সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আমেরিকায় এক শ্রেণির মানুষ বিশেষজ্ঞ

আমেরিকায় এক শ্রেণির মানুষ বিশেষজ্ঞ, আর বেশিরভাগ মানুষই নানান বিষয়ে অজ্ঞ ।আমাদের দেশের গরীব, অল্প শিক্ষিত মানুষেরা বাইরের পৃথিবীর খবর বিশেষ রাখে না । অল্প শিক্ষিতইবা বলি কেন ? বছর দুয়েক স্কুলে ইংরেজি পড়িয়ে দেখেছি বিএ, এমএ পাশ শিক্ষকরাও বাইরের পৃথিবী সম্পর্কে অনেক কিছুই জানে না । এরা কিভাবে বিএ, এমএ পাশ করেছে এ এক বিস্ময় ! আমার সাবজেক্ট ছিলো ইংরেজি । একদিন সহকারি প্রধান শিক্ষক আমাকে বললেন, করিম সাহেব, ক্লাশ টেনে ইংরেজির পাশাপাশি ‘বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়’ সাবজেক্টটার একটা ক্লাশ নিতে পারবেন ? আমি বললাম, দেখি বইটা একটু । সহকারি প্রধান শিক্ষক আমাকে বইটা দিলেন । আমি ১ ঘন্টা বইটার বিভিন্ন চ্যাপ্টার দেখলাম । এরপর হেসে বললাম, আপনারাতো ক্লাশে বই খোলে চ্যাপ্টার দেখে পড়ে পড়ান । আমি ক্লাশ নিতে পারি । তবে যেদিন যে চ্যাপ্টার পড়াবো সেদিন আমি শুধু ক্লাশে গিয়ে চ্যাপ্টারটা দেখবো । বই দেখে আমাকে পড়াতে হবে না । এই শর্তে হলে আমি ক্লাশ নিতে পারি । সহকারি প্রধান শিক্ষক মি.আবুল কালাম ভুঁইয়া বললেন, আপনি স্কুলে আসছেন কি করতে ? আপনি পড়াবেন ভার্সিটিতে । আমি বললাম, বয়স নেই তো ভার্সিটির শিক্ষক হওয়ার । আর আমি এই স্কুলে চাকরি করতে আসিনি । স্কুলের প্রেসিডেন্ট ডাক্তার একেএম আব্দুস সেলিম আমাকে চেনেন । আমি অবসর আছি বলে তিনি বললেন, আমার স্কুলে ইংরেজি শিক্ষক লাগবে । ভালো শিক্ষক পাচ্ছি না । তুমিতো অবসর । আমার স্কুলে কিছুদিন ইংরেজি পড়াও । সে কারনেই আমার এখানে আসা ।
স্কুলে জয়েন করে শিক্ষকদের জ্ঞান আর মেধা দেখে আমি খুবই মর্মাহত হলাম । আইসিটির শিক্ষক আমাকে একদিন জিজ্ঞেস করলো স্যার, ফেসবুকে ছবি কিভাবে আপলোড করে ? আর ইমেইলে ছবি বা কোনো ডকুমেন্ট কিভাবে সেন্ড করে আমাকে একটু বুঝিয়ে দেন । আমি কিছুটা রেগে গিয়ে বললাম, তোমাকে এখানে আইসিটির শিক্ষক হিসেবে কে নিয়োগ দিয়েছে ? তুমি ছাত্রদের কি পড়াবা ? থাক, ওরা আমার অনেক জুনিয়র । গ্রামের ছেলে । দেশে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠা কম্পিউটার ট্রেইনিং সেন্টারে ৩/৪ চার মাসের কোর্স করে একটা সার্টিফিকেট নিয়ে চাকরিতে ঢুকেছে । এদের বেশির ভাগই নিডি ফ্যামিলির । তাদের নিয়ে কিছু বলা আমার শোভা পায় না ।
বলছিলাম আমেরিকায় এক শ্রেণির মানুষ বিশেষজ্ঞ, আর বেশিরভাগ মানুষই নানা বিষয়ে অজ্ঞ । আমেরিকার মোটামুটি শিক্ষিত, প্লেন চালাতে পারে এমন ধনী চাষিরাও যে নিজের দেশের বাইরে যে পৃথিবী, সে সম্পর্কে প্রায় কিছুই জানে না । তা দেখে আমার বেশ অবাক লাগতো । আমেরিকার মোটামুটি ধনীদেরও নিজস্ব ব্যক্তিগত বিমান আছে । এমন কি চাষিদেরও ।
আফগানিস্তান ও ইরাক যুদ্ধের পুরোটা সময় আমি আমেরিকায় ছিলাম । অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করতো আফগানিস্তান কোথায়? ইরাক কোথায় ? আমি তিন ডবল রাগান্বিত হয়ে বলাতাম, তোমরা দেখি মুর্খ !
৫০টি স্টেট নিয়ে আমেরিকা অনেক বড় দেশ । বলা হয়ে থাকে, একজন মানুষের পক্ষে তার সারাজীবনে পুরো আমেরিকা দেখা সম্ভব নয় । এরা নিজের দেশ সম্পর্কেই অনেক কিছু জানে না ।
আমি যে শেল গ্যাস স্টেশনে জব করতাম সেখানের একটু অভিজ্ঞতার কথা । আমেরিকা –ইউরোপসহ উন্নত বিশ্বে ২১ বছরের নিচের ছেলেমেয়েদের কাছে বিয়ার, ওয়াইন, হুইস্কিসহ যে কোনো ধরণের অ্যালকোহলিক বেভারেজ বিক্রি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ । এটা ফেডারেল ক্রাইম । দন্ডনীয় অপরাধ । আমি অসতর্কভাবে দুইবার বিক্রি করে কোর্ট পর্যন্ত যেতে হয়েছিলো । সে কথা আরেকদিন ।
আবার ১৮ বছরের নিচের ছেলেমেয়েদের কাছে সিগারেট, লাইটার, চুরুটসহ যে কোনো ধরনের টোবাকো প্রোডাক্ট বিক্রিও দন্ডনীয় অপরাধ । এটাও ফেডারেল ক্রাইম । তবে ওইসব স্টোরে (যাকে স্থানীয় ভাষায় ‘কনভিনিয়েন্ট স্টোর’ বলে) যারা কাজ করেছেন তারা সকলেই এই ধরা একবার না একবার খেয়েছেন ।
আমার দেখা একজনও নেই যে এই ধরা খায় নি ।
কম বয়সি ছেলেমেয়েরা অ্যালকোহল বা সিগারেট কিনতে চাইলে আমরা তাদের আইডি দেখতে চাই । বয়স কম হলে এরা আইডি দেখাতে চায় না । নানা উছিলা দেখায় । যেমন বাসায় ফেলে আসছি, হারিয়ে গেছে আবার আবেদন করেছি ইত্যাদি বলে । কম বয়সিই বা বলি কিভাবে ? ১৯/২০ বছরের ছেলেমেয়েদের আমার কাছে ৩০ বছর মনে হয় । ৬/৭ ফিট লম্বা । কি স্বাস্থ্যবান !
তো একদিন এক মেয়ে এলো ৬টার প্যাকেটের বিয়ার নিয়ে । এগুলো সেলফ সার্ভিস স্টোর । কাউন্টারে বিয়ারের প্যাক রাখতেই কম্পিউটারে স্ক্যান করার আগেই আমি বিনয়ের সঙ্গে বললাম, মে আই সি ইউর আইডি প্লিজ । মেয়েটি হুট করে বলে উঠলো, ফাক ইউ ম্যান । একটা মেয়ে যদি বলে ফাক ইউ ম্যান তখন মেজাজটা কেমন খারাপ হয় ? আমি ভদ্রভাবে তাকে বললাম, আমাদের দেশে তো আমরা মেয়েদের ফাক করি । তোমাদের দেশে দেখি উলটো । মেয়েরা পুরুষকে করো ? ফাক তুমি আমাকে করবা না আমি তোমাকে করবো ? সে জোর দিয়ে বললো, আই উইল ফাক ইউ । এবার আর মাথা ঠিক রাখতে পারলাম না । কাউন্টারে দাঁড়িয়েই প্যান্টের জিপার খোলে বললাম, এসো, বাথরুমে যাই । দেখি কে কাকে ফাক করতে পারে ? মেয়েটি আবার বললো, ইউ ফাকিং ইন্ডিয়ান । আমি বললাম, আই এম নট এন ইন্ডিয়ান । আই এম এ ফাকিং বাংলাদেশি । মেয়েটি বললো, বাংলাদেশ কোথায় ? আমি বললাম, তুমি কি করো ? সে বললো, আমি এডিসন কলেজে পড়ি । বিদ্যুৎ বাতি আবিস্কারক টমাস আলভা এডিসনের নামে ওই এলাকায় একটা কলেজ আছে । আমি তাকে বললাম, তুমি কলেজে পড়ে বাংলাদেশ চিনো না ? ইউ আর ফাকিং ইলিটারেট । এই হলো আমেরিকার সাধারন মানুষের জ্ঞান । বহির্বিশ্ব সম্পর্কে তাদের কোনো জ্ঞানই নেই ।
(একটা ছবি দিলাম ৬প্যাক বিয়ারের । স্যারের অনুমতি ছাড়াই । তিনি ফ্লোরিডা আমার কাছে বেড়াতে গিয়েছিলেন। তো একদিন দুষ্টুমি করে আমি বললাম, স্যার, বিয়ার ঠান্ডা রাখার জন্য স্টোরের যেখানে রাখি ওটাকে কোলার বলে । চলুন আপনাকে দেখাই । মন চাইলে ওখানে বসে বসেই খাবেন যতো ইচ্ছা । তিনি কুলারে ঢুকে বললেন, বেবি( তালেয়া রেহমানের ডাক নাম) আমিও বিয়ার খাই, মন্টুও বিয়ার খায় । আমরা বিয়ারের প্যাক নিয়ে দাঁড়াই। তুমি একটা ছবি তোলো । ছবিটা যায়যায়দিন সম্পাদক মি. শফিক রেহমানের সঙ্গে ২০০০ সালে ।)আমেরিকায় এক শ্রেণির মানুষ বিশেষজ্ঞ, আর বেশিরভাগ মানুষই নানান বিষয়ে অজ্ঞ ।আমাদের দেশের গরীব, অল্প শিক্ষিত মানুষেরা বাইরের পৃথিবীর খবর বিশেষ রাখে না । অল্প শিক্ষিতইবা বলি কেন ? বছর দুয়েক স্কুলে ইংরেজি পড়িয়ে দেখেছি বিএ, এমএ পাশ শিক্ষকরাও বাইরের পৃথিবী সম্পর্কে অনেক কিছুই জানে না । এরা কিভাবে বিএ, এমএ পাশ করেছে এ এক বিস্ময় ! আমার সাবজেক্ট ছিলো ইংরেজি । একদিন সহকারি প্রধান শিক্ষক আমাকে বললেন, করিম সাহেব, ক্লাশ টেনে ইংরেজির পাশাপাশি ‘বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়’ সাবজেক্টটার একটা ক্লাশ নিতে পারবেন ? আমি বললাম, দেখি বইটা একটু । সহকারি প্রধান শিক্ষক আমাকে বইটা দিলেন । আমি ১ ঘন্টা বইটার বিভিন্ন চ্যাপ্টার দেখলাম । এরপর হেসে বললাম, আপনারাতো ক্লাশে বই খোলে চ্যাপ্টার দেখে পড়ে পড়ান । আমি ক্লাশ নিতে পারি । তবে যেদিন যে চ্যাপ্টার পড়াবো সেদিন আমি শুধু ক্লাশে গিয়ে চ্যাপ্টারটা দেখবো । বই দেখে আমাকে পড়াতে হবে না । এই শর্তে হলে আমি ক্লাশ নিতে পারি । সহকারি প্রধান শিক্ষক মি.আবুল কালাম ভুঁইয়া বললেন, আপনি স্কুলে আসছেন কি করতে ? আপনি পড়াবেন ভার্সিটিতে । আমি বললাম, বয়স নেই তো ভার্সিটির শিক্ষক হওয়ার । আর আমি এই স্কুলে চাকরি করতে আসিনি । স্কুলের প্রেসিডেন্ট ডাক্তার একেএম আব্দুস সেলিম আমাকে চেনেন । আমি অবসর আছি বলে তিনি বললেন, আমার স্কুলে ইংরেজি শিক্ষক লাগবে । ভালো শিক্ষক পাচ্ছি না । তুমিতো অবসর । আমার স্কুলে কিছুদিন ইংরেজি পড়াও । সে কারনেই আমার এখানে আসা ।
স্কুলে জয়েন করে শিক্ষকদের জ্ঞান আর মেধা দেখে আমি খুবই মর্মাহত হলাম । আইসিটির শিক্ষক আমাকে একদিন জিজ্ঞেস করলো স্যার, ফেসবুকে ছবি কিভাবে আপলোড করে ? আর ইমেইলে ছবি বা কোনো ডকুমেন্ট কিভাবে সেন্ড করে আমাকে একটু বুঝিয়ে দেন । আমি কিছুটা রেগে গিয়ে বললাম, তোমাকে এখানে আইসিটির শিক্ষক হিসেবে কে নিয়োগ দিয়েছে ? তুমি ছাত্রদের কি পড়াবা ? থাক, ওরা আমার অনেক জুনিয়র । গ্রামের ছেলে । দেশে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠা কম্পিউটার ট্রেইনিং সেন্টারে ৩/৪ চার মাসের কোর্স করে একটা সার্টিফিকেট নিয়ে চাকরিতে ঢুকেছে । এদের বেশির ভাগই নিডি ফ্যামিলির । তাদের নিয়ে কিছু বলা আমার শোভা পায় না ।
বলছিলাম আমেরিকায় এক শ্রেণির মানুষ বিশেষজ্ঞ, আর বেশিরভাগ মানুষই নানা বিষয়ে অজ্ঞ । আমেরিকার মোটামুটি শিক্ষিত, প্লেন চালাতে পারে এমন ধনী চাষিরাও যে নিজের দেশের বাইরে যে পৃথিবী, সে সম্পর্কে প্রায় কিছুই জানে না । তা দেখে আমার বেশ অবাক লাগতো । আমেরিকার মোটামুটি ধনীদেরও নিজস্ব ব্যক্তিগত বিমান আছে । এমন কি চাষিদেরও ।
আফগানিস্তান ও ইরাক যুদ্ধের পুরোটা সময় আমি আমেরিকায় ছিলাম । অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করতো আফগানিস্তান কোথায়? ইরাক কোথায় ? আমি তিন ডবল রাগান্বিত হয়ে বলাতাম, তোমরা দেখি মুর্খ !
৫০টি স্টেট নিয়ে আমেরিকা অনেক বড় দেশ । বলা হয়ে থাকে, একজন মানুষের পক্ষে তার সারাজীবনে পুরো আমেরিকা দেখা সম্ভব নয় । এরা নিজের দেশ সম্পর্কেই অনেক কিছু জানে না ।
আমি যে শেল গ্যাস স্টেশনে জব করতাম সেখানের একটু অভিজ্ঞতার কথা । আমেরিকা –ইউরোপসহ উন্নত বিশ্বে ২১ বছরের নিচের ছেলেমেয়েদের কাছে বিয়ার, ওয়াইন, হুইস্কিসহ যে কোনো ধরণের অ্যালকোহলিক বেভারেজ বিক্রি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ । এটা ফেডারেল ক্রাইম । দন্ডনীয় অপরাধ । আমি অসতর্কভাবে দুইবার বিক্রি করে কোর্ট পর্যন্ত যেতে হয়েছিলো । সে কথা আরেকদিন ।
আবার ১৮ বছরের নিচের ছেলেমেয়েদের কাছে সিগারেট, লাইটার, চুরুটসহ যে কোনো ধরনের টোবাকো প্রোডাক্ট বিক্রিও দন্ডনীয় অপরাধ । এটাও ফেডারেল ক্রাইম । তবে ওইসব স্টোরে (যাকে স্থানীয় ভাষায় ‘কনভিনিয়েন্ট স্টোর’ বলে) যারা কাজ করেছেন তারা সকলেই এই ধরা একবার না একবার খেয়েছেন ।
আমার দেখা একজনও নেই যে এই ধরা খায় নি ।
কম বয়সি ছেলেমেয়েরা অ্যালকোহল বা সিগারেট কিনতে চাইলে আমরা তাদের আইডি দেখতে চাই । বয়স কম হলে এরা আইডি দেখাতে চায় না । নানা উছিলা দেখায় । যেমন বাসায় ফেলে আসছি, হারিয়ে গেছে আবার আবেদন করেছি ইত্যাদি বলে । কম বয়সিই বা বলি কিভাবে ? ১৯/২০ বছরের ছেলেমেয়েদের আমার কাছে ৩০ বছর মনে হয় । ৬/৭ ফিট লম্বা । কি স্বাস্থ্যবান !
তো একদিন এক মেয়ে এলো ৬টার প্যাকেটের বিয়ার নিয়ে । এগুলো সেলফ সার্ভিস স্টোর । কাউন্টারে বিয়ারের প্যাক রাখতেই কম্পিউটারে স্ক্যান করার আগেই আমি বিনয়ের সঙ্গে বললাম, মে আই সি ইউর আইডি প্লিজ । মেয়েটি হুট করে বলে উঠলো, ফাক ইউ ম্যান । একটা মেয়ে যদি বলে ফাক ইউ ম্যান তখন মেজাজটা কেমন খারাপ হয় ? আমি ভদ্রভাবে তাকে বললাম, আমাদের দেশে তো আমরা মেয়েদের ফাক করি । তোমাদের দেশে দেখি উলটো । মেয়েরা পুরুষকে করো ? ফাক তুমি আমাকে করবা না আমি তোমাকে করবো ? সে জোর দিয়ে বললো, আই উইল ফাক ইউ । এবার আর মাথা ঠিক রাখতে পারলাম না । কাউন্টারে দাঁড়িয়েই প্যান্টের জিপার খোলে বললাম, এসো, বাথরুমে যাই । দেখি কে কাকে ফাক করতে পারে ? মেয়েটি আবার বললো, ইউ ফাকিং ইন্ডিয়ান । আমি বললাম, আই এম নট এন ইন্ডিয়ান । আই এম এ ফাকিং বাংলাদেশি । মেয়েটি বললো, বাংলাদেশ কোথায় ? আমি বললাম, তুমি কি করো ? সে বললো, আমি এডিসন কলেজে পড়ি । বিদ্যুৎ বাতি আবিস্কারক টমাস আলভা এডিসনের নামে ওই এলাকায় একটা কলেজ আছে । আমি তাকে বললাম, তুমি কলেজে পড়ে বাংলাদেশ চিনো না ? ইউ আর ফাকিং ইলিটারেট । এই হলো আমেরিকার সাধারন মানুষের জ্ঞান । বহির্বিশ্ব সম্পর্কে তাদের কোনো জ্ঞানই নেই ।
(একটা ছবি দিলাম ৬প্যাক বিয়ারের । স্যারের অনুমতি ছাড়াই । তিনি ফ্লোরিডা আমার কাছে বেড়াতে গিয়েছিলেন। তো একদিন দুষ্টুমি করে আমি বললাম, স্যার, বিয়ার ঠান্ডা রাখার জন্য স্টোরের যেখানে রাখি ওটাকে কোলার বলে । চলুন আপনাকে দেখাই । মন চাইলে ওখানে বসে বসেই খাবেন যতো ইচ্ছা । তিনি কুলারে ঢুকে বললেন, বেবি( তালেয়া রেহমানের ডাক নাম) আমিও বিয়ার খাই, মন্টুও বিয়ার খায় । আমরা বিয়ারের প্যাক নিয়ে দাঁড়াই। তুমি একটা ছবি তোলো । ছবিটা যায়যায়দিন সম্পাদক মি. শফিক রেহমানের সঙ্গে ২০০০ সালে ।)আমেরিকায় এক শ্রেণির মানুষ বিশেষজ্ঞ, আর বেশিরভাগ মানুষই নানান বিষয়ে অজ্ঞ ।আমাদের দেশের গরীব, অল্প শিক্ষিত মানুষেরা বাইরের পৃথিবীর খবর বিশেষ রাখে না । অল্প শিক্ষিতইবা বলি কেন ? বছর দুয়েক স্কুলে ইংরেজি পড়িয়ে দেখেছি বিএ, এমএ পাশ শিক্ষকরাও বাইরের পৃথিবী সম্পর্কে অনেক কিছুই জানে না । এরা কিভাবে বিএ, এমএ পাশ করেছে এ এক বিস্ময় ! আমার সাবজেক্ট ছিলো ইংরেজি । একদিন সহকারি প্রধান শিক্ষক আমাকে বললেন, করিম সাহেব, ক্লাশ টেনে ইংরেজির পাশাপাশি ‘বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়’ সাবজেক্টটার একটা ক্লাশ নিতে পারবেন ? আমি বললাম, দেখি বইটা একটু । সহকারি প্রধান শিক্ষক আমাকে বইটা দিলেন । আমি ১ ঘন্টা বইটার বিভিন্ন চ্যাপ্টার দেখলাম । এরপর হেসে বললাম, আপনারাতো ক্লাশে বই খোলে চ্যাপ্টার দেখে পড়ে পড়ান । আমি ক্লাশ নিতে পারি । তবে যেদিন যে চ্যাপ্টার পড়াবো সেদিন আমি শুধু ক্লাশে গিয়ে চ্যাপ্টারটা দেখবো । বই দেখে আমাকে পড়াতে হবে না । এই শর্তে হলে আমি ক্লাশ নিতে পারি । সহকারি প্রধান শিক্ষক মি.আবুল কালাম ভুঁইয়া বললেন, আপনি স্কুলে আসছেন কি করতে ? আপনি পড়াবেন ভার্সিটিতে । আমি বললাম, বয়স নেই তো ভার্সিটির শিক্ষক হওয়ার । আর আমি এই স্কুলে চাকরি করতে আসিনি । স্কুলের প্রেসিডেন্ট ডাক্তার একেএম আব্দুস সেলিম আমাকে চেনেন । আমি অবসর আছি বলে তিনি বললেন, আমার স্কুলে ইংরেজি শিক্ষক লাগবে । ভালো শিক্ষক পাচ্ছি না । তুমিতো অবসর । আমার স্কুলে কিছুদিন ইংরেজি পড়াও । সে কারনেই আমার এখানে আসা ।
স্কুলে জয়েন করে শিক্ষকদের জ্ঞান আর মেধা দেখে আমি খুবই মর্মাহত হলাম । আইসিটির শিক্ষক আমাকে একদিন জিজ্ঞেস করলো স্যার, ফেসবুকে ছবি কিভাবে আপলোড করে ? আর ইমেইলে ছবি বা কোনো ডকুমেন্ট কিভাবে সেন্ড করে আমাকে একটু বুঝিয়ে দেন । আমি কিছুটা রেগে গিয়ে বললাম, তোমাকে এখানে আইসিটির শিক্ষক হিসেবে কে নিয়োগ দিয়েছে ? তুমি ছাত্রদের কি পড়াবা ? থাক, ওরা আমার অনেক জুনিয়র । গ্রামের ছেলে । দেশে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠা কম্পিউটার ট্রেইনিং সেন্টারে ৩/৪ চার মাসের কোর্স করে একটা সার্টিফিকেট নিয়ে চাকরিতে ঢুকেছে । এদের বেশির ভাগই নিডি ফ্যামিলির । তাদের নিয়ে কিছু বলা আমার শোভা পায় না ।
বলছিলাম আমেরিকায় এক শ্রেণির মানুষ বিশেষজ্ঞ, আর বেশিরভাগ মানুষই নানা বিষয়ে অজ্ঞ । আমেরিকার মোটামুটি শিক্ষিত, প্লেন চালাতে পারে এমন ধনী চাষিরাও যে নিজের দেশের বাইরে যে পৃথিবী, সে সম্পর্কে প্রায় কিছুই জানে না । তা দেখে আমার বেশ অবাক লাগতো । আমেরিকার মোটামুটি ধনীদেরও নিজস্ব ব্যক্তিগত বিমান আছে । এমন কি চাষিদেরও ।
আফগানিস্তান ও ইরাক যুদ্ধের পুরোটা সময় আমি আমেরিকায় ছিলাম । অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করতো আফগানিস্তান কোথায়? ইরাক কোথায় ? আমি তিন ডবল রাগান্বিত হয়ে বলাতাম, তোমরা দেখি মুর্খ !
৫০টি স্টেট নিয়ে আমেরিকা অনেক বড় দেশ । বলা হয়ে থাকে, একজন মানুষের পক্ষে তার সারাজীবনে পুরো আমেরিকা দেখা সম্ভব নয় । এরা নিজের দেশ সম্পর্কেই অনেক কিছু জানে না ।
আমি যে শেল গ্যাস স্টেশনে জব করতাম সেখানের একটু অভিজ্ঞতার কথা । আমেরিকা –ইউরোপসহ উন্নত বিশ্বে ২১ বছরের নিচের ছেলেমেয়েদের কাছে বিয়ার, ওয়াইন, হুইস্কিসহ যে কোনো ধরণের অ্যালকোহলিক বেভারেজ বিক্রি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ । এটা ফেডারেল ক্রাইম । দন্ডনীয় অপরাধ । আমি অসতর্কভাবে দুইবার বিক্রি করে কোর্ট পর্যন্ত যেতে হয়েছিলো । সে কথা আরেকদিন ।
আবার ১৮ বছরের নিচের ছেলেমেয়েদের কাছে সিগারেট, লাইটার, চুরুটসহ যে কোনো ধরনের টোবাকো প্রোডাক্ট বিক্রিও দন্ডনীয় অপরাধ । এটাও ফেডারেল ক্রাইম । তবে ওইসব স্টোরে (যাকে স্থানীয় ভাষায় ‘কনভিনিয়েন্ট স্টোর’ বলে) যারা কাজ করেছেন তারা সকলেই এই ধরা একবার না একবার খেয়েছেন ।
আমার দেখা একজনও নেই যে এই ধরা খায় নি ।
কম বয়সি ছেলেমেয়েরা অ্যালকোহল বা সিগারেট কিনতে চাইলে আমরা তাদের আইডি দেখতে চাই । বয়স কম হলে এরা আইডি দেখাতে চায় না । নানা উছিলা দেখায় । যেমন বাসায় ফেলে আসছি, হারিয়ে গেছে আবার আবেদন করেছি ইত্যাদি বলে । কম বয়সিই বা বলি কিভাবে ? ১৯/২০ বছরের ছেলেমেয়েদের আমার কাছে ৩০ বছর মনে হয় । ৬/৭ ফিট লম্বা । কি স্বাস্থ্যবান !
তো একদিন এক মেয়ে এলো ৬টার প্যাকেটের বিয়ার নিয়ে । এগুলো সেলফ সার্ভিস স্টোর । কাউন্টারে বিয়ারের প্যাক রাখতেই কম্পিউটারে স্ক্যান করার আগেই আমি বিনয়ের সঙ্গে বললাম, মে আই সি ইউর আইডি প্লিজ । মেয়েটি হুট করে বলে উঠলো, ফাক ইউ ম্যান । একটা মেয়ে যদি বলে ফাক ইউ ম্যান তখন মেজাজটা কেমন খারাপ হয় ? আমি ভদ্রভাবে তাকে বললাম, আমাদের দেশে তো আমরা মেয়েদের ফাক করি । তোমাদের দেশে দেখি উলটো । মেয়েরা পুরুষকে করো ? ফাক তুমি আমাকে করবা না আমি তোমাকে করবো ? সে জোর দিয়ে বললো, আই উইল ফাক ইউ । এবার আর মাথা ঠিক রাখতে পারলাম না । কাউন্টারে দাঁড়িয়েই প্যান্টের জিপার খোলে বললাম, এসো, বাথরুমে যাই । দেখি কে কাকে ফাক করতে পারে ? মেয়েটি আবার বললো, ইউ ফাকিং ইন্ডিয়ান । আমি বললাম, আই এম নট এন ইন্ডিয়ান । আই এম এ ফাকিং বাংলাদেশি । মেয়েটি বললো, বাংলাদেশ কোথায় ? আমি বললাম, তুমি কি করো ? সে বললো, আমি এডিসন কলেজে পড়ি । বিদ্যুৎ বাতি আবিস্কারক টমাস আলভা এডিসনের নামে ওই এলাকায় একটা কলেজ আছে । আমি তাকে বললাম, তুমি কলেজে পড়ে বাংলাদেশ চিনো না ? ইউ আর ফাকিং ইলিটারেট । এই হলো আমেরিকার সাধারন মানুষের জ্ঞান । বহির্বিশ্ব সম্পর্কে তাদের কোনো জ্ঞানই নেই ।
(একটা ছবি দিলাম ৬প্যাক বিয়ারের । স্যারের অনুমতি ছাড়াই । তিনি ফ্লোরিডা আমার কাছে বেড়াতে গিয়েছিলেন। তো একদিন দুষ্টুমি করে আমি বললাম, স্যার, বিয়ার ঠান্ডা রাখার জন্য স্টোরের যেখানে রাখি ওটাকে কোলার বলে । চলুন আপনাকে দেখাই । মন চাইলে ওখানে বসে বসেই খাবেন যতো ইচ্ছা । তিনি কুলারে ঢুকে বললেন, বেবি( তালেয়া রেহমানের ডাক নাম) আমিও বিয়ার খাই, মন্টুও বিয়ার খায় । আমরা বিয়ারের প্যাক নিয়ে দাঁড়াই। তুমি একটা ছবি তোলো । ছবিটা যায়যায়দিন সম্পাদক মি. শফিক রেহমানের সঙ্গে ২০০০ সালে ।)আমেরিকায় এক শ্রেণির মানুষ বিশেষজ্ঞ, আর বেশিরভাগ মানুষই নানান বিষয়ে অজ্ঞ ।আমাদের দেশের গরীব, অল্প শিক্ষিত মানুষেরা বাইরের পৃথিবীর খবর বিশেষ রাখে না । অল্প শিক্ষিতইবা বলি কেন ? বছর দুয়েক স্কুলে ইংরেজি পড়িয়ে দেখেছি বিএ, এমএ পাশ শিক্ষকরাও বাইরের পৃথিবী সম্পর্কে অনেক কিছুই জানে না । এরা কিভাবে বিএ, এমএ পাশ করেছে এ এক বিস্ময় ! আমার সাবজেক্ট ছিলো ইংরেজি । একদিন সহকারি প্রধান শিক্ষক আমাকে বললেন, করিম সাহেব, ক্লাশ টেনে ইংরেজির পাশাপাশি ‘বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়’ সাবজেক্টটার একটা ক্লাশ নিতে পারবেন ? আমি বললাম, দেখি বইটা একটু । সহকারি প্রধান শিক্ষক আমাকে বইটা দিলেন । আমি ১ ঘন্টা বইটার বিভিন্ন চ্যাপ্টার দেখলাম । এরপর হেসে বললাম, আপনারাতো ক্লাশে বই খোলে চ্যাপ্টার দেখে পড়ে পড়ান । আমি ক্লাশ নিতে পারি । তবে যেদিন যে চ্যাপ্টার পড়াবো সেদিন আমি শুধু ক্লাশে গিয়ে চ্যাপ্টারটা দেখবো । বই দেখে আমাকে পড়াতে হবে না । এই শর্তে হলে আমি ক্লাশ নিতে পারি । সহকারি প্রধান শিক্ষক মি.আবুল কালাম ভুঁইয়া বললেন, আপনি স্কুলে আসছেন কি করতে ? আপনি পড়াবেন ভার্সিটিতে । আমি বললাম, বয়স নেই তো ভার্সিটির শিক্ষক হওয়ার । আর আমি এই স্কুলে চাকরি করতে আসিনি । স্কুলের প্রেসিডেন্ট ডাক্তার একেএম আব্দুস সেলিম আমাকে চেনেন । আমি অবসর আছি বলে তিনি বললেন, আমার স্কুলে ইংরেজি শিক্ষক লাগবে । ভালো শিক্ষক পাচ্ছি না । তুমিতো অবসর । আমার স্কুলে কিছুদিন ইংরেজি পড়াও । সে কারনেই আমার এখানে আসা ।
স্কুলে জয়েন করে শিক্ষকদের জ্ঞান আর মেধা দেখে আমি খুবই মর্মাহত হলাম । আইসিটির শিক্ষক আমাকে একদিন জিজ্ঞেস করলো স্যার, ফেসবুকে ছবি কিভাবে আপলোড করে ? আর ইমেইলে ছবি বা কোনো ডকুমেন্ট কিভাবে সেন্ড করে আমাকে একটু বুঝিয়ে দেন । আমি কিছুটা রেগে গিয়ে বললাম, তোমাকে এখানে আইসিটির শিক্ষক হিসেবে কে নিয়োগ দিয়েছে ? তুমি ছাত্রদের কি পড়াবা ? থাক, ওরা আমার অনেক জুনিয়র । গ্রামের ছেলে । দেশে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠা কম্পিউটার ট্রেইনিং সেন্টারে ৩/৪ চার মাসের কোর্স করে একটা সার্টিফিকেট নিয়ে চাকরিতে ঢুকেছে । এদের বেশির ভাগই নিডি ফ্যামিলির । তাদের নিয়ে কিছু বলা আমার শোভা পায় না ।
বলছিলাম আমেরিকায় এক শ্রেণির মানুষ বিশেষজ্ঞ, আর বেশিরভাগ মানুষই নানা বিষয়ে অজ্ঞ । আমেরিকার মোটামুটি শিক্ষিত, প্লেন চালাতে পারে এমন ধনী চাষিরাও যে নিজের দেশের বাইরে যে পৃথিবী, সে সম্পর্কে প্রায় কিছুই জানে না । তা দেখে আমার বেশ অবাক লাগতো । আমেরিকার মোটামুটি ধনীদেরও নিজস্ব ব্যক্তিগত বিমান আছে । এমন কি চাষিদেরও ।
আফগানিস্তান ও ইরাক যুদ্ধের পুরোটা সময় আমি আমেরিকায় ছিলাম । অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করতো আফগানিস্তান কোথায়? ইরাক কোথায় ? আমি তিন ডবল রাগান্বিত হয়ে বলাতাম, তোমরা দেখি মুর্খ !
৫০টি স্টেট নিয়ে আমেরিকা অনেক বড় দেশ । বলা হয়ে থাকে, একজন মানুষের পক্ষে তার সারাজীবনে পুরো আমেরিকা দেখা সম্ভব নয় । এরা নিজের দেশ সম্পর্কেই অনেক কিছু জানে না ।
আমি যে শেল গ্যাস স্টেশনে জব করতাম সেখানের একটু অভিজ্ঞতার কথা । আমেরিকা –ইউরোপসহ উন্নত বিশ্বে ২১ বছরের নিচের ছেলেমেয়েদের কাছে বিয়ার, ওয়াইন, হুইস্কিসহ যে কোনো ধরণের অ্যালকোহলিক বেভারেজ বিক্রি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ । এটা ফেডারেল ক্রাইম । দন্ডনীয় অপরাধ । আমি অসতর্কভাবে দুইবার বিক্রি করে কোর্ট পর্যন্ত যেতে হয়েছিলো । সে কথা আরেকদিন ।
আবার ১৮ বছরের নিচের ছেলেমেয়েদের কাছে সিগারেট, লাইটার, চুরুটসহ যে কোনো ধরনের টোবাকো প্রোডাক্ট বিক্রিও দন্ডনীয় অপরাধ । এটাও ফেডারেল ক্রাইম । তবে ওইসব স্টোরে (যাকে স্থানীয় ভাষায় ‘কনভিনিয়েন্ট স্টোর’ বলে) যারা কাজ করেছেন তারা সকলেই এই ধরা একবার না একবার খেয়েছেন ।
আমার দেখা একজনও নেই যে এই ধরা খায় নি ।
কম বয়সি ছেলেমেয়েরা অ্যালকোহল বা সিগারেট কিনতে চাইলে আমরা তাদের আইডি দেখতে চাই । বয়স কম হলে এরা আইডি দেখাতে চায় না । নানা উছিলা দেখায় । যেমন বাসায় ফেলে আসছি, হারিয়ে গেছে আবার আবেদন করেছি ইত্যাদি বলে । কম বয়সিই বা বলি কিভাবে ? ১৯/২০ বছরের ছেলেমেয়েদের আমার কাছে ৩০ বছর মনে হয় । ৬/৭ ফিট লম্বা । কি স্বাস্থ্যবান !
তো একদিন এক মেয়ে এলো ৬টার প্যাকেটের বিয়ার নিয়ে । এগুলো সেলফ সার্ভিস স্টোর । কাউন্টারে বিয়ারের প্যাক রাখতেই কম্পিউটারে স্ক্যান করার আগেই আমি বিনয়ের সঙ্গে বললাম, মে আই সি ইউর আইডি প্লিজ । মেয়েটি হুট করে বলে উঠলো, ফাক ইউ ম্যান । একটা মেয়ে যদি বলে ফাক ইউ ম্যান তখন মেজাজটা কেমন খারাপ হয় ? আমি ভদ্রভাবে তাকে বললাম, আমাদের দেশে তো আমরা মেয়েদের ফাক করি । তোমাদের দেশে দেখি উলটো । মেয়েরা পুরুষকে করো ? ফাক তুমি আমাকে করবা না আমি তোমাকে করবো ? সে জোর দিয়ে বললো, আই উইল ফাক ইউ । এবার আর মাথা ঠিক রাখতে পারলাম না । কাউন্টারে দাঁড়িয়েই প্যান্টের জিপার খোলে বললাম, এসো, বাথরুমে যাই । দেখি কে কাকে ফাক করতে পারে ? মেয়েটি আবার বললো, ইউ ফাকিং ইন্ডিয়ান । আমি বললাম, আই এম নট এন ইন্ডিয়ান । আই এম এ ফাকিং বাংলাদেশি । মেয়েটি বললো, বাংলাদেশ কোথায় ? আমি বললাম, তুমি কি করো ? সে বললো, আমি এডিসন কলেজে পড়ি । বিদ্যুৎ বাতি আবিস্কারক টমাস আলভা এডিসনের নামে ওই এলাকায় একটা কলেজ আছে । আমি তাকে বললাম, তুমি কলেজে পড়ে বাংলাদেশ চিনো না ? ইউ আর ফাকিং ইলিটারেট । এই হলো আমেরিকার সাধারন মানুষের জ্ঞান । বহির্বিশ্ব সম্পর্কে তাদের কোনো জ্ঞানই নেই ।
(একটা ছবি দিলাম ৬প্যাক বিয়ারের । স্যারের অনুমতি ছাড়াই । তিনি ফ্লোরিডা আমার কাছে বেড়াতে গিয়েছিলেন। তো একদিন দুষ্টুমি করে আমি বললাম, স্যার, বিয়ার ঠান্ডা রাখার জন্য স্টোরের যেখানে রাখি ওটাকে কোলার বলে । চলুন আপনাকে দেখাই । মন চাইলে ওখানে বসে বসেই খাবেন যতো ইচ্ছা । তিনি কুলারে ঢুকে বললেন, বেবি( তালেয়া রেহমানের ডাক নাম) আমিও বিয়ার খাই, মন্টুও বিয়ার খায় । আমরা বিয়ারের প্যাক নিয়ে দাঁড়াই। তুমি একটা ছবি তোলো । ছবিটা যায়যায়দিন সম্পাদক মি. শফিক রেহমানের সঙ্গে ২০০০ সালে ।)
 November 25 at 11:16 AM

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

অশ্লীল নাম

বাংলাদেশের কিছু প্রতিষ্ঠান ও স্থানের বিচিত্র বা বিকৃত অর্থের নাম যা পরিবর্তন করা উচিতঃ ১. বোদা মহিলা মহাবিদ্যালয়, বোদা, পঞ্চগড় ২. চুমাচুমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি ৩. সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খুলনা ৪. মানুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নীলফামারি ৫. সোনাকাটা ইউনিয়ন, তালতলী, বরগুনা ৬.বড়বাল ইউনিয়ন, মিঠাপুকুর, রংপুর ৭.সোনাখাড়া ইউনিয়ন, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ৮. ধনকামড়া গ্রাম, ভোদামারা, দিনাজপুর ৯.গোয়াকাটা, দোহার, ঢাকা ১০. গোয়াতলা, ময়মনসিংহ ১১.লেংটার হাট, মতলব, চাঁদপুর