সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আজ আত্মসমর্পনের দিন

 আজ আত্মসমর্পনের দিন


আজ ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে পরাজিত হানাদার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পনের দিন। লেফটেন্যান্ট জেনারেল নিয়াজি আত্মসমর্পনের চুক্তিতে স্বাক্ষর করছেন।
তার পেছনে দাঁড়িয়ে আছে বাঁদিক থেকে ভাইস এডমিরাল কৃষ্ণন, এয়ার মার্শাল দেওয়ান, লেফটেনান্ট জেনারেল সগত সিং, জেনারেল জে এফ আর জ্যাকব, তাঁর কাঁধের ওপর ফ্লাইট লেফটেনান্ট কৃষ্ণমূর্তি তাঁকিয়ে আছেন।
অল ইন্ডিয়া রেডিওর সাংবাদিক সুরজিৎ সেন ডান দিকে মাইক্রোফোন ধরে আছেন। এয়ার কমোডর এ কে খোন্দকার, ডেপুটি কমাণ্ডার ইন চিফ, বাংলাদেশ আর্মড ফোর্সেস সাক্ষী হিসাবে হাজির ছিলেন, কিন্তু উইকিপেডিয়ার এই ছবিতে তাঁকে দেখা যাচ্ছে না।
এই হলো আমাদের 'বিজয় দিবস' – আমরা এই দিনটিই আজ উদযাপন করছি। কার 'বিজয়' ? হীনবুদ্ধি পরাধীন জনগোষ্ঠিকে 'স্বাধীন' করা দূরে থাক, স্বাধীন ভাবে চিন্তা করতে শেখানোটাও কঠিন কাজ। 'বিজয়' আর 'পরাধীনতা'র ফারাক কে এদের বোঝাবে?
মুক্তিযুদ্ধে আমাদের অবশ্যই অর্জন রয়েছে, এই অর্জনকে রক্ষা আমদের কর্তব্য, সেই কর্তব্য বোধ থেকেই দিল্লীর আগ্রাসন ও দখলদারী ভূমিকাকে মেনে নেবার কোন যুক্তি নাই ।
নিম্ন শ্রেণির ভারতীয় দালাল বা বঙ্গদেশীয় শিবসেনাদের কথা আলাদা। অন্যদিকে দিল্লীর বিরোধিতার নামে ভারতের সাধারণ জনগণ -- বিশেষত সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোর অধিবাসীদের সহায়তার কথা আমরা ভুলতে পারি না।
একাত্তরের অর্জনকে ভিত্তি ধরে যা অর্জন করা যায়নি তা বোঝা ও উপলব্ধির জন্য এই ছবিগুলো গুরুত্বপূর্ণ স্মারক। নইলে সীমান্তে দিল্লির কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া আর সীমান্তে নির্বিচারে গুলি করে বাংলাদেশীদের নিরন্তর হত্যার অর্থ আমরা বুঝবো না। স্বাধীনতা ও পরাধীনতার ফারাকও স্পষ্ট হবে না।
আজ কাঁটাতারের বেড়া ও আইন বহির্ভূতভাবে বাংলাদেশের জনগণকে হত্যার প্রতিবাদের দিন।
দিল্লি নিপাত যাক। বাংলাদেশ ও ভারতের বঞ্চিত জনগণের মৈত্রী অমর হোক।
ফরহাদ মাজহার

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

অশ্লীল নাম

বাংলাদেশের কিছু প্রতিষ্ঠান ও স্থানের বিচিত্র বা বিকৃত অর্থের নাম যা পরিবর্তন করা উচিতঃ ১. বোদা মহিলা মহাবিদ্যালয়, বোদা, পঞ্চগড় ২. চুমাচুমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি ৩. সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খুলনা ৪. মানুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নীলফামারি ৫. সোনাকাটা ইউনিয়ন, তালতলী, বরগুনা ৬.বড়বাল ইউনিয়ন, মিঠাপুকুর, রংপুর ৭.সোনাখাড়া ইউনিয়ন, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ৮. ধনকামড়া গ্রাম, ভোদামারা, দিনাজপুর ৯.গোয়াকাটা, দোহার, ঢাকা ১০. গোয়াতলা, ময়মনসিংহ ১১.লেংটার হাট, মতলব, চাঁদপুর