একেবারেই
ব্যক্তিগত । ইদানীং স্কুল কলেজ জীবনের কথা খুব মনে পড়ে । ছবিতে আমার মেজো
আপা । দুই দিকে দুই আদরের ভাগ্নি । আপার নাম মিসেস ফিরোজা বেগম । বাসা
কান্দিরপাড় । আপার পাঁচ মেয়ে এক ছেলে ।
নাজমা, ঝর্ণা, পান্না, শিল্পি, লাভলি । একমাত্র ছেলে শাহিন । সবার ছোট ।
আমার স্কুল-কলেজ জীবন আপার বাসায়ই কেটেছে । দুলাভাই মি. দেলোয়ার হোসেন
সরকার দারুণ মজার মানুষ । শৌখিন । আরেক দিন দুলাভাইকে নিয়ে । আজ দুই
ভাগ্নিকে নিয়ে একটু স্মৃতি ।
নাজমা, ঝর্ণা আমার অল্প ছোট । আমার সঙ্গে ওদের সম্পর্ক ছিলো বন্ধুর মতো । কখনো ভাইয়ের মতো । ওদেরকে ভালোওবাসতাম খুব । ঝগড়া করতাম, রাগারাগি করতাম,মারামারিও করেছিলাম বোধহয় । বলা যায় , আমি বড় হয়েছি ওদের সঙ্গে । প্রেম ট্রেম নিয়ে ওদের শাসন করলে অন্য রুম থেকে আমাকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলতো, নিজে প্রেম করে আবার আমাদের মারে !
সবার বিয়ে হয়ে গেছে । ঘর সংসার নিয়ে ব্যস্ত । সকলেই কুমিল্লা শহরে থাকে । শিল্পি আমেরিকায় । আপার বাসায় মাঝে মাঝে গেলেও ভাগ্নিদের বাসায় যাওয়াই হয় না । দু’দিন আগে দেখি শাহনাজ পারভীন ঝর্ণা নামে একজন । আমি ফ্রেন্ড রিকো পাঠালাম । ঝর্ণা একসেপ্ট করলো । তারপর তার টাইমলাইনে গিয়ে কিছু ছবি দেখলাম । সবার গ্রুপ ছবি পাইনি । এই ছবিতে একদিকে ঝর্ণা আরেক দিকে দাঁড়িয়ে লাভলি । ছবিটা ঝর্ণার ওয়াল থেকে কপি করেছি । আমার অতীত স্মৃতি মনে পরে গেলো ।
ঝর্ণার সঙ্গে আমার একটা ছোট্ট স্মৃতি এমন...
কলেজ জীবনে সবসময় পকেটে টাকা থাকতো না । ঝর্ণা তখন হাইস্কুলে পড়তো । টাকা জমিয়ে বইয়ের মধ্যে রাখতো । আমার টাকার শর্ট পড়লেই ঝর্ণার কাছে ধার চাইতাম । প্রথমে বলতো, নাই মামা, সইত্য আমার কাছে টাকা নাই, আমার কাছে টাকা আসবো কইত্থাইকা মামা ?
আমি বুঝিয়ে বলতাম, দেখ, তুই যদি ১০০ টাকা আজ দিস তবে আগামি সপ্তাহে তোকে ১২০ টাকা দেবো । ২০ টাকা লাভ । দেখলাম সে নিম রাজি । আর একটু পাম্প দিতে হবে । বুঝালাম, দেখ-দুইটা ‘মা’ একসাথে করলে একটা মামা হয় । মামার মনে কষ্ট দিতে নাই । দুইটা মায়ের সমান একটা মামা । স্কুলে পড়ুয়া ঝর্ণা খুব চিন্তায় পড়ে যেতো । এক পর্যায়ে সে রাজি হতো । শর্ত আগামি সপ্তাহে ১২০ টাকা দিতে হবে । দেবো কিনা সেজন্য আমাকে “আল্লাহর কসম, বিদ্যা” এসব কসম কাটতে হতো । এভাবে মাস দুয়েক লেনদেন চলেছিলো । একবার এক সপ্তাহের টাকা আমি সময় মতো দিতে পারিনি । পাওনাদার ঘরের লোক । লুকিয়ে থাকার কোন রাস্তা নাই । সকাল,দুপুর,বিকাল,সন্ধ্যা, রাতে ঝর্ণা টাকার জন্য চাপ দিতে লাগলো । একদিন এই ঘরের পাওনাদের ভয়ে আমি রাতে দেরিতে বাসায় গেয়েছি যাতে সে ঘুমিয়ে পড়ে ।
একদিন রেগে গিয়ে বললাম, হ্যাঁ , তুই একটা ছোটলোক । তুই সুদ খাস আরো বড় বড় কথা বলিস । টাকা নিয়েছি দেবো । এখন নাই । বেশি ঘ্যান ঘ্যান করলে দেবোই না । সে খুব মনঃক্ষুণ্ণ হলো ।
কয়েকদিন পর তাকে টাকা দিয়ে দিই । ইন্টারেস্টসহ ।
মাস খানেক পর আমার আবার টাকার দরকার পরে । ঝর্ণার কাছে ধার চাইতেই সে অগ্নিমূর্তি ধারণ করে বললো , না মামা, আমার কাছে কোন টাকা নাই । আবার অনুনয় বিনয় করে বলতেই ঝর্ণা রেগে আমাকে বলে ... আমার কাছে আছে,আপনেরে দেমু না । না মামা,আপনে টাকা নেয়ার সময় অনেক পাম দেন । দুইটা মা মিলে একটা মামা হয় এমন কথা বলে আমার মন নরম করেন । কতো অনুনয় বিনয় ! আর টাকা ফেরত চাইলে আপনে চোখ উল্টাইয়া ফেলেন । আমারে সুদখোর কন ! আমি আর জীবনেও আপনেরে টাকা দেমু না । আমার সুদ লাগবো না ।
মাঝে মাঝে আপা ডেকে বলতেন-তোরা কি শুরু করছোস ? সেই ঝর্ণার বড় মেয়ে প্রমি এখন মেডিকেলে ফোরথ ইয়ারে পড়ে আর ছোট মেয়ে প্রীতু নর্থ সাউথে ।
নাজমা, ঝর্ণা আমার অল্প ছোট । আমার সঙ্গে ওদের সম্পর্ক ছিলো বন্ধুর মতো । কখনো ভাইয়ের মতো । ওদেরকে ভালোওবাসতাম খুব । ঝগড়া করতাম, রাগারাগি করতাম,মারামারিও করেছিলাম বোধহয় । বলা যায় , আমি বড় হয়েছি ওদের সঙ্গে । প্রেম ট্রেম নিয়ে ওদের শাসন করলে অন্য রুম থেকে আমাকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলতো, নিজে প্রেম করে আবার আমাদের মারে !
