সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জুলাই, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আত্নজৈবনিক লেখা

আত্নজৈবনিক লেখা আমি রক্ষণশীল বা গোড়া মুসলিম না। কেউ নাস্তিক হলেও আমার কোনো আপত্তি নেই। । তার সঙ্গে আমি তর্কেও যাবো না । ধর্ম বিশ্বাস একজন মানুষের একান্ত ব্যক্তিগত । তবে কেউ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিলে আমি প্রতিবাদ করবো, করি। অন্য ধর্মের বিশেষ করে ইহুদী, খৃষ্টান ধর্মের লোকেরাও একেশ্বরবাদী। তারাও এক আল্লাহতে বিশ্বাস করে। হিব্রু ভাষায় জেহুবা এবং ইংরেজি গডের আরবি আল্লাহ। নবীজি মাটির তৈরী না নূরের তৈরী এই অযৌক্তিক বিতর্কেও আমি যাই না। কোরান হাদিস আমিও পড়েছি। বড় দাড়ি, জুব্বা পরে কেউ কিছু বললেই আমি বিশ্বাস করবো কেনো ? রবীন্দ্রনাথ, নির্মলেন্দু গুন, কার্ল মার্ক্স, ফিদেল কাস্ত্রো,এব্রাহাম লিংকন, লিউ টলস্টয়, হু চি মিন,দস্তয়ভস্কিসহ পাঠা ছাগলেরও দাড়ি আছে। তাই বলে তারা কেউ ইসলামি স্কলার নয়। আমি অনেক বছর লেখালেখি করি। দেশ বিদেশের অনেক বাংলাভাষী পত্রিকায় আমার লেখা প্রকাশিত হতো। এখন ছোট করে ফেবুতে লিখি। ইউরোপ -আমেরিকায় ছিলাম বলে সে সব দেশের অনেক অভিজ্ঞতার কথা আমি খোলামেলা লিখি। খুব রক্ষণশীল যারা তাদের এসব ভালোলাগার কথা নয়। তাই যারা খুব রক্ষণশীল, গোড়া মুসলিম এবং আমার লিস্টে আছেন তারা দ...

উকিল সরাসরি দায়ী

বাংলাদেশে ক্রাইম উত্থানে এক শ্রেনীর উকিল সরাসরি দায়ী টাকার জন্য তারা সরাসরি অবস্থান নেয় ক্রিমিনালদের পক্ষে। চোখের সামনে ঘটে যাওয়া বাস্তব প্রমান থাকতেও নরপিশাচ টাইপ উকিল সম্প্রদায় প্রকাশ্যে ক্রিমিনালদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বিচার বিভাগকে করে প্রশ্নবিদ্ধ। এমন উকিল সম্পূর্ন প্রত্যক্ষ মদদে সত্য প্রমান ধ্বংসের জন্য জন্ম দেয় সাক্ষী বিলুপ্তির নামে আরো হাজারো ক্রাইম। তাই যদি হয়ে থাকে তাহলে ক্রাইমকে সমর্থন দিয়ে, ক্রাইমের পক্ষে অবস্থান নিয়ে আদালতের সামনে সওয়াল করতে গেলে সে বা তারা কেন ক্রিমিনাল হবে না? কেন তার বিরুদ্ধে একি রকম দায় আরোপ করা হবে না? বিচার প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ করতে গিয়ে, যে সকল ক্রাইম দিনের আলোর মতো প্রমান সকলের সামনে পড়ে রয়েছে সকল স্থানে তার বিপক্ষে একজন উকিল যখন দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয় তাহলে চারদিকে সামাজিক দেয়াল ভেঙে পড়ে, সামাজিকভাবে নব প্রজন্ম নিজের কাছেই নিজে ধাক্কা খায়। তাদের মধ্যে বাসা বাঁধে এক ধরনের অনাস্থা, অবিশ্বাস এবং দুর্বলতা। বিশেষ করে একজন উকিল যখন রাজনৈতিক পাওয়ার নিয়ে, শুধুমাত্র টাকার জন্য ক্রাইমকে ধরে রাখতে সোচ্চার হয় তাহলে বুঝতে হবে সমাজ ধ্...

বৃষ্টি

  বৃষ্টি সারারাতই বৃষ্টি ছিলো । ঘুম থেকে উঠলাম আটটায় । প্রচুর বৃষ্টি । এক সময় বৃষ্টিতে ভেজা খুব শখ ছিলো । ছাত্র জীবনে ‘বর্ষা’ নামের একটি প্রবন্ধ আমাদের পা ঠ্য ছিলো । লেখক প্রমথ চৌধুরী । লেখকের নামটি লিখতে এবং বলতে প্রায়ই ভুল করতাম । আমি বলতাম, প্রথম চৌধুরী । সহপাঠিরা কিছুদিন আমাকে প্রথম চৌধুরী বলেও ডেকেছিলো । ভিয়েনা থেকে বেড়াতে এসেছিলাম দেশে । সেই কবে । আমি গ্রামের বাড়ি কম থেকেছি । তো সেবার গ্রামের বাড়িতে কয়েকদিন ছিলাম । এক দুপুরে মুষলধারে বৃষ্টি নামলো । শর্টস (হাফপ্যান্ট)পড়ে দৌঁড়ে পুকুরপাড়ে এসে দাঁড়ালাম । অনেকক্ষণ ভিজে যখন শীত শীত লাগছিলো তখন ঘরে এসে শরীর মুছছিলাম । এমন সময় আমার প্রয়াত প্রিয় মা কাঁদো কাঁদো গলায় বললেন, ‘‘ বাড়ির সবাই বলাবলি করছে,তুই নাকি বিদেশে থেকে পাগল হয়ে গেছস । কোনো সুস্থ মানুষ দরকার ছাড়া এভাবে বৃষ্টিতে ভিজে ? আমার কাছে ছোট হইলেও অন্যদের চোখে তুই বড় হইছস । এখনো কেনো হাফপ্যান্ট পড়স ? তুই কি ফুটবল খেলোয়ার ?” মাকে রাগানোর জন্য বললাম, মা, গরমের দিন হাফপ্যান্ট পড়তে অনেক মজা । বিদেশে তোমার মতো বৃদ্ধারাও হাফপ্যান্ট পরে ঘুরে বেড়ায় । আমাদের দেশে...