(বন্ধুরা অনেকেই জানেন আমার ১০ বছরের একাউন্ট টা হ্যাকড হয়েছে । যা ফিরে পাওয়ার কোনো সম্ভবনাই আর নেই । ওই একাউন্টের সব লেখাই আমার বাস্তব জীবনের গল্প। তাই লেখাগুলো হয়ে উঠে আত্মজীবনীমূলক। আমার যে কোনো লেখা বা স্মৃতি স্বযত্নে রাখবার চেষ্টা করি। স্মৃতি মূল্যবান সম্পদ। স্মৃতিহীন মানুষের মতো দ্বীন হীন আর নেই। অনেক বন্ধুরাই আমার জীবনের মিরাকল নিয়ে কিছুটা সংশয় প্রকাশ করেন । আমি বুঝি । অনেক ঘটনা অনেকে অবিশ্বাসও করেন। আমার জীবনে এমন সব ঘটনা আছে যা আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ কল্পনাও করতে পারবেন না। আজ আরেকটা মিরাকল ।)
কাবেরী
********
কি লিখবো ? কি হলো ? কেনো হলো ? কেমন করে হলো ?
আমি অবাক, আশ্চার্য, বিমোহিত, আনন্দিত, কিংকর্তব্যবিমুঢ়, অবিশ্বাস্য ! এটা কেমন করে সম্ভব ? আমি কি পারবো এই ভালোবাসা আর আন্তরিকতার বিনিময় দিতে কোনোদিন ? কেনো আমাকে এই চিরজীবনের কৃতজ্ঞতার পাশে আবদ্ধ করলো তারা ? আমি ‘করলো’ লিখেছি । ‘করলেন’ লিখিনি । কারন আজ থেকে আমি তাদের ফ্যামিলি ফ্রেন্ড ।
আমি কি লিখবো ? কেমন করে লিখবো ? কিভাবে সাজাবো এই লেখা আমি জানি না । আমার ভাষা নেই । I've really lost my language to express my actual feeling. I'm speechless. আমার ভাষা এলোমেলো হয়ে গেছে । কোন ভাষায় লিখলে এই বন্ধুত্বের প্রকৃত মর্যাদা দেয়া যায় ? আমি কিছুই জানি না ।
আমার ফেসবুক বন্ধু Kabery Mirza একটু আগে আমার বাসায় এলো । সে আমার সব পোষ্ট পড়ে । পছন্দ করে । আমার সম্পর্কে অনেক জানে । ফেবুর লেখা পড়েই । আমাকে নিয়ে তার বাসায় ভাইবোন, মা, স্বামী(মামুন)র সঙ্গেও কথা বলে ।
একটু আগে মামুন (কাবেরীর হাসব্যান্ড) তার ফোন থেকে আমাকে ফোন করে বললো, করিম সাহেব, আপনি কোথায় ? আমি কাবেরীর হাসব্যান্ড মামুন । আমরা তো আপনার বাসার নিচে । তারা নোয়াখালীর চাটখিল থেকে এসেছে । আমি কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না । খুব অপ্রস্তুত হয়ে গেলাম । আমি খেয়াল করলাম, আমি স্বাভাবিক নেই । এটা কি হলো ? এভাবে আননোটিসড কেউ আমার কাছে আসবে তাও শুধু ফেসবুক বন্ধু এটা নিঃসন্দেহে স্বাভাবিক ঘটনা নয় ।(আমাকে আজি মামুন প্রথম ফোন করে। ফেসবুকে আমার ফোন নাম্বার উম্মুক্ত আছে। সেখান থেকেই নিয়েছে। )
আমি চার তলা থেকে নেমে গেলাম । কাবেরী গাড়ি থেকে নামলো । একটা ব্যাগ হাতে । আমার সঙ্গে চার তলায় উঠে এলো একা । এসেই ব্যাগটা আমার হাতে দিয়ে বললো, আমার মা তোমার জন্য পুডিং বানিয়ে দিয়েছেন । আর এই ক্যান্ডি/ আচার তোমার জন্য কক্সবাজার থেকে এনেছি ।
বলেই চলে যেতে চাইলে, আমি বললাম, একটু বসো । আমি নিচে গিয়ে ওদের নিয়ে আসি । না, সে বসবে না । ওরাও আসবে না । আমি খুব বিচলিতবোধ করছিলাম । করার কথাও। রুমে আমি আর কাবেরী ছাড়া কেউ নেই।
কাবেরীর পেছনে পেছনে প্রায় দৌঁড়ে নিচে নেমে দেখি গাড়ির সামনের বাঁ দিকের সীটে মামুন আশিককে কোলে নিয়ে,ডানে ড্রাইভার,পেছনে কাবেরী আর তার এক বোন । তবে কলি নয়। কলি কাবেরীর আপন ছোট বোন। আমি চিনি।
আমি মামুন ভাইকে সবাইকে নিয়ে বাসায় আসার আমন্ত্রণ জানালাম আন্তরিকভাবে । মামুন বললো, এখন আর ভাই না । বন্ধু । আজ জার্নিতে আছি অন্য একদিন আসবো । এখন ঢাকা যাচ্ছি গ্রামের বাড়ি থেকে। তাদের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায়।
আমি তাদেরকে দুই একটা বইও গিফট করতে পারলাম না !!!! তাদের গাড়ি চলতে শুরু করলো । আমি হাত নেড়ে বিদায় জানালাম ।
কাবেরীর মা’কে আমি খালাম্মা অথবা মা’ও ডাকতে পারি । আমার মা, বাবা কেউ বেঁচে নেই । মা'র বানানো পুডিং আমি একটু খেয়েছি । আজ আর ভাত খাবো না । সবটা পুডিং খাবো ভাবছি । পারবো কিনা জানি না । আল্লাহ মা বাবাকে সুস্থ রাখুন ।
কাবেরী/মামুন যে কোনো প্রয়োজনে ডেকো । আমি থাকবো প্রয়োজনে তোমাদের পাশে । থ্যাংক ইউ ভেরি মাচ । আমার একাকি জীবনে একটা অভূতপূর্ব নতুন বছর উপহার দেয়ার জন্য ।
© Karim Chowdhury
30 December, 2016
Cumilla
বিঃদ্রঃ আমার আগের একাউন্টে লেখা৷ চার বছর আগে যা লিখেছিলাম এবং যেসব ছবি দিয়ে পোস্ট করেছিলাম অবিকল তাই এখানে দিলাম । ব্লগ সাইটে রেখে দিয়েছিলাম। স্মৃতি হিসেবে রেখে দিলাম এই একাউন্টেও। কাবেরীকে নিয়ে আরো কয়েকটা স্মৃতিময় ঘটনা আছে৷ সেগুলোও এই একাউন্টে রেখে দেবো৷ আমি সব সময় কাবেরী মামুনের ছবি দিয়ে পোস্ট লিখতাম। এতে তারা কোনো আপত্তি করতো না। বরং আনন্দিত কমেন্ট করতো। এই পোস্টেও কাবেরীর কমেন্ট আছে , কমেন্ট অপশনে দিলাম। কাবেরী আমার অনেক জুনিয়র। ২০ বছরের ছোট হবে। কিন্তু তার মতো এমন মমতাময়ী, রুচিশীল, মার্জিত, এলিগেন্ট,স্বচ্ছ মানসিকতার নারী আমি জীবনে দেখিনি। আমার প্রতি তার ভালোবাসা ছিলো নিঃস্বার্থ, অকৃত্রিম। আমার দেখা এক অসাধারণ নারী কাবেরী। তার প্রতি আমার ভালোবাসা আমৃত্যু থাকবে। শুভ কামনা চিরকাল। দেড় বছর আমাদের মধুর সম্পর্ক ছিলো।
দেড় বছর পর একদিন কাবেরী এসএমএস করে আমার কাছ থেকে বিদায় নেয়। কেঁদে কেঁদে। আর ফিরে আসেনি। আমার সিক্সথ সেন্স বলছে আমাকে নিয়ে তার দাম্পত্য কলহ দেখা দিয়েছিলো। নইলে কাবেরী আমাকে কখনোই ছেড়ে যেতো না।
কাবেরীর সঙ্গে দেড় বছরে দুইবার দেখা হয়েছে। দুই মিনিটের জন্য। কুমিল্লায় আমার কাছে এসেছিলো। স্বামীসহ। তারপরও কেনো এমন হয়?!
