সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বিলিয়ার্ড খেলা

বিলিয়ার্ড খেলা

ইউরোপে যখন ছিলাম তখন তো ছোটই । ২৫/২৬ বছর বয়সী টগবগে উচ্ছ্বল যুবক । আমি,নিউটন,বাবু,মাইকেল,টমাস,পিটার,আযাদ বেশি ঘনিষ্ঠ ছিলাম ।
আমাদের যখন যা মন চাইতো তখন তাই করতাম । কাজের সময় ছাড়া সারাক্ষণ মজা করতাম । খাঁটি বাংলায় 'পাগলামি' । দুঃখ কি, অভাব কি জানতামও না । জীবন নিয়ে ভাবতামও না । আমেরিকায়ও কম করিনি ।
ইউরোপে রেস্টুরেন্ট, বারে, পাবে গেলেই আমরা বিলিয়ার্ড খেলতাম । আমাদের পছন্দের রেস্টুরেন্ট, বার, পাবে আলাদা সেকশনে বিলিয়ার্ড খেলার ব্যবস্থা ছিলো । আমাদের এই বার এর নাম ছিলো 'ব্যাংক কাফে'। ভিয়েনার একেবারে প্রাণকেন্দ্রে।
ব্যাটে খেলা হতো । হারলে বিয়ার, হুইস্কির বিল দেয়া আর কি । এটাই বাজি । বাবু ছিলো বা’হাতি । এই নিয়ে বাবুকে বলতাম, ডেবরার সঙ্গে কি খেলবো ? বাবু অহংকার করে বলতো, পারলে বা’হাতে

খেলে দেখাও না । বলতেই হয়, আমি ভালো বিলিয়ার্ড খেলতে পারি এবং এটা আমার বেশ প্রিয় খেলা।
কোনো গেম আমি জিতলে- শেষ বলটা পকেটে ফেলে হাতের খেলার লাঠি দিয়ে বারি মেরে বলতাম, আমার সঙ্গে আর খেলবা ? এখনো আক্কেল হয়নি ? কতো বড় সাহস আমার লগে খেলতে আইছে ! কখনো ওদের রাগানোর জন্য খেলার লাঠি হাতে লাফিয়ে লাফিয়ে কিশোর কুমারের একটা গান গাইতাম...
"খেয়ে যে লাথি ল্যাং
ভেঙে ওই গেলো ঠ্যাং
ভাঙলো মাথায় তোমার বেল
ও যাদুরে দেখলে কেমন তুমি খেল ।"
ওসব রেস্টুরেন্ট, বার, পাবে লাফালাফি খুব সাধারন ঘটনা ।
আমার অনেক ছবি হারিয়ে গেছে । আজ হঠাৎ এই ছবি তিনটা পেয়ে অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেলো । কতো দুষ্টুমি করতাম ! ছবি অনেক স্মৃতি অবিকল মনে করিয়ে দেয়। এই জন্যই আগে ছবি তোলার স্টুডিওতে বিজ্ঞাপন আকারে লেখা থাকতো " ছবি কথা বলে। "
( ছবিতে বাবু বা’হাতে খেলছে আর মেয়েটি ওয়েট্রেস ।)

 July 26, 2016

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

অশ্লীল নাম

বাংলাদেশের কিছু প্রতিষ্ঠান ও স্থানের বিচিত্র বা বিকৃত অর্থের নাম যা পরিবর্তন করা উচিতঃ ১. বোদা মহিলা মহাবিদ্যালয়, বোদা, পঞ্চগড় ২. চুমাচুমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি ৩. সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খুলনা ৪. মানুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নীলফামারি ৫. সোনাকাটা ইউনিয়ন, তালতলী, বরগুনা ৬.বড়বাল ইউনিয়ন, মিঠাপুকুর, রংপুর ৭.সোনাখাড়া ইউনিয়ন, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ৮. ধনকামড়া গ্রাম, ভোদামারা, দিনাজপুর ৯.গোয়াকাটা, দোহার, ঢাকা ১০. গোয়াতলা, ময়মনসিংহ ১১.লেংটার হাট, মতলব, চাঁদপুর