“ঐ যে মেয়েটার কথা লিখেছেন,যার পা দেখেছেন, রূপের বর্ণনা দিয়েছেন । এমন
কোন মেয়ে সত্যিই কি আছে, যার প্রেমে পড়েছেন আপনি ? যদি তেমন হয়
আপনি তাকে বিয়ে করুন করিম । আমি চোখ বন্ধ করলেই দেখতে পাই, বৃষ্টিতে ভিজে
যাওয়া ঘর মুছছেন আপনি, সিগারেট টা মুখে নিয়ে উদাসভাবে মনটা খারাপ করে
জানালা দিয়ে ঢাকা-কুমিল্লা সড়কের দিকে তাঁকিয়ে আছেন আপনি । মনে মনে বলি,
আহারে আহারে । আমি ব্যাক্তিগতভাবে খুব দুঃখী একটা মেয়ে করিম । আমাকে কেউ
বোঝেনা । অবশ্য আমি চাইও না আমাকে কেউ বুঝুক । সবসময় হাসিখুশি থাকি । আমি
আপনার প্রতিটা লেখা খুব মনযোগ দিয়ে পড়ি । এবং আপনাকে উপলব্ধি করার চেষ্টা
করি । আপনি এত বড় মাপের একজন লেখক যে মাঝে মাঝে মনে হয় আপনার লেখায় কমেন্ট
করার কোন যোগ্যতাই আমার নেই । আপনার এত বড় প্রতিভা শুধু যত্নের অভাবে নষ্ট
হয়ে যাচ্ছে করিম । তাই বলছি, যার কথা ফেইসবুকে লিখেছেন তাকে বিয়ে করুন । সে
কে ? আমাকে কি বলা যাবে ? না না অসুবিধা থাকলে বলতে হবে না । তবে আপনি
বিয়ে করলে, সুখী হলে আমার মতো আনন্দিত কেউ হবে না । আমি আল্লাহ্কে বলি,
"হে আল্লাহ্ এই নিঃসঙ্গ গুণী মানুষটার প্রতি তুমি তোমার রহমতের হাত বাড়িয়ে
দাও " (আমিন)”।
ফেসবুক লগ ইন করে দেখি ইনবক্সে এই ম্যাসেজটা । তিনি আমাকে চেনেন ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে । তিনিই আমাকে ফোন করেছিলেন মৌচাকে ঢিলের ভালোবাসা সংখ্যায় আমার ‘জেমিমা’ লেখাটি পড়ে । তিনি বিবাহিতা এবং সন্তানের জননী । বাড়ি রাজশাহী । আমাকে যথেষ্ট রেসপেক্ট করেন । আগে প্রায়ই তিনি ফোন করে কথা বলতেন আমার সঙ্গে। পরে প্রকাশিত আমার অন্য লেখাগুলো পড়েও তিনি ফোন করতেন। কিছুদিন হয় তিনি আমার ফেসবুকে বন্ধুও হয়েছেন ।
আমি ইনবক্সে চ্যাট করতে পছন্দ করি না । তাঁকে শুধু লিখেছি, ‘তোমার এই ম্যাসেজটা কোট করে আমি কি কিছু লিখতে পারি আজ?’
তিনি বলেছেন পারেন, তবে আমার নাম উল্লেখ করবেন না । তবু বন্ধুদের বলি,তার নাম কাঁকন।
তার ম্যাসেজের উত্তরে যে কথাগুলো আমি বলতাম, তাই এখন লিখছি । আশা করি তিনিও পড়বেন । অনেক বিবাহিতা মহিলারাই স্বামী সন্তান নিয়ে নির্বিঘ্নে জীবন যাপন করে স্বচ্ছন্দ স্বচ্ছলতায় । তারা ফেসবুকও চালান । বন্ধুত্বও করেন । কেউ কেউ ভালোও বাসেন । পরক্ষণে আবার বদলেও যান খুব তাড়াতাড়ি ।
সে জন্যই হয়তো হুমায়ুন আহমেদ বলেছিলেন...
