দুরন্তপনা
দুরন্তপনার আর শেষ নেই আমার । তখন আমি রীতিমত পাঁচ বছর বয়সী এক মেয়ের বাবা । পাঁচ বছর আগে কুয়ালালামপুর ক্যারিফোর-(Carrefour) ডিপার্টমেন্ট ষ্টোরে । এটি ঠিক আমেরিকার ওয়াল মার্টের(Wal Mart) সমান বড় । ধনে পাতা ,শুটকি থেকে বলতে গেলে সব কিছু পাওয়া যায় এতে । গিয়েছিলাম হাফপ্যান্ট কিনতে । ঘরে চালানোর ( ব্যায়াম করার) সাইকেল দেখে চালাতে ইচ্ছা করলো । একজন সেলস গার্লকে ডেকে ছবি তুলতে বলায় সে জিহ্বায় কামড় দিয়ে হাত নেড়ে বুঝালো এটা নিষেধ । তাকে বললাম, আমি যদি এটা কিনি তবে কি চেক করবো না ? সে আমতা আমতা করে বললো, ছবি তোলা নিষেধ । তাকে বুঝিয়ে বললাম, ছবি একটা স্মৃতি । দাও না এক দুইটা ছবি তুলে । এখানে তো ম্যানেজমেন্টের কেউ নেই । আরো একটু পাম্প দেয়াতে মেয়েটি রাজি হয়ে ২টা মাত্র ছবি তুলতেই কোত্থেকে যেন আজরাইলের মতো এসে এক ভদ্রলোক হাজির হলো । তার গায়ের রঙ বেশ কালো । খুব লম্বা । তাকে দেখেই আমি বুঝেছি সে শ্রিলংকার তামিল । মালয়শিয়াতে প্রচুর তামিল আছে । মালয়শিয়ার চাকরি এবং বিজনেসে তামিলরা প্রভাবশালী । তাদের জন্য মালয়শিয়াতে রাজনৈতিক আশ্রয়ের ব্যবস্থা আছে । এলটিটিই অনেক বছর ধরে শ্রীলঙ্কার সিংহলিদের সঙ্গে যুদ্ধরত ছিলো স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে । শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কান সরকার এলটিটিইর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক যুদ্ধ ঘোষণা করে এবং রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে তাদের প্রধান নেতা এলটিটিইর প্রধান প্রভাকরণ মারা যান । সেই থেকে শ্রীলঙ্কা একটু শান্ত ।
তামিল লোকটি এসে প্রথমেই আমাকে কিছুটা ধমকের সুরে বললো, তুমি ছবি তুলেছো কেন ? আর এই সাইকেলের উপরে উঠেছো কেন ? আমি কোনো সঠিক জবাব না পেয়ে তাকে পালটা প্রশ্ন করলাম, আমি এই সাইকেলে বসেছি বলে কি সাইকেলটা ক্ষয় হয়ে গেছে ? আর ছবি তুলেছি তো কি হয়েছে ? আমি কি তোমার স্টোর নিয়ে গেছি ? আমি যদি সাইকেলটা কিনি তবে কি চেক করবো না ? সে কিছুটা রেগে বল
লো, আমি জানি তুমি এই সাইকেলটা কিনবা না । আমিও কিছুটা রেগে বললাম, আমি ঠিকই সাইকেলটা কিনতাম কিন্তু তোমার এমন ধারণার কারণে আমি এটা আর কিনবো না । তার সঙ্গে কিছুক্ষণ তর্কাতর্কি করে আমি গার্মেন্টস সেকশনে চলে যেতেই সে পেছন থেকে ডেকে বললো, ছবিগুলো ডিলিট করে দিতে । আমি শুধু 'ওকে' বললাম । প্রসঙ্গতঃ আমি তামিলদের লাইক করি না । কেন তা আরেকদিন বলবো ।
দুরন্তপনার আর শেষ নেই আমার । তখন আমি রীতিমত পাঁচ বছর বয়সী এক মেয়ের বাবা । পাঁচ বছর আগে কুয়ালালামপুর ক্যারিফোর-(Carrefour) ডিপার্টমেন্ট ষ্টোরে । এটি ঠিক আমেরিকার ওয়াল মার্টের(Wal Mart) সমান বড় । ধনে পাতা ,শুটকি থেকে বলতে গেলে সব কিছু পাওয়া যায় এতে । গিয়েছিলাম হাফপ্যান্ট কিনতে । ঘরে চালানোর ( ব্যায়াম করার) সাইকেল দেখে চালাতে ইচ্ছা করলো । একজন সেলস গার্লকে ডেকে ছবি তুলতে বলায় সে জিহ্বায় কামড় দিয়ে হাত নেড়ে বুঝালো এটা নিষেধ । তাকে বললাম, আমি যদি এটা কিনি তবে কি চেক করবো না ? সে আমতা আমতা করে বললো, ছবি তোলা নিষেধ । তাকে বুঝিয়ে বললাম, ছবি একটা স্মৃতি । দাও না এক দুইটা ছবি তুলে । এখানে তো ম্যানেজমেন্টের কেউ নেই । আরো একটু পাম্প দেয়াতে মেয়েটি রাজি হয়ে ২টা মাত্র ছবি তুলতেই কোত্থেকে যেন আজরাইলের মতো এসে এক ভদ্রলোক হাজির হলো । তার গায়ের রঙ বেশ কালো । খুব লম্বা । তাকে দেখেই আমি বুঝেছি সে শ্রিলংকার তামিল । মালয়শিয়াতে প্রচুর তামিল আছে । মালয়শিয়ার চাকরি এবং বিজনেসে তামিলরা প্রভাবশালী । তাদের জন্য মালয়শিয়াতে রাজনৈতিক আশ্রয়ের ব্যবস্থা আছে । এলটিটিই অনেক বছর ধরে শ্রীলঙ্কার সিংহলিদের সঙ্গে যুদ্ধরত ছিলো স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে । শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কান সরকার এলটিটিইর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক যুদ্ধ ঘোষণা করে এবং রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে তাদের প্রধান নেতা এলটিটিইর প্রধান প্রভাকরণ মারা যান । সেই থেকে শ্রীলঙ্কা একটু শান্ত ।
তামিল লোকটি এসে প্রথমেই আমাকে কিছুটা ধমকের সুরে বললো, তুমি ছবি তুলেছো কেন ? আর এই সাইকেলের উপরে উঠেছো কেন ? আমি কোনো সঠিক জবাব না পেয়ে তাকে পালটা প্রশ্ন করলাম, আমি এই সাইকেলে বসেছি বলে কি সাইকেলটা ক্ষয় হয়ে গেছে ? আর ছবি তুলেছি তো কি হয়েছে ? আমি কি তোমার স্টোর নিয়ে গেছি ? আমি যদি সাইকেলটা কিনি তবে কি চেক করবো না ? সে কিছুটা রেগে বল
লো, আমি জানি তুমি এই সাইকেলটা কিনবা না । আমিও কিছুটা রেগে বললাম, আমি ঠিকই সাইকেলটা কিনতাম কিন্তু তোমার এমন ধারণার কারণে আমি এটা আর কিনবো না । তার সঙ্গে কিছুক্ষণ তর্কাতর্কি করে আমি গার্মেন্টস সেকশনে চলে যেতেই সে পেছন থেকে ডেকে বললো, ছবিগুলো ডিলিট করে দিতে । আমি শুধু 'ওকে' বললাম । প্রসঙ্গতঃ আমি তামিলদের লাইক করি না । কেন তা আরেকদিন বলবো ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন