সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আত্নজৈবনিক লেখা

আত্নজৈবনিক লেখা

আমি রক্ষণশীল বা গোড়া মুসলিম না। কেউ নাস্তিক হলেও আমার কোনো আপত্তি নেই। । তার সঙ্গে আমি তর্কেও যাবো না । ধর্ম বিশ্বাস একজন মানুষের একান্ত ব্যক্তিগত । তবে কেউ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিলে আমি প্রতিবাদ করবো, করি।
অন্য ধর্মের বিশেষ করে ইহুদী, খৃষ্টান ধর্মের লোকেরাও একেশ্বরবাদী। তারাও এক আল্লাহতে বিশ্বাস করে। হিব্রু ভাষায় জেহুবা এবং ইংরেজি গডের আরবি আল্লাহ।
নবীজি মাটির তৈরী না নূরের তৈরী এই অযৌক্তিক বিতর্কেও আমি যাই না। কোরান হাদিস আমিও পড়েছি।
বড় দাড়ি, জুব্বা পরে কেউ কিছু বললেই আমি বিশ্বাস করবো কেনো ? রবীন্দ্রনাথ, নির্মলেন্দু গুন, কার্ল মার্ক্স, ফিদেল কাস্ত্রো,এব্রাহাম লিংকন, লিউ টলস্টয়, হু চি মিন,দস্তয়ভস্কিসহ পাঠা ছাগলেরও দাড়ি আছে। তাই বলে তারা কেউ ইসলামি স্কলার নয়।
আমি অনেক বছর লেখালেখি করি। দেশ বিদেশের অনেক বাংলাভাষী পত্রিকায় আমার লেখা প্রকাশিত হতো। এখন ছোট করে ফেবুতে লিখি। ইউরোপ -আমেরিকায় ছিলাম বলে সে সব দেশের অনেক অভিজ্ঞতার কথা আমি খোলামেলা লিখি। খুব রক্ষণশীল যারা তাদের এসব ভালোলাগার কথা নয়। তাই যারা খুব রক্ষণশীল, গোড়া মুসলিম এবং আমার লিস্টে আছেন তারা দয়া করে স্বেছায় চলে গেলে আমরা অনেক অপ্রীতিকর মনোমালিন্য থেকে রেহাই পাবো। তাছাড়া আমি আমার নিজের জীবনের স্মৃতিকথাই বেশি লিখি।
আমার প্রায় সব লেখাই আত্নজৈবনিক। আমি আমার প্রেমের কথা লিখি, অভিজ্ঞতার কথা লিখি, ভ্রমণের কথা লিখি, ফেসবুকে বন্ধু হয়ে অনেক মেয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা লিখি, পত্রিকায় লেখার কারনে অনেক ফ্যানের কথাও লিখি, কল্পনার রঙ মিশিয়ে কঠিন বাস্তবকে হৃদয়গ্রাহী করার কোনো প্রবণতা আমার মাঝে কাজ করে না ।
আগেই উল্লেখ করেছি, আমার সব লেখাই আত্নজৈবনিক । সব লেখায়ই আমার জীবনের সত্য গল্প । আমি বৈচিত্রময় বর্নাঢ্য জীবনের অধিকারী ।
বন্ধুরা জানেন, আমার নয় বছরের একাউন্টটা হ্যাকড হয়েছে । ওটা ফিরে পাওয়ার কোনো সম্ভবনা আপাতত দেখছি না । আমি পড়তে পছন্দ করি । লিখতে ভালোবাসি । আমার হ্যাকড হওয়া একাউন্টে যা লিখেছিলাম সে সব লেখার অধিকাংশই আমার ব্লগ সাইটে পোস্ট দেয়া আছে । সেসব লেখাই এই একাউন্টে বেশি থাকবে । যারা পড়তে আগ্রহী তারা পড়তে পারেন ।
একটি বিশেষ কথা বলতেই হয় । বেশ কিছু মেয়ের সঙ্গে আমার গভীর বন্ধুত্ব হয়েছিলো । তারা হারিয়ে গেছে জীবনের প্রয়োজনে । তাদের নিয়েও আমি গল্প লিখেছিলাম । এসব গল্প তাদের নজরে পরলে তারা আঘাত পেতে পারেন । তাদের অনুভুতিতে যতোই আঘাত পাক, সত্য কখনো পরিবর্তন হবে না ।
কিন্তু আমি কাউকে আঘাত দেয়ার জন্য লিখিনি । আমি আমার জীবনের কথা লিখেছি । আমার জীবনের কথা বলার অধিকার অবশ্যই আমার আছে ।
এই লেখাটিও আমার ব্লগ সাইট থেকেই এনেছি । তারিখ দেয়া আছে ।

জুলাই ১৫, ২০১৯
কুমিল্লা।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

অশ্লীল নাম

বাংলাদেশের কিছু প্রতিষ্ঠান ও স্থানের বিচিত্র বা বিকৃত অর্থের নাম যা পরিবর্তন করা উচিতঃ ১. বোদা মহিলা মহাবিদ্যালয়, বোদা, পঞ্চগড় ২. চুমাচুমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি ৩. সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খুলনা ৪. মানুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নীলফামারি ৫. সোনাকাটা ইউনিয়ন, তালতলী, বরগুনা ৬.বড়বাল ইউনিয়ন, মিঠাপুকুর, রংপুর ৭.সোনাখাড়া ইউনিয়ন, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ৮. ধনকামড়া গ্রাম, ভোদামারা, দিনাজপুর ৯.গোয়াকাটা, দোহার, ঢাকা ১০. গোয়াতলা, ময়মনসিংহ ১১.লেংটার হাট, মতলব, চাঁদপুর