শানু
রিমোট টিপতেই StarGold এলো ৷ এখন রাত সাড়ে বারোটা । সব সময়তো রাজনীতি আর নিজের অভিজ্ঞতার কথা লিখি ৷ আমাদের জীবনে বিনোদনতো নেই ই। রক্তারক্তি, মারামারি, হানাহানি চলছে সারাদেশে । দুঃখের মাঝেও আমরা সবাই সুখ খুঁজি । এটাও মানব চরিত্রের এক বিশেষ দিক।
খুব সুখের সময়ে কিছু ছবি দেখলে বা গান শোনলে এগুলো মনে থাকে বেশি ৷ অনেক বছর পর আবার দেখলে বা শোনলে সেই সময়টা চোখের সামনে ভেসে উঠে অবিকল ।
২০০১ সালে ফ্লোরিডা ছিলাম । আজ থেকে ১৭ বছর আগে । ফেসবুকের নাম গন্ধও তখন ছিলো না। ফেসবুক এসেছে ২০০৪ সালে । ইউটিউব তো ছিলোই না । ইউটিউব এসেছে ২০০৫ সালে ।
সবাই কম বেশি স্মৃতিকাতর। একা মানুষ একটু বেশি স্মৃতিকাতর হয় । ইতিমধ্যেই আমি অনেক মেয়েদের নিয়ে গল্প লিখেছি । পত্রিকায় ও ফেবুতে। এখন StarGold এ একটা ছবি চলছে । আমার বেশ ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলো শরিয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার শামু । ভালো নাম শামসুর রহমান। আমার জুনিয়র । শামুর স্ত্রীর নাম শানু । ভালো নাম শাহানা । শানু আমাকে খুব ভালোবাসতো । ফ্লোরিডার সব বন্ধুরা তা জানতো । শামুও জানতো ৷ আমার সঙ্গে প্রেমময় সম্পর্ক ছিলো তার স্ত্রীর । শামু সেটা মেনে নিয়েছিলো।
ওই সময় কোনো হিন্দি ছবি রিলিজ পেলে তার ভিডিও ক্যাসেট সঙ্গে সঙ্গেই আমেরিকা চলে যেতো। আগেই চলে যেতো । ইন্ডিয়াতে যেদিন রিলিজ হতো সেদিনই আমেরিকার বিভিন্ন স্টেটে ওই ছবির ভিডিও ক্যাসেট পাওয়া যেতো ।
নিউ ইয়র্ক, ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডাসহ যেসব স্টেটে ইন্ডিয়ান ও বাংলাদেশি বেশি সে সব স্টেটে ইন্ডিয়ান ও বাংলাদেশি গ্রোসারি স্টোর, অডিও ভিডিও দোকানে এসব ছবি পাওয়া যেতো । আমি খুব বেশি হিন্দি সিনেমা দেখিনি । তেমন নেশাও ছিলো না । আমি লেখালেখি নিয়েই ব্যস্ত থাকতাম ৷ এই লেখালেখির কারনে অনেক মেয়েই আমাকে ভালোবাসতো। দেখতেও অসুন্দর ছিলাম না ৷ ফানি ক্যারেক্টারের সংস্কৃতিমনা মানুষ আমি । হাতে গোনা যে কয়টি হিন্দি ফিল্ম দেখেছি তাও বন্ধু বান্ধবের অনুপ্রেরণায় বিদেশে ।
শামু শানুর ১০ বছর বিবাহিত জীবন হলেও তারা নিঃসন্তান ছিলো । তখন শানুর বয়স ২৬ কি ২৭। শানু বেশ সুন্দরী মেয়ে ছিলো । একেবারে আপেলের মতো গায়ের রঙ । স্লিম ফিগার । ওর শারীরিক গঠন এমন ছিলো,দেখতে কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের মতো লাগতো । বিবাহিতা বলে মনে হতো না । চমৎকার ইংরেজি বলতো । ভালো ড্রাইভ করতো । তাদের ছিলো Mazda 626 মডেলের একটা সিডান গাড়ি। আমার ছিলো হোন্ডা সিভিক। অনেকদিন শানু ফোন করে বলতো, তুমি ওই পার্কে থেকো । শানু গাড়ি চালিয়ে চলে আসতো একা । আমরা নিরিবিলি পার্কে বসে গল্প করতাম । রেস্টুরেন্টে গেলে আমি বিয়ার খাবো বলে শানু আমার সঙ্গে রেস্টুরেন্টে যেতো না বা নিয়ে রেস্টুরেন্টে যেতো না । কখনো কেলোসাহাটশি নদীর পাড়ে বসে গল্প করতাম । শানু আমাকে খুব জ্বালাতো ৷ সময় অসময় নেই ফোন করতো । অনেক দিন গাড়ি নিয়ে বিপদে পরতাম। আমরা দুই জন দুই গাড়ি ড্রাইভ করলে ড্রাইভিংয়ের সময়টা এক সঙ্গে থাকা হয় না । শানু বুদ্ধি দিতো আমাকে । বলতো, তুমি তোমার গাড়িটা শেল গ্যাস স্টেশনে পার্ক করে কলেজ পার্কওয়েতে দাঁড়াও। আমার গাড়িতেই যাবা । কিন্তু খবরদার তুমি ড্রাইভ করতে পারবা না । তুমি পাগলা কুকুরের মতো গাড়ি চালাও । আমার ভয় করে ৷ আমি বলতাম, না। তোমার মাজদাতে আমি যাবো না । আমার কাছে হোন্ডা গাড়ি বেশি ভালো লাগে । তুমি আমার গাড়িতে যাবা।
শানু আমাকে টিপ্পনি কেটে বলতো, ইশ! আমার চেয়েও হোন্ডা গাড়ি বেশি প্রিয় ?
একদিন শামুর কেপ কোরালের বাসায় শানু আমাকে ঠেলা দিয়ে ( শামুকে না দেখিয়ে) একটা ভিডিও ক্যাসেট দিয়ে বলেছিলো " ছবিটা দেখবা ৷ নাইস ফিল্ম, নাইস সংস।" এখন দেখি StarGold এ ছবিটা চলছে।
"চরি চরি চুপকে চুপকে"। এই ছবির কাহিনীও নিঃসন্তান দম্পতি নিয়ে । ছবিটা দেখছি আর আমি ১৭ বছর আগে ফ্লোরিডা ফিরে গেছি । সবকিছু চোখের সামনে ভেসে উঠেছে অবিকল! কেমন ছিলাম সে সময় আমি ! ( পরে আরো কিছু যোগ করবো। যারা দেখেন নি তারা দেখতে পারেন ছবিটা । সুন্দর । সালমান খান, রানী মুখার্জি, প্রিতি জিন্টা)।
রিমোট টিপতেই StarGold এলো ৷ এখন রাত সাড়ে বারোটা । সব সময়তো রাজনীতি আর নিজের অভিজ্ঞতার কথা লিখি ৷ আমাদের জীবনে বিনোদনতো নেই ই। রক্তারক্তি, মারামারি, হানাহানি চলছে সারাদেশে । দুঃখের মাঝেও আমরা সবাই সুখ খুঁজি । এটাও মানব চরিত্রের এক বিশেষ দিক।
খুব সুখের সময়ে কিছু ছবি দেখলে বা গান শোনলে এগুলো মনে থাকে বেশি ৷ অনেক বছর পর আবার দেখলে বা শোনলে সেই সময়টা চোখের সামনে ভেসে উঠে অবিকল ।
২০০১ সালে ফ্লোরিডা ছিলাম । আজ থেকে ১৭ বছর আগে । ফেসবুকের নাম গন্ধও তখন ছিলো না। ফেসবুক এসেছে ২০০৪ সালে । ইউটিউব তো ছিলোই না । ইউটিউব এসেছে ২০০৫ সালে ।
সবাই কম বেশি স্মৃতিকাতর। একা মানুষ একটু বেশি স্মৃতিকাতর হয় । ইতিমধ্যেই আমি অনেক মেয়েদের নিয়ে গল্প লিখেছি । পত্রিকায় ও ফেবুতে। এখন StarGold এ একটা ছবি চলছে । আমার বেশ ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলো শরিয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার শামু । ভালো নাম শামসুর রহমান। আমার জুনিয়র । শামুর স্ত্রীর নাম শানু । ভালো নাম শাহানা । শানু আমাকে খুব ভালোবাসতো । ফ্লোরিডার সব বন্ধুরা তা জানতো । শামুও জানতো ৷ আমার সঙ্গে প্রেমময় সম্পর্ক ছিলো তার স্ত্রীর । শামু সেটা মেনে নিয়েছিলো।
ওই সময় কোনো হিন্দি ছবি রিলিজ পেলে তার ভিডিও ক্যাসেট সঙ্গে সঙ্গেই আমেরিকা চলে যেতো। আগেই চলে যেতো । ইন্ডিয়াতে যেদিন রিলিজ হতো সেদিনই আমেরিকার বিভিন্ন স্টেটে ওই ছবির ভিডিও ক্যাসেট পাওয়া যেতো ।
নিউ ইয়র্ক, ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডাসহ যেসব স্টেটে ইন্ডিয়ান ও বাংলাদেশি বেশি সে সব স্টেটে ইন্ডিয়ান ও বাংলাদেশি গ্রোসারি স্টোর, অডিও ভিডিও দোকানে এসব ছবি পাওয়া যেতো । আমি খুব বেশি হিন্দি সিনেমা দেখিনি । তেমন নেশাও ছিলো না । আমি লেখালেখি নিয়েই ব্যস্ত থাকতাম ৷ এই লেখালেখির কারনে অনেক মেয়েই আমাকে ভালোবাসতো। দেখতেও অসুন্দর ছিলাম না ৷ ফানি ক্যারেক্টারের সংস্কৃতিমনা মানুষ আমি । হাতে গোনা যে কয়টি হিন্দি ফিল্ম দেখেছি তাও বন্ধু বান্ধবের অনুপ্রেরণায় বিদেশে ।
শামু শানুর ১০ বছর বিবাহিত জীবন হলেও তারা নিঃসন্তান ছিলো । তখন শানুর বয়স ২৬ কি ২৭। শানু বেশ সুন্দরী মেয়ে ছিলো । একেবারে আপেলের মতো গায়ের রঙ । স্লিম ফিগার । ওর শারীরিক গঠন এমন ছিলো,দেখতে কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের মতো লাগতো । বিবাহিতা বলে মনে হতো না । চমৎকার ইংরেজি বলতো । ভালো ড্রাইভ করতো । তাদের ছিলো Mazda 626 মডেলের একটা সিডান গাড়ি। আমার ছিলো হোন্ডা সিভিক। অনেকদিন শানু ফোন করে বলতো, তুমি ওই পার্কে থেকো । শানু গাড়ি চালিয়ে চলে আসতো একা । আমরা নিরিবিলি পার্কে বসে গল্প করতাম । রেস্টুরেন্টে গেলে আমি বিয়ার খাবো বলে শানু আমার সঙ্গে রেস্টুরেন্টে যেতো না বা নিয়ে রেস্টুরেন্টে যেতো না । কখনো কেলোসাহাটশি নদীর পাড়ে বসে গল্প করতাম । শানু আমাকে খুব জ্বালাতো ৷ সময় অসময় নেই ফোন করতো । অনেক দিন গাড়ি নিয়ে বিপদে পরতাম। আমরা দুই জন দুই গাড়ি ড্রাইভ করলে ড্রাইভিংয়ের সময়টা এক সঙ্গে থাকা হয় না । শানু বুদ্ধি দিতো আমাকে । বলতো, তুমি তোমার গাড়িটা শেল গ্যাস স্টেশনে পার্ক করে কলেজ পার্কওয়েতে দাঁড়াও। আমার গাড়িতেই যাবা । কিন্তু খবরদার তুমি ড্রাইভ করতে পারবা না । তুমি পাগলা কুকুরের মতো গাড়ি চালাও । আমার ভয় করে ৷ আমি বলতাম, না। তোমার মাজদাতে আমি যাবো না । আমার কাছে হোন্ডা গাড়ি বেশি ভালো লাগে । তুমি আমার গাড়িতে যাবা।
শানু আমাকে টিপ্পনি কেটে বলতো, ইশ! আমার চেয়েও হোন্ডা গাড়ি বেশি প্রিয় ?
একদিন শামুর কেপ কোরালের বাসায় শানু আমাকে ঠেলা দিয়ে ( শামুকে না দেখিয়ে) একটা ভিডিও ক্যাসেট দিয়ে বলেছিলো " ছবিটা দেখবা ৷ নাইস ফিল্ম, নাইস সংস।" এখন দেখি StarGold এ ছবিটা চলছে।
"চরি চরি চুপকে চুপকে"। এই ছবির কাহিনীও নিঃসন্তান দম্পতি নিয়ে । ছবিটা দেখছি আর আমি ১৭ বছর আগে ফ্লোরিডা ফিরে গেছি । সবকিছু চোখের সামনে ভেসে উঠেছে অবিকল! কেমন ছিলাম সে সময় আমি ! ( পরে আরো কিছু যোগ করবো। যারা দেখেন নি তারা দেখতে পারেন ছবিটা । সুন্দর । সালমান খান, রানী মুখার্জি, প্রিতি জিন্টা)।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন