সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বাংলাদেশে র ( RAW)

বাংলাদেশে র ( RAW)

ঢাকা শহরের কয়েক ডজন স্থানে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র (RAW) গোপন ক্যাম্প রয়েছে। এসব ভাড়া করা বাড়িতে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে থাকে ভারতীয় গোয়েন্দারা। এরা সিভিল ড্রেসে যাওয়া আসা করে, তবে বাংলাদেশ সরকারের দেয়া সিকিউরিটি পাশ বহন করে।
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসের বাসা-অফিসে গোয়েন্দাগিরি করা, ডিপ্লোমেটিক জোনের খোঁজখবর রাখা এবং পাকিস্তান দূতাবাসের উপর নজরদারীর উদ্দেশ্যে গুলশান ২ নম্বর সেক্টরে দু’টি এরূপ ক্যাম্প রয়েছে। ঢাকা শহরের গুলশান ৭১ নম্বর সড়কে একটি, ৭২ নম্বরে একটি, বনানী ১১ নম্বর ও ১৫ নম্বর সড়কে একটি করে, ক্যান্টনমেন্টে বদিউজ্জামান সড়কে, ধানমন্ডি ৬ নম্বর রোডে, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, সচিবালয়ের পার্শ্বে, শেরে বাংলা নগর, মতিঝিল, পুরান ঢাকায় ভারতের গোয়েন্দা অফিসগুলি রয়েছে।
২০০৯ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় বসার পরে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ের অজুহাতে ডিজিএফআইর কচুক্ষেত প্রধান অফিসে যাতায়ত শুরু করে ভারতের র। পরবর্তীতে এর ক্ষেত্র বাড়ায়- ডিজিএফআই এর ১৪ তলা ভবনের ৫ম তলা পুরোটি নিয়ে নেয় র। প্রধানমন্ত্রীর অফিস, গণভবনে ঘাটি গাড়ে, প্রতিটি সেনানিবাসে তারা নজরদারী বাড়ায়, মিলিটারী থেকে ইসলামপন্থী অফিসার সরানোর ক্লিনজিং মিশনে অংশ নেয় র।। অফিসারদের বিভিন্ন ইন্টারোগেশনে উপস্থিত থাকে তারা। ২০১১ সালে এমন ঘটনার কথা ফাঁস করে চাকরিচ্যুত এবং ফেরারি হন মেজর জিয়াউল। ঐ সময় থেকে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় র-য়ের ক্যাম্প অফিসগুলো খোলা হয়। তারা নজরদারী করছে এবং বিভিন্ন মিশনে পরিচালনা করছে।
সব সরকারি উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাই র এর নজরদারিতে আছেন। ভারত বিরোধী মানসিকতা দেখলেই তাকে সরিয়ে দেয়া হয়।

২০ নভেম্বর, ২০১৯
কুমিল্লা।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

অশ্লীল নাম

বাংলাদেশের কিছু প্রতিষ্ঠান ও স্থানের বিচিত্র বা বিকৃত অর্থের নাম যা পরিবর্তন করা উচিতঃ ১. বোদা মহিলা মহাবিদ্যালয়, বোদা, পঞ্চগড় ২. চুমাচুমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি ৩. সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খুলনা ৪. মানুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নীলফামারি ৫. সোনাকাটা ইউনিয়ন, তালতলী, বরগুনা ৬.বড়বাল ইউনিয়ন, মিঠাপুকুর, রংপুর ৭.সোনাখাড়া ইউনিয়ন, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ৮. ধনকামড়া গ্রাম, ভোদামারা, দিনাজপুর ৯.গোয়াকাটা, দোহার, ঢাকা ১০. গোয়াতলা, ময়মনসিংহ ১১.লেংটার হাট, মতলব, চাঁদপুর