সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্
থা

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা একেবারেই শেষ করে দেয়া হয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে এমনভাবে দুর্নীতি ঢুকেছে সরকার যতোই ডিজিটাল বলুক, বিনামুল্যে বই দিক, উপবৃত্তি দিক, কোনো লাভ হবে না।
নকল বন্ধে সৃজনশীল পদ্ধতি এসেছিলো। কিন্তু এই পদ্ধতি বাংলাদেশে কার্যকর নয় বলে প্রমাণিত হয়েছে। আমাদের সময় ছিলো নোট বই আর এখন নাম হয়েছে সলিউশন বুক। ঐ একই।
পরীক্ষা কক্ষে এভাবে ১৯৭২ সালেও বলে দেয়া হতো না। ১৯৭২ সালের এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে খুব বিতর্ক আছে। সদ্য স্বাধীন দেশে যে যেভাবে পারছে সেভাবেই পরীক্ষা দিয়েছে। কেউ কিছু বলেনি। কিন্তু শিক্ষকরা ছাত্রদের উত্তর বলে দেয় নি। যদিও ১৯৭২ সালেও অনেক মেধাবী ছেলে পাশ করেছে নকল ছাড়াই।
কিন্তু সৃজনশীল পদ্ধতি আসার পর, সব পরীক্ষায় ৪০ নাম্বার এমসিকিউর উত্তর শিক্ষকরাই বলে দেয়! এক আশ্চার্য ঘটনা !!!
সব স্কুলে একই চিত্র। শিক্ষকরা এখন লাখ লাখ টাকার মালিক। অনেকে কোটিপতি। ২/৩ টা বাড়ি।শিক্ষকতা পেশায় এতো টাকা আসে কোত্থেকে? তাদের সম্পদের তদন্ত করা দরকার।
ইংরেজি বা অন্য কিছু বই নিয়ে হয় তেলেসমাতি কান্ড! এই বই সরকার বিনামূল্যে দেয় না। ছাত্রছাত্রীরা নিজের টাকায় কেনে।
ডিসেম্বর মাস থেকেই শুরু হয়ে যায় প্রকাশনা সংস্থার লোকজনের আনাগোনা স্কুলে।
ইংরেজি গ্রামার বইটি পাঠ্য করার জন্য ১ থেকে ২ লাখ টাকা স্কুল কর্তৃপক্ষকে ঘুষ দেয় প্রকাশনা সংস্থা। তাদের বই চালিয়ে দেয়ার জন্য।
যে সংস্থা বেশি টাকা দেয় স্কুল সেই বই পাঠ্য করে। অথচ এই বই ছাত্রছাত্রীরা নিজের টাকায় কিনবে। একেকটা বইয়ের দাম ২০০/৩০০ টাকা।
এমন বই স্কুল কর্তৃপক্ষ পাঠ্য করে বিশেষ করে ইংরেজি গ্রামার যা ভুলে ভরা।
কারন সে টাকা বেশি দিয়েছে?
অথচ নিয়ম ছিলো, ডিসেম্বরে পরীক্ষা শেষে স্কুলের প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে ম্যান্যাজিং কমিটি সব শিক্ষকদের নিয়ে আলোচনায় বসবেন। সেখানে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের বই সিলেকশনের দায়িত্ব দেয়া হবে। বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থার কয়েকটা বই সংশ্লিষ্ট শিক্ষক দেখবেন। তিনি যে বইটি ভালো মনে করবেন, ছাত্রছাত্রীদের উপকারে আসবে, কাজে লাগবে সেই বই তিনি নির্বাচন করে দেবেন। তারপর কর্তৃপক্ষ সেটি রিচেক করে পাঠ্য বই নির্ধারন করবেন। কিন্তু প্রায় কোনো স্কুলেই এই নিয়ম মানা হয় না। কিন্তু কেনো? কার স্বার্থে? এই ঘুষের টাকা কোথায় যায় বা কেনো নেয়া হয় স্টুডেন্টসদের খারাপ বই দিয়ে ???
লেকচার, পাঞ্জেরি এরা স্কুলে সৌজন্য কপি দিয়ে যায়। কথাও বেশি বলে না। তারা ঘুষ দেয় না। তাদের বই তুলনামুলক ভালো। নবম ও দশম শ্রেণির জন্য Chowdhury & Hossain এর
“Advanced Learner’s
Communicative English
Grammar and Composition "
বইটি বেশ ভালো। কিন্তু এসব ভালো বই শিক্ষার্থীদের দেয়া হয় না। আরেকটা অবাক করা কান্ড হলো, ক্লাস ওয়ান থেকেই সবাই ইংরেজি পড়ে অথচ বিএ, এমএ পাশ বেশিরভাগ শিক্ষিত লোক দুই লাইন শুদ্ধ ইংরেজি বলতে পারে না!
যেভাবে শিক্ষা ব্যবস্থা চলছে এভাবে চলতে থাকলে বিএ, এমএ পাস ছেলেমেয়েরা অচিরেই ভিক্ষায় নামতে হবে। এছাড়া তারা কি করবে?
©Karim Chowdhury
2 June,2020
Cumilla.

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

ফেবুতে মেয়েদের পোস্ট

ফেবুতে মেয়েদের পোস্ট সকালে ঘুম ভেঙে দেখি আট টা বাজে । শরীরটাও বেশি ভালো লাগছে না । আবার ঘুমাল াম । ১১টায় উঠলাম । ২ মগ চা খেলাম ( বাজারের হিসেবে ৮ কাপ হবে)। সবাই জানেন আমি স্মোক করি । চেইন স্মোকার । কম্পিউটার খোঁচাখুঁচি করে নিজে নিজেই ঠিক করলাম । প্রায় দুই ঘন্টা । আমি থাকি চার তলায় । দুপুর ১টা বাজে । খেতেও ইচ্ছে করছে না কিছু । তখনো মুখ ধুই নি । কম্পিউটারে খোঁচাখোঁচি করতে গিয়ে দেখি এক মেয়ে তার পা’য়ের একটা ছবি আপলোড করেছে । দেখলাম এই পা মানে ঠ্যাং এর ছবিতে লাইক পড়েছে ৯৪৭ টা । কমেন্ট অসংখ্য । ‘কতো সুন্দর এই পা । না জানি তুমি কতো সুন্দর । পা তো নয় যেন একটা গোলাপ ফুল’ । এ জাতীয় অনেক কমেন্ট । আমি পোষ্ট টা দেখে কিছুটা অবাক হলাম । একটা ঠ্যাং এর এতো কদর ! প্রায়ই লক্ষ্য করি, মেয়েরা যখনি কিছু আপলোড করে সেটা তাদের পায়ের ছবিই হোক,হাতের ছবিই হোক আর নাকের ছবিই হোক বা এক চোখের ছবিই হোক সে সব ছবিতে অগনিত লাইক আর কমেন্ট । মেয়ে বন্ধুদের ছোট করার জন্য বলছি না, ফেবুতে প্রায়ই দেখি মেয়েরা কোনো ছবি বা দু এক লাইন হাবিজাবি লিখলে লাইক আর কমেন্টের বন্যা বয়ে যায় । অনেক মেয়েরা শখ করে পিঠা, ...