি. প্রাইম মিনিস্টার, কেউ প্রমান করেনি যে, লোকগুলো রাজাকার ছিল এবং কেউই
প্রতিরোধের বিরোধিতা করেনি। তারা ভীতসন্ত্রস্ত ছিল। হাত পা বাঁধা থাকায় তারা নড়াচড়াও
করতে পারছিল না।”
“মিথ্যেবাদী।”
“শেষবারের মত বলছি, আমাকে “মিথ্যেবাদী” বলার অনুমতি
আপনাকে দেবো না।”
“আচ্ছা সে অবস্থায় তুমি কি করতে?”
“আমি নিশ্চিত হতাম যে, ওরা রাজাকার এবং অপরাধী। ফায়ারিং
স্কোয়াডে দিতাম এবং এভাবেই এই ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ড এড়াতাম।”
“ওরা সেটা করেনি, হয়তো আমার লোকদের কাছে তখন বুলেট ছিলনা।”
“হ্যাঁ তাদের কাছে বুলেট ছিল। প্রচুর বুলেট ছিল। এখনো তাদের কাছে প্রচুর বুলেট রয়েছে।
তা দিয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গুলী ছোঁড়ে। ওরা গাছে, মেঘে, আকাশে, মানুষের প্রতি
গুলী ছোঁড়ে শুধু আনন্দ করার জন্য।”
এরপর কি ঘটলো: গোটা সাক্ষাৎকারের সময়টায় যে দুইটা স্থুলকায় দেহের মন্ত্রী ঘুমুচ্ছিলেন, তারা হুড়মুড়িয়ে জেগে উঠলেন। আমি বুঝতে পারলাম না মুজিব কি বলে হুংকার করছেন। কারণ কথাগুলো ছিল বাংলায়। সোমবার রাত: গোটা ঢাকা নগরী জেনে গেছে যে মুজিব ও আমার মধ্যে কি ঘটেছে।
শমশের ওয়াদুদ নামে একজন লোক ছাড়া আমার পক্ষে আর কেউ নেই। লোকটি মুজিবের
বড় বোনের ছেলে। এই যুবক নিউইয়র্ক থেকে এসেছে তার মামার কাছে। তার মতে মুজিব
ক্ষমতালোভী এবং নিজের সম্পর্কে অতি
উচ্চ ধারণা সম্পন্ন অহংকারী ব্যাক্তি। তার
মামা খুব মেধা সম্পন্ন নয়। বাইশ বছর
বয়েসে মুজিব হাইস্কুলের পড়াশুনা শেষ
করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতির
সচিব হিসেবে তিনি রাজনীতিতে প্রথম
প্রবেশ করেন।
এছাড়া আর কিছু করেননি তিনি। কেউ
কল্পনাও করতে পারেনি যে মুজিব
একদিন প্রধানমন্ত্রী হবেন। ওয়াদুদের
মতে, আত্মীয়স্বজনের সাথে দুর্ব্যবহারের
কারণ এটা নয়। আসলে একমাত্র
ওয়াদুদের মাকেই মুজিব ভয় করেন। এই দুঃখজনক আচরণের জন্য তিনি পারিবারিকভাবে
প্রতিবাদ জানাবেন। সে আরো জানালো যে আমার সাথে যে র্দুব্যবহার করা হয়েছে তা সে
তার মাকে বলবেন, যাতে তিনি এ ব্যাপারে মুজিবের সাথে কথা বলেন। সে আমাকে আরও
বললো যে, সরকারী দফতরে গিয়ে এ ব্যাপারে আমার প্রতিবাদ করা উচিত এবং
প্রেসিডেন্টের সাথে কথা বলা উচিত। কারণ প্রেসিডেন্ট খাঁটি ভদ্রলোক।
মুজিব সম্পর্কে সংগৃহীত তথ্যাবলী তার জন্যে বিপর্যয়কর। ১৯৭১ এর মার্চে পাকিস্তানীদের
দ্বারা সংঘটিত হত্যাকান্ডের কিছুদিন পূর্বে ইয়াহিয়া খান ও ভূট্টো ঢাকায় এসেছিলেন। ইয়াহিয়া খান তড়িঘড়ি ফিরে যান। কিন্তু ভূট্টো থেকে যান ঢাকায়। তাকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে
রাখা হয়। তার রুম নম্বর ছিল ৯১১-৯১৩।
ইন্টারকন্টিনেন্টালের সর্বোচ্চ তলায় তখন ভূট্টোর ভূমিকা ছিল নিরোর মতো। নগরী যখন
জ্বলছিল এবং এলোপাথাড়ি গুলীবর্ষণ চলছিল, ভূট্টো তখন শরাব পান করছিলেন আর
হাসছিলেন। পরদিন সকাল ৭টায় তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন। আমি দেখেছি, যারা একসময়
পাকিস্তানীদের ভয়ে ভীত ছিল, তারা এখন মুজিবকেই ভয় করে। গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা সম্পর্কে
প্রচুর কথাবার্তা চলে এদেশে। কিন্তু সবসময়ই তা বলা হয় ফিসফিসিয়ে, আতংকের সঙ্গে।
লোকজন বলাবলি করে যে, এই সংঘাতে মুজিব খুব সামান্যই খুইয়েছেন। তিনি ধনী ব্যাক্তি।
অত্যন্ত ধনবান। তার প্রত্যাবর্তনের পরদিন তিনি সাংবাদিকদেরকে হেলিকপ্টার দিয়েছিলেন।
কেউ কি জানে কেন? যাতে তারা নিজেরা গিয়ে মুজিবের সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি অবলোকন করে
আসতে পারে। এখনো তিনি সমাজতন্ত্রের কথা বলেন, জাতীয়তাবাদের কথা বলেন। তিনি
কি তার জমিজমা, বাড়ি, বিলাসবহুল ভিলা, মার্সিডিজ গাড়ি জাতীয়করণ করবেন?
ভূট্টোর সাথে মুজিবের প্রথম সাক্ষাৎ হয় ১৯৬৫ সালে, যখন তিনি ভারতের সঙ্গে পূর্ব পাকিস্তানের সীমান্তকে অরক্ষিত রাখার কারণে পশ্চিম পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করেন। একজন নেতা হিসেবে তার মূল্য ছিল খুবই কম। তার একমাত্র মেধা ছিল মূর্খ লোকদের উত্তেজিত করে তোলার ক্ষেত্রে। তিনি
ছিলেন কথামালার যাদুকর ও মিথ্যের যাদুকর – কিছুদিন আগে এক জনসভায় বক্তৃতাকালে তিনি বলেছিলেন, করাচীর রা¯তাগুলো সোনা দিয়ে মোড়া। তা দিয়ে হাঁটলে চোখ ধাঁধিয়ে যায়। অর্থনীতির কিছুই বুঝতেন না তিনি। কৃষি ছিল তার কাছে রহস্যের মতো। রাজনীতি ছিল প্রস্তুতিবিহীন। কেউ কি জানে ১৯৭০ এর নির্বাচনে তিনি কেন বিজয়ী হয়েছিলেন? কারণ সব মাওবাদীরা তাকে ভোট দিয়েছিল। সাইক্লোনে মাওবাদীদের অফিস বিধ্বস্ত হয়েছিল এবং তাদের নেতা ভাসানী আওয়ামী
লীগের পক্ষে ভোট দেয়ার সিদ্বান্ত নিয়েছিলেন। জনগণকে যদি এখন পুনরায় ভোট দিতে বলা হয়, তাহলে মুজিবের অবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্নতর হবে, যদি তিনি বন্দুকের সাহায্যে তার ইচ্ছাকে চাপিয়ে দিতে না চান। সেজন্যেই তিনি মুক্তিবাহিনীকে অস্ত্র সমর্পণের নির্দেশ দিচ্ছেননা এবং আমাদের স্মরণ রাখতে হবে যে, রক্তপিপাসু কসাই, যে ঢাকা স্টেডিয়ামে হত্যাযজ্ঞ করেছিল, সেই আবদুল কাদের
সিদ্দিকী তারই ব্যক্তিগত উপদেষ্টা। ভারতীয়রা তাকে গ্রেফতার করেছিল; কিন্তু মুজিব তাকে
মুক্ত করে দিয়েছিলেন।
·
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন