আমাদের যখন যা মন চাইতো তখন তাই করতাম । কাজের সময় ছাড়া সারাক্ষণ মজা করতাম । খাঁটি বাংলায় 'পাগলামি' । দুঃখ কি, অভাব কি জানতামও না । জীবন নিয়ে ভাবতামও না । আমেরিকায়ও কম করিনি ।
ইউরোপে রেস্টুরেন্ট, বারে, পাবে গেলেই আমরা বিলিয়ার্ড খেলতাম । আমাদের পছন্দের রেস্টুরেন্ট, বার, পাবে আলাদা সেকশনে বিলিয়ার্ড খেলার ব্যবস্থা ছিলো । আমাদের এই বার এর নাম ছিলো 'ব্যাংক কাফে'। ভিয়েনার একেবারে প্রাণকেন্দ্রে।
ব্যাটে খেলা হতো । হারলে বিয়ার, হুইস্কির বিল দেয়া আর কি । এটাই বাজি । বাবু ছিলো বা’হাতি । এই নিয়ে বাবুকে বলতাম, ডেবরার সঙ্গে কি খেলবো ? বাবু অহংকার করে বলতো, পারলে বা’হাতে
কোনো গেম আমি জিতলে- শেষ বলটা পকেটে ফেলে হাতের খেলার লাঠি দিয়ে বারি মেরে বলতাম, আমার সঙ্গে আর খেলবা ? এখনো আক্কেল হয়নি ? কতো বড় সাহস আমার লগে খেলতে আইছে ! কখনো ওদের রাগানোর জন্য খেলার লাঠি হাতে লাফিয়ে লাফিয়ে কিশোর কুমারের একটা গান গাইতাম...
"খেয়ে যে লাথি ল্যাং
ভেঙে ওই গেলো ঠ্যাং
ভাঙলো মাথায় তোমার বেল
ও যাদুরে দেখলে কেমন তুমি খেল ।"
ওসব রেস্টুরেন্ট, বার, পাবে লাফালাফি খুব সাধারন ঘটনা ।
আমার অনেক ছবি হারিয়ে গেছে । আজ হঠাৎ এই ছবি তিনটা পেয়ে অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেলো । কতো দুষ্টুমি করতাম ! ছবি অনেক স্মৃতি অবিকল মনে করিয়ে দেয়। এই জন্যই আগে ছবি তোলার স্টুডিওতে বিজ্ঞাপন আকারে লেখা থাকতো " ছবি কথা বলে। "
( ছবিতে বাবু বা’হাতে খেলছে আর মেয়েটি ওয়েট্রেস ।)
আমার অনেক ছবি হারিয়ে গেছে । আজ হঠাৎ এই ছবি তিনটা পেয়ে অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেলো । কতো দুষ্টুমি করতাম ! ছবি অনেক স্মৃতি অবিকল মনে করিয়ে দেয়। এই জন্যই আগে ছবি তোলার স্টুডিওতে বিজ্ঞাপন আকারে লেখা থাকতো " ছবি কথা বলে। "
( ছবিতে বাবু বা’হাতে খেলছে আর মেয়েটি ওয়েট্রেস ।)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন