সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

অযোগ্যরা শুধু রাজনীতি নয়,দখলে নিয়েছে সবকিছু

অযোগ্যরা শুধু রাজনীতি নয়,দখলে নিয়েছে সবকিছু

আমাদের দেশের বর্তমান সময়ের মানুষদের মধ্যে যারা সমাজের নেতৃত্বদেন বা নেতাকে প্রভাবিত করেন কিংবা করতে সক্ষম তাদের চিন্তা ভাবনার স্তরের উন্নতি অতি আবশ্যক। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির যুবলীগ নেতা হতে চাওয়া যে লজ্জাজনক ও লোভীর মতো আবদার, এটা বুঝার ক্ষমতাই আমাদের জনগণের একটা বিরাট অংশের নেই।
সুবিধাবাদী অসুস্থ চিন্তার প্রসার সমাজে এতোটাই বেড়েছে যে, সমগ্র দেশই যেন আর স্বার্থের বাইরে নিরপেক্ষ চিন্তা করতেই পারেন না। কারো দুর্নীতি দেখে এক শ্রেণির মানুষ বলতে শুরু করে, আপনারা তার দুর্নীতিটাই দেখলেন, তার যে কত অবদান ছিল সেসব কেন ভুলে গেলেন?
আরেকদল বলে এই লোকের চাইতেও অমুক সালে তমুক লোক আরো বেশি সন্ত্রাস বা দুর্নীতি করেছিল, সেসব কথা কি করে ভুলে গেলেন- ইত্যাদি।
মানে আগে অন্য কেউ এসব করেছিল তাই এখন আমরা এসব করব। এদের দোষের কি আছে?
ছাত্রনেতা চাঁদার ভাগ চাওয়াতে কিভাবে অন্যায় হয়েছে ছাত্ররা তা বোঝে না; যুবকরা মাস্তানি করলে বা অন্য অপরাধে যুক্ত হলে বলা হয় এসব তো নতুন কিছু না; এসব অনেক আগে থেকে শুরু হয়েছে, তাছাড়া তাদের তো অবদান আছে।
স্বেচ্ছাসেবিকা যখন স্বেচ্ছাসেবকের ভিডিও ছেড়ে দিলো, এক দল লোক নিজ থেকে বলতে থাকে এসব মিথ্যা ষড়যন্ত্র।
স্বেচ্ছাসেবককে হাই কমান্ডের নির্দেশ বাদ দেয়া হলে একদল লোক বলে, এতো অবদানের মানুষ বাদ পড়ে কেমন করে।
অযোগ্যরা শুধু রাজনীতি নয়, দখলে নিয়েছে সবকিছুই। ডাক্তারদের নেতৃত্ব দেন যিনি, ভুল করে বা অন্যায়ভাবে ডাক্তার হয়েছিলেন তিনি।
শিল্পী সমিতির নেতৃত্ব নিতে চায় অশিল্পীরা। ইঞ্জিনিয়ারদের নেতা হন, যিনি প্রকৌশলী হিসেবে সবচেয়ে নিম্নমানের, কখনো ভালো চাকরি যোগাতে পারেননি তিনি।
নাটক সিনেমার কাহিনী লিখেন এমন সব মানুষ, যাদের রুচি বোধ নিয়ে কথা বলাই অরুচিকর।
শহরে নগর গ্রামগঞ্জে সর্বত্রে দেখা যায়, বিখ্যাত নেতার নিচে নিজের ছবি দিয়ে জনগণকে কিংবা খোদ প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে রেখেছেন - সদ্য সাবেক ছিনতাইকারী, জমি দখলদার, কামার দোকানের হাতুড়িচালক, সিএনজি মিস্ত্রী বা সদ্য সাবেক অটো ড্রাইভার, মাদক বিক্রেতা, রেস্টুরেন্টের হেড মেসিয়ার, কাঁচা বাজারে তোলা তোলক, ফুটপাতের দোকানিদের তত্ত্বাবধায়ক জাতীয় লোকেরা, যারা এখন প্রভাবশালী নেতা।
এরা মিছিলের সামনে হাঁটে, রাজনৈতিক মঞ্চে থাকে, কমিটি গঠনে মতামত দেয়, টেন্ডার বিলি বণ্টনে পরামর্শ দেয়, ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার পুলিশ কিংবা সরকারী করমকর্তা ট্রান্সফার করিয়ে দেয়। এদের ভয়ে সবাই অস্থির। তাদের গুরুত্ব অপরিসীম। তাদের মতামতের দাম আছে। তারা ওমরা হাজি, তারা আলহাজ্ব, তারা দানবীর, তারা সমাজ সেবক, তারা মহান -তাদের দিকে তাকিয়ে আছে রাষ্ট্র ও সমাজ। কারণ তাদের অনেক অবদান আছে কিংবা তাদের বাবা নানা দাদাদের অনেক অবদান ছিল। তারাই আমাদের মূল ধারা।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
বিডি-প্রতিদিন।
২১ নভেম্বর, ২০১৯
কুমিল্লা ।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

অশ্লীল নাম

বাংলাদেশের কিছু প্রতিষ্ঠান ও স্থানের বিচিত্র বা বিকৃত অর্থের নাম যা পরিবর্তন করা উচিতঃ ১. বোদা মহিলা মহাবিদ্যালয়, বোদা, পঞ্চগড় ২. চুমাচুমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি ৩. সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খুলনা ৪. মানুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নীলফামারি ৫. সোনাকাটা ইউনিয়ন, তালতলী, বরগুনা ৬.বড়বাল ইউনিয়ন, মিঠাপুকুর, রংপুর ৭.সোনাখাড়া ইউনিয়ন, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ৮. ধনকামড়া গ্রাম, ভোদামারা, দিনাজপুর ৯.গোয়াকাটা, দোহার, ঢাকা ১০. গোয়াতলা, ময়মনসিংহ ১১.লেংটার হাট, মতলব, চাঁদপুর