সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ছোটবেলার কিছু কথা

ছোটবেলার কিছু কথা


শুয়ে শুয়ে টিভি দেখছিলাম। সিএনএন। গত দু দিন বাসা পরিস্কারের অভিযানে ব্যস্ত ছিলাম। কঠিন অভিযান ছিলো। আজো ক্লান্তি আছে। ছোটবেলার অনেক কথা মনে পড়লো। কতো কিছু শুনেছিলাম। দেখেছিলাম। ধারনাও করেছিলাম। সব কি ঠিক ছিলো? বড় হয়ে দেখলাম-সব ই ভুল ছিলো।
১। ভাগিনা ভাগ্নীকে মামা মারতে পারে না। মারলে মামার হাত কাঁপে। আমি ভাগিনা-ভাগ্নী মেরেছি কিন্তু আমার হাত কাঁপেনি আজো।
২। কোনো ফলের বিচি খেয়ে ফেললে পেটের মধ্যে ওই ফলের গাছ হয়। পেয়ারা থেকে শুরু করে আরো অনেক ফলের বিচিই খেয়ে ফেলেছি কিন্তু পেটে গাছ গজায়নি।
৩। বিয়ে করলে বাচ্চা হয়- না করলে হয় না। বড় হয়ে বিয়ে না করে বাচ্চা হওয়ার বিচার/শালিস দেখেছি। বিদেশে গিয়ে দেখেছি বিয়ে না করেই সবার বাচ্চা হয়। এখন বাংলাদেশেও হয়।
৪। কুকুরের গু পাড়া দিলে গোসল করতে হয়। নয়তো মারাত্মক রোগ হতে পারে। মানুষের গু, পশু পাখির গু পাড়া দিলে গোসল করতে হয় না। পা ধুয়ে ফেললেই হয়। কিন্তু কুত্তার গু পাড়া দিলে গোসল করতে হবে কেনো?
ছোট বেলায় অনেক মুরুব্বিকে এই প্রশ্ন আমি করেছিলাম। সবাই আমতা আমতা করেছে। কেউ আমাকে সন্তুষ্ট করার মতো উত্তর দেয় নি। পরে আমি নিজে নিজেই আবিস্কার করেছি।
বাংলাদেশে রাস্তা ঘাটের বেশির ভাগ কুকুর গু খায়। কাজেই সেই কুকুরের গু মানে ডাবল গু। গু এর গু। তাই এর পাওয়ার বেশি। সেজন্য গোসল করা জরুরি। আমি ছোট বেলায় অনেক কুত্তার গু পাড়া দিয়েছি কিন্তু গোসল করিনি। পা ধুয়ে ফেলেছি। আমার কোন মারাত্মক রোগ এখনো ধরা পরেনি।
৫। কারো মাথার সঙ্গে যদি নিজের মাথা একটা ধাক্কা লাগে তাহলে শিং ওঠে, দুটো লাগলে আর ওঠে না। তাই একবার কারো মাথার সঙ্গে ধাক্কা লাগলে নিজেরা ইচ্ছা করে একবার ধাক্কা লাগাতাম। তবে অনেকবারই দ্বিতীয় বার ধাক্কা লাগাইনি কিন্তু আমার মাথায় এখনো শিং ওঠেনি ।
৬। টিভির পেছনে উঁকি দিলে ভেতরে মানুষ দেখা যাবে।
৭। যে যতো ভালো ছাত্র তার রোল নাম্বার ততো কম আর যতো খারাপ ততো বেশি....এটা কেনো?
৮। এক গালে থাপ্পড় দিলে অন্য গালেও দিতে হবে- তা না হলে বিয়ে হবে না। অনেকে দ্বিতীয় থাপ্পড় না খেয়েও একাধিক বিয়ে করেছেন।
৯। কোন কিছু শুধু একবার একটু খেলে পানিতে ডুবে মরার আশঙ্কা আছে। আমি অনেক কিছুই একবার খেয়েছি কিন্তু ছোটবেলায় পুকুরে লাফালাফি, দপাদপি, ডুব দিয়ে এক ধরনের খেলাও খেলেছি কিন্তু ডুবে মরিনি।
১০। সিনেমার গানের মধ্যে নায়ক নায়িকা এত তাড়াতাড়ি ড্রেস চেঞ্জ করে কিভাবে? নিশ্চয়ই একটার উপর আরেকটা পরে থাকে, হুট করে উপরেরটা খুলে ফেলে দেয় কোনো সময়..
১১। সিনেমাতে নায়ক নায়িকারা নিজের কন্ঠেই গান গায় ।
১২। কবরস্থান দিকে আঙুল দিয়ে দেখালে সেই আঙুল উল্টো করে মুখে এনে একটা কামড় দিতে হয়। নইলে পাপ হবে।
( বিঃদ্রঃ রুমের এক কোণায় এই টেবিল চেয়ারেই আমার বেশি সময় কাটে যখন বাসায় থাকি। ছবিটা এখনি তুললাম । বাঁদরামি আর কী ! বা খেয়ে দেয়ে কাজ নেই টাইপ।)
©Karim Chowdhury
০৩ জানুয়ারি, ২০১৬
কুমিল্লা ।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ

আমার দেখা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সরকারঃ শেখ মুজিবের শাসনামল ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের মার্চে শুরু হয়ে সেই বছরেরই ডিসেম্বরের দিকে গিয়ে শেষ হয়। এই দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল। এই দুর্ভিক্ষকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হিসেবে গন্য করা হয়। ওই সময় আমি বুঝতাম। ক্লাশ ফোরে পড়তাম। আহারে ! কি যে অভাব ! অনেকের মতো আমরাও ভাত না খেয়ে রুটি খেয়েছি । তাও পরিমিত । কখনো জাউ খেয়েছি । শুকনো মরিচ পাওয়া যেতো না । কাঁচা মরিচের কেজি ছিলো ১৫০ টাকা । লবন ১২০ টাকা । আর সোনার ভরি ছিলো তখন ১৫০ টাকা । সোনা শুধু ওই সময় কম দাম ছিলো । চারদিকে অভাব । সারাদেশের মানুষের হাহাকার । কতো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন ! বিদেশি রিলিফ সব আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করেছে । আর বেশিরভাগ রিলিফ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে পাচার হয়েছিলো । তখন বর্ডার খোলা ছিলো তখন । মহিলাদের শাড়ি কাপড় ছিলো না । অনেকে মাছ ধরার জাল পরে লজ্জাস্থান ঢেকেছিলো । এসব ছবি পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিলো । কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনো অভাব ছিলো না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় ...

বোতল

বোতল মানব জীবনে বোতল অপরিহার্য । বোতল অনেক অর্থেও ব্যবহার হয় । কোনো কোনো এলাকায় আনস্মার্ট, বেয়াক্কেল প্রকৃতির লোককেও বোতল বলা হয় । ইউরোপ আমেরিকায় থাকতে আমি ডৃংক করতাম । হার্ড ডৃংক কমই খেতাম । প্রতিদিনই বিয়ার খেতাম । বিয়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও কাজ করতে এনার্জি জোগায় । পরিমিত বিয়ার খেলে কেউ মাতাল হয় না । মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো পার্টিতে হুইস্কি খাওয়া হতো । তাও দামি ব্র্যান্ডের । জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল, টিচার্স, পাসপোর্ট, হেনেসি, শিভাস রিগাল, জ্যাক ড্যানিয়েলস । সাকুরায়ও অনেক সময় এসব ব্র্যান্ডের হুইস্কি পাওয়া যায় না । তো দেশে আসার পরও কিছু দিন ডৃংক করেছিলাম । কুমিল্লায় সরকার অনুমোদিত একটা মদের দোকান আছে চক বাজারে । নামঃ নাদের ট্রেডিং কোং । এটা প্রায় আজ ৫০ বছর । এখানে বিদেশি ব্র্যান্ডের ডৃংক পাওয়া যায় না । দেশিয় কোম্পানি ‘কেরো এন্ড কোং’ যা দর্শনায় অবস্থিত তার তৈরি ভদকা, হুইস্কি, জিন পাওয়া যায় । আমাদের সমাজতো রক্ষনশীল । তাই কান্দিরপাড় থেকে একটা স্প্রাইট কিনে অর্ধেক খেতে খেতে চক বাজার যেতাম । নাদেরে যখন পৌঁছতাম তখন স্প্রাইটের বোতল অর্ধেক খালি হয়ে যেতো । আমি বাবুল ভাইকে স্প্...

অশ্লীল নাম

বাংলাদেশের কিছু প্রতিষ্ঠান ও স্থানের বিচিত্র বা বিকৃত অর্থের নাম যা পরিবর্তন করা উচিতঃ ১. বোদা মহিলা মহাবিদ্যালয়, বোদা, পঞ্চগড় ২. চুমাচুমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি ৩. সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খুলনা ৪. মানুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নীলফামারি ৫. সোনাকাটা ইউনিয়ন, তালতলী, বরগুনা ৬.বড়বাল ইউনিয়ন, মিঠাপুকুর, রংপুর ৭.সোনাখাড়া ইউনিয়ন, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ৮. ধনকামড়া গ্রাম, ভোদামারা, দিনাজপুর ৯.গোয়াকাটা, দোহার, ঢাকা ১০. গোয়াতলা, ময়মনসিংহ ১১.লেংটার হাট, মতলব, চাঁদপুর