সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

নারী, তোমার শরীর দেখানো ছাড়া কিভাবে পণ্য বিক্রি হবে বলো ?!

নারী, তোমার শরীর দেখানো ছাড়া কিভাবে পণ্য বিক্রি
হবে বলো ?!


নারী তুমি যদি গাড়ির মেলায় স্বল্পবসনে নূতন গাড়ির উপর না বসো তখন গাড়ির কোয়ালিটি বুঝা যায় না।
পুরুষ ক্রিকেটারের জার্সি প্রদর্শনের সময় যদি তুমি অর্ধউলঙ্গ হয়ে পুরুষের সামনে না হাট তখন জার্সির সৌন্দর্য ফুটে উঠেনা।
পিঠা উৎসবে তোমার খোলামেলা নাচ না দেখলে পিঠার মজা জমে উঠেনা।
আরো জানতে চাও?
মোবাইল বলো, জুতা বলো, ল্যাপটপ বলো নূতন প্রোডাক্ট প্রদর্শনের সময় তুমি অর্ধউলঙ্গ হয়ে তোমার শরীর না দেখালে পুরুষের সেই প্রোডাক্ট পছন্দ হয় না।
তুমি শ্লোগান না দিলে, সারা রাত পুরুষকে সঙ্গ না দিলে শাহবাগ জমে না, বিজ্ঞাপনে তুমি না থাকলে পুরুষের সেভিং ব্লেডে ধার আসেনা, তোমার শরীরকে মাছের মতো না বানালে এমনকি মৎস্য উৎসবও জমে না!
চিন্তা করে কি দেখেছ কখনো?! তুমি কি দামী?! তোমার শরীরের আকঁবাঁক দেখা পুরুষের প্রতিটি কাজের জন্য কতো প্রয়োজন?!
কি দারুণ এক অনুভূতি?! তাই না?!
এত আনন্দ যে নারী তুমি দিচ্ছ পুরুষকে, সেই পুরুষের নষ্ট লালসা থেকে তোমাকে মুক্ত রাখার প্রস্তাব দিয়েছে মোল্লারা এভাবে, "বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্বালনসহ সব বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে।"
হায় হায়, এটা কি হলো. এটা কি হলো?!
নষ্ট পুরুষের লালসা থেকে নারীকে মুক্ত রাখার প্রস্তাব?! অসম্ভব, অসম্ভব, হতে পারে না, হতে দেয়া হবে না!
নারীর শরীর ছাড়া নষ্টরা চলবে কিভাবে?! ওরা কি তাহলে সেভিং ক্রিম, গাড়ি, ব্লেড, ল্যাপটপ, মোবাইল সহ সব কিছু কিনা বা ব্যবহার করা ছেড়ে দিবে?! ওমা, তাহলে ওদের কি হবে? কারণ প্রতিটি প্রোডাক্টের সাথে যে ওদের নারীর অর্ধ বা পূর্ণ উলঙ্গ ছবি বা ভিডিও লাগে! এখন মোল্লাদের ওই দাবী মানলে নারীকে পণ্য বানাবে কি করে?
না না, এটা মধ্যযুগীয় বর্বর দাবী! এই দাবী মানা যায় না, মানতে দেয়া হবে না! প্রতিহত করা হবে! মোল্লাদের এই দেশ ছাড়া করা হবে! নষ্টদের লালসায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা সরাসরি স্বাধীনতার চেতনার বিরোধী! ত্রিশলক্ষ শহীদের বিনিময়ে পাওয়া এই স্বাধীন দেশে নারীর শরীর না দেখে পণ্য কিনা হবে, উৎসব করা হবে, তা হতেই পারে না!
মোল্লাদের ওই ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এবার তৃতীয় মুক্তিযুদ্ধ শুরু হবে! কি দুঃসাহস! যে নারীর শরীর কামনা তৈরি করে, পণ্যের গুণাগুণ বাড়িয়ে দেয়, উৎসবের আনন্দের পূর্ণতা দেয় সেই নারীকে এসব থেকে মুক্ত রাখার দাবী, কখনোই মানা যায় না! প্রগতিশীল পুরুষের লালসা পুরণে বাঁধা, রাষ্ট্র কখনোই মানতে পারে না!
সৌজন্য :: কর্পোরেট ভালোবাসা।
 July 25, 2018 at 10:00 PM ·

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

অশ্লীল নাম

বাংলাদেশের কিছু প্রতিষ্ঠান ও স্থানের বিচিত্র বা বিকৃত অর্থের নাম যা পরিবর্তন করা উচিতঃ ১. বোদা মহিলা মহাবিদ্যালয়, বোদা, পঞ্চগড় ২. চুমাচুমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি ৩. সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খুলনা ৪. মানুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নীলফামারি ৫. সোনাকাটা ইউনিয়ন, তালতলী, বরগুনা ৬.বড়বাল ইউনিয়ন, মিঠাপুকুর, রংপুর ৭.সোনাখাড়া ইউনিয়ন, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ৮. ধনকামড়া গ্রাম, ভোদামারা, দিনাজপুর ৯.গোয়াকাটা, দোহার, ঢাকা ১০. গোয়াতলা, ময়মনসিংহ ১১.লেংটার হাট, মতলব, চাঁদপুর