সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

হংকং




হংকং

হংকং (চীনা ভাষায়: ম্যান্ডারিন উচ্চারণে: শিয়াং গাং, ক্যান্টনীয় উচ্চারণে: হ্যং গং, ইংরেজি: Hong Kong বা হংকং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল।চীনের দুইটি বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলের একটি।অপর অঞ্চলটি হলো মাকাও।২৬০টিরও বেশি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নিয়ে গঠিত এই অঞ্চলটি পার্ল রিভার ডেল্টার পূর্ব দিকে অবস্থিত।এর উত্তরে চীনের কুয়াং তুং প্রদেশ এবং পূর্ব,পশ্চিম আর দক্ষিণে দক্ষিণ চীন সাগর অবস্থিত।হংকংয়ের অর্থনীতি অনেক শক্তিশালী।অনেকে হংকংকে আলাদা দেশ মনে করেন।আমি কয়েকবার হংকং গিয়েছিলাম।৬০ লাখ লোক অধ্যুষিত এই দ্বীপটির কোন রাজধানী নেই।চীন সমাজতান্ত্রিক দেশ হলেও হংকং ধনতান্ত্রিক পথ অনুসরণ করে।ওখানে অনেকেই বলে ‘ওয়ান কান্ট্রি টু সিসটেম’।১৮৪১ সাল থেকে এই দ্বীপটি বৃটিশ উপনিবেশ ছিলো এই সেদিন ১ জুলাই ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত।১ জুলাই ১৯৯৭ সালে ব্যয় বহুল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বৃটেন হংকংকে চীনের কাছে বুঝিয়ে দেয়।তখন আমি ইউএসএতে।আমি প্রথম বার হংকং গিয়েছিলাম ১৯৯৫ সালে।বৃটিশ শাসিত হংকং। পরে যখন ২০০৬ সালে হংকং যাই তখন হংকং চীনের।বাইরে থেকে হংকংয়ের কিছুই বদলায়নি। আগে হংকংয়ের শাসক ছিলো বৃটিশরা এখন চীনারা।দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় ২৫ ডিসেম্বর ১৯৪১ থেকে ১৫ই আগস্ট ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত হংকং জাপানিরা নিয়ে নেয়।যুদ্ধে জাপান পরাজিত হলে হংকং আবার বৃটিশদের হাতে আসে।হংকং থেকে চীনে যেতে চীনের আলাদা ভিসা লাগে।একবার হংকংয়ের ‘সিম সা সুই’ স্টেশন থেকে চীনের সেনজেন গিয়েছিলাম।সাবওয়ে ট্রেনে ৩৫ মিনিট লাগে হংকং থেকে চীনের 'লহো'( Loho) স্টেশনে যেতে।ওখানেই চাইনিজ ইমিগ্রেশন।ভাড়া ২৬ হংকং ডলার।সেনজেন চীনের একটা সিটি।এটা গুয়ানডুং প্রভিন্সে।সেখান থেকে বাসে চীনের গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশ গুয়ানডুং প্রদেশের রাজধানী গুয়ানজু গিয়েছিলাম।চীনের কথা আরেক দিন।
হংকংয়ে তোলা কয়েকটা ছবি।আগেই ভালো ছিলাম।ছোট ছিলাম।বড় হলেই ঝামেলা।
© Karim Chowdhury
21 May,2020
Cumilla

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

ফেবুতে মেয়েদের পোস্ট

ফেবুতে মেয়েদের পোস্ট সকালে ঘুম ভেঙে দেখি আট টা বাজে । শরীরটাও বেশি ভালো লাগছে না । আবার ঘুমাল াম । ১১টায় উঠলাম । ২ মগ চা খেলাম ( বাজারের হিসেবে ৮ কাপ হবে)। সবাই জানেন আমি স্মোক করি । চেইন স্মোকার । কম্পিউটার খোঁচাখুঁচি করে নিজে নিজেই ঠিক করলাম । প্রায় দুই ঘন্টা । আমি থাকি চার তলায় । দুপুর ১টা বাজে । খেতেও ইচ্ছে করছে না কিছু । তখনো মুখ ধুই নি । কম্পিউটারে খোঁচাখোঁচি করতে গিয়ে দেখি এক মেয়ে তার পা’য়ের একটা ছবি আপলোড করেছে । দেখলাম এই পা মানে ঠ্যাং এর ছবিতে লাইক পড়েছে ৯৪৭ টা । কমেন্ট অসংখ্য । ‘কতো সুন্দর এই পা । না জানি তুমি কতো সুন্দর । পা তো নয় যেন একটা গোলাপ ফুল’ । এ জাতীয় অনেক কমেন্ট । আমি পোষ্ট টা দেখে কিছুটা অবাক হলাম । একটা ঠ্যাং এর এতো কদর ! প্রায়ই লক্ষ্য করি, মেয়েরা যখনি কিছু আপলোড করে সেটা তাদের পায়ের ছবিই হোক,হাতের ছবিই হোক আর নাকের ছবিই হোক বা এক চোখের ছবিই হোক সে সব ছবিতে অগনিত লাইক আর কমেন্ট । মেয়ে বন্ধুদের ছোট করার জন্য বলছি না, ফেবুতে প্রায়ই দেখি মেয়েরা কোনো ছবি বা দু এক লাইন হাবিজাবি লিখলে লাইক আর কমেন্টের বন্যা বয়ে যায় । অনেক মেয়েরা শখ করে পিঠা, ...