কাবেরী
********
কি লিখবো ? কি হলো ? কেনো হলো ? কেমন করে হলো ?
আমি অবাক, আশ্চার্য, বিমোহিত, আনন্দিত, কিংকর্তব্যবিমুঢ়, অবিশ্বাস্য ! এটা কেমন করে সম্ভব ? আমি কি পারবো এই ভালোবাসা আর আন্তরিকতার বিনিময় দিতে কোনোদিন ? কেনো আমাকে এই চিরজীবনের কৃতজ্ঞতার পাশে আবদ্ধ করলো তারা ? আমি ‘করলো’ লিখেছি । ‘করলেন’ লিখিনি । কারন আজ থেকে আমি তাদের ফ্যামিলি ফ্রেন্ড ।
আমি কি লিখবো ? কেমন করে লিখবো ? কিভাবে সাজাবো এই লেখা আমি জানি না । আমার ভাষা নেই । I've really lost my language to express my actual feeling. I'm speechless. আমার ভাষা এলোমেলো হয়ে গেছে । কোন ভাষায় লিখলে এই বন্ধুত্বের প্রকৃত মর্যাদা দেয়া যায় ? আমি কিছুই জানি না ।
আমার ফেসবুক বন্ধু Kabery Mirza একটু আগে আমার বাসায় এলো । সে আমার সব পোষ্ট পড়ে । পছন্দ করে । আমার সম্পর্কে অনেক জানে । ফেবুর লেখা পড়েই । আমাকে নিয়ে তার বাসায় ভাইবোন, মা, স্বামী(মামুন)র সঙ্গেও কথা বলে ।
একটু আগে মামুন (কাবেরীর হাসব্যান্ড) তার ফোন থেকে আমাকে ফোন করে বললো, করিম সাহেব, আপনি কোথায় ? আমি কাবেরীর হাসব্যান্ড মামুন । আমরা তো আপনার বাসার নিচে । তারা নোয়াখালীর চাটখিল থেকে এসেছে । আমি কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না । খুব অপ্রস্তুত হয়ে গেলাম । আমি খেয়াল করলাম, আমি স্বাভাবিক নেই । এটা কি হলো ? এভাবে আননোটিসড কেউ আমার কাছে আসবে তাও শুধু ফেসবুক বন্ধু এটা নিঃসন্দেহে স্বাভাবিক ঘটনা নয় ।(আমাকে আজি মামুন প্রথম ফোন করে। ফেসবুকে আমার ফোন নাম্বার উম্মুক্ত আছে। সেখান থেকেই নিয়েছে। )
আমি চার তলা থেকে নেমে গেলাম । কাবেরী গাড়ি থেকে নামলো । একটা ব্যাগ হাতে । আমার সঙ্গে চার তলায় উঠে এলো একা । এসেই ব্যাগটা আমার হাতে দিয়ে বললো, আমার মা তোমার জন্য পুডিং বানিয়ে দিয়েছেন । আর এই ক্যান্ডি/ আচার তোমার জন্য কক্সবাজার থেকে এনেছি ।
বলেই চলে যেতে চাইলে, আমি বললাম, একটু বসো । আমি নিচে গিয়ে ওদের নিয়ে আসি । না, সে বসবে না । ওরাও আসবে না । আমি খুব বিচলিতবোধ করছিলাম । করার কথাও। রুমে আমি আর কাবেরী ছাড়া কেউ নেই।
কাবেরীর পেছনে পেছনে প্রায় দৌঁড়ে নিচে নেমে দেখি গাড়ির সামনের বাঁ দিকের সীটে মামুন আশিককে কোলে নিয়ে,ডানে ড্রাইভার,পেছনে কাবেরী আর তার এক বোন । তবে কলি নয়। কলি কাবেরীর আপন ছোট বোন। আমি চিনি।
আমি মামুন ভাইকে সবাইকে নিয়ে বাসায় আসার আমন্ত্রণ জানালাম আন্তরিকভাবে । মামুন বললো, এখন আর ভাই না । বন্ধু । আজ জার্নিতে আছি অন্য একদিন আসবো । এখন ঢাকা যাচ্ছি গ্রামের বাড়ি থেকে। তাদের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায়।
আমি তাদেরকে দুই একটা বইও গিফট করতে পারলাম না !!!! তাদের গাড়ি চলতে শুরু করলো । আমি হাত নেড়ে বিদায় জানালাম ।
কাবেরীর মা’কে আমি খালাম্মা অথবা মা’ও ডাকতে পারি । আমার মা, বাবা কেউ বেঁচে নেই । মা'র বানানো পুডিং আমি একটু খেয়েছি । আজ আর ভাত খাবো না । সবটা পুডিং খাবো ভাবছি । পারবো কিনা জানি না । আল্লাহ মা বাবাকে সুস্থ রাখুন ।
কাবেরী/মামুন যে কোনো প্রয়োজনে ডেকো । আমি থাকবো প্রয়োজনে তোমাদের পাশে । থ্যাংক ইউ ভেরি মাচ । আমার একাকি জীবনে একটা অভূতপূর্ব নতুন বছর উপহার দেয়ার জন্য ।
© Karim Chowdhury
30 December, 2016
Cumilla
বিঃদ্রঃ আমার আগের একাউন্টে লেখা৷ চার বছর আগে যা লিখেছিলাম এবং যেসব ছবি দিয়ে পোস্ট করেছিলাম অবিকল তাই এখানে দিলাম । ব্লগ সাইটে রেখে দিয়েছিলাম। স্মৃতি হিসেবে রেখে দিলাম এই একাউন্টেও। কাবেরীকে নিয়ে আরো কয়েকটা স্মৃতিময় ঘটনা আছে৷ সেগুলোও এই একাউন্টে রেখে দেবো৷ আমি সব সময় কাবেরী মামুনের ছবি দিয়ে পোস্ট লিখতাম। এতে তারা কোনো আপত্তি করতো না। বরং আনন্দিত কমেন্ট করতো। এই পোস্টেও কাবেরীর কমেন্ট আছে , কমেন্ট অপশনে দিলাম। কাবেরী আমার অনেক জুনিয়র। ২০ বছরের ছোট হবে। কিন্তু তার মতো এমন মমতাময়ী, রুচিশীল, মার্জিত, এলিগেন্ট,স্বচ্ছ মানসিকতার নারী আমি জীবনে দেখিনি। আমার প্রতি তার ভালোবাসা ছিলো নিঃস্বার্থ, অকৃত্রিম। আমার দেখা এক অসাধারণ নারী কাবেরী। তার প্রতি আমার ভালোবাসা আমৃত্যু থাকবে। শুভ কামনা চিরকাল। দেড় বছর আমাদের মধুর সম্পর্ক ছিলো।
দেড় বছর পর একদিন কাবেরী এসএমএস করে আমার কাছ থেকে বিদায় নেয়। কেঁদে কেঁদে। আর ফিরে আসেনি। আমার সিক্সথ সেন্স বলছে আমাকে নিয়ে তার দাম্পত্য কলহ দেখা দিয়েছিলো। নইলে কাবেরী আমাকে কখনোই ছেড়ে যেতো না।
কাবেরীর সঙ্গে দেড় বছরে দুইবার দেখা হয়েছে। দুই মিনিটের জন্য। কুমিল্লায় আমার কাছে এসেছিলো। স্বামীসহ। তারপরও কেনো এমন হয়?!
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন