দামাল ছেলে এবং মেয়েরা!!!
গত ৫ দিন ঢাকার রাজপথে বাংলার দামাল ছেলেরা (এবং অবশ্যই মেয়েরা) যা করে দেখিয়েছে- ৭১ এর পর মনে হয় আর দেখেনি কেউ।
* তারা অহিংস আন্দোলনের প্রতিজ্ঞা নিয়ে পথে নেমেছে...
* তারা সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একত্রিত হয়ে কাজ করেছে...
* তারা নতুন নতুন চমৎকার সব স্লোগান তৈরি করে প্ল্যাকার্ড বানিয়ে জনগণকে জাগ্রত করেছে...
* মোটর সাইকেলের জন্য আলাদা লেন, রিকশার আলাদা লেন, ভারী যানবাহনের আলাদা লেন, প্রাইভেট গাড়ির আলাদা লেন আবার জরুরি ব্যবস্থার (অ্যাম্বুলেন্স কিংবা ফায়ার সার্ভিস) জন্য সম্পূর্ণ আলাদা ফাঁকা একটি লেন... এটা এতদিন স্বপ্নেও ভাবা যায়নি। আশাতীত সফলতার সাথে জনগণের বহু কাঙ্ক্ষিত এই 'লেন' সমস্যার সমাধান করেছে পুঁচকে ছেলেপুলেগুলো... কি সুন্দর পিঁপড়ার মতো সারিবদ্ধ হয়ে চলেছে সকল যানবাহন...! এমন কি রিকশা কিংবা সিএনজি অটোরিকশা সুযোগ বুঝে তাদের সামনে চাকা অন্য লেনে ঢুকিয়ে বসে থাকেনি...!
* প্রতিটা বাস, গাড়ি, মোটর সাইকেলের বৈধ কাগজপত্র আছে কিনা এবং ড্রাইভিং সিটে বসা চালকের বৈধ লাইসেন্স আছে কিনা তা পরীক্ষা করেছে... কি আশ্চর্য এই বিষয়ে তারা পুলিশ, বিচারবিভাগ কর্মকর্তা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, বিজিবি, মন্ত্রী, মিডিয়া কাউকেই ছাড় দেয়নি...!
* কাগজপত্র পরীক্ষা কিংবা অন্য কোনও কারণে রাস্তা কিছুক্ষণ আটকে থাকলেও চলাফেরায় শারীরিক ভাবে অসমর্থ মানুষকে পার হয়ে যেতে ঠিকই সাহায্য করেছে তারা... এমনকি একজন রিকশাচালক অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় তাকে রিকশায় তুলে নিজেরা চালিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেছে কয়েকজন ছাত্র..!
* নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় চট্টগ্রামে ভাঙা রাস্তা মেরামত করতেও দেখা গেছে ছাত্র ছাত্রীদের...!
* সারাদিনের কর্মসূচির পর রাস্তা ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করে রাখার কাজটাও এরা নিজেরাই করেছে...
* সবচেয়ে বড় ব্যাপার যেটা আমার কাছে অদ্ভুত লেগেছে- এদের কোনও নেতা নেই...! এরা প্রত্যেকেই নেতা-প্রত্যেকেই কর্মী...! নেতা হবার হাতছানি তাদের এখনও পেয়ে বসেনি...
স্যালুট... তোমাদের যা করবার কথা না তোমরা তার চাইতেও বেশি করেছ... রাষ্ট্র এবং পুরো সমাজকে দেখিয়ে দিয়েছ যে সত্যিকারের ইচ্ছা আর সৎ সাহস থাকলে সব পারা যায়...
·
গত ৫ দিন ঢাকার রাজপথে বাংলার দামাল ছেলেরা (এবং অবশ্যই মেয়েরা) যা করে দেখিয়েছে- ৭১ এর পর মনে হয় আর দেখেনি কেউ।
* তারা অহিংস আন্দোলনের প্রতিজ্ঞা নিয়ে পথে নেমেছে...
* তারা সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একত্রিত হয়ে কাজ করেছে...
* তারা নতুন নতুন চমৎকার সব স্লোগান তৈরি করে প্ল্যাকার্ড বানিয়ে জনগণকে জাগ্রত করেছে...
* মোটর সাইকেলের জন্য আলাদা লেন, রিকশার আলাদা লেন, ভারী যানবাহনের আলাদা লেন, প্রাইভেট গাড়ির আলাদা লেন আবার জরুরি ব্যবস্থার (অ্যাম্বুলেন্স কিংবা ফায়ার সার্ভিস) জন্য সম্পূর্ণ আলাদা ফাঁকা একটি লেন... এটা এতদিন স্বপ্নেও ভাবা যায়নি। আশাতীত সফলতার সাথে জনগণের বহু কাঙ্ক্ষিত এই 'লেন' সমস্যার সমাধান করেছে পুঁচকে ছেলেপুলেগুলো... কি সুন্দর পিঁপড়ার মতো সারিবদ্ধ হয়ে চলেছে সকল যানবাহন...! এমন কি রিকশা কিংবা সিএনজি অটোরিকশা সুযোগ বুঝে তাদের সামনে চাকা অন্য লেনে ঢুকিয়ে বসে থাকেনি...!
* প্রতিটা বাস, গাড়ি, মোটর সাইকেলের বৈধ কাগজপত্র আছে কিনা এবং ড্রাইভিং সিটে বসা চালকের বৈধ লাইসেন্স আছে কিনা তা পরীক্ষা করেছে... কি আশ্চর্য এই বিষয়ে তারা পুলিশ, বিচারবিভাগ কর্মকর্তা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, বিজিবি, মন্ত্রী, মিডিয়া কাউকেই ছাড় দেয়নি...!
* কাগজপত্র পরীক্ষা কিংবা অন্য কোনও কারণে রাস্তা কিছুক্ষণ আটকে থাকলেও চলাফেরায় শারীরিক ভাবে অসমর্থ মানুষকে পার হয়ে যেতে ঠিকই সাহায্য করেছে তারা... এমনকি একজন রিকশাচালক অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় তাকে রিকশায় তুলে নিজেরা চালিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেছে কয়েকজন ছাত্র..!
* নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় চট্টগ্রামে ভাঙা রাস্তা মেরামত করতেও দেখা গেছে ছাত্র ছাত্রীদের...!
* সারাদিনের কর্মসূচির পর রাস্তা ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করে রাখার কাজটাও এরা নিজেরাই করেছে...
* সবচেয়ে বড় ব্যাপার যেটা আমার কাছে অদ্ভুত লেগেছে- এদের কোনও নেতা নেই...! এরা প্রত্যেকেই নেতা-প্রত্যেকেই কর্মী...! নেতা হবার হাতছানি তাদের এখনও পেয়ে বসেনি...
স্যালুট... তোমাদের যা করবার কথা না তোমরা তার চাইতেও বেশি করেছ... রাষ্ট্র এবং পুরো সমাজকে দেখিয়ে দিয়েছ যে সত্যিকারের ইচ্ছা আর সৎ সাহস থাকলে সব পারা যায়...
·
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন