সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পাসওয়ার্ড

পাসওয়ার্ড
ফেবুতে অনেক বিবাহিতা মেয়ে বন্ধু আছেন । আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, যারা শুধুই হাউজ ওয়াইফ এবং ফেসবুক চালান তাদের ফেবু পাসওয়ার্ড তাদের স্বামীরা জানেন । কিন্তু যে সব মহিলারা চাকরি করেন এবং ফেসবুক চালান তাদের পাসওয়ার্ড কিন্তু তাদের স্বামীরা জানেন না । কেন ? এ নিয়ে একটু চিন্তা করেছি । আমি শুধু আমার চিন্তার কথাই লিখছি । ভিন্নমতও থাকতে পারে ।
১। হাউজ ওয়াইফ স্ত্রীর স্বামীরা তাদের স্ত্রীকে সন্দেহ করেন । সারাদিন বাসায় থাকে । ইনবক্সে কারো সঙ্গে ইন্টিমেসি হয় কিনা তা চেক করার জন্যই স্ত্রীর পাসওয়ার্ডটা জেনে রাখেন ।
২। কেউ কেউ ঘনিস্ট বন্ধু বা প্রেমিককেও পাসওয়ার্ড স্বেচ্ছায় দেন যার ফলাফল ক্ষতিকর বলে প্রমাণিত হয়েছে ।
৩। চাকরিজীবী মহিলারা এক্ষেত্রে রেমেডি পান কারন কর্মক্ষেত্রেই অনেক পুরুষের সান্নিধ্য পান তারা । কথা বলতে হয় । কাছাকাছি চেয়ারে বসতে হয় । এসব ভেবে তাদের স্বামীরা হয়তো বেশি উদার । অথবা চাকরিজীবী মহিলারা বেশি ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ।
অনেক দিন আগে একজন ভদ্র মহিলার সঙ্গে আমার ইনবক্সে কথা হতো । তিনি বিবাহিতা । দুই সন্তানের জননী । শিক্ষিতা, রুচিশীল ।
একদিন আমার ইনবক্সে দেখি উলটা পালটা কথা । “ আপনি আর আমাকে ম্যাসেজ দিবেন না । আপনি আমাকে কি পেয়েছেন”।
আমিতো থ । সকালেই তিনি আমাকে বলেছেন আজ চিটাগং যাচ্ছি । বিকেলে ফিরবো । তখন কথা হবে । ও মা ! দুই ঘন্টা পর এসব ম্যাসেজ । বিকেলে তিনি চিটাগং থেকে ফিরে আমাকে যথারীতি নরমাল বন্ধুসুলভ ম্যাসেজ দিলেন । আমি অবাক হয়ে জানতে চাইলাম এ সবের মানে কি ? তিনিও জানেন না ওই সব ম্যাসেজের কথা । আমি বলায় তিনি আমতা আমতা করে বললেন, আমার একজন প্রিয় বন্ধু আমার পাসওয়ার্ডটা জানে । সে চায় না আমি কারো সঙ্গে ঘনিস্ট হই । সে আমাকে অনেকটা জিম্মি করে রেখেছে । আমি অবাক হয়ে বললাম, একজন শিক্ষিত আর ব্যক্তিত্ববান মানুষ তার পাসওয়ার্ড অন্য কাউকে দিতে পারে না সে যেই হোক । এমন কি তার স্বামীকেও না । এটা একজন মানুষের প্রাইভেসি । এ নিয়ে তার সঙ্গে আমার রাগারাগিও হয়েছিলো । পরিণতিতে তিনি এখন আর আমার ফেসবুক বন্ধুও নেই ।
কয়েকদিন আগে দেখি আমার ইনবক্সে কিছুটা গালাগালির মতোই কিছু ম্যাসেজ । আমি শুধু লিখলাম, আমিতো তোমার সঙ্গে কখনো চ্যাট করি নি । আমাকে এসব বলার কারন কী? তোমাকে ব্লক করে দিতে বাধ্য হলাম ।
তিন দিন পর একটা অপরিচিত জিপি নাম্বার থেকে কল এলো । প্রোফাইলে আমার ফোন নাম্বার দেয়া আছে । ওপেন । আমার নাম জানতে চেয়ে নিজের নাম বললেন, করিম, আমি ........। তিনি আমার তিন বছরের ফেসবুক ফ্রেন্ড । জেমিমাকেও চেনেন । দোয়া করেন । আমি তার স্বামী দুই সন্তানকেও চিনি । তিনি খাবারের ছবি দিলে আমি ফানি কমেন্ট করি, ‘খাও, খাইয়া আরো মোটা হও’ । দুই সন্তানের জননী । শ্যামলী থাকেন ।
তিনি বললেন, আমার একজন ঘনিস্ট বান্ধবী আমার পাসওয়ার্ডটা জানে । এই ম্যাসেজগুলো সে দিয়েছে । সে আমার ভালো বন্ধুদের কাছে আমাকে খারাপ করতে চায় । অনেককেই সে এমন ম্যাসেজ দিয়েছে । আপনি আমাকে ভুল বুঝবেন না প্লিজ করিম ।
ঠিক আছে পাসওয়ার্ডটা চেইঞ্জ করে নাও । আমি তোমাকে আনব্লক করে দেবো ।
তিনি এখন আবার আমার বন্ধু লিস্টে আছেন ।
আমার নিজস্ব মত, যে সব স্বামীরা তাদের স্ত্রীর পাসওয়ার্ড জানেন তারা তাদের স্ত্রীকে ফেসবুক ব্যবহার করতে না দিলেই হয় । এতে সামান্যতে অসামান্য দাম্পত্য কলহের সৃস্টি হতে পারে । আর স্ত্রীর পাসওয়ার্ড জানার দরকারটাই বা কি ? এখন ফেসবুকে মানুষ প্রেম করে না । মোবাইলেই প্রয়োজনীয় ভালোবাসার কথা বলে ।
ফেসবুকও লিখে দেয় Password is case sensitive. আমার মতামত, কারো পাসওয়ার্ড কিছুতেই দ্বিতীয় কোনো ব্যক্তি জানতে পারবে না । সে যেই হোক । এটা একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব ও প্রাইভেসি ।

 August 20, 2016

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

অশ্লীল নাম

বাংলাদেশের কিছু প্রতিষ্ঠান ও স্থানের বিচিত্র বা বিকৃত অর্থের নাম যা পরিবর্তন করা উচিতঃ ১. বোদা মহিলা মহাবিদ্যালয়, বোদা, পঞ্চগড় ২. চুমাচুমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি ৩. সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খুলনা ৪. মানুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নীলফামারি ৫. সোনাকাটা ইউনিয়ন, তালতলী, বরগুনা ৬.বড়বাল ইউনিয়ন, মিঠাপুকুর, রংপুর ৭.সোনাখাড়া ইউনিয়ন, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ৮. ধনকামড়া গ্রাম, ভোদামারা, দিনাজপুর ৯.গোয়াকাটা, দোহার, ঢাকা ১০. গোয়াতলা, ময়মনসিংহ ১১.লেংটার হাট, মতলব, চাঁদপুর