সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পশ্চিমা মিডিয়ার নিউজ হেড লাইন

পশ্চিমা মিডিয়ার নিউজ হেড লাইন

নিউইয়র্কের রাস্তায় এক ভদ্রমহিলা হেঁটে যাচ্ছিলেন। রাস্তার পাশে তিনি দেখতে পেলেন, একটা বাচ্চা ছেলে বেলুন নিয়ে খেলছে। হঠাৎ একটা পাগলা কুকুর কোথা থেকে এসে ছেলেটাকে আক্রমন করে বসলো। ছেলেটা চিৎকার করে সাহায্য চাচ্ছিলো, কিন্তু রাস্তার কোন লোকই তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে যাচ্ছিলো না। এটা দেখে মহিলাটি বাচ্চাটাকে সাহায্য করতে ঝাঁপিয়ে পড়লো।
বেশ কিছুক্ষণ রক্তারক্তি যুদ্ধের পরে কুকুরটা মারা গেল, এবং ভদ্র মহিলাটি ছেলেটার জীবন রক্ষা করলো। রাস্তায় তখন অনেক মানুষ জমে গেছে, তাদের মুহুর্মুহু করতালিতে তখন রাস্তা সরগরম। সবাই ভদ্রমহিলাকে খুব অভিবাদন জানালো, এই রকম বীরোচিত কাজ করার জন্য বীর উপাধী দিয়ে দিলো।
ততক্ষণে সংবাদিকরা চলে এসেছে। তারা ঘটনাস্থলের ছবি তুলে ভদ্র মহিলার ও ছবি তোলা শুরু করলো। ভদ্রমহিলাকে বললো, "আগামীকাল নিউইয়র্ক টাইমসে আপনার ছবি সহকারে এই ঘটনাটাই হেডলাইন হবে। হেডলাইনটি হবে এই রকমঃ
নিউইয়র্কের অসীম সাহসী নাগরিকের অসাধারন বীরত্ত্বে বেঁচে গেল একটি শিশু
ভদ্রমহিলা বললেন, " কিন্তু আমি তো নিউইয়র্কের অধিবাসী নই"।
সাংবাদিকরা বললো, নো প্রবলেম, হেডলাইনে যাবেঃ
আমেরিকার অসীম সাহসী এক নাগরিকের অসাধারন বীরত্ত্বে বেঁচে গেল একটি শিশু
ভদ্রমহিলা আবার বললেন,
" কিন্তু আমি তো আমেরিকার নাগরিকও নই"
সাংবাদিকরা বললো, 
কোন সমস্যা নেই, আপনি কোথাকার অধিবাসী এবং আপনার নাম কি সেটা লিখে দিয়ে যান, সে অনুসারেই হেডলাইন হবে।
ভদ্রমহিলা বললেন, আমি ফিলিস্তিনের অধিবাসী, আমার নাম আসমা বিনতে উবাইদ
পরের দিন নিউইয়র্ক টাইমসের হেডলাইন হলোঃ
প্যালেস্টাইনের এক মৌলবাদী নারী মুসলিম টেরোরিস্টের নৃশংস ছুরিকাঘাতে নির্মমভাবে মৃত্যবরণ করলো একটি অবলা কুকুর
রূপক ভাবে বললেও এটাই মুসলমানদের প্রতি বাস্তব ষড়যন্ত্র।
করিম চৌধুরী
২৩ মে ২০১৬
কুমিল্লা ।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

ফেবুতে মেয়েদের পোস্ট

ফেবুতে মেয়েদের পোস্ট সকালে ঘুম ভেঙে দেখি আট টা বাজে । শরীরটাও বেশি ভালো লাগছে না । আবার ঘুমাল াম । ১১টায় উঠলাম । ২ মগ চা খেলাম ( বাজারের হিসেবে ৮ কাপ হবে)। সবাই জানেন আমি স্মোক করি । চেইন স্মোকার । কম্পিউটার খোঁচাখুঁচি করে নিজে নিজেই ঠিক করলাম । প্রায় দুই ঘন্টা । আমি থাকি চার তলায় । দুপুর ১টা বাজে । খেতেও ইচ্ছে করছে না কিছু । তখনো মুখ ধুই নি । কম্পিউটারে খোঁচাখোঁচি করতে গিয়ে দেখি এক মেয়ে তার পা’য়ের একটা ছবি আপলোড করেছে । দেখলাম এই পা মানে ঠ্যাং এর ছবিতে লাইক পড়েছে ৯৪৭ টা । কমেন্ট অসংখ্য । ‘কতো সুন্দর এই পা । না জানি তুমি কতো সুন্দর । পা তো নয় যেন একটা গোলাপ ফুল’ । এ জাতীয় অনেক কমেন্ট । আমি পোষ্ট টা দেখে কিছুটা অবাক হলাম । একটা ঠ্যাং এর এতো কদর ! প্রায়ই লক্ষ্য করি, মেয়েরা যখনি কিছু আপলোড করে সেটা তাদের পায়ের ছবিই হোক,হাতের ছবিই হোক আর নাকের ছবিই হোক বা এক চোখের ছবিই হোক সে সব ছবিতে অগনিত লাইক আর কমেন্ট । মেয়ে বন্ধুদের ছোট করার জন্য বলছি না, ফেবুতে প্রায়ই দেখি মেয়েরা কোনো ছবি বা দু এক লাইন হাবিজাবি লিখলে লাইক আর কমেন্টের বন্যা বয়ে যায় । অনেক মেয়েরা শখ করে পিঠা, ...