সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

মেমোরিয়াল ডে

মেমোরিয়াল ডে
  করিম চৌধুরী
অন্য সব খেলার মতো ক্রিকেট নিয়েও অনেক জোকস চালু আছে। তারই একটি-সাবেক জার্মান ডিকটেটর এডলফ্ হিটলার তার সহযোগী আইখম্যানকে বললো, বৃটিশরা এটা কি খেলে যা জার্মানরা খেলে না? জার্মান পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জাতি। ডয়েচলান্ড বলে কথা। [ইংরেজিতে জার্মানি। জার্মান ভাষায় ডয়েচলান্ড( Deutschland) ]। আমাদেরকেও এই খেলায় এফিশিয়েন্ট হতে হবে। ইংরেজদের কোনো কিছুই আনচ্যালেঞ্জড ছেড়ে দেয়া হবে না। এখন থেকে জার্মানরাও ক্রিকেট খেলবে। তবে তার আগে আমি খেলাটি একবার দেখতে চাই।
ফুয়েরার (নেতা) এর ইচ্ছা পূরণে সঙ্গে সঙ্গে এসে গেলো ক্রিকেটের ভিডিও টেপ। সারাদিন হিটলার খেলা দেখলো। প্রথম দল ব্যাট করার পর হিটলার জানতে চাইলো কে জিতলো? সহযোগিরা জানালো, এখনো কেউ জিতেনি। সমপরিমাণ খেলা চলবে। অন্য দল ব্যাট করবে। উত্তেজিত হয়ে হিটলার বললো,এখনো খেলা শেষ হয়নি? কতো দিন ধরে খেলবে?
ক্রিকেট খেলার নিয়ম, রান সংখ্যা, বোলিং, ব্যাটিং, ক্যাচ আউট, রান আউট, ষ্টাম্প আউট, কট আউট, ছক্কা মারা, চার মারা, কতো বলে ওভার, কোনটা ওয়াইড বল, কোনটা নো বল, কোনটা এল.বি. ডাব্লিউ, ইনিংস কি? ওয়ান ডে ম্যাচ, টেষ্ট সিরিজ, কতো রানে সেঞ্চুরি এসব কিছু শুনে দ্বিগুণ উত্তেজিত হয়ে হিটলার বললো-এটা ইংরেজদের একটা প্যাঁচানি হিসাব। এতো হিসাব টিসাব দিয়ে জার্মানিকে হারিয়ে দেয়ার একটা নতুন পলিসি। তখন প্রচারমন্ত্রী গোয়েবলসকে ডেকে বললো, ফরজিকত্ (সাবধান)! এই খেলা জার্মানি কখনো খেলবে না। অ্যারষ্টে ওন্দ লেকস্তে ফেয়ারভারুং (প্রথম এবং শেষ ওয়ার্নিং)। জাতিকে তা জানিয়ে দাও। সেই থেকে জার্মানি ক্রিকেট খেলে না।
বাংলাদেশে ক্রিকেট যথেষ্ট জনপ্রিয় হলেও কেউ কেউ হিটলারের মতোই বলেন, এটা দীর্ঘ সময়ের খেলা। এই খেলায় আনন্দ কম, উত্তেজনা নেই বললেই চলে। সারাক্ষণ একটা হিসাবের মধ্যে থাকতে হয়। কতো ওভারের খেলা। কতো বল গেলো, কতো বল রইলো, এখন রান রেট কতো? কতো হওয়া দরকার? কতো উইকেট হাতে আছে? জয়ের জন্য ছক্কা মারা দরকার কি না-আরে এতো হিসাব করলে মানুষ আনন্দ করবে কখন? জ্বলজ্যান্ত একটা মানুষ ক্রিকেট খেলতে গিয়ে হয়ে যায় উইকেট। অনেকেই আবার ডাক্তারের মতো বলেন, এই খেলাটা আনহাইজিনিক। বলটা যে থুতু দিয়ে ঘষে এটা স্বাস্থ্য সম্মত নয়।
ক্রিকেটের ফিল্ডিং শব্দটির মধ্যেও একটু শরম শরম গন্ধ আছে। বাংলাদেশে এই শব্দটি বহুল ব্যবহৃত হয় মেয়েদেরকে উত্যক্ত করার ক্ষেত্রে। যে সব ছেলেরা মেয়েদেরকে বেশি উত্যক্ত করতে পারে তারা বড় ফিল্ডিংবাজ। ফিল্ডিং নিয়ে দুই সন্তানের জনক আমেরিকা প্রবাসী জাহিদ ভাই অনন্যা লাইব্রেরিতে আমাদের সাপ্তাহিক আড্ডায় শোনালেন এক মজার ঘটনা।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের চমৎকার ফিল্ডিং দেখে তিনি নাকি হাততালি দিয়ে বলেছিলেন-
চমৎকার ফিল্ডিং। এক্সেলেন্ট।
রান্নাঘর থেকে ওনার স্ত্রী নাকি দৌঁড়ে এসে বলেছিলেন, এটা আর কি ফিল্ডিং। বিয়ের আগে তুমি আমার সঙ্গে যে ফিল্ডিং মেরেছো তার চেয়ে নিশ্চয়ই ভালো না। ওরাতো ভালো ফিল্ডিং দিয়ে ধরলো সামান্য একটা বল আর তা দেখেই ক্যাচ ক্যাচ বলে চিৎকার করছো। আমার পেছনে কড়া ফিল্ডিং দিয়ে তুমিতো সারা জীবনের জন্য আমাকেই ধরে ফেলেছো। এর চেয়ে বড় ক্যাচ আর কি হয়?
জাহিদ ভাই হাসতে হাসতে আমাদের উপদেশ দিয়ে বললেন, তোমরা যদি প্রেম করে বিয়ে করো তবে স্ত্রীর সামনে ফিল্ডিং- এর প্রশংসা নিয়ে সাবধানে থেকো।
এতো কিছুর পরেও ক্রিকেট একটি জনপ্রিয় খেলা। হাতে গোনা যে কয়টি দেশ ক্রিকেট খেলে সে সব দেশের খেলাধুলাপ্রিয় নাগরিকরা শুধু দেশে নয়, বিদেশেও আনন্দ করে প্রিয় দলের জয়ে। দু:খিত হয় পরাজয়ে। আর দলটি যদি হয় নিজ দেশের তবে তো কথাই নেই।
স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদশের জয়ে নিউইয়র্কেও বাঙালি কমিউনিটি যথেষ্ট খুশি হয়েছে। স্থানীয় বাংলা পত্রপত্রিকায় রিপোর্ট বেরিয়েছে, বাংলাদেশের টার্গেট ফুলফিল। লন্ডনে ক্রিকেট বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জাকসন হাইটস এর মুক্তধারা লাইব্রেরি, আবাহনী স্পোর্টিং ক্লাব, ঈগল থিয়েটার ও এষ্টোরিয়ার কস্তুরি কান্ট্রি ক্লাব প্রতিটি খেলা দশ ডলার টিকেটের বিনিময়ে লাইভ দেখানোর ব্যবস্থা করে। ঢাকা কাফে ঝিল প্রথম থেকেই বিনামূল্যে খেলা দেখাচ্ছে। কিন্তুু আসন সংখ্যা সীমিত হওয়ায় প্রচুর সংখ্যক দর্শক খেলা দেখতে পারছেন না বলে জ্যাকসন হাইটসের ৩৭ অ্যাভিনিউ-এর আলাদীন সুইটস অ্যান্ড রেষ্টুরেন্ট দশ ডলার টিকেটের বিনিময়ে সব রকমের খাবার ফ্রিসহ বিশাল আকৃতির টিভিতে খেলা লাইভ দেখানোর এক চমৎকার ব্যবস্থা করে। উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, আমেরিকার কোনো টিভি চ্যানেলেই ক্রিকেট খেলা দেখানো হয় না। খেলা দেখতে ইচ্ছুক ক্যাবল গ্রাহকরা টাইম ওয়ার্নার ক্যাবল নেটওয়ার্ক অফিসে ফোন করে বললে খেলা লাইভ দেখা যাবে। তবে প্রতিটি খেলার জন্য ক্যাবল নেটওয়ার্ককে বাইশ ডলার দিতে হবে অতিরিক্ত নিয়মিত বিলের সঙ্গে।
নিউ ইয়র্কের পাঁচটি বরো-কুইন্স, ব্রঙ্কস, ব্রুকলিন, ষ্ট্যাটেন আইল্যান্ড এবং ম্যানহাটান। ম্যানহাটন নিউ ইয়র্কের মূল সিটি। ম্যানহাটন স্থানীয় নাম । এটিই নিউ ইয়র্ক সিটি । জাতিসংঘের সদর দফতর, বিভিন্ন দূতাবাসের কনসুলেট অফিস, এবিসি টিভি, ফক্স টিভি, সিএনএন টিভি, এনবিসি টিভি, সিবিএস টিভি, নিউজ উইক ম্যাগাজিন, টাইম ম্যাগাজিন, নিউইয়র্ক টাইমস, এম্পায়ার ষ্টেট বিল্ডিং, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার, স্লোয়াং ক্যাটারিন হসপিটাল যা ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য বিশ্ব বিখ্যাত, বেলভিউ হসপিটাল,অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস, অন্যান্য বার্তা সংস্থার অফিস, রকেফেলার সেন্টার, টাইমস স্কোয়ার, সেন্ট্রাল পার্কসহ বেশির ভাগ সরকারি বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর হেড অফিস ম্যানহাটনে।
পাঁচটি বরোর মধ্যে কুইন্স এবং ব্রুককলিনেই বেশির ভাগ বাংলাদেশির বসবাস। কুইন্সের অ্যাষ্টোরিয়া, উড সাইড, সানি সাইড, ফ্লাশিং,জ্যাকসন হাইটস এবং ব্রুকলিনের চার্চ ম্যাকডোনাল্ডস অ্যাভিনিউ বাংলাদেশিদের এলাকা বলে পরিচিত।
বাংলাদেশ-পাকিস্তান খেলার দিনটি ছিল ৩১মে সোমবার ১৯৯৯ । কাকতালীয়ভাবে সেদিন ছিল আমেরিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। মেমোরিয়াল ডে। ফেডারেল হলিডে। গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ছুটি।
স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে নিশ্চিত করতে গিয়ে দেশে-বিদেশে, আঞ্চলিক ও মহাযুদ্ধে যেসব আমেরিকান মারা গেছেন তাদেরই মহৎ(?) আত্মহুতিকে প্রতি বছর মে মাসের শেষ সোমবার নতুন করে মনে করবার জন্যই এই মেমোরিয়াল ডে বা স্মরণ দিবস। এ দিন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ভার্জিনিয়ার আরলিংটন ন্যাশনাল সেমেট্রিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন এবং জাতির উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেন। নিহত ও আহতদের ফ্যামিলির সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেন।
বাংলাদেশ- পাকিস্তান খেলার ফলাফল নির্ধারিত হয় আমেরিকা সময় দুপুর প্রায় দুইটায়। বাংলাদেশ দলের স্মরণীয় জয়ের উচ্ছাস প্রকাশ করতে লাল-সবুজ পতাকা হাতে নিয়ে নিউ ইয়র্কের রাস্তায় নেমে আসে বাংলাদেশিরা। জ্যাকসন হাইটস এলাকায় বেরিয়ে যায় গাড়ি মিছিল। বিভিন্ন রঙের ও মডেলের সব গাড়ি। জিপ, মাইক্রো, পিকআপ, ফ্যামিলি সিডান।
লিঙ্কন, গ্রান্ড চিরোকি, লেকশাস, নিসান পাথফাইন্ডার, হন্ডা পাসপোর্ট, মন্টেরো, ফোর্ড, মাজদা, হন্ডা একর্ড, হন্ডা সিভিক, মার্সিডিজ, ভলভো, বিএমডব্লিউ, করভেট, টয়োটা গাড়িতে বড় বড় বাংলাদেশী পতাকা। উৎসাহী বাংলাদেশি মেয়েরাও যোগ দিয়েছে গাড়ি মিছিলে। সঙ্গে স্লোগান লং লিভ বাংলাদেশ। লং লিভ বাংলাদেশ-বাংলাদেশ, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ। বিদেশিরা অবাক ভাবে তাঁকিয়ে আছে গাড়ি বহরের দিকে।
জাতীয় পতাকাবাহী আর স্লোগানে মুখরিত এই গাড়ি মিছিল কুইন্স থেকে শুরু হয়ে নর্দান বুলেভা, ব্রডওয়ে, রুজভেল্ট অ্যাভিনিউ ধরে ব্রুকলিন প্রদক্ষিণ করে। গাড়ি মিছিলের অনেক চালক ট্রাফিক আইন লংঘনের দায়ে হাসিমুখে ফাইন দিয়েছেন। মিষ্টি মুখ করার সঙ্গে সঙ্গে প্রচুর মিষ্টি আকাশে উড়িয়ে আনন্দে মাতোয়ারা হয়েছেন অনেকে। সন্ধ্যার আাগেই সব বাংলাদেশি দোকানের মিষ্টি শেষ হয়ে যায়।
জ্যাকসন হাইটসে (Jackson Heights)ট্রাফিক জ্যাম সৃষ্টি করে মাঝ রাস্তা দিয়ে হেঁটে হেঁটে মিছিল করেছে ছেলেমেয়েরা। লং লিভ বাংলাদেশ স্লোগানে মুখরিত ছিল ৭৪ ষ্ট্রিট ও ৩৭ অ্যাভিনিউ। মেয়েরা খোপাতে গুজেছে ফুলের মতোই ছোট ছোট বাংলাদেশি পতাকা।
সেদিন সব বাংলাদেশির মন ছিলো আনন্দে ভরা। যাদের মুখ ভার থাকে তাদের অনেককেই হাসতে দেখা গেছে। ইংরেজিতে দুর্বল কেউ কেউ বলেছেন, আমেরিকার মেমোরিয়াল ডে বাংলাদেশের জন্যও হয়ে রইলো মেমেরারিয়াল ডে।
(করিম চৌধুরী)
০৬. ০৭. ১৯৯৯ (নিউ ইয়র্ক)
ইমেল: karimcbd@gmail.com
Note: লেখালেখি প্রায় ছেড়েই দিয়েছি । শারীরিক অসুস্থতায় মনোবল যেমন ভেঙে গেছে তেমনি মৃত্যু চিন্তা আমাকে প্রবলভাবে গ্রাস করেছে । গত তিন মাসে দুইটি ছোট নোট লিখেছিলাম মাত্র । এতো সহজেই লেখালেখি ছেড়ে দিতে পারবো তা কল্পনায়ও ছিলো না । তবে এটা অনুভব করেছি, লেখালেখি করলে মন প্রফুল্ল থাকে । ভালোও লাগে । সুখ পাই । পত্রিকায় প্রকাশিত অনেক লেখা ফেবুতে দিলেও আরো কিছু লেখা ফেবুতে দেয়া হয়নি । তাই সেই লেখাগুলো মাঝে মাঝে দেয়ার চেষ্টা করবো। মরে তো যাবোই। স্মৃতি হিসেবে ফেবুতে থাক। ইমেইলে সব লেখাই বিজয়তে আছে। শুধু ওখান থেকে কপি করে নিয়ে কনভার্টারে বিজয় টু ইউনিকোডে টিপ দিলেই হয়। ফেসবুকে দেয়ার উপযোগী হয়ে যায়। ২০ বছর আগে মানে ১৯৯৯ সালে লন্ডনে অনুষ্ঠিত ক্রিকেট বিশ্ব কাপে পাকিস্তানকে হারিয়েছিলো বাংলাদেশ । ওই সময় সাপ্তাহিক যায়যায়দিন-এর ক্রিকেট খেলা নিয়ে বিশেষ সংখ্যায় এই লেখাটি লিখেছিলাম নিউ ইয়র্ক থেকে । তখন লেখালেখি ছিলো আমার এক তীব্র নেশা । বিদেশে টাকা রোজগারের চেয়ে লেখার দিকেই আমার ঝোঁক ছিলো বেশি ।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

অশ্লীল নাম

বাংলাদেশের কিছু প্রতিষ্ঠান ও স্থানের বিচিত্র বা বিকৃত অর্থের নাম যা পরিবর্তন করা উচিতঃ ১. বোদা মহিলা মহাবিদ্যালয়, বোদা, পঞ্চগড় ২. চুমাচুমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি ৩. সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খুলনা ৪. মানুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নীলফামারি ৫. সোনাকাটা ইউনিয়ন, তালতলী, বরগুনা ৬.বড়বাল ইউনিয়ন, মিঠাপুকুর, রংপুর ৭.সোনাখাড়া ইউনিয়ন, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ৮. ধনকামড়া গ্রাম, ভোদামারা, দিনাজপুর ৯.গোয়াকাটা, দোহার, ঢাকা ১০. গোয়াতলা, ময়মনসিংহ ১১.লেংটার হাট, মতলব, চাঁদপুর