সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

সেনাবাহিনী মোতায়েন এবং.....


সেনাবাহিনী মোতায়েন এবং.....

দেশের সবাই ভাবছেন,নির্বাচনে সেনাবাহিনী নামলেই সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে । আমার তা বিশ্বাস হয় না। সেনাবাহিনীর ক্ষমতা সীমাবদ্ধ। তারা কাজ করবে রিটার্নিং অফিসারের নির্দেশে ৷ পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থ হলে রিটার্নিং অফিসার সেনাবাহিনীর সাহায্য চাইলে তবেই তারা হস্তক্ষেপ করবে। রিটার্নিং অফিসার মানে ডিসি । ৬৪ জেলার সব ডিসি আওয়ামী লীগ সমর্থক। ডিসি,এসপি, ইউএনও,ওসি সবাই সরকারি দলের ৷ তাছাড়া ভোট কেন্দ্রের ভেতরে কি ভাবে ভোট চুরি হয় সেটা সেনাবাহিনী জানার কথা নয় ৷ উপরে ঠাট বাট ভেতরে সদরঘাট। লাভ কি ?
শুধু স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী থাকবে তাও নির্দেশ না পেয়ে কোনো অ্যাকশনে যেতে পারবে না। তাছাড়া গত দশ বছরে সেনাবাহিনী দেশের ক্রান্তিকালে কোনো ভুমিকাই রাখেনি । ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন এখনো জেলে । হাজার হাজার নিরপরাধ মানুষ জেলে । জেল খানায় জায়গা নেই । একজনের জায়গায় তিনজন থাকে ।
বিডিআর বিদ্রোহে ৫৭ জন চৌকষ সেনা কর্মকর্তা নিহত হলেও সেনাবাহিনী কিছুই করেনি । যেখানে তারা তাদের সহকর্মীদের প্রাণ বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি সেখানে দেশের মানুষের জন্য সেনাবাহিনী বিরাট কিছু করবে তা খুব একটা বিশ্বাসযোগ্য নয় ।
হেফাজতের আন্দোলনে শাপলা চত্বরে রাতের অন্ধকারে এতো বড় হত্যাকান্ড ঘটলেও সেনাবাহিনী কোনো ভুমিকাই রাখেনি ।
৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচন ও ওই সময়ের সহিংসতা কোনো অংশেই কম ছিলো না। সেনাবাহিনী টু শব্দও করেনি । দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি,পিস টিভি, চ্যানেল ওয়ান, আমার দেশ বন্ধ করে সরকার হাজার হাজার ছাত্র, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গুম,খুন,নির্যাতন করে রাস্ট্রে কতৃত্ববাদী শাসন কায়েম করলেও সেনাবাহিনী কিছুই করেনি । বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা অনেক বেশি সুযোগ সুবিধা ভোগ করেন। যা দেশের জনগণের টাকায় ৷ বৃহৎ প্রতিবেশি ভারতের পাশে অত্যন্ত ছোট দেশ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তেমন কোনো কাজ নেই ৷ কোনো দেশের সঙ্গে কখনোই বাংলাদেশের যুদ্ধ হওয়ার ন্যুনতম সম্ভাবনাও নেই । বিদেশে শান্তিরক্ষী বাহিনী হিসেবেও সেনাবাহিনী প্রচুর আয় করে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন কর্পোরেট বাহিনী।
প্রতিটি ক্যান্টনমেন্টের ভেতরের পরিবেশ উন্নত দেশের অভিজাত এলাকার মতো। ব্রিগেডিয়ার লেবেল থেকেই পাজেরো গাড়ি দেয়া হয়। সেনাবাহিনীর সদস্যরাও এই দেশের সন্তান । বর্তমান সরকার যেভাবে চেয়েছে সেনাবাহিনী সেভাবেই কাজ করেছে ৷ পুরোপুরি না হলেও সেনাবাহিনীকেও রাজনীতিকরন করা হয়েছে। বর্তমান সেনা প্রধানকে সবাই চেনেন।
কয়েকজন উর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তার ইন্টারভিউ আমরা আগে টিভিতে দেখেছি। তারা স্পষ্ট করেই বলেছেন, শেখ হাসিনা তাদের দুই বেলা ভাত খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন । আগে তারা একবেলা রুটি খেতেন। সেনাবাহিনীর সদস্যরা দুই বেলা ভাত খেয়ে এখন অলস সময় পার করছেন। ভাত মানুষকে অলস করে দেয়। আগে সেনাবাহিনী দুপুরে রুটি খেতো। সেটাই ঠিক ছিলো। নইলে সেনাবাহিনী কেন? সিভিলিয়ানদের মতো দুই বেলা ভাত খাওয়া কেন? আগে একবেলা রুটি খেয়ে সেনাবাহিনী তেজোদীপ্ত ছিলো। পত্র পত্রিকায় পড়েছি, প্রতিটি ক্যান্টনমেন্টে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা 'র' সক্রিয়। সেনাবাহিনী ঐক্যজোট বা বিএনপিকে সমর্থন বা লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী করে দেবে এটা অলীক চিন্তা । এখন আর লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী করে কিইবা হবে? নির্বাচনের বাকি আর কয়দিন? যা করার তাতো ক্ষমতাসীনরা করেই ফেলেছে।
যে সরকার তাদের আরাম আয়েশ বেশি দেবে তারা সেই সরকারের পক্ষেই কাজ করবে। বাংলাদেশে সব সরকারি চাকরিজীবী তা-ই করে ।

 December 23, 2018 at 12:23 AM

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

অশ্লীল নাম

বাংলাদেশের কিছু প্রতিষ্ঠান ও স্থানের বিচিত্র বা বিকৃত অর্থের নাম যা পরিবর্তন করা উচিতঃ ১. বোদা মহিলা মহাবিদ্যালয়, বোদা, পঞ্চগড় ২. চুমাচুমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি ৩. সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খুলনা ৪. মানুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নীলফামারি ৫. সোনাকাটা ইউনিয়ন, তালতলী, বরগুনা ৬.বড়বাল ইউনিয়ন, মিঠাপুকুর, রংপুর ৭.সোনাখাড়া ইউনিয়ন, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ৮. ধনকামড়া গ্রাম, ভোদামারা, দিনাজপুর ৯.গোয়াকাটা, দোহার, ঢাকা ১০. গোয়াতলা, ময়মনসিংহ ১১.লেংটার হাট, মতলব, চাঁদপুর