দুধ খেয়ে প্রতিজ্ঞাঃ বিদায় রাজনীতি
সেনাবাহিনী নামার পরও বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থীদের উপর হামলা হচ্ছে! পুলিশের মতো হামলার পর সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এলে লাভ কি ? এক লাখ সত্তর হাজার পুলিশ সদস্য নির্বাচন উপলক্ষে কাজ করবে। সেনাবাহিনীর সদস্য সংখ্যা কতো? আমি কখনোই সক্রিয় রাজনীতি করিনি । তাই বলে আমি রাজনৈতিক মূর্খ না । বয়সতো ৫০+ । লেখাপড়ার দিক দিয়েও অশিক্ষিত না । রাজনীতির বই ই জীবনে বেশি পড়েছি। মুক্তিযুদ্ধও দেখেছি, ১৯৭৩ এর নির্বাচন দেখেছি,৭৫ দেখেছি, ৭ই নভেম্বর দেখেছি, জিয়ার গনভোট দেখেছি, ১৯৭৯ সালের সংসদ নির্বাচন দেখেছি,৩০ মে ১৯৮১ দেখেছি, জিয়া পরবর্তী ১৯৮১ সালের নির্বাচন দেখেছি, ১৯৮৬ সালের এরশাদের নির্বাচন দেখেছি, এরশাদের পতন দেখেছি, দেশের বাইরে থাকলেও প্রতিদিনই পত্রিকা পড়েছি, ১৯৯১, ১৯৯৬,২০০১ এর নির্বাচন দূর থেকেও ভালোই দেখেছি,জেনেছি, ২০০৭ সালের মইনুদ্দিন - ফখরুদ্দীনের তত্বাবধায়ক সরকার দেখেছি, ২০০৮ সালের নির্বাচনে পোলিং এজেন্ট এর দায়িত্বও পালন করেছি। তাই অভিজ্ঞতা একেবারেই কম তাও বলি কিভাবে?
এখন দেখি দলীয় সরকারের অধীনে কিভাবে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মামলা, হামলা করা হয়- যতোই দেখি ততোই আশ্চর্য হই। আমার ভোট কুমিল্লা-৬ ( সদর) সংসদীয় আসনে।
সেনাবাহিনী মোতায়েনের পরও বিভিন্ন এলাকায় বিরোধী দলের প্রার্থীদের উপর হামলা হচ্ছে! হামলার পর সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এলে লাভ কি? আমার এলাকায় এখনো সেনাবাহিনীকে টহল দিতে দেখিনি। বিএনপির কোনো নেতা আমাকে চিনেও না। আমি একা একাই রুমে বসে নিজের বিশ্বাসের কথা লিখি। আমি ভারতীয় আধিপত্য ও আগ্রাসন বিরোধী এবং সে কারনেই আওয়ামী লীগ বিরোধী। অকিঞ্চিৎকর দু' চার লাইন যা লিখি তা একান্ত আমার নিজের চিন্তা । ৪৭ বছর পর যদি স্বাধীন দেশে ভোটের জন্য আন্দোলন করতে হয় তবে ওই দেশে কিছু লিখে ব্যক্তিগত ক্ষতি ছাড়া লাভ নেই।
Frankly Speaking, I don't trust Bangladesh Army. They were also deployed on 5th January's Election in 2014.What did they do? নির্বাচনের ফলাফল সরকারের পক্ষে নেয়ার জন্য সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা ঢেলে দিয়েছে ৷ পরিকল্পনা মন্ত্রী লোটাস কামাল কিছুদিন আগে বলেছিলেন, এখন কিছু করবেন না। নির্বাচনের কয়েকদিন আগে বিএনপি, জামাত কাউকে এলাকায় থাকতে দেবেন না। তার ওই ভিডিও ভাইরাল হয়েছিলো। আমিও শেয়ার করেছিলাম। গত পরশু তার এলাকার ২২/২৫ টি বিএনপি কর্মীর বাড়ি আগুন লাগিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছেন। আজ সন্ধ্যায় পত্রিকায় পাড়লাম, সেনাবাহিনী ওই এলাকায় (কুমিল্লা -১০) যাওয়ায় হাজার হাজার মানুষ সেনাবাহিনীর কাছে বিচার চেয়েছেন। প্রভাবশালী মন্ত্রী লোটাস কামাল ও তার মেয়ে নাফিসা কামাল পলাতক আছেন।
আমার ভোট কেন্দ্রে যদি সেনাবাহিনীকে অন ডিউটিতে না দেখি তবে আমি ভোট কেন্দ্রেই যাবো না। নিজের খেয়ে অনেক শত্রু তৈরী করেছি রাজনীতির লেখা লিখে । এমনি কেউ কিছু করার সাহস পাবে না। কিন্তু ভোট কেন্দ্রে অনেক মানুষের জটলায় আমি আক্রান্ত হতে পারি। আওয়ামী লীগ এবার জিতলে আমাদের মতো চুনোপুঁটিদের ধরবে। বড় বড়দের ধরা শেষ।
অনেকদিন আগে দেখেছি উত্তরবঙ্গের এক প্রার্থী এই সরকারের আমলে নির্বাচনে পরাজিত হয়ে দুধ দিয়ে গোসল করে প্রতিজ্ঞা করেছেন জীবনে আর রাজনীতি করবেন না। আমি আজ সেনানিবাস মার্কেট থেকে খাঁটি গরুর দুধ কিনে এনেছি। উনি দুধ দিয়ে গোসল করে প্রতিজ্ঞা করে রাজনীতি ছেড়েছেন। আমি এখন দুধ খেয়ে প্রতিজ্ঞা করে লিখছি, জীবনে আর রাজনীতি নিয়ে কোনো লেখা ফেসবুকে লিখবো না। রাজনৈতিক নেতারা অনর্গল মিথ্যা বলেন আর তাদের কথার স্টাইল গুন্ডা পান্ডাদের মতো। বঙ্গোপসাগরের সীমা আছে এদের মিথ্যা বলার কোনো সীমা নেই। তাদের নিয়ে লিখতে গেলে নিজেকেও নিচে নামাতে হবে। নেতাদের বেশিরভাগই গুন্ডামি পান্ডামি আর মানুষ খুন করে নেতা হয়েছে।
আমি যেহেতু লিখতে পছন্দ করি তাই আমি আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, দেশ বিদেশের কথা,ভ্রমণ, শিক্ষা, প্রয়োজনে নাইট ক্লাব নিয়ে লিখবো। তবু আর রাজনীতি নিয়ে নয়। এদেশের রাজনীতির চেয়ে বিদেশের নাইট ক্লাব অনেক ভালো। বিদায় রাজনীতি।
(তবে আমি যেহেতু পড়তে পছন্দ করি তাই কোনো বিদেশি লেখকের লেখা পড়লে তা শেয়ার করবো।)
মঙ্গলবার
২৫ আগস্ট ২০১৮
কুমিল্লা।
সেনাবাহিনী নামার পরও বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থীদের উপর হামলা হচ্ছে! পুলিশের মতো হামলার পর সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এলে লাভ কি ? এক লাখ সত্তর হাজার পুলিশ সদস্য নির্বাচন উপলক্ষে কাজ করবে। সেনাবাহিনীর সদস্য সংখ্যা কতো? আমি কখনোই সক্রিয় রাজনীতি করিনি । তাই বলে আমি রাজনৈতিক মূর্খ না । বয়সতো ৫০+ । লেখাপড়ার দিক দিয়েও অশিক্ষিত না । রাজনীতির বই ই জীবনে বেশি পড়েছি। মুক্তিযুদ্ধও দেখেছি, ১৯৭৩ এর নির্বাচন দেখেছি,৭৫ দেখেছি, ৭ই নভেম্বর দেখেছি, জিয়ার গনভোট দেখেছি, ১৯৭৯ সালের সংসদ নির্বাচন দেখেছি,৩০ মে ১৯৮১ দেখেছি, জিয়া পরবর্তী ১৯৮১ সালের নির্বাচন দেখেছি, ১৯৮৬ সালের এরশাদের নির্বাচন দেখেছি, এরশাদের পতন দেখেছি, দেশের বাইরে থাকলেও প্রতিদিনই পত্রিকা পড়েছি, ১৯৯১, ১৯৯৬,২০০১ এর নির্বাচন দূর থেকেও ভালোই দেখেছি,জেনেছি, ২০০৭ সালের মইনুদ্দিন - ফখরুদ্দীনের তত্বাবধায়ক সরকার দেখেছি, ২০০৮ সালের নির্বাচনে পোলিং এজেন্ট এর দায়িত্বও পালন করেছি। তাই অভিজ্ঞতা একেবারেই কম তাও বলি কিভাবে?
