সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ব্র্যাড পিট এবং অ্যাঞ্জেলিনা জোলির বিচ্ছেদ

হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা যুগল ব্র্যাড পিট এবং অ্যাঞ্জেলিনা জোলির বিচ্ছেদ নিয়ে মানুষের মনে এখন অনেক প্রশ্ন। কেন ভেঙ্গে গেল এই সম্পর্ক?
ছয় সন্তানকে নিয়ে ‘ব্র্যাঞ্জেলিনা’র সংসারের কথা বলতে গিয়ে একটি সাক্ষাৎকারে মিলোস ফরম্যানের ওয়ান ফ্লিউ ওভার দ্য কুকুস নেস্ট’ এই ছবিটির কথাই টেনে এনেছিলেন ব্র্যাড পিট। মজা করেই বলেছিলেন, মানসিক প্রতিবন্ধীদের হাসপাতালকে নিয়ে তৈরি হওয়া ওই ছবির সঙ্গে তাঁর বাড়ির পরিবেশের মিল পান তিনি! তিনি বলেন, আমাদের বাড়িতে ও ভাবেই সকাল হয়। চিৎকার-চেঁচামেচি চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। কখনও কখনও তার পরেও!
বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে মজা করে বলেছিলেন, সন্তানদের সামলাতে, নিয়মিত মারধর করি, খেতেও দিই না মাঝেমাঝে।
তখন তিনি হয়তো জানতেন না কয়েক বছর পর এই ছেলেমেয়েদের প্রশ্নেই ইতি পড়বে ব্র্যাড পিট-অ্যাঞ্জেলিনা জোলির রূপকথার দাম্পত্যে। জানা যায়, বাবার প্রভাব থেকে ছেলেমেয়েদের বাঁচাতে ব্র্যাডকে ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জোলি?
মার্কিন একটি ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, সন্তানদের বড় করার ক্ষেত্রে পিটের আচার-আচরণ দেখে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন জোলি। অতিরিক্ত মাদক সেবন ও মদ্যপানের জেরে পিট ঘনঘন রেগে যেতেন।
জোলির বক্তব্য, সেই রাগের প্রভাব পড়ত ছেলেমেয়েদের উপরে। একটি পত্রিকার দাবি, জোলির অভিযোগের ভিত্তিতে এরমাঝেই ব্র্যাডের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে লস অ্যাঞ্জেলেসের শিশু ও পরিবার বিভাগ। সেই প্রতিবেদনে ব্র্যাডের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, বিষয়টি ব্র্যাডের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাচ্চাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে ব্র্যাড। যে ভাবে ব্র্যাডকে খলনায়ক করে তোলা হচ্ছে, তা দুর্ভাগ্যজনক।
জানা যায়, ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস স্মিথের’ সন্তানদের দেখাশুনার জন্য ছয়জন পরিচারিকা, এক জন গৃহশিক্ষক ও এক জন রান্নার লোক ছিল। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, ছেলে মেয়েরা অনেক দুষ্ট। তাদের তাণ্ডবে অনেক পরিচারিকা কাজ ছেড়ে চলেও গিয়েছেন।
পিট জলির বাড়ির এক পরিচারিকা জানান, ব্র্যাড-অ্যাঞ্জেলিনা দু’জনেই খুব অল্পে রেগে যেতেন। দম্পতির নিজের তিন সন্তান শিলো (১০) এবং নক্স ও ভিভিয়েন (৮) ছাড়া দত্তক নেওয়া ম্যাডক্স (১৫), পাক্স (১২) এবং জাহারা (১১)— কেউই নিয়ম-কানুন মানতেন না। ম্যাডক্স এখনই ওয়াইন পান করে। বাড়ির বিরাট লনে গাড়িও চালায় সে। ওই পরিচারিকার কথায়, সন্তানদের উপর বাবা-মার কোনও নিয়ন্ত্রণই নেই। তারা ইচ্ছে মতো যেখানে খুশি যায়। ছুরি নিয়ে খেলা করে। ম্যাডক্সের যে অস্ত্র আর মার্শাল আর্টের দিকে ঝোঁক রয়েছে, সে কথা জানেন প্রতিবেশীরা। জোলি একবার বলেছিলেন, সাত বছর বয়সেই ছুরি সংগ্রহ করার নেশা তৈরি হয় ম্যাডক্সের। জোলি নিজেই তাকে কয়েকটা ছুরি কিনে দিয়েছিলেন।

 September 29, 2016

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

অশ্লীল নাম

বাংলাদেশের কিছু প্রতিষ্ঠান ও স্থানের বিচিত্র বা বিকৃত অর্থের নাম যা পরিবর্তন করা উচিতঃ ১. বোদা মহিলা মহাবিদ্যালয়, বোদা, পঞ্চগড় ২. চুমাচুমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি ৩. সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খুলনা ৪. মানুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নীলফামারি ৫. সোনাকাটা ইউনিয়ন, তালতলী, বরগুনা ৬.বড়বাল ইউনিয়ন, মিঠাপুকুর, রংপুর ৭.সোনাখাড়া ইউনিয়ন, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ৮. ধনকামড়া গ্রাম, ভোদামারা, দিনাজপুর ৯.গোয়াকাটা, দোহার, ঢাকা ১০. গোয়াতলা, ময়মনসিংহ ১১.লেংটার হাট, মতলব, চাঁদপুর