সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পূর্ব পাকিস্তান পরিত্যাগ




পূর্ব পাকিস্তান পরিত্যাগ

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে অনেকগুলো বই আমার পড়া আছে। ছাত্র জীবনেই পড়েছিলাম।
বাংলাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে অনেক বই লেখা হয়েছে। আমার পড়া সবচেয়ে বিতর্কিত বই হচ্ছে এন্থনি মাসকারেনহাসের Bangladesh : A legacy of Blood. বইটি ১৯৮৮ সালে পড়েছিলাম। পরে একাধিক বার পড়েছিলাম। এন্থনি মাসকারেনহাস পাকিস্তানি নাগরিক। ধর্মে খ্রিস্টান। তিনি লন্ডনের Sunday Times এর সাংবাদিক ছিলেন। এই বইটি পরে বাংলায় অনুবাদ হয়েছে।
" বাংলাদেশ বক্তের ঋন" হিসেবে। এই বইটি বহুল পঠিত। কিন্তু বইটিতে তিনি সত্যের সঙ্গে কিছু কিছু মিথ্যাও জুরে দিয়েছেন।
আমার কাছে ইনফরমেশন আছে, তিনি আওয়ামী লীগ থেকে সেই সময় ২৫ হাজার পাউন্ড পেয়েছিলেন এই বই লিখে। ওই বইতে তিনি লিখেছেন, শেখ মুজিব মারা যাওয়ার পর তার টুঙ্গী পাড়ার বাড়িতে লুটপাট হয়,যা সম্পুর্ন মিথ্যা।
বাংলাদেশের রাজনীতি, স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে অনেক বই প্রকাশিত হয়েছে। যেগুলো পড়েছি আর মনে পড়ছে সেগুলোর নামই লিখছি।
১. লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে - মেজর রফিকুল ইসলাম।
২. আমি বিজয় দেখেছি- এম আর আখতার মুকুল।
৩. Bangladesh : The Unfinished Revolution - Lawrence Lifschultz ( আমেরিকার সাংবাদিক) ।
৪. একাত্তরের দিনগুলি- জাহানারা ইমাম।
৫. আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর - আবুল মনসুর আহমেদ।
৬. পাকিস্তানি রাজনীতির তেইশ বছর - তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া - ইত্তেফাকের মালিক।
৭. স্বৈরাচারের দশ বছর - আতাউর রহমান খান।
৮. প্রধান মন্ত্রীত্বের নয় মাস- আতাউর রহমান খান।
৯. ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস - বশির আল হেলাল।
১০. সেই যে আমার নানা রঙের দিনগুলি- যোবায়দা মির্যা।
১১. বাংলাদেশের সন্ধানে - মোবাশ্বের আলী।
১২. জাতীয়তাবাদ বিতর্ক - মুহাম্মাদ জাহাঙ্গীর সম্পাদিত।
১৩. এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম -গাজিউল হক।
১৪. কথামালার রাজনীতি - রেজওয়ান সিদ্দিকী।
১৫. একাত্তরের দালারেরা কে কোথায়- মুক্তিযুদ্ধ চেতনা বিকাশ কেন্দ্র।
১৬. পাকিস্তান কোন পথে- গৌরীশংকর চৌধুরী।
১৭. Bangladesh : Era of Sheikh Mojibur Rahman- Moudud Ahmed.
১৮. Society and politics of East Pakistan - Badruddin Umar.
১৯. Witness to Surrender -Siddique Salik.
২০. The Rape of Bangladesh - Anthony Mascarenhas.
২১. দেয়াল- হুমায়ুন আহমেদ।
২২. The Betrayal of East Pakistan - General Ameer Abdullah Khan Niazi.
২৩. পাকিস্তান কিভাবে দ্বিখণ্ডিত হলো- মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী।
২৪. বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ - আবদুল মোহাইমেন।
২৫. পূর্ব পশ্চিম - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়।
২৬. প্রতিরোধ সংগ্রামে বাংলাদেশ- সত্যেন সেন। ২৭. যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশ-বদরুদ্দীন উমর।
২৮. যুদ্ধপূর্ব বাংলাদেশ- বদরুদ্দীন উমর।
২৯. কথামালার রাজনীতি-ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী। ৩০. ছাপান্ন হাজার বর্গ মাইল -হুমায়ুন আজাদ ।
৩১. Emergence of a Nation-Abul Mal Abdul Muhit.
৩২. জোছনা ও জননীর গল্প-হুমায়ুন আহমেদ।
৩৩. ডেড রেকনিং- শর্মিলা বসু।
আরো কিছু বই পড়েছিলাম সবগুলোর নাম মনে পরছে না।
এখনো একটি স্বাধীন দেশের ইতিহাস সঠিকভাবে লেখা হয়নি।
তবে এতোগুলো বইয়ের মধ্যে আমার কাছে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বই মনে হয়েছে The Betrayal of East Pakistan.
অনেক অজানা তথ্যে ভরপুর বইটি। তিনি পাকিস্তান ইস্টার্ন গ্যারিসনের কমান্ডার ছিলেন। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ যে কতো বড় ষড়যন্ত্রের অংশ ছিলো তা এই বইতে তথ্য প্রমান আর অকাট্য যুক্তি দিয়ে তিনি প্রমাণ করেছেন।
সবচেয়ে দেরিতে পড়েছি নিয়াজির বইটি। লেফট্যানেন্ট জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজি যিনি ১৯৭১ সালে পাকিস্তান ইস্টার্ন কমান্ডের কমান্ডার হিসেবে ঢাকা থেকে পাকিস্তান বাহিনীকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তার ‘দ্য বিট্রেয়াল অব ইষ্ট পাকিস্তান’( The Betrayal of East Pakistan- যার বাংলা অর্থ ‘পুর্ব পাকিস্তান পরিত্যাগ’)। বইটি প্রকাশিতও হয়েছে উল্লেখিত সবগুলো বইয়ের পরে। চাইলেও তিনি বইটি আগে প্রকাশ করতে পারতেন না। কারন এই বইতে এমন সব অজানা চাঞ্চল্যকর তথ্য আছে যা তৎকালীন ক্ষমতাসীনদের বিরাট বিপদে ফেলতো ।
বইটি পড়লে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য পাঠক পাবেন। বইটির বাংলা অনুবাদও আছে। অনুবাদ করেছেন মি.সাহাদত হোসেন খান। প্রকাশ করেছেন ‘দি স্কাই পাবলিশার্স’।
বাংলাদেশের ইতিহাসকে জানতে হলে এই বইটি পড়া খুব দরকার। তিনি খুব কাছ থেকে দেখেছেন, ভুট্টোর পশ্চিম পাকিস্তানের একচ্ছত্র নেতা হওয়ার খায়েশে পূর্ব পাকিস্তান ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেছেন, ইয়াহিয়া ও ভুট্টো ১৯৭০ সালের নির্বাচনে মুজিবের বিজয়ে ভীত হয়ে পড়েন। তার মানে ছিলো যে, ইয়াহিয়াকে প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়তে হবে এবং ভুট্টোকে বিরোধী দলীয় নেতার আসনে বসতে হবে। এ ধরনের পরিস্থিতি ছিলো তাদের আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থী। এ কারনে এ দু’জন ঐক্যবদ্ধ হয় এবং ভুট্টোর নিজ শহর লারকানায় একটি গোপন বৈঠকে মিলিত হয়। এ ঘটনা লারকানা ষড়যন্ত্র হিসেবে পরিচিত। অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত এবং কূটকৌশল, হুমকি, চক্রান্ত এবং সামরিক শক্তি ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধা সৃস্টি করার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়। এ চক্রান্ত ছিলো এমএম আহমেদ পরিকল্পনার অংশ। এ পরিকল্পনার লক্ষ্য ছিলো ইয়াহিয়াকে প্রেসিডেন্ট পদে বহাল রাখা এবং জুলফিকার আলী ভুট্টোকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ করে দেয়া। এ ছাড়া পুর্ব পাকিস্তানকে উত্তরসূরি সরকারবিহীন অবস্থায় পরিত্যাগ করা।
এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে পাকিস্তান ইস্টার্ন কমান্ডকে বলির পাঁঠা বানানো হয়। জেনারেল টিক্কা খান ছিলেন ভুট্টো ইয়াহিয়ার কাছের লোক। ২৫ মার্চ যখন গনহত্যা চালানো হয় তখন ইস্টার্ন গ্যারিসনের কমান্ডার ছিলেন জেনারেল টিক্কা। জেনারেল নিয়াজি ছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সবচেয়ে বেশি পদকপ্রাপ্ত অফিসার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অসীম সাহসিকতার জন্য বৃটিশ সরকার তাকে ' টাইগার' উপাধি দিয়েছিলো। পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে তিনি টাইগার নামেই পরিচিত ছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি রাওয়ালপিন্ডিতে কর্মরত ছিলেন। ওই সময় তিনি ছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দ্বাদশতম সিনিয়র অফিসার। ১১ জন সিনিয়র অফিসারকে ডিঙিয়ে তাকে ইস্টার্ন গ্যারিসনের কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে ইস্টার্ন গ্যারিসনের কমান্ডার পদবীতে তৃতীয়। জেনারেল টিক্কা খানকে এই পরাজয়ের গ্লানি থেকে বাঁচাতে নিয়াজিকে নিয়োগ দেয়া হয়।জেনারেল নিয়াজি ৭ এপৃল ঢাকায় এসে কমান্ড বুঝে নিতে চাইলে টিক্কা খান কমান্ড হস্তান্তরে গরিমসি করেন। কারণ সক্রিয় অপারেশন চলাকালে কোনো কমান্ডারকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া অপমানজনক। সেনাপ্রধান জেনারেল আবদুল হামিদের নির্দেশে ১০ এপৃল টিক্কা কমান্ড হস্তান্তর করেন।
এই বই পড়লে মনে হবে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ছিলো নেতাদের একটা যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা। ইন্ডিয়া ও পাকিস্তানের প্রধান নেতা ইন্দিরা গান্ধী, ভুট্টো, ইয়াহিয়া, শেখ মুজিবুর রহমান আগেই জানতেন এই যুদ্ধের ফলাফল। কিন্তু নিয়াজিকে তা জানানো হয়নি। তৎকালীন ঢাকা জেলার নেতৃত্বে থাকা মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী যা জানতেন তাকে তাও জানানো হয়নি। ফরমান গোপনে ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল মানেক শ' র সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন।
আমরা অনেকেই জানি,পাকিস্তানী যুদ্ধবন্দী ছিলো ৯৩ হাজার। কেউ কেউ ৯৫ বা ৯৬ হাজার বলে । কিন্তু এই বইতে নিয়াজি তথ্য প্রমাণসহ দেখিয়েছেন, ইস্টার্ন কমান্ডে পাকিস্তানের নিয়মিত সৈন্য সংখ্যা ছিলো মাত্র ৩৪ হাজার। রেঞ্জার্স, স্কাউট, মিলিশিয়া ও বেসামরিক পুলিশ মিলিয়ে আরো ছিলো ১১হাজার। সব মিলিয়ে ইস্টার্ন কমান্ডে সশস্ত্র সদস্য ছিলো মাত্র ৪৫ হাজার। ধোপা, নাপিত, বাবুর্চি, নার্স মিলিয়ে মোট পাকিস্তান সেনাবাহিনীর লোক ছিলো ৫৫ হাজার।
নিয়াজি তার বইতে উল্লেখ করেছেন এই সংখ্যাকে ৯৩ হাজার বানিয়ে ভারত বিশ্বকে বুঝাতে চায় তারা এক বিরাট বাহিনীকে পরাজিত করেছে। কতো কিছু নেতারা আমাদের ভুল জানায় । এসবই আবার ইতিহাস হয়ে যায় !!!
©Karim Chowdhury
24 May, 2020
Cumilla.

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

অশ্লীল নাম

বাংলাদেশের কিছু প্রতিষ্ঠান ও স্থানের বিচিত্র বা বিকৃত অর্থের নাম যা পরিবর্তন করা উচিতঃ ১. বোদা মহিলা মহাবিদ্যালয়, বোদা, পঞ্চগড় ২. চুমাচুমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি ৩. সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খুলনা ৪. মানুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নীলফামারি ৫. সোনাকাটা ইউনিয়ন, তালতলী, বরগুনা ৬.বড়বাল ইউনিয়ন, মিঠাপুকুর, রংপুর ৭.সোনাখাড়া ইউনিয়ন, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ৮. ধনকামড়া গ্রাম, ভোদামারা, দিনাজপুর ৯.গোয়াকাটা, দোহার, ঢাকা ১০. গোয়াতলা, ময়মনসিংহ ১১.লেংটার হাট, মতলব, চাঁদপুর