এখন দেখি দলীয় সরকারের অধীনে কিভাবে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মামলা, হামলা করা হয়- যতোই দেখি ততোই আশ্চর্য হই। আমার ভোট কুমিল্লা-৬ ( সদর) সংসদীয় আসনে।
সেনাবাহিনী মোতায়েনের পরও বিভিন্ন এলাকায় বিরোধী দলের প্রার্থীদের উপর হামলা হচ্ছে! হামলার পর সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এলে লাভ কি? আমার এলাকায় এখনো সেনাবাহিনীকে টহল দিতে দেখিনি। বিএনপির কোনো নেতা আমাকে চিনেও না। আমি একা একাই রুমে বসে নিজের বিশ্বাসের কথা লিখি। আমি ভারতীয় আধিপত্য ও আগ্রাসন বিরোধী এবং সে কারনেই আওয়ামী লীগ বিরোধী। অকিঞ্চিৎকর দু' চার লাইন যা লিখি তা একান্ত আমার নিজের চিন্তা । ৪৭ বছর পর যদি স্বাধীন দেশে ভোটের জন্য আন্দোলন করতে হয় তবে ওই দেশে কিছু লিখে ব্যক্তিগত ক্ষতি ছাড়া লাভ নেই।
Frankly Speaking, I don't trust Bangladesh Army. They were also deployed on 5th January's Election in 2014.What did they do? নির্বাচনের ফলাফল সরকারের পক্ষে নেয়ার জন্য সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা ঢেলে দিয়েছে ৷ পরিকল্পনা মন্ত্রী লোটাস কামাল কিছুদিন আগে বলেছিলেন, এখন কিছু করবেন না। নির্বাচনের কয়েকদিন আগে বিএনপি, জামাত কাউকে এলাকায় থাকতে দেবেন না। তার ওই ভিডিও ভাইরাল হয়েছিলো। আমিও শেয়ার করেছিলাম। গত পরশু তার এলাকার ২২/২৫ টি বিএনপি কর্মীর বাড়ি আগুন লাগিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছেন। আজ সন্ধ্যায় পত্রিকায় পাড়লাম, সেনাবাহিনী ওই এলাকায় (কুমিল্লা -১০) যাওয়ায় হাজার হাজার মানুষ সেনাবাহিনীর কাছে বিচার চেয়েছেন। প্রভাবশালী মন্ত্রী লোটাস কামাল ও তার মেয়ে নাফিসা কামাল পলাতক আছেন।
আমার ভোট কেন্দ্রে যদি সেনাবাহিনীকে অন ডিউটিতে না দেখি তবে আমি ভোট কেন্দ্রেই যাবো না। নিজের খেয়ে অনেক শত্রু তৈরী করেছি রাজনীতির লেখা লিখে । এমনি কেউ কিছু করার সাহস পাবে না। কিন্তু ভোট কেন্দ্রে অনেক মানুষের জটলায় আমি আক্রান্ত হতে পারি। আওয়ামী লীগ এবার জিতলে আমাদের মতো চুনোপুঁটিদের ধরবে। বড় বড়দের ধরা শেষ।
অনেকদিন আগে দেখেছি উত্তরবঙ্গের এক প্রার্থী এই সরকারের আমলে নির্বাচনে পরাজিত হয়ে দুধ দিয়ে গোসল করে প্রতিজ্ঞা করেছেন জীবনে আর রাজনীতি করবেন না। আমি আজ সেনানিবাস মার্কেট থেকে খাঁটি গরুর দুধ কিনে এনেছি। উনি দুধ দিয়ে গোসল করে প্রতিজ্ঞা করে রাজনীতি ছেড়েছেন। আমি এখন দুধ খেয়ে প্রতিজ্ঞা করে লিখছি, জীবনে আর রাজনীতি নিয়ে কোনো লেখা ফেসবুকে লিখবো না। রাজনৈতিক নেতারা অনর্গল মিথ্যা বলেন আর তাদের কথার স্টাইল গুন্ডা পান্ডাদের মতো। বঙ্গোপসাগরের সীমা আছে এদের মিথ্যা বলার কোনো সীমা নেই। তাদের নিয়ে লিখতে গেলে নিজেকেও নিচে নামাতে হবে। নেতাদের বেশিরভাগই গুন্ডামি পান্ডামি আর মানুষ খুন করে নেতা হয়েছে।
আমি যেহেতু লিখতে পছন্দ করি তাই আমি আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, দেশ বিদেশের কথা,ভ্রমণ, শিক্ষা, প্রয়োজনে নাইট ক্লাব নিয়ে লিখবো। তবু আর রাজনীতি নিয়ে নয়। এদেশের রাজনীতির চেয়ে বিদেশের নাইট ক্লাব অনেক ভালো। বিদায় রাজনীতি।
(তবে আমি যেহেতু পড়তে পছন্দ করি তাই কোনো বিদেশি লেখকের লেখা পড়লে তা শেয়ার করবো।)
মঙ্গলবার
২৫ আগস্ট ২০১৮
কুমিল্লা।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন