সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

সৌদিদের কুকীর্তি


সৌদিদের কুকীর্তি


বেশ কিছুদিন হয়ে গেলো সৌদি আরবে কথিত দূর্নীতির নামে রাজ পরিবারের অনেক সদস্যকে গ্রেফতার করে পাঁচ তারকা হোটেল রিৎজ কার্লটন (Ritz Carlton) এ রাখা হয়েছে । একজন প্রিন্সের হেলিকপ্টার গুলি করে ভূপাতিত করে প্রিন্সসহ কয়েকজনকে হত্যা করা হয়েছে । এসব করা হয়েছে মূলত বর্তমান বাদশাহ-র ৩২ বছর বয়সি পুত্র ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমানের সিংহাসনে বসার পথ সুগম করার জন্য । ডোনাল্ড ট্রাম্পের সৌদি সফরের পরই এসব করা হয়েছে । কয়েকটি নিউজ পোর্টালে পড়লাম, সৌদি আরবকে চার ভাগে বিভক্ত করার পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে আমেরিকান প্রশাসন । তাতে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী রাজীও হয়েছে । মক্কা মদিনাকে ভ্যাটিকানের মতো ছোট করে আলাদা করা হবে । কয়েকদিন আগে মিডল ইস্ট মনিটরে পড়লাম, গ্রেফতারকৃতদের ৭০% টাকা রাজকীয় কোষাগারে জমা দিলে তাদের মুক্তি দেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়েছে । গ্রেফতারকৃতরা সবাই রাজ পরিবাদের সদস্য । এ যেন মুক্তিপন আদায় করার মতো ! অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, রাজ পরিবারের সদস্য হলে তাদের কেন গ্রেফতার করা হবে ? সৌদি আরব রাজতন্ত্রে শাসিত এক দেশ । ৫০/১০০/২০০ বছর আগেও যিনি বাদশাহ ছিলেন তার নাতিপুতিরাও রাজ পরিবারের সদস্য । সেই হিসেবে সৌদি আরবে কয়েক হাজার রাজ পরিবারের সদস্য আছে । এক প্রিন্সেস সৌদি আরবের আসল মুখোশ উম্মোচন করে সাক্ষাতকারে বলেছেন, সৌদি আরবে এখনো দাস প্রথা বিদ্যমান আছে । জেদ্দা নগরীতে প্রাচীন কালের মতোই দাস বিক্রি হয় । এইতো কিছুদিন আগে সৌদি গ্র্যান্ড মুফতি ফতোয়া দিয়েছেন, “ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হারাম !”
অনেকদিন আগে আমি সৌদি আরব নিয়ে একটা নোট লিখেছিলাম । এতে আমার কিছু বন্ধু মনঃক্ষুন্ন হয়ে কমেন্ট করেছিলেন । মক্কা মদিনা সৌদি আরবে বলে অনেকের সৌদি আরবের প্রতি বেশি দূর্বলতা আছে । আমাদের দেশের অনেক সাধারণ মানুষ সৌদিদের কুকীর্তি সম্পর্কে জানেনও না । সৌদি আরবের শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কথা বলা যে ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলা নয় তা অনেকেই বুঝতে চান না । অথবা বুঝেন না । সৌদি আরবের লোকেরা প্রকৃত ইসলামের প্রতিনিধিত্ব করে না বলেও আমি ওই নোটে উল্লেখ করেছিলাম । সৌদি আরবে যেমন আমাদের নবীজি জন্ম গ্রহন করেছিলেন তেমনি জন্ম গ্রহন করেছিলেন আবু জাহেল, আবু তালেবের মতো অসংখ্য নাফরমান ও কাফের ।
কয়েকদিন আগে আমি বলেছিলাম, টাইমলাইন চেক করছি । আজ টাইমলাইন চেক করতে গিয়ে আমার ওই নোটটি পেলাম । নবীজির মৃত্যুর পর থেকেই ক্ষমতা দখল নিয়ে সৌদি আরবের লোকেরা মারামারি কাটাকাটিতে লিপ্ত । তাই সৌদি আরবের লোকেরা ভালো তা মনে করার কোনো কারন নেই । সেই নোটটি আবার আজ দিলাম ...
অষ্টাদশ শতাব্দীর দার্শনিক ও ধর্মীয় নেতা মোহাম্মদ আবদ আল ওয়াহাব (১৭০৩-১৭৯২) এর সময় থেকেই সৌদিরা প্রকৃত ইসলাম থেকে দূরে সরে গেছে । ওরা ওয়াহাবি সম্প্রদায়ের লোক । প্রকৃত ইসলামের প্রতিনিধিত্ব করে না । আজ আবার কতোগুলো বই ও নেটে চেক করে এখানে একটিও ভুল পাই নি । তাছাড়া যার বই কনসাল্ট করে আমি লিখেছিলাম তার শিক্ষা ও জ্ঞানের উপর আমার অগাধ আস্থা আছে । তিনি হার্ভার্ড-অক্সফোর্ড শিক্ষিত ভদ্র মহিলা । তিনি এতোই মেধাবী ছিলেন যে, তিনি অক্সফোর্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন ।
তাছাড়া বইটি কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা নয় । বইটিতে ইসলাম ধর্মের প্রতি তার ভালোবাসা ও বিশ্বাস স্পষ্ট করেছেন । তিনি মুসলিম বিশ্বের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী । দুবাইতে ৮ বছর নির্বাসিত জীবনে তিনি প্রচুর লেখাপড়া ও গবেষণা করে বইটি লিখেছেন । ২০০৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর বিকেলে তিনি আততায়ীর হাতে নিহত হন রাওয়ালপিন্ডির লিয়াকতবাগে বিশাল জনসমুদ্রে ভাষণ দেয়ার পর । ওইদিন সকালে এই বইটি চুড়ান্তভাবে এডিট করা পাণ্ডুলিপিটি ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্ক এ,সিয়েগেলের হাতে পৌঁছে । সেদিন বিকেলেই তিনি নিহত হন । বইটি তার মৃত্যুর পর প্রথম প্রকাশ করে প্রকাশনা সংস্থা হারপার কলিন্স ২০০৮ সালে ।
এই লেখায় সে সময় অনেকেই কমেন্ট করেছিলেন যে, আমার সূত্র অথেনটিক নয় । যারা এমন কমেন্ট করেছেন, তাদের আগেই বলে দিই, পারলে অথেনটিক সূত্র উল্লেখ করবেন । ভাসা ভাসা জ্ঞান নিয়ে মন্তব্য করা থাকে বিরত থাকুন । কষ্ট করে পড়বো, লিখবো আর আপনি উড়ে এসে না জেনে কমেন্ট করবেন তা হয় না ।
এখানে এক চুল পরিমাণ মিথ্যা নেই । বইটিতে পবিত্র কোরানের শত শত উদ্বৃতি আছে । মূলত: এটি একটি গবেষণামূলক বই । তাছাড়া তার বাবা জুলফিকার আলী ভুট্টো সুন্নী মুসলিম আর মা নুসরাত ভুট্টো শিয়া মুসলিম । ওই পরিবারে বেড়ে উঠা এই মেধাবী মহিলার বইয়ের লেখা আমি অবশ্যই বিশ্বাস করবো । বিশ্ববিদ্যালয় লেবেলে গ্র্যাজুয়েশন কোর্সে আমারো ৩০০ নাম্বারের ইসলামের ইতিহাস ছিলো । ওইসব বইতেও আমি তাই পড়েছি । তবে আমি অবশ্যই অন্যকে তা বিশ্বাস করার জন্য বলবো না । এটা যার যার নিজস্ব অধিকার । আমি পড়ে যে তথ্য পেয়েছি তা জানানোই লেখার উদ্দেশ্য ।
গোড়ার দিকে ইসলামে কিভাবে গোষ্ঠী সৃস্টি হলো তা ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে আলোচনা করলে আজকের আধুনিক মুসলিম সমাজকে বুঝতে সুবিধা হবে । এই বিভক্তি ১৩শ’বছর ধরে মুসলমানদের কাছ থেকে মুসলমানদেরকে পৃথক করে রেখেছে ।
রাসুলুল্লাহ(সঃ)-এর মৃত্যুর পর মুসলমানদের যারা শাসন করেছেন তাদের খলিফা বলা হয় । শিয়ারা বিশ্বাস করে যে প্রথম খলিফা ছিলেন হজরত আলী । আলী ছিলেন রাসুল (সঃ)এর চাচাতো ভাই এবং নবীজির কন্যা ফাতিমাকে বিয়ে করেছিলেন । হজরত আলী হলেন রাসুলের দৌহিত্রদের পিতা । কিন্তু সুন্নীরা আবু বকরকেই প্রথম খলিফা বলে মনে করে । শিয়া এবং সুন্নীরা হলো ইসলামের সবচেয়ে বড় দুটি গোষ্ঠী । তাদের ধর্মীয় মতবাদ এবং ইতিহাস জানা ও বোঝা জরুরী । শিয়া এবং সুন্নীদের মধ্যে সবচেয়ে বড় মতপার্থক্য দেখা দেয় নবী মোহাম্মদের প্রতিষ্ঠিত মুসলমান সমাজের কে হবেন পরবর্তী নেতা তা নিয়ে । শিয়ারা দাবি করে, নবী মোহাম্মদ শেষবার হিজরতকালে পথিমধ্যে দাঁড়িয়ে পড়েন এবং তার সহযাত্রীদের সম্মুখে ঘোষণা করেন হজরত আলী হবেন পরবর্তী উত্তরাধিকারী । কিন্তু সুন্নীরা বিশ্বাস করে, মৃত্যু শয্যায় শায়িত নবী তার আরেক স্ত্রীর পিতা আবু বকরকে উত্তরাধিকার নির্বাচন করেন । শিয়াদের বক্তব্য হলো, আলী যখন নবী মোহাম্মদকে কবর দিতে ব্যস্ত তখন হজরত উমর (পরবর্তীতে ২য় খলিফা নির্বাচিত হন)সাহাবাদেরকে ডাকেন এবং আবু বকরকে নেতা নির্বাচিত করেন । সুন্নী মুসলমানরা বলে, আবু বকরের নির্বাচনই সঠিক । শিয়ারা বলে প্রকৃতপক্ষে আলী প্রথম খলিফা এবং ইমাম ।
আবু বকরের পর উমর এবং উসমান খলিফা নির্বাচিত হোন । উসমানের হত্যাকাণ্ডের পর আলী চতুর্থ খলিফা হিসেবে নিযুক্ত হোন এবং সকলেই তা মেনে নেয় । শুধু বর্তমান সিরিয়ায় তখন যারা বাস করতো তারা ব্যতীত । ৬৫৭ খ্রিষ্টাব্দে উসমানের ভাগ্নে মোয়াবিয়া আলীর ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করেন । যদিও সেই যুদ্ধ ছিলো অমীমাংসিত, কিন্তু আলীর প্রশাসন ভেঙে পড়তে থাকে । অবশেষে আলী ৬৬১ খ্রিষ্টাব্দে আততায়ীর হাতে নিহত হন এবং তার পুত্র ও নবীর দৌহিত্র হোসেন ক্ষমতারোহন করেন ।
কিন্তু মুসলিম বিশ্বের নেতা হয়ে উঠা মোয়াবিয়া তাকে অস্বীকার করেন । মোয়াবিয়ার মৃত্যুর পর তার পুত্র ইয়াজিদ ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করেন । কিন্তু তৎকালীন ইরাকিরা আলীর দ্বিতীয় পুত্র হুসেনকে সমর্থন করেন । হুসেন ইরাকের নগরী কুফায় গমন করেন । তিনি সেখান থেকে খিলাফতের দাবিতে রাজধানী দামাস্কাস অভিযানের প্রস্তুতি গ্রহন করেন এবং দামাস্কাস অভিমুখে রওয়ানা হন । পথিমধ্যে কারবালা নামক স্থানে তিনি ইয়াজিদ বাহিনীর হামলার শিকার হন । ইয়াজিদ বাহিনী ইমাম হুসেনের পরিবারসহ শিশুদের খাবার পানি সরবরাহ করতে অস্বীকার করেন । তাদেরকে নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করা হয় এবং নবী মোহাম্মদের দৌহিত্র হুসেনের শিরচ্ছেদ করা হয় । তার সেই বিচ্ছিন্ন মুণ্ড এবং হোসেনের বোন জয়নাবকে ইয়াজিদের দরবারে নিয়ে যাওয়া হয় । কারবালার ধ্বংসযজ্ঞে জয়নাবই ছিলেন একমাত্র জীবিত । শিয়ারা এই ঘটনাকে তাদের ইতিহাসের উৎস মনে করে । তারা আলী এবং হুসেনসহ নবী পরিবারের যারা নিহত হয়েছেন তাদের জীবন্ত প্রতীক বলে মনে করে । এখান থেকেই তারা একটি গোষ্ঠী হিসেবে আবির্ভূত হয় । তাদের চিন্তায় থেকে যায় অত্যাচার, করুণ ঘটনা, এবং শহীদ হওয়ার কাহিনী ।
সুন্নী ইসলামে আইন বিষয়ক চারটি তরিকা রয়েছে । এগুলো হলো হানাফি, সাফি, মালিকি, এবং হানবালি । অন্য একটি উঠে আসা গোষ্ঠী হলো ওয়াহাবি গোষ্ঠী । এই ওয়াহাবিরাই আজকের সৌদি আরবে সবচেয়ে প্রভাবশালী এবং ক্ষমতাশীন ।
এই সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা অষ্টাদশ শতাব্দীর দার্শনিক ও ধর্মীয় নেতা মোহাম্মদ আবদ আল ওয়াহাব (১৭০৩-১৭৯২) । তিনি মুলত হানবালি মতাদর্শের অনুসারী । ওয়াহাব আরব প্রধান ইবনে সৌদের সঙ্গে হাত মেলান এবং তারা দু’জনে মিলে আরব উপদ্বীপ দখল করে নেন । যদিও এই অঞ্চল অটোম্যান সাম্রাজের অধীনে ছিলো, কিন্তু পরে সৌদের পরিবার এই এলাকা পুনর্দখল করে নেয় এবং আধুনিক সৌদি আরব প্রতিষ্ঠা করে । সউদের পরিবারই রাজপরিবারের মর্যাদা লাভ করে এবং রাজ্যের ইসলাম চর্চা শুরু হয় ওয়াহাবি মতবাদ অনুসারে ।
তারা জামাতে উপস্থিত হওয়াকে বাধ্যতামুলক করে । ওয়াবিরা শিয়াদের সহ্য করতে পারেনি । ১৮০২ সালে আধুনিক ইরাকের কারবালাকে ওয়াবিরা ধ্বংস করে এবং যতো শিয়া পুরুষ , নারী ও শিশু পাওয়া যায় তাদেরকে হত্যা করে । শিয়া সম্প্রদায়ের নিকট কারবালা একটি পবিত্রতম শহর । ইরান আর সৌদি আরবের মধ্যে যে তীব্র বিরোধ তার উৎপত্তি সেখান থেকেই । এটা ইতিহাসের কথা । আমার কথা নয় ।
ওয়াহাবি মতবাদের অনুসারীরা একটি কট্টর ও উগ্র সম্প্রদায় । তারা মুসলমানদের কিছু সম্প্রদায়কে স্বধর্মত্যাগী মনে করে । ওয়াহাবিরা মনে করে শিয়াদের হত্যা করা তাদের ধর্মীয় দায়িত্ব । যে কারনে ইসলামের প্রানকেন্দ্র রক্তাক্ত হয়েছে এবং গৃহযুদ্ধ বেঁধেছে । অধিকাংশ সুন্নী মনে করে, বিরোধীতার সবচেয়ে বড় কারন হলো, ওয়াহাবিরা তাদের চিন্তা ও কর্মকাণ্ডকে গোটা মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সহিংস হয়ে উঠেছে ।
তথ্যসূত্রঃReconciliation: Islam, Democracy and The West.
Benazir Bhutto
Former Prime Minister of Pakistan.
Benazir Bhutto was the 11th Prime Minister of Pakistan and the leader of the centre-left Pakistan Peoples Party. She was the first woman to head a Muslim majority nation.
Born: June 21, 1953, Karachi, Pakistan
Assassinated: December 27, 2007, Rawalpindi, Pakistan
Spouse: Asif Ali Zardari (m. 1987–2007)
Parents: Zulfikar Ali Bhutto, Nusrat Bhutto
Children: Bilawal Bhutto Zardari, Bakhtawar Bhutto Zardari, Asifa Bhutto Zardari
Quotes
*Democracy is necessary to peace and to undermining the forces of terrorism.
*The government I led gave ordinary people peace, security, dignity, and opportunity to progress.
*Military hardliners called me a 'security threat' for promoting peace in South Asia and for supporting a broad-based government in Afghanistan.

 December 1, 2017

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

অশ্লীল নাম

বাংলাদেশের কিছু প্রতিষ্ঠান ও স্থানের বিচিত্র বা বিকৃত অর্থের নাম যা পরিবর্তন করা উচিতঃ ১. বোদা মহিলা মহাবিদ্যালয়, বোদা, পঞ্চগড় ২. চুমাচুমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি ৩. সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খুলনা ৪. মানুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নীলফামারি ৫. সোনাকাটা ইউনিয়ন, তালতলী, বরগুনা ৬.বড়বাল ইউনিয়ন, মিঠাপুকুর, রংপুর ৭.সোনাখাড়া ইউনিয়ন, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ৮. ধনকামড়া গ্রাম, ভোদামারা, দিনাজপুর ৯.গোয়াকাটা, দোহার, ঢাকা ১০. গোয়াতলা, ময়মনসিংহ ১১.লেংটার হাট, মতলব, চাঁদপুর