তাবলীগে চার মাস
তাহলে এভাবেই বলি, চার মাস তাবলীগ জামাতের সঙ্গে থেকে বুঝেছি, যারা মৃত্যু পরবর্তী জীবনে বিশ্বাস করে এবং ইহজাগতিক দুনিয়াকে ক্ষণস্থায়ী মনে করে দৃঢ়ভাবে তারাই উগ্রপন্থী বা ধর্মীয় চরমপন্থী । যদিও তাবলীগ জামাতে উগ্রতা নেই । তাবলীগ জামাত মানুষকে ইসলামের পথে আসার দাওয়াত দেয়াতেই নিজেদের সীমাবদ্ধ রেখেছে । কিন্তু জিহাদ, ধর্মীয় কারনে হত্যা, সুইসাইড বোম্বার এসবের প্রতি মৌন সমর্থন দেয় তাবলীগ বা প্রতিবাদ করে না।
কিন্তু এটাতো সত্য যে, এক শ্রেণির মুসলিম চরমপন্থায় বিশ্বাস করে । তালেবান, আল কায়দা, আফগান মোজাহিদ, জেএমবির মতো ধর্মীয় চরমপন্থীরা বিশ্বাস করে, যে মৃত্যু স্বাভাবিক তার কোনো গুরুত্ব নেই । মৃত্যু যখন শাহাদাৎ বরণ হয় তখন বেহেশত হয়ে যায় নিশ্চিত । সমস্যা হলো কোনটা ন্যায় বা জিহাদ সে বিষয়ে একমত হওয়া । চরমপন্থীরা মানুষের জীবন, সম্পদ রক্ষার চেয়ে জিহাদ করে বেহেশতে যাওয়াই একমাত্র লক্ষ্য বলে মনে করে । ইহজাগতিক সম্পদ, এমনকি জীবন তাদের আদর্শের কাছে একেবারেই গৌণ । তালেবান নেতা মোল্লা ওমর, আল কায়দা নেতা বিন লাদেনসহ আরো অনেকেই এমন বিশ্বাস করতেন । আমার ধারনা, সুইসাইড বোম্বার তৈরি হয় এই বিশ্বাস থেকে । সহজে বেহেশতে যাওয়ার এমন রাস্তা আর নেই!!!
মোল্লা ওমর এখনো পালিয়ে বেঁচে আছেন ।
এ বিষয়ে পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মোশাররফ তার ‘ইন দ্য লাইন অব ফায়ার’ বইতে লিখেছেন “... আসলে ধর্মটি (ইসলাম ধর্ম) বেশ প্রগতিশীল, উদারনৈতিক এবং সহনশীল-বস্তুত ইসলাম তাই । কিন্তু দুনিয়ার মানুষ কেন নিজেদের বিশ্বাস ছেড়ে, মুল্যবান সময় নষ্ট করে ইসলামের বিশ্বাসযোগ্য ব্যাখ্যা খুঁজতে যাবে ? তারা ইসলামকে তার বাণী এবং মুসলমানদের কর্মকাণ্ড দিয়ে বিচার করবে, বিশেষ করে সেই সব কাজ এবং কথা যেগুলো সরাসরি তাদের জীবনকে আঘাত করে । অবশ্যই ইসলামী চিন্তাবিদ এবং মধ্যমপন্থীদের প্রতিবাদ বা ব্যাখ্যা দিয়ে নয় ”।
তাহলে এভাবেই বলি, চার মাস তাবলীগ জামাতের সঙ্গে থেকে বুঝেছি, যারা মৃত্যু পরবর্তী জীবনে বিশ্বাস করে এবং ইহজাগতিক দুনিয়াকে ক্ষণস্থায়ী মনে করে দৃঢ়ভাবে তারাই উগ্রপন্থী বা ধর্মীয় চরমপন্থী । যদিও তাবলীগ জামাতে উগ্রতা নেই । তাবলীগ জামাত মানুষকে ইসলামের পথে আসার দাওয়াত দেয়াতেই নিজেদের সীমাবদ্ধ রেখেছে । কিন্তু জিহাদ, ধর্মীয় কারনে হত্যা, সুইসাইড বোম্বার এসবের প্রতি মৌন সমর্থন দেয় তাবলীগ বা প্রতিবাদ করে না।
কিন্তু এটাতো সত্য যে, এক শ্রেণির মুসলিম চরমপন্থায় বিশ্বাস করে । তালেবান, আল কায়দা, আফগান মোজাহিদ, জেএমবির মতো ধর্মীয় চরমপন্থীরা বিশ্বাস করে, যে মৃত্যু স্বাভাবিক তার কোনো গুরুত্ব নেই । মৃত্যু যখন শাহাদাৎ বরণ হয় তখন বেহেশত হয়ে যায় নিশ্চিত । সমস্যা হলো কোনটা ন্যায় বা জিহাদ সে বিষয়ে একমত হওয়া । চরমপন্থীরা মানুষের জীবন, সম্পদ রক্ষার চেয়ে জিহাদ করে বেহেশতে যাওয়াই একমাত্র লক্ষ্য বলে মনে করে । ইহজাগতিক সম্পদ, এমনকি জীবন তাদের আদর্শের কাছে একেবারেই গৌণ । তালেবান নেতা মোল্লা ওমর, আল কায়দা নেতা বিন লাদেনসহ আরো অনেকেই এমন বিশ্বাস করতেন । আমার ধারনা, সুইসাইড বোম্বার তৈরি হয় এই বিশ্বাস থেকে । সহজে বেহেশতে যাওয়ার এমন রাস্তা আর নেই!!!
মোল্লা ওমর এখনো পালিয়ে বেঁচে আছেন ।
এ বিষয়ে পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মোশাররফ তার ‘ইন দ্য লাইন অব ফায়ার’ বইতে লিখেছেন “... আসলে ধর্মটি (ইসলাম ধর্ম) বেশ প্রগতিশীল, উদারনৈতিক এবং সহনশীল-বস্তুত ইসলাম তাই । কিন্তু দুনিয়ার মানুষ কেন নিজেদের বিশ্বাস ছেড়ে, মুল্যবান সময় নষ্ট করে ইসলামের বিশ্বাসযোগ্য ব্যাখ্যা খুঁজতে যাবে ? তারা ইসলামকে তার বাণী এবং মুসলমানদের কর্মকাণ্ড দিয়ে বিচার করবে, বিশেষ করে সেই সব কাজ এবং কথা যেগুলো সরাসরি তাদের জীবনকে আঘাত করে । অবশ্যই ইসলামী চিন্তাবিদ এবং মধ্যমপন্থীদের প্রতিবাদ বা ব্যাখ্যা দিয়ে নয় ”।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন