সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

একাধিক ফেসবুক একাউন্ট

একাধিক ফেসবুক একাউন্ট

যারা ফেবুতে সৃজনশীল লেখা লিখেন এবং চান তাদের লেখাগুলো সংগ্রহে থাক ফেবুতে। তাদের উচিৎ একটি বা দু'টি সহযোগী একাউন্ট খোলে রাখা ফেবুতে। যদিও তা ফেসবুকের টার্মস এন্ড কন্ডিশন লঙ্ঘন করে । কোনো ব্যক্তির একাধিক একাউন্ট ফেসবুক অনুমোদন করে না । কিন্তু আমার পরিচিত অনেকের একাউন্ট হ্যাকড হয়েছে । আমার তো নয় বছরের একাউন্টই হ্যাকড । হ্যাকড হওয়া একাউন্ট ফেরত পাওয়া প্রায় অসম্ভব । এতে ফেসবুক অথরিটিরও কিছু করার থাকে না । কারন হ্যাকাররা ইমেইল এড্রেসসহ সবকিছুই চেইঞ্জ করে ফেলে ।
তাই একটি বা দুটি সহযোগি একাউন্ট থাকলে ওইসব সেকন্ডারি একাউন্টে তাদের লেখা পোস্ট করে রাখা যায়। তাতে মুল একাউন্ট হ্যাকড বা ডিসএবল্ড হলেও লেখাগুলো পাওয়া যায় । অথবা ব্লগে একাউন্ট খোলে লেখাগুলো ব্লগে পোস্ট করে রাখা৷ ফেবুর একাউন্টের কোনো গ্যারান্টি নেই। যে কোনো উসিলায় ফেবু একাউন্ট কতৃপক্ষ ব্লক বা ডিসএবল্ড করে দিতে পারে। দুই বছর আগে ২০১৭ সালের মে মাসে আমার Karim Chowdhury একাউন্টটি ১৫ দিনের জন্য ডিসএবল্ড করে রেখেছিলো ফেসবুক।
তখন আমি এই নতুন একাউন্টটি খোলতে বাধ্য হই। পরে ফেবুর সঙ্গে অনেক দেন দরবার করে আমার ওই একাউন্টটি ফেরত পাই। তখন আমি এই নতুন খোলা একাউন্টটি ডিসএবল্ড করে দেবো বলায় বন্ধু Shahed Md Sharif আমাকে পরামর্শ দিয়ে বলেছিলেন, রেখে দেন। কাজে লাগতে পারে।
আজ থেকে ঠিক তিন দিন আগে ফেবু আমার ওই একাউন্টটি ঠিক রেখে পোস্ট ব্লক করে দিয়েছিলো ৭২ ঘন্টার জন্য ৷ যেমন আমার টাইমলাইনে কিছু পোস্ট করতে পারবো না। তেমনি লাইক, কমেন্টও করতে পারবো না। আমাকে জানানো হয়েছে, আমি এমন কিছু পোস্ট করেছি Which Violates facebook community standard. আমিতো থ!
ওই একাউন্টটি আমার নয় বছরের ৷ আমি ফেসবুক কতৃপক্ষকে তিনটি চিঠি লিখি কঠিন ইংরেজিতে এবং চ্যালেঞ্জ করি যে,আমি এমন কিছু পোস্ট করিনি যা ফেসবুক টার্মস লংঘন করে। আজ বিকেল ৫টায় তা ঠিক হয়েছে। গত বছর যে একাউন্টটি খোলেছিলাম তা এই " যাযাবর" নামে আছে। ওই একাউন্টেরই অনেক পোস্ট আমি ওই যাযাবরেও দিয়ে রাখবো। তবে আমার প্রিন্সিপাল একাউন্ট Karim Chowdhury ই থাকবে।
যদিও ফেবুর গুরুত্বপূর্ন সব লেখা আমি ব্লগেও পোস্ট করে রাখি। উল্লেখ্য, ব্লগে আমার একাউন্ট আছে।

১৯ নভেম্বর, ২০১৭
কুমিল্লা ।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

অশ্লীল নাম

বাংলাদেশের কিছু প্রতিষ্ঠান ও স্থানের বিচিত্র বা বিকৃত অর্থের নাম যা পরিবর্তন করা উচিতঃ ১. বোদা মহিলা মহাবিদ্যালয়, বোদা, পঞ্চগড় ২. চুমাচুমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি ৩. সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খুলনা ৪. মানুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নীলফামারি ৫. সোনাকাটা ইউনিয়ন, তালতলী, বরগুনা ৬.বড়বাল ইউনিয়ন, মিঠাপুকুর, রংপুর ৭.সোনাখাড়া ইউনিয়ন, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ৮. ধনকামড়া গ্রাম, ভোদামারা, দিনাজপুর ৯.গোয়াকাটা, দোহার, ঢাকা ১০. গোয়াতলা, ময়মনসিংহ ১১.লেংটার হাট, মতলব, চাঁদপুর