“প্রতিটি মেয়েই নিষ্ঠুর হওয়ার অসীম ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়।"
আমার মনে পড়ে গেলো অনেক বছর আগের পড়া যাযাবরের 'দৃষ্টিপাত' উপন্যাসের কিছু কথা । যতদূর মনে পড়ছে অগোছালোভাবে সেটুকুই লিখছি...
'তবু আমরা মেধাহীনের দল একথা কখনো মানি না যে, যে বঞ্চনা করলো, হৃদয় নিয়ে করলো ব্যঙ্গ, দুধ বলে দিলো পিটুলি,- তারই হলো জিত, আর ঠকলো সে, যে উপহাসের পরিবর্তে দিলো প্রেম । অতি দুর্বল শান্তনা । বুদ্ধি দিয়ে, রবি ঠাকুরের কবিতা আবৃতি করে বলা সহজ-
‘জীবনের ধন কিছুই যাবে না ফেলা, ধুলোয় তাদের যতো হোক অবহেলা ।'
কিন্তু জীবন তো মানুষের সম্পর্ক বিবর্জিত একটা নিছক তর্ক মাত্র নয় । শুধু কথা গেঁথে গেঁথে ছন্দ রচনা করা যায়, জীবন ধারণ করা যায় না ।
আমি হচ্ছি সেই পুরুষ, যারা কিছুই হাতে রাখতে জানে না । এঁদের কপালে দুঃখ অনিবার্য । এ দারুণ ইনফ্লেশনের বাজারেও সংসারে শুধু হৃদয়ের দাম খুব বেশি নয় ।
সে নারী, প্রেম তাঁর কাছে একটা সাধারণ ঘটনা মাত্র । আবিস্কার নয়, যেমন পুরুষের কাছে । মেয়েরা স্বভাবত সাবধানী, ছেলেরা স্বভাবতই বেপোরোয়া । প্রেম মেয়েদের কাছে একটা প্রয়োজন, সেটা আটপৌরে শাড়ির মতো নিতান্তই সাধারণ; তাতে না আছে উল্লাস, না আছে বিস্ময়, না আছে উচ্ছলতা । ছেলেদের কাছে প্রেম জীবনের দুর্লভ বিলাস, গরিবের ঘরে বেনারসী শাড়ির মতো ঐশ্বর্যময়, যে পায় সে অনেক দাম দিয়েই পায় । তাই প্রেমে পড়ে একমাত্র পুরুষেরাই করতে পারে দুরূহ ত্যাগ এবং দুঃসাধ্য সাধন ।
জগতে যুগে যুগে কিং এডওয়ার্ডরাই করেছে মিসেস সিম্পসনের জন্য রাজ্য বর্জন, প্রিন্সেস এলিজাবেথরা করেনি কোনো জন, স্মিথ বা ম্যাকেঞ্জির জন্য সামান্যতম ত্যাগ । বিবাহিতা নারীকে ভালোবেসে সর্বদেশে সর্বকালে আজীবন নিঃসঙ্গ জীবন কাটিয়েছে একাধিক পুরুষ; পরের স্বামীর প্রেমে পড়ে কোনোদিন কোনো নারী রয়নি চিরকুমারী ।'
ফেসবুক লগ ইন করে দেখি ইনবক্সে এই ম্যাসেজটা । তিনি আমাকে চেনেন ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে । তিনিই আমাকে ফোন করেছিলেন মৌচাকে ঢিলের ভালোবাসা সংখ্যায় আমার ‘জেমিমা’ লেখাটি পড়ে । তিনি বিবাহিতা এবং সন্তানের জননী । বাড়ি রাজশাহী । আমাকে যথেষ্ট রেসপেক্ট করেন । আগে প্রায়ই তিনি ফোন করে কথা বলতেন আমার সঙ্গে। পরে প্রকাশিত আমার অন্য লেখাগুলো পড়েও তিনি ফোন করতেন। কিছুদিন হয় তিনি আমার ফেসবুকে বন্ধুও হয়েছেন ।
আমি ইনবক্সে চ্যাট করতে পছন্দ করি না । তাঁকে শুধু লিখেছি, ‘তোমার এই ম্যাসেজটা কোট করে আমি কি কিছু লিখতে পারি আজ?’
তিনি বলেছেন পারেন, তবে আমার নাম উল্লেখ করবেন না । তবু বন্ধুদের বলি,তার নাম কাঁকন।
তার ম্যাসেজের উত্তরে যে কথাগুলো আমি বলতাম, তাই এখন লিখছি । আশা করি তিনিও পড়বেন । অনেক বিবাহিতা মহিলারাই স্বামী সন্তান নিয়ে নির্বিঘ্নে জীবন যাপন করে স্বচ্ছন্দ স্বচ্ছলতায় । তারা ফেসবুকও চালান । বন্ধুত্বও করেন । কেউ কেউ ভালোও বাসেন । পরক্ষণে আবার বদলেও যান খুব তাড়াতাড়ি ।
সে জন্যই হয়তো হুমায়ুন আহমেদ বলেছিলেন...
“প্রতিটি মেয়েই নিষ্ঠুর হওয়ার অসীম ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়।"
আমার মনে পড়ে গেলো অনেক বছর আগের পড়া যাযাবরের 'দৃষ্টিপাত' উপন্যাসের কিছু কথা । যতদূর মনে পড়ছে অগোছালোভাবে সেটুকুই লিখছি...
'তবু আমরা মেধাহীনের দল একথা কখনো মানি না যে, যে বঞ্চনা করলো, হৃদয় নিয়ে করলো ব্যঙ্গ, দুধ বলে দিলো পিটুলি,- তারই হলো জিত, আর ঠকলো সে, যে উপহাসের পরিবর্তে দিলো প্রেম । অতি দুর্বল শান্তনা । বুদ্ধি দিয়ে, রবি ঠাকুরের কবিতা আবৃতি করে বলা সহজ-
‘জীবনের ধন কিছুই যাবে না ফেলা, ধুলোয় তাদের যতো হোক অবহেলা ।'
কিন্তু জীবন তো মানুষের সম্পর্ক বিবর্জিত একটা নিছক তর্ক মাত্র নয় । শুধু কথা গেঁথে গেঁথে ছন্দ রচনা করা যায়, জীবন ধারণ করা যায় না ।
আমি হচ্ছি সেই পুরুষ, যারা কিছুই হাতে রাখতে জানে না । এঁদের কপালে দুঃখ অনিবার্য । এ দারুণ ইনফ্লেশনের বাজারেও সংসারে শুধু হৃদয়ের দাম খুব বেশি নয় ।
সে নারী, প্রেম তাঁর কাছে একটা সাধারণ ঘটনা মাত্র । আবিস্কার নয়, যেমন পুরুষের কাছে । মেয়েরা স্বভাবত সাবধানী, ছেলেরা স্বভাবতই বেপোরোয়া । প্রেম মেয়েদের কাছে একটা প্রয়োজন, সেটা আটপৌরে শাড়ির মতো নিতান্তই সাধারণ; তাতে না আছে উল্লাস, না আছে বিস্ময়, না আছে উচ্ছলতা । ছেলেদের কাছে প্রেম জীবনের দুর্লভ বিলাস, গরিবের ঘরে বেনারসী শাড়ির মতো ঐশ্বর্যময়, যে পায় সে অনেক দাম দিয়েই পায় । তাই প্রেমে পড়ে একমাত্র পুরুষেরাই করতে পারে দুরূহ ত্যাগ এবং দুঃসাধ্য সাধন ।
জগতে যুগে যুগে কিং এডওয়ার্ডরাই করেছে মিসেস সিম্পসনের জন্য রাজ্য বর্জন, প্রিন্সেস এলিজাবেথরা করেনি কোনো জন, স্মিথ বা ম্যাকেঞ্জির জন্য সামান্যতম ত্যাগ । বিবাহিতা নারীকে ভালোবেসে সর্বদেশে সর্বকালে আজীবন নিঃসঙ্গ জীবন কাটিয়েছে একাধিক পুরুষ; পরের স্বামীর প্রেমে পড়ে কোনোদিন কোনো নারী রয়নি চিরকুমারী ।'
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন