সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ড

বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ড

চারদিন পরই ১৪ ডিসেম্বর। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস।
বাংলাদেশের অনেক ইতিহাসই বিকৃত ও মিথ্যাচারে ভরপুর। বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড তার একটি।
বাংলাদেশের সবকিছুই রহস্যাবৃত, এসব রহস্যের হোতারা সংখ্যায় অনেক, বাংলাদেশের সমাজ-সংস্কৃতি-রাজনীতি-অর্থনীতি-সরকার-প্রশাসনের সকল কিছুই তাদের নিয়ন্ত্রনে সব সময়েই ছিল এবং সব সময়েই থাকবে, তাই এসব রহস্য রহস্যের মধ্যেই ধামাচাপা পড়ে থাকবে, কখনোই এসবের প্রকৃত স্বরূপ প্রকাশ পাবে না।
"বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিলো ভারতীয় সৈন্যরা আওয়ামী লীগের সহযোগিতায়। স্বাধীন হবার মাত্র দুইদিন আগে পাকিস্তানী সৈন্যরা আত্নসমর্পন অনুষ্ঠান আর প্রাণ বাঁচাতে ব্যস্ত ছিলো। ওই ক্রিটিক্যাল মুহুর্তে পাকিস্তানিদের পক্ষে এমন কাজ করা সম্ভব ছিলো না। ভারত দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করে জাতিকে পঙ্গু করে পাকিস্তানের উপর দোষ চাপিয়েছিলো। মনে রাখতে হবে ১৪ ডিসেম্বর পূর্ব পাকিস্তানে লাখ লাখ ভারতীয় সৈন্য ঢুকেছিলো।"
সূত্রঃThe Betrayal of East Pakistan.
লেখকঃলেফটেন্যান্ট জেনারেল আমির আব্দুলাহ খান নিয়াজি। কমান্ডার, ইস্টার্ন গ্যারিসন।
আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখা জেনারেশন। যদিও বালক ছিলাম।
সবচেয়ে বড় কথা, যাদের হত্যা করা হয়েছিলো তারা সবাই ঢাকায় ছিলেন। তখনো অর্থাৎ ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত তারা পাকিস্তান সরকারের অধীনে চাকরি করেছেন। পাকিস্তানের প্রতি অনুগত ছিলেন। ঐক্যবদ্ধ পাকিস্তানের পক্ষে নিহত সব বুদ্ধিজীবী বিবৃতিও দিয়েছিলেন। পাকিস্তানিদের তাদের হত্যা করার প্রশ্নই উঠে না।
গ্রামের সাধারণ মানুষ প্রাণ বাঁচাতে নিজ গ্রাম ছেড়ে নিরাপদ জায়গায় চলে গিয়েছিলেন। এমন অবস্থায় বুদ্ধিজীবীরা কোন সাহসে ঢাকায় থাকেন?
জহির রায়হান তো তার ভাই শহীদুল্লাহ কায়সারকে খুঁজতে মিরপুর গিয়েছিলেন। তখন তো দেশ স্বাধীন। ১৯৭২ সাল। তাকে কারা হত্যা করেছিলো? তাকে যারা হত্যা করেছে তারাই ১৪ ডিসেম্বরের বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিলো।
১০ ডিসেম্বর, ২০১৯
কুমিল্লা।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

অশ্লীল নাম

বাংলাদেশের কিছু প্রতিষ্ঠান ও স্থানের বিচিত্র বা বিকৃত অর্থের নাম যা পরিবর্তন করা উচিতঃ ১. বোদা মহিলা মহাবিদ্যালয়, বোদা, পঞ্চগড় ২. চুমাচুমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি ৩. সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খুলনা ৪. মানুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নীলফামারি ৫. সোনাকাটা ইউনিয়ন, তালতলী, বরগুনা ৬.বড়বাল ইউনিয়ন, মিঠাপুকুর, রংপুর ৭.সোনাখাড়া ইউনিয়ন, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ৮. ধনকামড়া গ্রাম, ভোদামারা, দিনাজপুর ৯.গোয়াকাটা, দোহার, ঢাকা ১০. গোয়াতলা, ময়মনসিংহ ১১.লেংটার হাট, মতলব, চাঁদপুর