সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

কোরান ও শিক্ষিত

কোরান ও শিক্ষিত

আমাদের এক সিনিয়র বন্ধু পোস্ট দিয়েছেন এমন...
" পৃথিবীর সব শিক্ষা শেষ করলেও আপনি যদি কোরান না পড়েন তবে আপনি মূর্খ। "
আমার প্রশ্ন, কোরান অবতীর্ণ হবার ১০০০ বছর আগে এরিস্টটল, প্লেটো, সিক্রেটিস তারা কি মূর্খ? বারট্রান্ড রাসেল, শেক্সপিয়র, আইনস্টাইন, নোয়াম চমস্কি, লিও টলস্টয়, ম্যাক্সিম গোর্কি, আদ্রে শাখারভ, পণ্ডিত নেহেরু তারা কি মূর্খ? আগাথা ক্রিস্টি, হ্যারল্ড লাসকি, স্টিফেন হকিং, গুন্টার গ্রাস, কার্ল মার্ক্স, ফ্রেডারিখ এঙ্গেলস তারা কি মূর্খ?
টাইম, নিউ ইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট, ইউএসএ টুডে, লস এঞ্জেলেস টাইমস, হাপিংটন পোস্ট, জাপান টাইমস, ইন্টারন্যাশনাল হেরাল্ড ট্রিবিউন, সানডে টাইমস, দ্য গার্ডিয়ান, দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট, টাইমস অফ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান একপ্রেস, হিন্দুস্থান টাইমস, দ্য ডন, এসব পত্রিকার কলামিস্টরা কি মুর্খ?
অরুন্ধতী রায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, অমর্ত্য সেন, ফ্রানৎস কাফকা ( চেক লেখক) তারা কি মুর্খ?
হার্বার্ড, কেমব্রিজ, বার্কলে, স্ট্যানফোর্ড, প্রিস্টন, ইয়েল ইউনিভার্সিটি থেকে যারা ডিগ্রী নিয়েছেন তারা কি মুর্খ ?
আপনি মনে হয় খুব মৃত্যু চিন্তায় অস্থির। তাই এসব পোস্ট দেন। দু:খিত আমার মতামত দেয়ার জন্য। আমার দৃষ্টিতে এটা একেবারেই একটা অগ্রনযোগ্য কথা। পৃথিবীর ৭০০ কোটি মানুষের মধ্যে ১৫০কোটি মাত্র মুসলিম। এই ১৫০ কোটির মধ্যে ১০০ কোটিই কোরান পড়েনি। যদিও আমি আরবি কোরান পড়ে কিছুই বুঝিনি। আর যারা পড়েছে তারা কয়েকজন উচ্চ শিক্ষিত, পিএইচডি করা আলেম, ইসলামিক স্কলার বাদে কেউ কোরান বুঝেনি। পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষই আরবি ভাষা জানে না। সমগ্র আরব বিশ্বের জনসংখ্যাও ৩০ কোটি হবে না। শুধু আরবি ভাষীরাই কোরানের অর্থ বুঝে । অর্থ না বুঝে একটা ধর্মগ্রন্থ রিডিং পড়লে বা মুখস্থ করলে কি তাকে শিক্ষিত বলা যায়?
সুরা ফাতিহার অর্থ কয়জন বুঝে? আয়াতুল কুরসি, সুরা মায়েদা,সুরা আর রহমানের অর্থ কয়জন বুঝে? এ ধরনের পোস্ট ইসলাম ধর্মের উগ্রতা প্রকাশ করে। যা কাংখিত নয়। ধন্যবাদ।
( আমি অনেক কোরানে হাফেজকে চিনি যারা জাপান, ইংল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স,কানাডার রাজধানীর নাম জানে না। তাবলীগ জামাতে গিয়ে দেখলাম এক আলেম সিরিয়া ও তুরস্কের রাজধানীর নাম জানে না!!! এই নিয়ে আমার সঙ্গে আলেম সাহেবের ঝগড়াও হয়েছিলো। যদি হন্ডুরাস,ভেনিজুয়েলা, পেরু, এল সালবাদরের রাজধানীর নাম জিজ্ঞেস করতাম তবে খাইছিলো।)
১৮ নভেম্বর, ২০১৯
কুমিল্লা।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

অশ্লীল নাম

বাংলাদেশের কিছু প্রতিষ্ঠান ও স্থানের বিচিত্র বা বিকৃত অর্থের নাম যা পরিবর্তন করা উচিতঃ ১. বোদা মহিলা মহাবিদ্যালয়, বোদা, পঞ্চগড় ২. চুমাচুমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি ৩. সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খুলনা ৪. মানুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নীলফামারি ৫. সোনাকাটা ইউনিয়ন, তালতলী, বরগুনা ৬.বড়বাল ইউনিয়ন, মিঠাপুকুর, রংপুর ৭.সোনাখাড়া ইউনিয়ন, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ৮. ধনকামড়া গ্রাম, ভোদামারা, দিনাজপুর ৯.গোয়াকাটা, দোহার, ঢাকা ১০. গোয়াতলা, ময়মনসিংহ ১১.লেংটার হাট, মতলব, চাঁদপুর