সবার বিয়ে হয়ে গেছে । ঘর সংসার নিয়ে ব্যস্ত । সকলেই কুমিল্লা শহরে থাকে । শিল্পি আমেরিকায় । আপার বাসায় মাঝে মাঝে গেলেও ভাগ্নিদের বাসায় যাওয়াই হয় না । দু’দিন আগে দেখি শাহনাজ পারভীন ঝর্ণা নামে একজন । আমি ফ্রেন্ড রিকো পাঠালাম । ঝর্ণা একসেপ্ট করলো । তারপর তার টাইমলাইনে গিয়ে কিছু ছবি দেখলাম । সবার গ্রুপ ছবি পাইনি । এই ছবিতে একদিকে ঝর্ণা আরেক দিকে দাঁড়িয়ে লাভলি । ছবিটা ঝর্ণার ওয়াল থেকে কপি করেছি । আমার অতীত স্মৃতি মনে পরে গেলো ।
ঝর্ণার সঙ্গে আমার একটা ছোট্ট স্মৃতি এমন...
কলেজ জীবনে সবসময় পকেটে টাকা থাকতো না । ঝর্ণা তখন হাইস্কুলে পড়তো । টাকা জমিয়ে বইয়ের মধ্যে রাখতো । আমার টাকার শর্ট পড়লেই ঝর্ণার কাছে ধার চাইতাম । প্রথমে বলতো, নাই মামা, সইত্য আমার কাছে টাকা নাই, আমার কাছে টাকা আসবো কইত্থাইকা মামা ?
আমি বুঝিয়ে বলতাম, দেখ, তুই যদি ১০০ টাকা আজ দিস তবে আগামি সপ্তাহে তোকে ১২০ টাকা দেবো । ২০ টাকা লাভ । দেখলাম সে নিম রাজি । আর একটু পাম্প দিতে হবে । বুঝালাম, দেখ-দুইটা ‘মা’ একসাথে করলে একটা মামা হয় । মামার মনে কষ্ট দিতে নাই । দুইটা মায়ের সমান একটা মামা । স্কুলে পড়ুয়া ঝর্ণা খুব চিন্তায় পড়ে যেতো । এক পর্যায়ে সে রাজি হতো । শর্ত আগামি সপ্তাহে ১২০ টাকা দিতে হবে । দেবো কিনা সেজন্য আমাকে “আল্লাহর কসম, বিদ্যা” এসব কসম কাটতে হতো । এভাবে মাস দুয়েক লেনদেন চলেছিলো । একবার এক সপ্তাহের টাকা আমি সময় মতো দিতে পারিনি । পাওনাদার ঘরের লোক । লুকিয়ে থাকার কোন রাস্তা নাই । সকাল,দুপুর,বিকাল,সন্ধ্যা, রাতে ঝর্ণা টাকার জন্য চাপ দিতে লাগলো । একদিন এই ঘরের পাওনাদের ভয়ে আমি রাতে দেরিতে বাসায় গেয়েছি যাতে সে ঘুমিয়ে পড়ে ।
একদিন রেগে গিয়ে বললাম, হ্যাঁ , তুই একটা ছোটলোক । তুই সুদ খাস আরো বড় বড় কথা বলিস । টাকা নিয়েছি দেবো । এখন নাই । বেশি ঘ্যান ঘ্যান করলে দেবোই না । সে খুব মনঃক্ষুণ্ণ হলো ।
কয়েকদিন পর তাকে টাকা দিয়ে দিই । ইন্টারেস্টসহ ।
মাস খানেক পর আমার আবার টাকার দরকার পরে । ঝর্ণার কাছে ধার চাইতেই সে অগ্নিমূর্তি ধারণ করে বললো , না মামা, আমার কাছে কোন টাকা নাই । আবার অনুনয় বিনয় করে বলতেই ঝর্ণা রেগে আমাকে বলে ... আমার কাছে আছে,আপনেরে দেমু না । না মামা,আপনে টাকা নেয়ার সময় অনেক পাম দেন । দুইটা মা মিলে একটা মামা হয় এমন কথা বলে আমার মন নরম করেন । কতো অনুনয় বিনয় ! আর টাকা ফেরত চাইলে আপনে চোখ উল্টাইয়া ফেলেন । আমারে সুদখোর কন ! আমি আর জীবনেও আপনেরে টাকা দেমু না । আমার সুদ লাগবো না ।
মাঝে মাঝে আপা ডেকে বলতেন-তোরা কি শুরু করছোস ? সেই ঝর্ণার বড় মেয়ে প্রমি এখন মেডিকেলে ফোরথ ইয়ারে পড়ে আর ছোট মেয়ে প্রীতু নর্থ সাউথে ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন