১১
সেপ্টেম্বর ২০০১ সালে আমেরিকায় ছিলাম । ১৫ বছর আগের কথা । মনে আছে, সেদিন
আমি কেপ কোরাল (Cape Coral) শামুর বাসায় ছিলাম । শামুর বাড়ি শরিয়তপুর ।
শামুর স্ত্রীর নাম শানু/শাহানা । দু'জনই
আমার ভালো বন্ধু ছিলো । রাতে আড্ডা মেরে দেরিতে ঘুমিয়েছিলাম । সকালে তাড়া
ছিলো না । কিন্তু ৯টার দিকে শামু হুড়মুড় করে আমার রুমে ঢুকে জোরে চিৎকার
দিয়ে বলেছিলো, মন্টু ভাই, উঠেন । দেখেন কি হইতেছে ! আমি এক লাফে উঠেই টিভির
দিকে তাকিয়ে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম । এক অবিশ্বাস্য ঘটনা । ১১০ তলা দুটি ভবন
পুড়ছে । নিউ ইয়র্ক থাকতে আমরা বন্ধুরা মাঝে মাঝে ওই টুইন টাওয়ার বা
ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের ১১০ তলায় যেতাম । লিফটে উঠতেই টিকেট ছিলো আট ডলার
।
টিভিতে দেখাচ্ছে একটি বিমান পেন্টাগনে হামলা করেছে । পেন্টাগন আমেরিকার প্রতিরক্ষা দফতর ।
ডেল্টা এয়ারলাইন্সের একটি বিমান পেনসিলভেনিয়া্র শ্যাকসভিলে ক্রাশ করেছে । টিভিতে ভাষ্যকার বলছিলেন, এ বিমানটি হোয়াইট হাউসের উদ্দেশ্যে উড়ে যাচ্ছিলো । এক মহা ট্র্যাজেডি এবং সুপার পাওয়ারের আত্মবিশ্বাসের ওপর চরম আঘাত । মনে হয়েছিলো সব দিক দিয়ে আমেরিকা আক্রান্ত । ঘন্টা খানেকের মধ্যে আমেরিকার আকাশে বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করে দেয়া হলো । আমেরিকাগামী হাজার হাজার বিমানকে কানাডা, মেক্সিকোসহ রুট চেইঞ্জ করে অন্য দেশে চলে যেতে হয়েছিলো । আমি ইউএসএ টুডে পত্রিকায় এক পাইলটের সাক্ষাৎকার পড়েছিলাম । সেখানে তিনি বলেছেন, প্রতি মুহূর্তে আমেরিকার আকাশে পাঁচ হাজার যাত্রীবাহী বিমান চলাচল করে ।
আমি একটু দেখেই শামুকে বলেছিলাম, আয় হায়রে ,যদি আমেরিকা এর ক্লু পায় তবে দেইখো ফাটাই ফেলবো । এটা যে দুর্ঘটনা নয় তা তখনি বোঝা যাচ্ছিলো । দুনিয়ার মানুষ সেদিন বুঝতে পারেনি এই পৃথিবী আর কখনোই আগের মতো থাকবে না । বিশ্বের এক নাম্বার সুপার পাওয়ার আমেরিকা তার নিজ দেশেই আক্রান্ত । তাদের বিমানকেই মিসাইল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে । একযোগে চারটি বিমান হাইজাক করেছিলো সন্ত্রাসীরা ।
দুপুরের মধ্যেই জানাজানি হয়ে গেলো, এটা মুসলিমদের কাজ । আল কায়দা তাদের ওয়েব সাইটে এই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে । সে দিন প্রেসিডেন্ট বুশ ফ্লোরিডার সেরাসোটায় এলিমেন্টারি স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে তাদের ক্লাশে সময় দিচ্ছিলেন । আমেরিকার প্রেসিডেন্টের বাচ্চাদের সঙ্গে স্কুলে সময় দেয়াও একটা কাজ । সে মুহূর্তে তার চিফ অফ স্টাফ এন্ড্রু কার্ড ক্লাশে এসে বাচ্চাদের না শুনিয়ে বুশের কানে কানে এই হামলার কথা জানান । ছবিতে দেখুন । সে মুহূর্ত থেকে প্রেসিডেন্ট বুশ কোথায় তা কেউ জানে না । অনেক আমেরিকানের উদ্বিগ্ন প্রশ্ন ছিলো Where is our President ? Where is our Commander in Chief ? জানা গেছে, প্রেসিডেন্ট বুশ প্রায় ৬ ঘন্টা প্রেসিডেন্সিয়াল এয়ারক্রাফট এয়ারফোর্স ওয়ানে আকাশে ছিলেন । চারটি এফ-১৬ জঙ্গি বিমান এয়ার ফোর্স ওয়ানকে পাহাড়া রেখেছিলো। কমান্ডার ইন চিফ বলে কথা ।
বিকেল প্রায় ৫টায় প্রেসিডেন্ট বুশ অশ্রু সজল চোখে টিস্যু পেপার হাতে জাতির উদ্দেশ্যে দাঁত কড়মড়িয়ে ৩/৪ মিনিটের এক ভাষণ দিলেন । জাতিকে জানিয়ে দিলেন আমরা এর প্রতিশোধ নেবো । পরদিন আমেরিকার সব দৈনিকে লাল কালিতে প্রধান শিরোনাম America Under Attack. তখন ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন ডিক চেনি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ছিলেন ডোনাল্ড রামসফেল্ড, পররাষ্ট্র মন্ত্রী জেনারেল কলিন পাওয়েল । জেনারেল পাওয়েল সহনশীল পর্যায়ের লোক ছিলেন। আন্যরা সবাই যুদ্ধবাজ ।
টিভিতে দেখাচ্ছে একটি বিমান পেন্টাগনে হামলা করেছে । পেন্টাগন আমেরিকার প্রতিরক্ষা দফতর ।
ডেল্টা এয়ারলাইন্সের একটি বিমান পেনসিলভেনিয়া্র শ্যাকসভিলে ক্রাশ করেছে । টিভিতে ভাষ্যকার বলছিলেন, এ বিমানটি হোয়াইট হাউসের উদ্দেশ্যে উড়ে যাচ্ছিলো । এক মহা ট্র্যাজেডি এবং সুপার পাওয়ারের আত্মবিশ্বাসের ওপর চরম আঘাত । মনে হয়েছিলো সব দিক দিয়ে আমেরিকা আক্রান্ত । ঘন্টা খানেকের মধ্যে আমেরিকার আকাশে বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করে দেয়া হলো । আমেরিকাগামী হাজার হাজার বিমানকে কানাডা, মেক্সিকোসহ রুট চেইঞ্জ করে অন্য দেশে চলে যেতে হয়েছিলো । আমি ইউএসএ টুডে পত্রিকায় এক পাইলটের সাক্ষাৎকার পড়েছিলাম । সেখানে তিনি বলেছেন, প্রতি মুহূর্তে আমেরিকার আকাশে পাঁচ হাজার যাত্রীবাহী বিমান চলাচল করে ।
আমি একটু দেখেই শামুকে বলেছিলাম, আয় হায়রে ,যদি আমেরিকা এর ক্লু পায় তবে দেইখো ফাটাই ফেলবো । এটা যে দুর্ঘটনা নয় তা তখনি বোঝা যাচ্ছিলো । দুনিয়ার মানুষ সেদিন বুঝতে পারেনি এই পৃথিবী আর কখনোই আগের মতো থাকবে না । বিশ্বের এক নাম্বার সুপার পাওয়ার আমেরিকা তার নিজ দেশেই আক্রান্ত । তাদের বিমানকেই মিসাইল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে । একযোগে চারটি বিমান হাইজাক করেছিলো সন্ত্রাসীরা ।
দুপুরের মধ্যেই জানাজানি হয়ে গেলো, এটা মুসলিমদের কাজ । আল কায়দা তাদের ওয়েব সাইটে এই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে । সে দিন প্রেসিডেন্ট বুশ ফ্লোরিডার সেরাসোটায় এলিমেন্টারি স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে তাদের ক্লাশে সময় দিচ্ছিলেন । আমেরিকার প্রেসিডেন্টের বাচ্চাদের সঙ্গে স্কুলে সময় দেয়াও একটা কাজ । সে মুহূর্তে তার চিফ অফ স্টাফ এন্ড্রু কার্ড ক্লাশে এসে বাচ্চাদের না শুনিয়ে বুশের কানে কানে এই হামলার কথা জানান । ছবিতে দেখুন । সে মুহূর্ত থেকে প্রেসিডেন্ট বুশ কোথায় তা কেউ জানে না । অনেক আমেরিকানের উদ্বিগ্ন প্রশ্ন ছিলো Where is our President ? Where is our Commander in Chief ? জানা গেছে, প্রেসিডেন্ট বুশ প্রায় ৬ ঘন্টা প্রেসিডেন্সিয়াল এয়ারক্রাফট এয়ারফোর্স ওয়ানে আকাশে ছিলেন । চারটি এফ-১৬ জঙ্গি বিমান এয়ার ফোর্স ওয়ানকে পাহাড়া রেখেছিলো। কমান্ডার ইন চিফ বলে কথা ।
বিকেল প্রায় ৫টায় প্রেসিডেন্ট বুশ অশ্রু সজল চোখে টিস্যু পেপার হাতে জাতির উদ্দেশ্যে দাঁত কড়মড়িয়ে ৩/৪ মিনিটের এক ভাষণ দিলেন । জাতিকে জানিয়ে দিলেন আমরা এর প্রতিশোধ নেবো । পরদিন আমেরিকার সব দৈনিকে লাল কালিতে প্রধান শিরোনাম America Under Attack. তখন ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন ডিক চেনি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ছিলেন ডোনাল্ড রামসফেল্ড, পররাষ্ট্র মন্ত্রী জেনারেল কলিন পাওয়েল । জেনারেল পাওয়েল সহনশীল পর্যায়ের লোক ছিলেন। আন্যরা সবাই যুদ্ধবাজ ।
শুরু হলো আমেরিকান ফ্ল্যাগ কেনা । দোকানপাট, বাড়িঘর আর সবার গাড়িতে
আমেরিকান ফ্ল্যাগ । জাতীয়তাবোধ চাঙ্গা হয়ে উঠলো । আমাদের সবার গাড়িতেও
আমেরিকান ফ্ল্যাগ । উপায় নাই । আমাদের বন্ধু দিদার তার টয়োটা ফোর রানার
জিপে দুইটা ফ্ল্যাগ লাগিয়েছিলো । আমি এই বলে দিদারকে ক্ষেপাতাম যে, তুমি
সবচেয়ে বেশি ডরাইছো । তাই দুই ফ্ল্যাগ লাগাইছো । এসব নিয়ে আমরা মজা করলেও
ভেতরে ভেতরে ভীষণ উদ্বিগ্ন মুসলিমরা । যখন সবাই জানলো যে, আল কায়দা এই
জঘন্য কাজ করেছে এবং এর নেতা ওসামা বিন লাদেন একজন মুসলিম, সেই থেকে অনেক
আমেরিকান আমাদের সন্দেহের চোখে দেখতো ।
আমরা যখন শুক্রবারে জুম্মার নামাজ পড়তে মসজিদে যেতাম তখন কালো গ্লাসের তিন চারটা গাড়ি মসজিদের চারপাশে থাকতো । জেনেছিলাম, ওইগুলো এফবিআইয়ের গাড়ি । নামাজ পড়া অবস্থায় যেন স্থানীয় ক্রুদ্ধ আমেরিকানরা আমাদের আক্রমন করতে না পারে এফবিআই তার নিরাপত্তা দিতো আবার আমাদের দিকে নজরও রাখতো । একদিন দেখলাম, এনবিসি টিভির দু’জন সাংবাদিক বড় সাইজের ভিডিও ক্যামেরা নিয়ে মসজিদের ভেতরে । দু’জনের মধ্যে একজন মেয়ে সাংবাদিক স্কার্ট পড়া ছিলো বলে মসজিদ কতৃপক্ষ একটা বড় সাইজের টাওয়েল দিয়েছিলো তাকে যেন মসজিদে ঢুকতে তার হাঁটুর নিচও ঢাকা থাকে । পাকিস্তানী ইমাম সাহেব খুৎবার আগে যে সব ইসলামিক আলোচনা করতেন তা স্বাভাবিকভাবেই ইংরেজিতেই করতেন । আমি খেয়াল করে দেখেছিলাম, টিভির লোকজন ওই আলোচনা ভিডিও করছিলেন । প্রতিদিন টিভিতে দেখাচ্ছিলো, আমেরিকান সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী কিভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন । আমেরিকা পালটা আঘাত হানার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছে এবং প্রচণ্ড আঘাত । ওসামা বিন লাদেন, মোল্লা ওমর, ড. আইমান আল জাওয়াহিরিরা আমেরিকাকে সুযোগ করে দিলো, মুসলমানদের দেশ দখল করার আর বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়ার । আমরা দিব্য চোখে দেখছিলাম, ওরা স্থল পথে, জল পথে,আকাশ পথে একযোগে তেড়ে আসছে মুসলমানদের দিকে ।
তার পরের ইতিহাস সবার জানা । মাত্র ২৬ দিন পরই অক্টোবরের ৭ তারিখ আমেরিকা আফগানিস্তানে ব্যাপক ‘কার্পেট বম্বিং’ শুরু করলো । দুমাস না যেতেই ২০০১ সালের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে, পরাজয় আসন্ন জেনে মোল্লা ওমর জিহাদ টিহাদ ভুলে জান বাঁচাতে একটি মোটর সাইকেলে চড়ে পালিয়ে যান । আমরা হাসাহাসি করে বলতাম, মোল্লা ওমর হোন্ডা চড়ে পালিয়ে যাচ্ছে এমন একটা বিজ্ঞাপন হোন্ডা কোম্পানি দিলে দারুণ হতো । আমরা টিভি আর পত্রিকায় এসব দেখে ও পড়ে বিচলিত হতাম ।
দু’মাসেই আফগানিস্তান দখল করে ২০০৩ সালের মার্চ মাসে আমেরিকা ধরলো ইরাককে । ২১ দিনের মাথায় বাগদাদের পতন হলো । সাদ্দান হোসেন আত্মগোপন করলেন । তার দুই ছেলে উদে আর কুশে এবং কুশের ১৬ বছর বয়সি ছেলে মোস্তফা মসুলের এক বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন । আমেরিকানরা টের পেয়ে হেলিকপ্টার গানশিপ দিয়ে বাড়িটিকে উড়িয়ে দিয়েছিলো । তাদের মৃত্যু হলো । পরে সাদ্দাম হোসেনকে মাটির নিচে বাংকার থেকে ধরে নিয়ে বিচারের নামে ফাঁসি দিয়ে দিলো ।
আমার দৃষ্টিতে ওসামা বিন লাদেন, মোল্লা ওমর, ড. আইমান আল জাওয়াহিরিসহ তাদের কিছু সাঙ্গপাঙ্গ ইসলামের অনেক বড় ক্ষতি করেছে । যা হয়তো আর কোন দিনই পুরন করা সম্ভব হবে না ।
১নং ছবিঃ টুইন টাওয়ার জ্বলছে । ২ নং ছবিঃ প্রথম বিমান টুইন টাওয়ারের প্রথমটিতে হামলার পর স্কুলের ক্লাশ রুমে বাচ্চারা আছে বলে হোয়াইট হাউস চিফ অফ স্টাফ এন্ড্রু কার্ড প্রেসিডেন্টকে কানে কানে বলছেন হামলার কথা .৩নং ছবিঃ উড়ন্ত এয়ারফোর্স ওয়ান বিমানে এন্ড্রু কার্ডের সঙ্গে আলোচনা করছেন প্রেসিডেন্ট বুশ ।
আমরা যখন শুক্রবারে জুম্মার নামাজ পড়তে মসজিদে যেতাম তখন কালো গ্লাসের তিন চারটা গাড়ি মসজিদের চারপাশে থাকতো । জেনেছিলাম, ওইগুলো এফবিআইয়ের গাড়ি । নামাজ পড়া অবস্থায় যেন স্থানীয় ক্রুদ্ধ আমেরিকানরা আমাদের আক্রমন করতে না পারে এফবিআই তার নিরাপত্তা দিতো আবার আমাদের দিকে নজরও রাখতো । একদিন দেখলাম, এনবিসি টিভির দু’জন সাংবাদিক বড় সাইজের ভিডিও ক্যামেরা নিয়ে মসজিদের ভেতরে । দু’জনের মধ্যে একজন মেয়ে সাংবাদিক স্কার্ট পড়া ছিলো বলে মসজিদ কতৃপক্ষ একটা বড় সাইজের টাওয়েল দিয়েছিলো তাকে যেন মসজিদে ঢুকতে তার হাঁটুর নিচও ঢাকা থাকে । পাকিস্তানী ইমাম সাহেব খুৎবার আগে যে সব ইসলামিক আলোচনা করতেন তা স্বাভাবিকভাবেই ইংরেজিতেই করতেন । আমি খেয়াল করে দেখেছিলাম, টিভির লোকজন ওই আলোচনা ভিডিও করছিলেন । প্রতিদিন টিভিতে দেখাচ্ছিলো, আমেরিকান সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী কিভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন । আমেরিকা পালটা আঘাত হানার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছে এবং প্রচণ্ড আঘাত । ওসামা বিন লাদেন, মোল্লা ওমর, ড. আইমান আল জাওয়াহিরিরা আমেরিকাকে সুযোগ করে দিলো, মুসলমানদের দেশ দখল করার আর বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়ার । আমরা দিব্য চোখে দেখছিলাম, ওরা স্থল পথে, জল পথে,আকাশ পথে একযোগে তেড়ে আসছে মুসলমানদের দিকে ।
তার পরের ইতিহাস সবার জানা । মাত্র ২৬ দিন পরই অক্টোবরের ৭ তারিখ আমেরিকা আফগানিস্তানে ব্যাপক ‘কার্পেট বম্বিং’ শুরু করলো । দুমাস না যেতেই ২০০১ সালের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে, পরাজয় আসন্ন জেনে মোল্লা ওমর জিহাদ টিহাদ ভুলে জান বাঁচাতে একটি মোটর সাইকেলে চড়ে পালিয়ে যান । আমরা হাসাহাসি করে বলতাম, মোল্লা ওমর হোন্ডা চড়ে পালিয়ে যাচ্ছে এমন একটা বিজ্ঞাপন হোন্ডা কোম্পানি দিলে দারুণ হতো । আমরা টিভি আর পত্রিকায় এসব দেখে ও পড়ে বিচলিত হতাম ।
দু’মাসেই আফগানিস্তান দখল করে ২০০৩ সালের মার্চ মাসে আমেরিকা ধরলো ইরাককে । ২১ দিনের মাথায় বাগদাদের পতন হলো । সাদ্দান হোসেন আত্মগোপন করলেন । তার দুই ছেলে উদে আর কুশে এবং কুশের ১৬ বছর বয়সি ছেলে মোস্তফা মসুলের এক বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন । আমেরিকানরা টের পেয়ে হেলিকপ্টার গানশিপ দিয়ে বাড়িটিকে উড়িয়ে দিয়েছিলো । তাদের মৃত্যু হলো । পরে সাদ্দাম হোসেনকে মাটির নিচে বাংকার থেকে ধরে নিয়ে বিচারের নামে ফাঁসি দিয়ে দিলো ।
আমার দৃষ্টিতে ওসামা বিন লাদেন, মোল্লা ওমর, ড. আইমান আল জাওয়াহিরিসহ তাদের কিছু সাঙ্গপাঙ্গ ইসলামের অনেক বড় ক্ষতি করেছে । যা হয়তো আর কোন দিনই পুরন করা সম্ভব হবে না ।
১নং ছবিঃ টুইন টাওয়ার জ্বলছে । ২ নং ছবিঃ প্রথম বিমান টুইন টাওয়ারের প্রথমটিতে হামলার পর স্কুলের ক্লাশ রুমে বাচ্চারা আছে বলে হোয়াইট হাউস চিফ অফ স্টাফ এন্ড্রু কার্ড প্রেসিডেন্টকে কানে কানে বলছেন হামলার কথা .৩নং ছবিঃ উড়ন্ত এয়ারফোর্স ওয়ান বিমানে এন্ড্রু কার্ডের সঙ্গে আলোচনা করছেন প্রেসিডেন্ট বুশ ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন