সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

এদেশে ক্রাইম উত্থানে এক শ্রেনীর উকিল সরাসরি দায়ী

এদেশে ক্রাইম উত্থানে এক শ্রেনীর উকিল সরাসরি দায়ী

টাকার জন্য তারা সরাসরি অবস্থান নেয় ক্রিমিনালদের পক্ষে। চোখের সামনে ঘটে যাওয়া বাস্তব প্রমান থাকতেও নরপিশাচ টাইপ উকিল সম্প্রদায় প্রকাশ্যে ক্রিমিনালদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বিচার বিভাগকে করে প্রশ্নবিদ্ধ।
এমন উকিল সম্পূর্ন প্রত্যক্ষ মদদে সত্য প্রমান ধ্বংসের জন্য জন্ম দেয় সাক্ষী বিলুপ্তির নামে আরো হাজারো ক্রাইম।
তাই যদি হয়ে থাকে তাহলে ক্রাইমকে সমর্থন দিয়ে, ক্রাইমের পক্ষে অবস্থান নিয়ে আদালতের সামনে সওয়াল করতে গেলে সে বা তারা কেনো ক্রিমিনাল হবে না? কেনো তার বিরুদ্ধে একই রকম দায় আরোপ করা হবে না ?
বিচার প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ করতে গিয়ে, যে সকল ক্রাইম দিনের আলোর মতো প্রমান সকলের সামনে পড়ে রয়েছে সকল স্থানে তার বিপক্ষে একজন উকিল যখন দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয় তাহলে চারদিকে সামাজিক দেয়াল ভেঙে পড়ে, সামাজিকভাবে নব প্রজন্ম নিজের কাছেই নিজে ধাক্কা খায়। তাদের মধ্যে বাসা বাঁধে এক ধরনের অনাস্থা, অবিশ্বাস এবং দুর্বলতা ।
বিশেষ করে একজন উকিল যখন রাজনৈতিক পাওয়ার নিয়ে, শুধুমাত্র টাকার জন্য ক্রাইমকে ধরে রাখতে সোচ্চার হয় তাহলে বুঝতে হবে সমাজ ধ্বংস হতে আর বাকি নেই ।
একজন উকিলের আয়ের উপর সরকারি কোনো নজরদারি করতে দেখা যায় না। হয়তো সময় হয়েছে উকিলের আয়ের উপরেও সরকারীভাবে নজরদারি করা।
এছাড়া প্রকাশ্যে যদি কোনো উকিল ক্রাইমের পক্ষে অবস্থান নেয় তাহলে তার লাইসেন্স বাতিল এবং সম অপরাধে অপরাধী হিসাবে বিবেচিত করা ।
একজন ব্যক্তি আইন পেশায় নিযুক্ত বলেই সে আইনের বাইরে চলে যেতে পারে না।
উকিল বলেই তার সাত খুন মাপ এটা কিছুতেই হতে পারে না।
©Karim Chowdhury
৮ জুলাই,২০১৭
কুমিল্লা।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

অশ্লীল নাম

বাংলাদেশের কিছু প্রতিষ্ঠান ও স্থানের বিচিত্র বা বিকৃত অর্থের নাম যা পরিবর্তন করা উচিতঃ ১. বোদা মহিলা মহাবিদ্যালয়, বোদা, পঞ্চগড় ২. চুমাচুমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি ৩. সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খুলনা ৪. মানুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নীলফামারি ৫. সোনাকাটা ইউনিয়ন, তালতলী, বরগুনা ৬.বড়বাল ইউনিয়ন, মিঠাপুকুর, রংপুর ৭.সোনাখাড়া ইউনিয়ন, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ৮. ধনকামড়া গ্রাম, ভোদামারা, দিনাজপুর ৯.গোয়াকাটা, দোহার, ঢাকা ১০. গোয়াতলা, ময়মনসিংহ ১১.লেংটার হাট, মতলব, চাঁদপুর