সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

আজ ১৪ ই ডিসেম্বর, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী নির্মমভাবে হত্যা করে বলে আমরা জানি । তাই আজকের এই দিনে জাতির শ্রেষ্ঠ মেধাবী সন্তানদের জন্য দোয়া ও আত্নার মাগফিরাত কামনা করছি।
আমাদের প্রশ্ন : ৯ মাস যুদ্ধের সময় তারা কেন মুক্তিযুদ্ধ করলেন না?
কেন তারা ঢাকাতে অবস্থান করলেন ?
তাদের এতো মেধা কেন বাংলাদেশের যুদ্ধে সহায়তা করলো না?
কেন তারা পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে কোন সংবাদ প্রচার করলেন না?
কেন ৯ মাস পাকিস্তান সরকারের অধীনে চাকরি করে পাকিদের দেওয়া বেতন- ভাতায় নিজে খেলেন,ছেলে মেয়েদের খাওয়ালেন?
যুদ্ধের শেষ সময়ে অনেকেই প্রাণ বাঁচাতে ঢাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। আমরাও গ্রামের বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আত্নীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলাম।
তারা কেন যান নি ? তারা সবাই পাকিস্তান সরকার থেকে সুবিধা নিয়েছেন।
তারা পাকিস্তানের অখন্ডতা রক্ষায় বিবৃতি দিয়েছিলেন। তারা পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন।
অনেকেই বলেন, আত্নসমর্পনের মাত্র দুই দিন আগে পাকিস্তানি বাহিনী প্রাণ বাঁচাতে এবং আত্নসমর্পন নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। ওই সংকটময় মূহুর্তে তাদের পক্ষে এমন হত্যাকাণ্ড ঘটানো সম্ভব ছিলো না। সেই মানসিকতাও তাদের ছিলো না। তখন তারা ছিলেন মানসিকভাবে ভেঙে পরা এক বাহিনী। তারা সেনানিবাসেই অবরুদ্ধ ছিলেন।
এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিলো ভারতীয় বাহিনী। ওই সময় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে লাখ লাখ ভারতীয় সৈন্য ও বেসামরিক লোক ঢুকেছিলো। বাংলাদেশ যাতে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে সেজন্য ভারতীয় বাহিনী এই হত্যাকান্ড ঘটায় যা পাকিস্তানের উপর বর্তায়।
এবং তা বিশ্বাসযোগ্য হয়। এসব বললে আমরা রাজাকার!!!!

১৪ ডিসেম্বর ২০১৬

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

অশ্লীল নাম

বাংলাদেশের কিছু প্রতিষ্ঠান ও স্থানের বিচিত্র বা বিকৃত অর্থের নাম যা পরিবর্তন করা উচিতঃ ১. বোদা মহিলা মহাবিদ্যালয়, বোদা, পঞ্চগড় ২. চুমাচুমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি ৩. সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খুলনা ৪. মানুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নীলফামারি ৫. সোনাকাটা ইউনিয়ন, তালতলী, বরগুনা ৬.বড়বাল ইউনিয়ন, মিঠাপুকুর, রংপুর ৭.সোনাখাড়া ইউনিয়ন, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ৮. ধনকামড়া গ্রাম, ভোদামারা, দিনাজপুর ৯.গোয়াকাটা, দোহার, ঢাকা ১০. গোয়াতলা, ময়মনসিংহ ১১.লেংটার হাট, মতলব, চাঁদপুর