সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ওয়াই-ফাই এর ক্ষতিকারক দিক


ওয়াই-ফাই এর ক্ষতিকারক দিক

তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে ওয়াই-ফাই নেই এমন বাড়ি বা অফিস খুঁজে পাওয়া যাবে না। প্রায় সব বাসা-বাড়ি, অফিস, দোকানেই ওয়াই-ফাই ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু ওয়াই-ফাই কতটা ক্ষতি করছে সে বিষয়টি অনেকেরই অজানা।
ওয়াই-ফাইয়ের কারণে আমরা মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছি। বিশেষ করে শিশুদের জন্য ওয়াই-ফাই একটি নীরব ঘাতক। শিশুদের মস্তিষ্ক এবং ঘুমের ক্ষেত্রে মারাত্মক ক্ষতি বয়ে আনছে ওয়াই-ফাই।
এই ক্ষতিগুলো সরাসরি চোখে দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু ধীরে ধীরে তা আমাদের শরীরে এমন সব নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে যা আমাদের মৃত্যু দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ওয়াই-ফাইয়ের কারণে যেসব ক্ষতি হচ্ছে সেগুলো দেখে নিন-
শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত:
ওয়াই-ফাই থেকে নির্গত নন-থার্মাল রেডিও ফ্রিকুয়েন্সি কোষের স্বাভাবিক বিকাশে বাধা প্রদান করে। বিশেষ করে ভ্রূণের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। এই রেডিয়েশনের কারণে টিস্যুর স্বাভাবিক উন্নয়ন ব্যহত হয়। এতে করে শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়:
ওয়াই-ফাই মারাত্মকভাবে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। ওয়াই-ফাই এবং মোবাইল ফোন থেকে নির্গত কম মাত্রার কম্পনাঙ্ক ঘুমের স্বাভাবিক মাত্রা নষ্ট করে। ফলে পর্যাপ্ত ঘুম সম্ভব হয় না। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে তা শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকর তা আমরা সবাই জানি। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের পর্যাপ্ত ঘুম না হলে কর্মক্ষমতা নষ্ট হয় এবং শরীরে নানা ধরনের রোগ বাসা বাধতে পারে।
মস্তিষ্কের ক্ষতিসাধন:
ওয়াই-ফাইয়ের কারণে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়, মনোযোগ বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা হ্রাস পায়। এতে করে স্মৃতি হারানোর মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।
ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়:
ওয়াই-ফাই থেকে নির্গত ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
(যারা বাসায় ব্যক্তিগতভাবে নেট ব্যবহার করেন অল্প কয়টা টাকার জন্য ওয়াই-ফাই ব্যবহার না করাই ভালো। অনেকেই ওয়াই-ফাইয়ের কারনে এখন টিভি না দেখে ইউটিউব দেখেন। মাগনা পেলে যা হয় আর কি।)

 August 4, 2017 ·

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

ফেবুতে মেয়েদের পোস্ট

ফেবুতে মেয়েদের পোস্ট সকালে ঘুম ভেঙে দেখি আট টা বাজে । শরীরটাও বেশি ভালো লাগছে না । আবার ঘুমাল াম । ১১টায় উঠলাম । ২ মগ চা খেলাম ( বাজারের হিসেবে ৮ কাপ হবে)। সবাই জানেন আমি স্মোক করি । চেইন স্মোকার । কম্পিউটার খোঁচাখুঁচি করে নিজে নিজেই ঠিক করলাম । প্রায় দুই ঘন্টা । আমি থাকি চার তলায় । দুপুর ১টা বাজে । খেতেও ইচ্ছে করছে না কিছু । তখনো মুখ ধুই নি । কম্পিউটারে খোঁচাখোঁচি করতে গিয়ে দেখি এক মেয়ে তার পা’য়ের একটা ছবি আপলোড করেছে । দেখলাম এই পা মানে ঠ্যাং এর ছবিতে লাইক পড়েছে ৯৪৭ টা । কমেন্ট অসংখ্য । ‘কতো সুন্দর এই পা । না জানি তুমি কতো সুন্দর । পা তো নয় যেন একটা গোলাপ ফুল’ । এ জাতীয় অনেক কমেন্ট । আমি পোষ্ট টা দেখে কিছুটা অবাক হলাম । একটা ঠ্যাং এর এতো কদর ! প্রায়ই লক্ষ্য করি, মেয়েরা যখনি কিছু আপলোড করে সেটা তাদের পায়ের ছবিই হোক,হাতের ছবিই হোক আর নাকের ছবিই হোক বা এক চোখের ছবিই হোক সে সব ছবিতে অগনিত লাইক আর কমেন্ট । মেয়ে বন্ধুদের ছোট করার জন্য বলছি না, ফেবুতে প্রায়ই দেখি মেয়েরা কোনো ছবি বা দু এক লাইন হাবিজাবি লিখলে লাইক আর কমেন্টের বন্যা বয়ে যায় । অনেক মেয়েরা শখ করে পিঠা, ...