সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

গনেশ যতই বড় এবং বিশ্বস্ত হোক, উল্টে যাওয়া অসম্ভব নয়!

গনেশ যতই বড় এবং বিশ্বস্ত হোক, উল্টে যাওয়া অসম্ভব নয়!

সিনিয়র বিচারপতিদের ডিঙ্গিয়ে জনাব সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের প্রকৃত রহস্য কি ছিল? আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এমন একটি প্রশ্নের বাহ্যিক জবাব ছিল, দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে একজন হিন্দুকে নিয়োগ দিয়ে আওয়ামী লীগ তাদের উদারতা এবং ধর্মনিরপেক্ষতার নজির পেশ করেছে।
কিন্তু প্রকৃতপক্ষে 'বহুত ফয়দা' চিন্তা করেই আওয়ামী লীগ জনাব সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে প্রধান বিচারপতি করেছিল। যেমন; ১. ভারতের আস্থা অর্জন, ২. দেশের সংখ্যালঘুদের আস্থা অর্জন, ৩. বিশ্বস্ততার সাথে সরকারের নীলনকশার আলোকে জামায়াত এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদ বিরোধীদেরকে সাইজ করা এবং ৪. গণেশ উল্টে না যাওয়ার নিশ্চয়তা।
আমরা আজকে গণেশ উল্টে যাওয়া সম্পর্কে সামান্য আলোকপাত করবো। অতীতে আওয়ামী লীগের ভিতর 'মুসলিম আওয়ামী লীগ' কতৃক গণেশ উল্টে যাওয়ার বেশ ঘটনা ঘটেছিল। বঙ্গবন্ধুর দক্ষিণ হস্ত খ্যাত খন্দকার মোস্তাক আহমদসহ বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জড়িত সকলেই ছিল মুসলিম আওয়ামী লীগার+মুক্তিযোদ্ধা।
মতিউর রহমান রেন্টু, 'আমার ফাঁসি চাই' বইয়ের লেখক,এমন খাস লোকটিও শেষতক গনেশ উল্টে দিয়ে গেলেন।২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কতৃক নিয়োগকৃত নির্বাচনকালীন সরকার প্রধান বিচারপতি হাবিবুর রহমানও ছিলেন মুসলিম আওয়ামী লীগার। তিনিও ক্ষমতায় এসে প্রশাসনের প্রায় সকল স্থর থেকে আওয়ামী সরকার কতৃক সেটিং করা সব গণেশ উল্টিয়ে দিয়ে তিনিও প্রকৃত নিরপেক্ষ হয়ে গণেশ উল্টে গিয়েছিলেন!
সুতরাং কোন মুসলিম, তিনি আওয়ামী লীগার হলেও গণেশ উল্টে যাওয়ার ভয় ছিল আওয়ামী লীগের জন্য অতীত থেকে একটি শিক্ষা। অতএব আওয়ামী লীগ অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রশাসনের প্রায় সর্বস্তরে যথাসাধ্য হিন্দুদেরকে নিয়োগ দিয়ে গণেশ না উল্টানোর কাজটি পোক্ত করে নেয়। জনাব সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ছিলেন তাদের বড় এবং বিশ্বস্ত গণেশ। শেষপর্যন্ত এ বিশ্বস্ত গণেশটিও উল্টে গেলো।
প্রমাণিত হলো, গণেশ যতই বড় এবং বিশ্বস্ত হোক, উল্টে যাওয়া অসম্ভব নয়। এটিও অতীত হয়েছে এবং বিষয়টি অবশ্যই অতীতের শিক্ষা। অতএব এ-শিক্ষাটি কাজে লাগিয়ে আওয়ামী লীগ যদি গণেশ ম্যানেজ করার কাজটি পরিত্যাগ করে দেশের সংখ্যাগরিষ্ট জনগণকে ম্যনেজ করার কাজে হাত দিয়ে জুলুমের পথ পরিহার করে নিরপেক্ষতা এবং সুবিচার কায়েম করতে পারতো, সেটাই হতো তাদের জন্য সোনায় সোহাগা। কিন্তু আফসোস! তারা সে পথে হাঁটবেন না।
অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা/ Red October.

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

অশ্লীল নাম

বাংলাদেশের কিছু প্রতিষ্ঠান ও স্থানের বিচিত্র বা বিকৃত অর্থের নাম যা পরিবর্তন করা উচিতঃ ১. বোদা মহিলা মহাবিদ্যালয়, বোদা, পঞ্চগড় ২. চুমাচুমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি ৩. সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খুলনা ৪. মানুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নীলফামারি ৫. সোনাকাটা ইউনিয়ন, তালতলী, বরগুনা ৬.বড়বাল ইউনিয়ন, মিঠাপুকুর, রংপুর ৭.সোনাখাড়া ইউনিয়ন, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ৮. ধনকামড়া গ্রাম, ভোদামারা, দিনাজপুর ৯.গোয়াকাটা, দোহার, ঢাকা ১০. গোয়াতলা, ময়মনসিংহ ১১.লেংটার হাট, মতলব, চাঁদপুর