মাহমুদা আলিম
অনেকদিন আগের কথা। ২০১২ সাল। মে মাস। মৌচাকে ঢিল ম্যাগাজিনে আমার 'জেমিমা' লেখাটি প্রকাশিত হয়েছিলো ফেব্রুয়ারির ভালোবাসা সংখ্যায়। অসংখ্য মানুষের ফোন কল পেয়েছিলাম।
একদিন একটা ফোন পেলাম। তিনি কিছুক্ষণ কথা বলে নিজের সম্পর্কে বললেন। আমি শুনলাম। মাঝে মাঝে এসএমএস ও ইমেইলে তিনি যোগাযোগ করতেন। আমাকে সাহস ও উৎসাহ দিতেন।
একদিন তিনি আমার সঙ্গে দেখা করতে চাইলেন। মে মাসের প্রথম দিকে আমি ঢাকা গেলাম জেমিমার সঙ্গে দেখা করতে। তখন মিরপুর সনি সিনেমার পাশে চিড়িয়াখানা রোডে জি মার্টেই জেমিমার সঙ্গে দেখা করতাম। জি মার্টেরই মালিকানাধীন সুপৃম ডিনার ফাস্টফুড রেস্টুরেন্টটার পরিবেশ বেশ ভালো ছিলো। ওখানে বসে জেমিমার সঙ্গে সময় কাটাতাম। কফি খেতাম। উল্টো দিকেই আগোরা। জি মার্টের উপরে আড়ং, গ্রামীণ চেকসহ বেশ কিছু ভালো ভালো দোকান আছে।
তো সেদিন জি মার্টে জেমিমার সঙ্গে কথা বলছিলাম। সঙ্গে ছিলেন তার মা ও নানা। আমরা সদ্য সেপারেট।
সকাল ১১টা বাজে তখন।
তিনি ফোন করলেন। আমি মিরপুর ১ নাম্বার আছি শোনে খুব খুশি হয়ে বললেন,আমি আসছি। আজ আপনার সঙ্গে দেখা করবোই। আপনাকে একটু দেখতে চাই। উল্লেখ্য,তার বাসা মোহাম্মাদপুর। আমি জেমিমার সঙ্গে সময় কাটানোর শেষ মুহুর্তে তিনি ফোন করে বললেন,আমি সনি সিনেমার ঠিক সামনে দাঁড়িয়ে আছি আপনার জন্য।
জিমুর কাছে বিদায় নিয়ে সনি সিনেমার সামনে এসে দেখি সবুজ আর লাল কম্বিনেশনের থৃ পিস পড়া প্রায় অনিন্দ্য সুন্দরী এক তরুণী দাঁড়িয়ে আছে। গায়ের রঙ বেশ ফর্সা। স্মার্ট। রুচিশীল। মার্জিত। যে কোনো পুরুষ মানুষই মেয়েটিকে পছন্দ করবে। আমাকে দেখেই তিনি কাছে এসে ইংরেজিতে বললেন,I am Mahmuda Alim.Are you Mr.Karim?
বললাম,Yes,I am. তিনি হাত বাড়িয়ে হ্যান্ডশেক করলেন। তারপর বললেন, চলুন কোথাও বসে কথা বলি। তিনি বসুন্ধরা সিটির আট তলায় ফুড জোনে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। এবং কোথায় যেন ফোন করলেন। সঙ্গে সঙ্গেই একটা টয়োটা সিডান গাড়ি এলো। তিনি আমাকে নিয়ে পেছনের সিটে বসলেন। আমার হাতে হাত রাখলেন।
গাড়িতে রেড ক্রসের স্টিকার দেখে আমি জানতে চাইলাম,গাড়িটা কার? তিনি জানালেন,তার অফিসের গাড়ি। তিনি রেড ক্রসে চাকরি করেন। দুই তিন মাস পর পরই তাকে জেনিভায় যেতে হয়।
আমার বেশ জুনিয়র তিনি।
বসুন্ধরা সিটির আট তলায় বাচ্চাদের খেলার জায়গার সঙ্গে যে রেস্টুরেন্টটা ওটার বাইরে বসার ব্যবস্থা আছে। খোলা আকাশের নিচে। ওখানে সিগারেট খাওয়া যায়।
আমি ওসব শপিং সেন্টারে গেলে বেশিক্ষণ থাকি না শুধু সিগারেট খাওয়ার সমস্যার কারনে।
আমরা কফি নিলাম। অনেক কথা বললেন তিনি। বাবা নেই। মা আছেন। তার কোনো ভাই নেই। একজন বড় বোন আছেন। বিবাহিতা। তার দুলাভাই এয়ারফোর্সের স্কোয়াড্রন লিডার। বিমান বাহিনীর অফিসার্স কোয়ার্টারে থাকেন। তিনি মায়ের সঙ্গে মোহাম্মদপুরের বাসায় থাকেন। একটা তিন বছরের ছেলে আছে তার। তিনি ডিভোর্সি। আবার বিয়ে করতে চান। তিনিই হাসব্যান্ডকে ডিভোর্স দিয়েছেন বলে জানালেন।
আমি এর কারন জানতে চাইলাম। তিনি জানালেন,নাট্যকার শিহাব শাহীনের স্ত্রী ছিলেন তিনি। বন্যা মীর্জাসহ আরো অনেকের সঙ্গেই তিনি বেড়ে উঠেছেন কিন্তু কখনো অভিনয়ের আগ্রহ জন্মেনি তার। সেখানেই তাকে দেখে শিহাব শাহীন পছন্দ করেছিলেন এবং পারিবারিকভাবেই তাদের বিয়ে হয়েছিলো । তিন বছর সংসার টিকে ছিলো। কেনো শিহাবকে ডিভোর্স দিতে হলো তার ব্যাখ্যায় তিনি বললেন, এক সময় তিনি দেখলেন, শিহাব অন্য মেয়েদের সঙ্গে রাত কাটায়। শুটিংয়ের নামে বাসার বাইরে থাকতে বেশি পছন্দ করে। এটা তিনি মেনে নিতে পারেন নি।
আমি বললাম, শিহাবের বাবা মাকে জানিয়ে কি তাকে ওই পথ থেকে ফেরানো যেতো না? তুমি তো অনেক নাট্যাভিনেত্রীর চেয়েও অধিক সুন্দরী। মাহমুদা ছল ছল চোখে বললো, শিহাবের মা তাকে এ ব্যাপারে প্রশ্রয় দিতেন। আমি তার মাকে অভিযোগ জানালে তিনি (শিহাবের মা) বলতেন,আমার ছেলে নাট্যকার, সেলিব্রিটি। তার সঙ্গে মেয়েরা মিশতেই পারে। তুমি মানিয়ে চলতে না পারলে চলে যেতে পারো।
এরপরই আমি শিহাবকে ডিভোর্স দিই। এখন মা,আমি আর আমার তিন বছরের ছেলেটা মোহাম্মাদপুরের বাসায় থাকি। মাঝে মাঝে বড় আপার এয়ারফোর্সের কোয়ার্টারে যাই। আর অফিসের কাজে প্রায়ই আমাকে জেনিভায় যেতে হয়।
আমি সব শোনে দু:খ প্রকাশ করলাম তার হাত ধরে। এক পর্যায়ে মাহমুদা বললো,আমি আবার বিয়ে করবো। যদি আপনার আপত্তি না থাকে এবং আমাকে পছন্দ হয় তবে কি আমি আপনার সঙ্গী হতে পারি?
আমি কফিতে চুমুক দিয়ে আর সিগারেটে লম্বা টান দিয়ে এক গাল ধোঁয়া ছেড়ে বললাম, লুক মাহমুদা, তুমি খুবই সুন্দরী একটা মেয়ে। তরুণী। শিক্ষিতা, রুচিশীল, স্মার্ট, আকর্ষণীয় ফিগার তোমার। এই বয়সে অনেক মেয়েরা বিয়েও করে না। সামনে তোমার সারাজীবন পরে আছে। তোমার সঙ্গীর দরকার।
আমি উদাসীন প্রকৃতির অনুভূতিপ্রবণ খেয়ালি চরিত্রের রাগি টাইপ আর স্বাধীনচেতা মানুষ। আমি আর বিয়ে করবো না। তুমি অন্য কাউকে খোঁজে নাও। আমি তোমার জন্য না। তুমি চাইলে আমি শিহাব শাহীনের সঙ্গে কথা বলে তোমাদের ভেঙে যাওয়া সংসার জোড়া দেয়ার চেষ্টা করতে পারি। যদিও আমি তাকে চিনি না। শিহাবের বাড়ি নোয়াখালী এটা জানি।
মাহমুদা আমার হাত ধরে বললো, যদি কখনো বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিন তবে কাইন্ডলি আমাকে নক করবেন। আমি আচ্ছা বলে উঠতেই মাহমুদা বললো, আমি কি একবার আপনাকে 'তুমি'বলে ডাকতে পারি?
বললাম,সিউর। মাহমুদা বললো,চলো,তুমি এখন কোথায় যাবে? আমার গাড়িতেই তোমাকে লিফট দেবো। বললাম,আমি পল্টনের মোড়ে প্রীতম হোটেলে যাবো। ঢাকা এলে আমি এই হোটেলেই থাকি বিশেষ করে এর লোকেশনের কারনে। দু'জন লিফট দিয়ে নামতেই মাহমুদা ড্রাইভারকে ফোন করে গাড়ি সামনে আনতে বললো। পেছনের সীটে বসে মাহমুদা আমার হাত ধরে রেখেছিলো ততক্ষণ,যতক্ষণ গাড়ি প্রীতম হোটেলের সামনে এসে দাঁড়ালো। মাহমুদা হাত নেড়ে আমার চলে যাওয়ার দিকে তাঁকিয়েছিলো এক দৃষ্টিতে। সেই শেষ দেখা,শেষ কথা।
২০১২ থেকে ২০২০। আট বছর। মাহমুদা এখন কোথায় আছে,কেমন আছে জানি না। যেখানেই থাকো ভালো থেকো। উইশ ইউ অল দ্য বেষ্ট।
বি:দ্র:আরো অনেক ব্যক্তিগত কথা হয়েছিলো যা লিখতে গিয়ে সেন্সর করেছি।
(২০১২ সালের তিনটা ছবি।)
© Karim Chowdhury
28 April, 2020
Cumilla.
অনেকদিন আগের কথা। ২০১২ সাল। মে মাস। মৌচাকে ঢিল ম্যাগাজিনে আমার 'জেমিমা' লেখাটি প্রকাশিত হয়েছিলো ফেব্রুয়ারির ভালোবাসা সংখ্যায়। অসংখ্য মানুষের ফোন কল পেয়েছিলাম।
একদিন একটা ফোন পেলাম। তিনি কিছুক্ষণ কথা বলে নিজের সম্পর্কে বললেন। আমি শুনলাম। মাঝে মাঝে এসএমএস ও ইমেইলে তিনি যোগাযোগ করতেন। আমাকে সাহস ও উৎসাহ দিতেন।
একদিন তিনি আমার সঙ্গে দেখা করতে চাইলেন। মে মাসের প্রথম দিকে আমি ঢাকা গেলাম জেমিমার সঙ্গে দেখা করতে। তখন মিরপুর সনি সিনেমার পাশে চিড়িয়াখানা রোডে জি মার্টেই জেমিমার সঙ্গে দেখা করতাম। জি মার্টেরই মালিকানাধীন সুপৃম ডিনার ফাস্টফুড রেস্টুরেন্টটার পরিবেশ বেশ ভালো ছিলো। ওখানে বসে জেমিমার সঙ্গে সময় কাটাতাম। কফি খেতাম। উল্টো দিকেই আগোরা। জি মার্টের উপরে আড়ং, গ্রামীণ চেকসহ বেশ কিছু ভালো ভালো দোকান আছে।
তো সেদিন জি মার্টে জেমিমার সঙ্গে কথা বলছিলাম। সঙ্গে ছিলেন তার মা ও নানা। আমরা সদ্য সেপারেট।
সকাল ১১টা বাজে তখন।
তিনি ফোন করলেন। আমি মিরপুর ১ নাম্বার আছি শোনে খুব খুশি হয়ে বললেন,আমি আসছি। আজ আপনার সঙ্গে দেখা করবোই। আপনাকে একটু দেখতে চাই। উল্লেখ্য,তার বাসা মোহাম্মাদপুর। আমি জেমিমার সঙ্গে সময় কাটানোর শেষ মুহুর্তে তিনি ফোন করে বললেন,আমি সনি সিনেমার ঠিক সামনে দাঁড়িয়ে আছি আপনার জন্য।
জিমুর কাছে বিদায় নিয়ে সনি সিনেমার সামনে এসে দেখি সবুজ আর লাল কম্বিনেশনের থৃ পিস পড়া প্রায় অনিন্দ্য সুন্দরী এক তরুণী দাঁড়িয়ে আছে। গায়ের রঙ বেশ ফর্সা। স্মার্ট। রুচিশীল। মার্জিত। যে কোনো পুরুষ মানুষই মেয়েটিকে পছন্দ করবে। আমাকে দেখেই তিনি কাছে এসে ইংরেজিতে বললেন,I am Mahmuda Alim.Are you Mr.Karim?
বললাম,Yes,I am. তিনি হাত বাড়িয়ে হ্যান্ডশেক করলেন। তারপর বললেন, চলুন কোথাও বসে কথা বলি। তিনি বসুন্ধরা সিটির আট তলায় ফুড জোনে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। এবং কোথায় যেন ফোন করলেন। সঙ্গে সঙ্গেই একটা টয়োটা সিডান গাড়ি এলো। তিনি আমাকে নিয়ে পেছনের সিটে বসলেন। আমার হাতে হাত রাখলেন।
গাড়িতে রেড ক্রসের স্টিকার দেখে আমি জানতে চাইলাম,গাড়িটা কার? তিনি জানালেন,তার অফিসের গাড়ি। তিনি রেড ক্রসে চাকরি করেন। দুই তিন মাস পর পরই তাকে জেনিভায় যেতে হয়।
আমার বেশ জুনিয়র তিনি।
বসুন্ধরা সিটির আট তলায় বাচ্চাদের খেলার জায়গার সঙ্গে যে রেস্টুরেন্টটা ওটার বাইরে বসার ব্যবস্থা আছে। খোলা আকাশের নিচে। ওখানে সিগারেট খাওয়া যায়।
আমি ওসব শপিং সেন্টারে গেলে বেশিক্ষণ থাকি না শুধু সিগারেট খাওয়ার সমস্যার কারনে।
আমরা কফি নিলাম। অনেক কথা বললেন তিনি। বাবা নেই। মা আছেন। তার কোনো ভাই নেই। একজন বড় বোন আছেন। বিবাহিতা। তার দুলাভাই এয়ারফোর্সের স্কোয়াড্রন লিডার। বিমান বাহিনীর অফিসার্স কোয়ার্টারে থাকেন। তিনি মায়ের সঙ্গে মোহাম্মদপুরের বাসায় থাকেন। একটা তিন বছরের ছেলে আছে তার। তিনি ডিভোর্সি। আবার বিয়ে করতে চান। তিনিই হাসব্যান্ডকে ডিভোর্স দিয়েছেন বলে জানালেন।
আমি এর কারন জানতে চাইলাম। তিনি জানালেন,নাট্যকার শিহাব শাহীনের স্ত্রী ছিলেন তিনি। বন্যা মীর্জাসহ আরো অনেকের সঙ্গেই তিনি বেড়ে উঠেছেন কিন্তু কখনো অভিনয়ের আগ্রহ জন্মেনি তার। সেখানেই তাকে দেখে শিহাব শাহীন পছন্দ করেছিলেন এবং পারিবারিকভাবেই তাদের বিয়ে হয়েছিলো । তিন বছর সংসার টিকে ছিলো। কেনো শিহাবকে ডিভোর্স দিতে হলো তার ব্যাখ্যায় তিনি বললেন, এক সময় তিনি দেখলেন, শিহাব অন্য মেয়েদের সঙ্গে রাত কাটায়। শুটিংয়ের নামে বাসার বাইরে থাকতে বেশি পছন্দ করে। এটা তিনি মেনে নিতে পারেন নি।
আমি বললাম, শিহাবের বাবা মাকে জানিয়ে কি তাকে ওই পথ থেকে ফেরানো যেতো না? তুমি তো অনেক নাট্যাভিনেত্রীর চেয়েও অধিক সুন্দরী। মাহমুদা ছল ছল চোখে বললো, শিহাবের মা তাকে এ ব্যাপারে প্রশ্রয় দিতেন। আমি তার মাকে অভিযোগ জানালে তিনি (শিহাবের মা) বলতেন,আমার ছেলে নাট্যকার, সেলিব্রিটি। তার সঙ্গে মেয়েরা মিশতেই পারে। তুমি মানিয়ে চলতে না পারলে চলে যেতে পারো।
এরপরই আমি শিহাবকে ডিভোর্স দিই। এখন মা,আমি আর আমার তিন বছরের ছেলেটা মোহাম্মাদপুরের বাসায় থাকি। মাঝে মাঝে বড় আপার এয়ারফোর্সের কোয়ার্টারে যাই। আর অফিসের কাজে প্রায়ই আমাকে জেনিভায় যেতে হয়।
আমি সব শোনে দু:খ প্রকাশ করলাম তার হাত ধরে। এক পর্যায়ে মাহমুদা বললো,আমি আবার বিয়ে করবো। যদি আপনার আপত্তি না থাকে এবং আমাকে পছন্দ হয় তবে কি আমি আপনার সঙ্গী হতে পারি?
আমি কফিতে চুমুক দিয়ে আর সিগারেটে লম্বা টান দিয়ে এক গাল ধোঁয়া ছেড়ে বললাম, লুক মাহমুদা, তুমি খুবই সুন্দরী একটা মেয়ে। তরুণী। শিক্ষিতা, রুচিশীল, স্মার্ট, আকর্ষণীয় ফিগার তোমার। এই বয়সে অনেক মেয়েরা বিয়েও করে না। সামনে তোমার সারাজীবন পরে আছে। তোমার সঙ্গীর দরকার।
আমি উদাসীন প্রকৃতির অনুভূতিপ্রবণ খেয়ালি চরিত্রের রাগি টাইপ আর স্বাধীনচেতা মানুষ। আমি আর বিয়ে করবো না। তুমি অন্য কাউকে খোঁজে নাও। আমি তোমার জন্য না। তুমি চাইলে আমি শিহাব শাহীনের সঙ্গে কথা বলে তোমাদের ভেঙে যাওয়া সংসার জোড়া দেয়ার চেষ্টা করতে পারি। যদিও আমি তাকে চিনি না। শিহাবের বাড়ি নোয়াখালী এটা জানি।
মাহমুদা আমার হাত ধরে বললো, যদি কখনো বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিন তবে কাইন্ডলি আমাকে নক করবেন। আমি আচ্ছা বলে উঠতেই মাহমুদা বললো, আমি কি একবার আপনাকে 'তুমি'বলে ডাকতে পারি?
বললাম,সিউর। মাহমুদা বললো,চলো,তুমি এখন কোথায় যাবে? আমার গাড়িতেই তোমাকে লিফট দেবো। বললাম,আমি পল্টনের মোড়ে প্রীতম হোটেলে যাবো। ঢাকা এলে আমি এই হোটেলেই থাকি বিশেষ করে এর লোকেশনের কারনে। দু'জন লিফট দিয়ে নামতেই মাহমুদা ড্রাইভারকে ফোন করে গাড়ি সামনে আনতে বললো। পেছনের সীটে বসে মাহমুদা আমার হাত ধরে রেখেছিলো ততক্ষণ,যতক্ষণ গাড়ি প্রীতম হোটেলের সামনে এসে দাঁড়ালো। মাহমুদা হাত নেড়ে আমার চলে যাওয়ার দিকে তাঁকিয়েছিলো এক দৃষ্টিতে। সেই শেষ দেখা,শেষ কথা।
২০১২ থেকে ২০২০। আট বছর। মাহমুদা এখন কোথায় আছে,কেমন আছে জানি না। যেখানেই থাকো ভালো থেকো। উইশ ইউ অল দ্য বেষ্ট।
বি:দ্র:আরো অনেক ব্যক্তিগত কথা হয়েছিলো যা লিখতে গিয়ে সেন্সর করেছি।
(২০১২ সালের তিনটা ছবি।)
© Karim Chowdhury
28 April, 2020
Cumilla.
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন