সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

গর্বিত বাঙালী!!!


গর্বিত বাঙালী!!!

অনেককেই বলতে শুনি " বাঙালী হিসেবে আমি গর্ব বোধ করি "। কিন্তু আমেরিকান ইউরোপিয়ানদের মুখে এমন গর্বের কথা শুনিনি কখনো
পশ্চিমাদের সঙ্গে যদি আমাদের তুলনা করি তবে আমরা অনেক অশিক্ষিত এবং খ্যাত । আমরা যদি বেশির ভাগ বাঙালীর কথা ধরি তাহলে আমাদের রূচিবোধ নিম্ন শ্রেণির , ব্যক্তিত্বও ভালোনা । আমরা হাই কমোডে বসে হাগু করা শিখেছি কয়েকদিন আগে...

আমাদের হিরো হয় সাকিব খান । ফুটবলে আগামী একশ বছরে আমাদের বিশ্বকাপে যাবার সম্ভাবনা নেই । আমরা চ্যাম্পিয়ান হই দুর্নীতিতে ।
আমরা পোশাকে ফলো করি পশ্চিমাদের । আমাদের জাতীয় পোশাক লুঙ্গি জিনিসটাকে আমার নিজের কাছেই মেয়েদের পেটিকোটের মত লাগে ।
প্রযুক্তিতে তারা বেস্ট... মুভিতে বেস্ট... তারা বিজ্ঞানী , তারা মহাকাশ... তারা নাসা... তারা শত শত নোবেল জয়ী ; তারপরেও আমরা গর্বিত বাঙালি । আবেগে আমরা পশ্চিমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে ।
বাঙালির আবেগ একটু অন্য রকম... মিলিটারির কামানের সামনে লুঙ্গি মালকোঁচা দিয়ে বাঁশ নিয়ে জেতা যায়না । অনেকেই যুদ্ধের ময়দানে মাথা ঝাকাতে ঝাকাতে গান গায়... 'একটি ফুলকে বাঁচাব বলে যুদ্ধ করি' ।
আপনি এসব গল্প আর কোথাও পাবেন না ।
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ আবেগগুলো আমরাই জন্ম দেই...
আমাদের পয়ত্রিশ বছরের দামড়াও বাবা সামনে এলে সিগারেট ফেলে দেয় ।
বোনের বিয়ে দিলে যেভাবে হাউমাউ করে আমরা কাঁদি ; এইভাবে পৃথিবীর আর কেউ কাঁদে না।
আমাদের আবেগের বহিঃপ্রকাশ একদম আমাদের মত...
'প্রাউড টু বি এ বাংলাদেশি'....
 November 13, 2015

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

অশ্লীল নাম

বাংলাদেশের কিছু প্রতিষ্ঠান ও স্থানের বিচিত্র বা বিকৃত অর্থের নাম যা পরিবর্তন করা উচিতঃ ১. বোদা মহিলা মহাবিদ্যালয়, বোদা, পঞ্চগড় ২. চুমাচুমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি ৩. সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খুলনা ৪. মানুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নীলফামারি ৫. সোনাকাটা ইউনিয়ন, তালতলী, বরগুনা ৬.বড়বাল ইউনিয়ন, মিঠাপুকুর, রংপুর ৭.সোনাখাড়া ইউনিয়ন, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ৮. ধনকামড়া গ্রাম, ভোদামারা, দিনাজপুর ৯.গোয়াকাটা, দোহার, ঢাকা ১০. গোয়াতলা, ময়মনসিংহ ১১.লেংটার হাট, মতলব, চাঁদপুর