সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

TO WHOM IT MAY CONCER

TO WHOM IT MAY CONCERN
" রাজাকার কাহিনীর অর্ধ শতক "
রাজাকার রাজাকার বলে, " র " চক্র যখন আজও - কারণে -অকারণে , আকাশ বাতাস তোলপাড় করে বেড়ায় , তখন কিছু কথা বলতেই হয় ।
*
১৯৭১ সনে পুলিশ আর আনসার বাহিনীর মত পাকিস্তান সরকার রাজাকার নামে একটি বাহিনী গঠন করেছিল ।এই বাহিনী গঠনে তারা দেশের সাধারণ মানুষের মতামত গ্রহণ করেনি । দেশের ডান, বাম রাজনীতি এবং রাজনীতির বাইরের কিছু মানুষও -তখন রাজাকারে যোগ দিয়েছিল।
গ্রাম বাসি, সাধারণ মানুষ , পাকিস্তান পন্থী যারা ভারতীয় ডোমিনেশন এবং হিন্দুস্তানের আগ্রাসী ভূমিকা কে মন থেকে কখনও কোন অবস্থায় মেনে নিতে পারেনি।তাদের অনেকে তখন গ্রাম ছেড়ে টাউনে এসে ,ভাসমান,বেকার ছিল । অনেকের সাথে এদের থেকেও কেউ কেউ রাজাকারে যোগ দিয়েছে।
বাজে প্রকৃতির মানুষ সমাজে আছে। রাজাকারও এই সমাজের একটি অংশ।তবে ওই প্রতিকূল অবস্থার মাঝেও অনেক রাজাকার সহমর্মিতার সুন্দর অনেক কাহিনী রেখেছে যা আজ আর বলতে দেওয়া হয়না ।
কৌশল গত কারণে অনেক পরিবারে একজন রাজাকার অন্য জন মুক্তি যোদ্ধা এরূপ হাজারো উদাহরণ আছে।
জাতীয় জীবনের শ্রেষ্ট অর্জন স্বাধীনতা ও মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাস। স্বাধীনতা অর্জনের পথে রাজাকার নেগেটিভ ইতিহাসে থাকলেও স্বাধীনতা রক্ষার ইতিহাসে রাজাকার নাম টি পজেটিভ ভাবে থা ক বে -বলেই অনেকে মনে করেন ।
*
কিছু মানুষ এমন ভাবে অপ প্রচার করে মনে হয় - হিটলার, মুসোলিনি , টিক্কা খান , ইয়াহিয়া খান এর শক্তি কেও- রাজাকাররা ছাড়িয়ে গিয়েছিলো এতই নাকি ছিল তাদের প্রভাব ও প্রতিপত্তি - এবং ক্ষমতা । এটি এক মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ।
*
* রাজাকার এর বাপ্ মা নেই। ওদের বিরুদ্ধে বললে কেউ প্রতিবাদ করবে না , এই সুযোগ টাই " অনেকে নিচ্ছে। অনেক নেয্য কথা এবং নেয্য কাজও - রাজাকার লেবেল লাগিয়ে দাবিয়ে দেবার চেষ্টা চলছে।
পাকিস্তান পন্থীরা পাকিস্তান ভাঙুক এটা চাইনি। আগামী তে কোন -মানুষ আর যেন ১৯৪৭, ১৯৭১ এর মত ,ভারতের ভূমিকার বিপক্ষে না যায় -এটা কনফার্ম করতে - জেনে বুঝেই " র " অপ প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।গত অর্ধ শতক রাজাকার জিকির তুলে- বিভেদ , বিদ্বেষ,অনৌক্য ছাড়া আর কি পেয়েছি ?
*
পাকিস্তান থেকে মুক্ত হয়ে -ভারতের কাছে -" স্বাধীনতার বন্ধকী "? কোন দেশ প্রেমিক কখনও মানবে না। তাই জাতিকে "বিভেদর দেওয়াল" - তুলে দুর্বল করে রাখার পলিসি " র " নিয়েছে।এটা একটি অপ কৌশল।
* দেশে দাড়ি , টুপি বিরোধিতার আবরনে মুসলিম বিরোধিতার কৌশলের মত সংম্পপূর্ণ ডিফেঞ্চ হীন রাজাকার দের ধর্ষক বানিয়ে কৌশলে মুসলিম ইতিহাসকে ধর্ষক এবং নিচু দেখানোর চাণক্য রাজনীতি তারা চালাচ্ছে । একদিকে মুসলমান ধর্ষক - অন্য দিকে মেরুদন্ড হীন চো ..দ . ন.. খাওয়া মানুষ। এটি দু মুখী অপো প্রচার।
* সকল অপরাধীর বিচার্ হোক এই দাবি উঠা উচিত।*
*
এই দাবি উঠলে শাহরিয়ার কবিরদের মত " র " এজেন্টদের - বিচিতে টান পড়তো।এই সব "র" - এজেন্ট - তখন বাপ্ বাপ্ বলে পালাতো ।তখন তারা মন গড়া কাহিনী বানাবার সুযোগ পেতো না।
*
দেশে-' সফল ভাবে রাজাকার কাহিনী ছড়ান হয়েছে । তাই রাজাকার নিয়ে হাজার মিথ্যা বললেও ইজ্জতের ভয়ে কেউ তার প্রতিবাদ , প্রতিরোধের চিন্তা করে না।
* আজ সমাজ ও রাজনীতিতে মিথ্যাচার যে , কি সাংঘাতিক মাত্রায় বিস্তারিত তা আমরা দেখতেই পাচ্ছি। অনুমান করা কি খুব কঠিন যে রাজাকার কাহিনীতে কি পরিমান ভেজাল মিশ্রিত ?*
*
রাজাকার সংক্রান্ত নানান ভুয়া কাহিনী বাংলাদেশের রাজনীতির এক অভিশাপ।
দেশে বিভিন্ন সমস্যার পেছনে এখনও -এটি একটি সূ ক্ষ ফ্যাক্টর। প্রকৃত সত্য এবং " র " এর কুট উদ্দেশ্য দেশের মানুষের কাছে তুলে ধরে -আমরা একতা বদ্ধ জাতি শান্তি , সুখের - গণতান্ত্রিক শক্তিশালী একটি দেশ গঠন করতে পারি। এটা -একান্ত জরুরি।*

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

অশ্লীল নাম

বাংলাদেশের কিছু প্রতিষ্ঠান ও স্থানের বিচিত্র বা বিকৃত অর্থের নাম যা পরিবর্তন করা উচিতঃ ১. বোদা মহিলা মহাবিদ্যালয়, বোদা, পঞ্চগড় ২. চুমাচুমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি ৩. সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খুলনা ৪. মানুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নীলফামারি ৫. সোনাকাটা ইউনিয়ন, তালতলী, বরগুনা ৬.বড়বাল ইউনিয়ন, মিঠাপুকুর, রংপুর ৭.সোনাখাড়া ইউনিয়ন, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ৮. ধনকামড়া গ্রাম, ভোদামারা, দিনাজপুর ৯.গোয়াকাটা, দোহার, ঢাকা ১০. গোয়াতলা, ময়মনসিংহ ১১.লেংটার হাট, মতলব, চাঁদপুর